ভৈরবী

  • মধুর ছন্দে নাচে আনন্দে নওল কিশোর মদনমোহন

    বাণী

    মধুর ছন্দে নাচে আনন্দে নওল কিশোর মদনমোহন!
    চারু ত্রিভঙ্গিম ঠাম বঙ্কিম, বন্দে পদ কোটি চন্দ্র তপন॥
    	বৃষ্টিধারা সম নব নবতম,
    	সৃষ্টি পড়ে ঝরি সে নাচে নিরূপম
    রতন মঞ্জির বাজে রমঝম, ঘোরে গ্রহতারা ঘিরি শ্রীচরণ॥
    

    চলচ্চিত্রঃ ‘ধ্রুব’

  • মহাবিদ্যা আদ্যাশক্তি পরমেশ্বরী কালিকা

    বাণী

    মহাবিদ্যা আদ্যাশক্তি পরমেশ্বরী কালিকা।
    পরমা প্রকৃতি জগদম্বিকা, ভবানী ত্রিলোক-পালিকা।।
    	মহাকালি মহাসরস্বতী,
    	মহালক্ষ্মী তুমি ভগবতী
    তুমি বেদমাতা, তুমি গায়ত্রী, ষোড়শী কুমারী বালিকা।।
    কোটি ব্রক্ষ্মা, বিষ্ণু, রুদ্র মা মহামায়া তব মায়ায়,
    সৃষ্টি করিয়া করিতেছ লয় সমুদ্রে জলবিম্ব-প্রায়।
    	অচিন্ত্য পরমাত্মারূপিণী,
    	সুর-নর চরাচর-প্রসবিনী।
    নমস্তে শিরে অশুভ নাশিনী, তারা মঙ্গল চন্ডিকা।
    নমস্তে শিরে অশুভ নাশিনী, তারা মঙ্গল সাধিকা।।
    
  • মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর

    বাণী

    মোর		ঘুমঘোরে এলে মনোহর নমো নম, নমো নম, নমো নম।
    		শ্রাবণ-মেঘে নাচে নটবর রমঝম, রমঝম, ঝমরম
    			(ঝমঝম, রমঝম, রমঝম)।।
    শিয়রে		বসি চুপি চুপি চুমিলে নয়ন
    মোর		বিকশিল আবেশে তনু নীপ-সম, নিরুপম, মনোরম।।
    মোর		ফুলবনে ছিল যত ফুল
    			ভরি ডালি দিনু ঢালি’ দেবতা মোর
    হায়		নিলে না সে ফুল, ছি ছি বেভুল,
    			নিলে তুলি’ খোঁপা খুলি’ কুসুম-ডোর।
    স্বপনে		কী যে কয়েছি তাই গিয়াছ চলি’
    জাগিয়া	কেঁদে ডাকি দেবতায় প্রিয়তম, প্রিয়তম, প্রিয়তম।।
    
  • মোর না মিটিতে আশা ভাঙিল খেলা

    বাণী

    মোর না মিটিতে আশা ভাঙিল খেলা,
    জীবন প্রভাতে এ লো বিদায় বেলা।।
    আঁচলের ফুলগুলি করুণ নয়ানে
    নিরাশায় চেয়ে আছে মোর মুখপানে,
    বাজিয়াছে বুকে যেন, কার অবহেলা।।
    আঁধারের এলোকেশ দু’ হাতে জড়ায়ে
    যেতে যেতে নিশীথিনী কাঁদে বনছায়ে।
    		বুঝি দুখ-নিশি মোর
    		হবে না হবে না ভোর,
    ভিড়িবে না কূলে মোর বিরহের ভেলা।।
    

  • মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান

    বাণী

    মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান।
    মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।।
    	এক সে আকাশ মায়ের কোলে
    	যেন রবি শশী দোলে,
    এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ির টান।।
    এক সে দেশের খাই গো হাওয়া, এক সে দেশের জল,
    এক সে মায়ের বক্ষে ফলাই একই ফুল ও ফল।
    	এক সে দেশের মাটিতে পাই
    	কেউ গোরে কেউ শ্মাশানে ঠাঁই
    এক ভাষাতে মা’কে ডাকি, এক সুরে গাই গান।। 
    

    নাটিকাঃ‘পুতুলের বিয়ে’

  • যাও যাও তুমি ফিরে

    বাণী

    	যাও যাও তুমি ফিরে এই মুছিনু আঁখি
    	কে বাঁধিবে তোমারে হায় গানের পাখি॥
    মোর	আজ এত প্রেম আশা এত ভালোবাসা
    	সকলি দুরাশা আজ কি দিয়া রাখি॥
    	তোমার বেঁধেছিল নয়ন শুধু এ রূপের জালে
    	তাই দুদিন কাঁদিয়া হায় এ বাঁধন ছাড়ালে।
    	আমার বাঁধিয়াছে হিয়া আমি ছাড়াব কি দিয়া
    	আমার হিয়া তো নয়ন নহে ও সে ছাড়ে না কাঁদিয়া,
    	ওগো দুদিন কাঁদিয়া।
    	এই অভিমান জ্বালা মোর একেলারি কালা
    	ম্লান মিলনেরি মালা দাও ধূলাতে ঢাকি॥
    
  • শুধু নামে যাঁহার এত মধু সে বঁধু কেমন

    বাণী

    শুধু নামে যাঁহার এত মধু সে বঁধু কেমন
    শুধু নাম শুনে যাঁর জাগে জোয়ার পরানে এমন।।
    	শুধু যাহার বাঁশির সুরে
    	আমার এত নয়ন ঝুরে
    ওগো না জানি তার রূপ কেমন মদন-মোহন।।
    সে বুঝি লো' অপরূপ সে চির-নতুন
    বাঁশির সুরের মতো আঁখি-সকরুণ।
    	তারে আমি দেখি যদি
    	কাঁদিব কি নিরবধি
    ওগো, যেমন ক'রে ঐ যমুনা কাঁদে অনুক্ষণ।।
    
  • শ্রীকৃষ্ণ মুরারী গদাপদ্মধারী

    বাণী

    শ্রীকৃষ্ণ মুরারী গদাপদ্মধারী
    মধুবন-চারী গিরিধারী ত্রিভুবন-বিহারী।।
    	লীলা-বিলাসী গোলকবাসী
    	রাধা তুলসী প্রেম-পিয়াসী
    মহা বিরাট বিষ্ণু ভূ-ভার হরণকারী।।
    	নব-নীরদ-কান্তি-শ্যাম
    	চির কিশোর অভিরাম
    রসঘন-আনন্দ-রূপ মাধব বনোয়ারী।।
    
  • সখি জাগো রজনী পোহায়

    বাণী

    	সখি জাগো, রজনী পোহায়
    	মলিন কামিনী-ফুল যামিনী-গলায়।।
    	চলিছে বধূ সিনানে
    (ওগো) বসন বশ না মানে
    	শিথিল আঁচল টানে পথের কাঁটায়।।
    

  • স্বপনে এসেছিল মৃদু-ভাষিণী

    বাণী

    স্বপনেএসেছিল মৃদু-ভাষিণী
    মৃদু-ভাষিণী মধু-হাসিনী।
    রূপের তৃষা মোর রূপ ধ'রে এসেছিল
    কল্পনা মনোবন-বাসিনী।।
    যে পরম সুন্দর আছে মোর অন্তরে
    তারি অভিসারে আসে উদাসিনী।।
    
  • হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায়

    বাণী

    হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায় ফুল ফোটাতে।
    মৌমাছি যে ফুলও ফোটায় হুল ফোটানোর সাথে সাথে।।
    	আঘাত দিলে, দিলে বেদন
    	রাঙাতে হায়, পারলে না মন,
    প্রেমের কুঁড়ি ফুটল না তাই পড়ল ঝ’রে নিরাশাতে।।
    আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা,
    হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা।
    শয়ন-সাথি হলে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।।
    ফুল তুলে হায় ঘর সাজালে, করলে নাকো গলার মালা
    ত্যাজি’ সুধা পিয়ে সুরা হলে তুমি মাতোয়ালা,
    নিশাস ফেলে নিভাইলে যে-দীপ আলো দিত রাতে।।
    
  • হে মাধব হে মাধব হে মাধব

    বাণী

    হে মাধব, হে মাধব, হে মাধব!
    তোমারেই প্রাণের বেদনা কব তোমারি শরণ লব।।
    সুখের সাগরে লহরি সমান
    হিল্লোলি’ উঠে যেন তব নমি গান
    দুঃখে শোকে কাঁদে যবে প্রাণ যেন নাম না ভুলি তব।।
    তুমি ছাড়া বিশ্বে কাহারও কাছে
    এ প্রাণ যেন কিছু নাহি যাচে।
    যেনতোমারি অধিক কেহ প্রিয় নাহি হয়
    বিশ্ব ভুবনে যেন হেনি তুমি-ময়
    কলঙ্ক-লাঞ্ছনা যত বাধা ভয় তব প্রেমে সকলি স’ব।।