ভৈরবী-পিলু

  • আধো-আধো বোল লাজে-বাধো-বাধো বোল

    বাণী

    আধো আধো বোল্ লাজে-বাধো-বাধো বোল
    				ব’লো কানে কানে।
    যে কথাটি আধো রাতে মনে লাগায় দোল
    				ব’লো কানে কানে।।
    যে কথার কলি সখি আজও ফুটিল না, হায়
    শরমে মরম-পাতে দোলে আন্‌মনা, হায়
    যে কথাটি ঢেকে রাখে বুকের আঁচল
    				ব’লো কানে কানে।।
    যে কথা লুকায়ে থাকে লাজ-নত চোখে
    না বলিতে যে কথাটি জানাজানি লোকে
    যে কথাটি ধ’রে রাখে অধরের কোল
    লুকিয়ে ব’লো নিরালায় থামিলে কলরোল।
    যে কথাটি বলিতে চাও বেশভূষার ছলে
    যে কথা দেয় ব’লে তব তনু পলে পলে
    যে কথাটি বলিতে সই গালে পড়ে টোল্ —
    				ব’লো কানে কানে।।
    

  • এলো ফুল-দোল ওরে এলো ফুল দোল

    বাণী

    এলো ফুল-দোল ওরে এলো ফুল দোল আনো রঙ-ঝারি।
    অশোকমঞ্জরি অলকে পরি এসো গোপ-নারী।।
    ঝরিছে আকাশে রঙের ঝরনা
    হায় শ্যামা ধরণী হ’ল আবির-বরণা,
    ত্যজি’ গৃহ-কাজ এসো চল-চরণা — ডাকে গিরিধারী।।
    পরাগ-আবির হানে বনবালা সুরের পিচ্‌কারি হানিছে কুহু,
    রঙিন্‌ স্বপন রাতের ঘুমে অনুরাগ-রং ঝরে মনে মুহু মুহু।
    রাঙে গিরি-মল্লিকা রঙিন বর্ণে,
    রাতের আঁচল ভরে জোছনার স্বর্ণে
    কুলের কালি সখি দেবে ধুয়ে রাঙা পিচ্‌কারি।।
    
  • বউ কথা কও বউ কথা কও

    বাণী

    বউ কথা কও, বউ কথা কও, কও কথা অভিমানিনী
    সেধে সেধে কেঁদে কেঁদে যাবে কত যামিনী।।
    সে কাঁদন শুনি হের নামিল নভে বাদল
    এলো পাতার বাতায়নে যুঁই চামেলী কামিনী।।
    আমার প্রাণের ভাষা শিখে ডাকে পাখি পিউ কাঁহা
    খোঁজে তোমায় মেঘে মেঘে আঁখি মোর সৌদামিনী।।