ভজন

  • কমলা রূপিণী শক্তি-স্বরূপিণী

    বাণী

    কমলা রূপিণী, শক্তি-স্বরূপিণী
    পতিব্রতা সতী ধর্ম-বিধায়িনী — সীতা, জয় সীতা।
    জনক দুলারী রাজকুমারী
    লব-কুশ-জননী, রাম-কী পিয়ারী — সীতা, জয় সীতা।।
    	আওধ-প্রজাকুল শান্তি-বিধায়িনী
    	পতি-অনুগামিনী, বন-বনচারিণী,
    অশোক-কানন উজ্জ্বলকারিণী — সীতা, জয় সীতা।।
    	বসুমতী-অঙ্ক সমুজ্জ্বল-কারিণী
    	সতীকে তেজ-বল-অগ্নিনিবারণী,
    সুখ-দুখমে পতি-চরম ভিখারিনী — সীতা, জয় সীতা।।
    
  • কাঁদবো না আর শচীদুলাল তোমায় ডেকে ডেকে

    বাণী

    কাঁদবো না আর শচীদুলাল তোমায় ডেকে ডেকে
    		মোরা কাঁদবো না —
    (প্রিয়) তুমি গেছ চলে তোমার প্রেম গিয়েছ রেখে 
    		তাই কাঁদব না॥
    	ত্যাগ যেখানে প্রেম যেখানে
    	তোমার মধু-রূপ সেখানে
    ওগো জগন্নাথের দেউল তোমায় রাখবে কোথায় ঢেকে॥
    হল বৈরাগিনী ধরা তোমার চরণ ধূলি মেখে
    তোমার মন্ত্র নিল অসীম আকাশ চাঁদের তিলক এঁকে।
    	সুন্দর যা কিছু হেরি
    	ওগো রূপ সে শচী-নন্দনেরি
    তোমার ডাক শুনি যে আজো হৃদয়পুরীর সাগর থেকে।
    তোমার ডাক শুনি যে ওহে প্রিয়
    ডাক শুনি যে আজো হৃদয়পুরীর সাগর থেকে॥
    
  • কি দিয়ে পূজি ভগবান

    বাণী

    	কি দিয়ে পূজি ভগবান!
    আমার ব’লে কিছু নাহি হরি সকলি তোমারি যে দান
    	মন্দিরে তুমি, মূরতিতে তুমি
    	পূজার ফুলে তুমি, স্তব-গীতে তুমি,
    ভগবান দিয়ে ভগবান পূজা করিতে — তুমি যদি ভাব অপমান॥
    	কেমন তব রূপ দেখিনি হরি
    	আপন মন দিয়ে তোমারে গড়ি,
    কাঁদ না হাস তুমি সে-রূপ হেরি — বুঝিতে পারি না আমি তাই কাঁদে প্রাণ॥
    	কোটি রবি-শশী আরতি করে যারে,
    	প্রদীপ জ্বালিয়া খুঁজি আমি তারে।
    বন-ডালা যাঁর পূজার সম্ভার, যোগী মুনি করে যুগযুগ ধ্যান।
    কোথা শ্রীমুখ তব কোথা শ্রীচরণ, চন্দন দিব কোন্‌খান ॥
    
  • কিশোরী সাধিকা রাধিকা শ্রীমতী

    বাণী

    কিশোরী সাধিকা রাধিকা শ্রীমতী।
    চির-কিশোর আরাধিকা শ্রীমতী।।
    	কমলা গোলোকে
    	গোপিনী ভুলোকে,
    সেবিকা প্রকৃতি পরমা তপতী।।
    	শ্যাম ভুবন কালো
    	রাই অরুণ আলো,
    হরি পূজারিণী প্রেম মূর্তিমতী।।
    	ব্রজধাম বাসিনী
    	লীলা বিলাসিনী,
    শ্যাম নাম ভাষিণী বিরহ ভারতী।।
    	শ্যাম মেঘ গলে
    	রাই বিজলি দোলে,
    শ্যাম পত্র কোলে রাই ফুল আরতি।।
    	লয়ে যাঁহার নাম
    	হরি হন রাধা শ্যাম,
    সুর নর অবিরাম করে যাঁর প্রণতি।।
    
  • কৃষ্ণ কৃষ্ণ বল্ রসনা

    বাণী

    কৃষ্ণ কৃষ্ণ বল্ রসনা রাধা রাধা বল্,
    রাধাকৃষ্ণ রাধাকৃষ্ণ রাধাকৃষ্ণ বল্।।
    যোগে খোঁজেন শিব কৃষ্ণ-গোবিন্দে
    ব্রহ্মা পূজেন রাধা-চরণারবিন্দে,
    অধরা যুগল চাঁদে ধরিল প্রেমের ফাঁদে গোপ গোপীদল।।
    (মোর) শ্রীকৃষ্ণে থাকে যেন অটল মতি
    সেই মতি দেন্ মোর রাধা শ্রীমতী,
    মন-বৃন্দাবনে ফোটে কৃষ্ণ নামের ফুল —
    ঝরায়ে সে-ফুল রাই দেন সবে প্রেম-ফল।।
    রাধাকৃষ্ণ বল্ ওরে নর-নারী
    সংসার বনে তোরা যেন শুক-শারি,
    তার, পরানে নিত্য রাস-রসের উল্লাস —
    যাহার হৃদয়ে দোলে মূরতি যুগল।।
    
  • কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি

    বাণী

    কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি।
    যে কৃষ্ণ নাম জপেন ইন্দ্র-ব্রহ্মা-মহেশ্বর
    যে নাম করে ধ্যান যোগী-ঋষি-সুরাসুর-নর,
    এই অসীম বিশ্ব সীমা যাঁহার পায় নাকো খুঁজি -
    আমি জীবনে মরণে যেন সেই নামই ভজি।।
    যাঁর অনন্ত লীলা যাঁহার অনন্ত প্রকাশ
    মধু কৈটভ মর কংসে যুগে যুগে করেন নাশ,
    ন্যায় পাণ্ডবের হলেন সখা সারথি সাজি’
    এই পাপ কুরুক্ষেত্রে কাঁদি তাঁহারেই খুঁজি’।।
    যাঁর মুখে গীতা হাতে বাঁশি নূপুর রাঙা পায়
    কভু শ্রীকৃষ্ণ গোকুলে কভু গোরা নদীয়ায়,
    ফেরে প্রেম-যমুনার তীরে চির-রাধিকায় খুঁজি’
    মোর মন গোপিনী উন্মাদিনী সেই নামে মজি’।।
    
  • কেহ বলে তুমি রূপ সুন্দর

    বাণী

    		কেহ বলে তুমি রূপ সুন্দর, কেহ বলে তুমি জ্যোতি!
    		আমি জানি প্রভু তুমি যে আমার চির-জনমের পতি।।
    			কেহ বলে তুমি চিরদিন দূরে রহ
    			কেহ বলে, আছে অন্তরে অহরহ,
    যার		যাহা সাধ ডাকে সেই নামে (প্রভু) তোমার নাহিক ক্ষতি।।
    		অন্ধ দেখে না চন্দ্র-সূর্য তবু জানে আলো আছে,
    (আমি) 	দেখিনি, তবুও তোমার প্রকাশ সহজ-আমার কাছে
    			রূপ কি অরূপ কাহারেও নাহি দুষি,
    			নাই দেখি ফুল সুরভি পেয়েই খুশি,
    (আমি)		অঞ্জলি ভরি’ অমৃত চাই, পাত্রে নাহিক মতি।।
    
  • কোথায় তুই খুঁজিস ভগবান্

    বাণী

    কোথায় তুই খুঁজিস ভগবান্, সে যে রে তোরই মাঝে রয়,
    			চেয়ে দেখ সে তোরই মাঝে রয়।
    সাজিয়া যোগী ও দরবেশ খুঁজিস্ যায় পাহাড় জঙ্গলময়।।
    আঁখি খোল্ ইচ্ছা-অন্ধের দল নিজেরে দেখ্ রে আয়নাতে,
    দেখিবি তোরই এই দেহে নিরাকার তাঁহার পরিচয়।।
    ভাবিস্ তুই ক্ষুদ্র কলেবর, ইহাতেই অসীম নীলাম্বর,
    এ দেহের আধারে গোপন রহে সে বিশ্ব-চরাচর।
    প্রাণে তোর প্রাণের ঠাকুর বেহেশ্‌তে স্বর্গে কোথাও নয়।।
    এই তোর মন্দির-মসজিদ এই তোর কাশী-বৃন্দাবন,
    আপনার পানে ফিরে চল কোথা তুই তীর্থে যাবি, মন!
    এই তোর মক্কা-মদিনা, জগন্নাথ-ক্ষেত্র এই হৃদয়।।
    
  • কোন্ কুসুমে তোমায় আমি

    বাণী

    কোন্ কুসুমে তোমায় আমি পূজিব নাথ বল বল।
    তোমার পূজার কুসুম-ডালা সাজায় নিতি বনতল।।
    	কোটি তপন চন্দ্র তারা
    	খোঁজে যা’রে তন্দ্রাহারা,
    খুঁজি তা’রে ল’য়ে আমার, ক্ষীণ এ-নয়ন ছলছল।।
    	বিশ্ব-ভুবন দেউল যাহার
    	কোথায় রচি মন্দির তাঁর,
    লও চরণে ব্যথায়-রাঙা আমার হৃদয়-শতদল।।
    
  • খেলে নন্দের-আঙিনায় আনন্দ দুলাল

    বাণী

    খেলে নন্দের-আঙিনায় আনন্দ দুলাল।
    রাঙা চরণে মধুর সুরে বাজে নূপুর-তাল॥
    	নবীন নাটুয়া বেশে
    	নাচে কভু হেসে হেসে,
    যাশোমতীর কোলে এসে দোলে কভু গোপাল॥
    ‘ননী দে’ বলিয়া কাঁদে কভু রোহিণী-কোলে,
    জড়ায়ে ধ’রে কদম তরু তমাল-ডালে দোলে।
    	দাঁড়ায়ে ত্রিভঙ্গ হ’য়ে
    	বাজায় মুরলী ল’য়ে,
    কভু সে চরায় ধেনু বনের রাখাল॥
    
  • খেলো না আর আমায় নিয়ে

    বাণী

    	খেলো না আর আমায় নিয়ে, প্রিয় অলস খেলা।
    	নিঠুর খেলা খেল এবার ফুরায় খেলার বেলা।।
    		(তুমি) অন্ধকারের আড়াল হতে
    		লও হে টানি’ বাহির পথে,
    	চঞ্চলতার বিপুল স্রোতে, দাও ভাসাতে ভেলা।।
    (তুমি)	সবার চেয়ে ভালোবাসো, আঘাত যারে হানো,
    	স্মরণ যারে করো তারে মরণ টানে টানো।
    		ঠাঁই যারে দাও চরণ-তলে
    		ভোলাও না তায় সুখের ছলে,
    	মালার নামে দাও না গলে তোমার অবহেলা।।
    
  • গগনে প্রলয় মেঘের মেলা

    বাণী

    গগনে প্রলয় মেঘের মেলা জীবন-ভেলা দোলে টলমল
    নীর অপার ভব পারাবার তীর না হেরে পরান বিকল
    	তীর না হেরে নয়নে পরান বিকল।।
    	দীন দয়াল ভীত দীন জনে
    	মাগে শরণ তব অভয় চরণে
    দুস্তর দুর্গম দুঃখ জলধি তরিতে চরণ-তরী ভরসা কেবল।।
    
  • গঙ্গার বালুতটে খেলিছে কিশোর

    বাণী

    গঙ্গার বালুতটে খেলিছে কিশোর গোরা।
    চরণতলে চলে পুলকে বসুন্ধরা।।
    	পড়িল কি রে খসি
    	ভূতলে রাকা শশী
    ঝরিছে অঝোর ধারায় রূপের পাগল-ঝোরা।।
    শ্রীমতি ও শ্রীহরি খেলিছে এক অঙ্গে,
    দেব-দেবী নর-নারী গাহে স্তব এক সঙ্গে।
    	গঙ্গা জোয়ার জাগে
    	তাহারি অনুরাগে,
    ফিরে এলো কি নদীয়ায় ব্রজের ননী-চোরা।।
    
  • গম্ভীর আরতি নৃত্যের ছন্দে

    বাণী

    গম্ভীর আরতি নৃত্যের ছন্দে।
    হে প্রভু! তোমারে প্রকৃতি বন্দে।।
    	চন্দ্র সূর্য কত শত গ্রহ তারা
    	তোমারে ঘিরি’ নাচে প্রেমে মাতোয়ারা,
    অনন্ত কাল ঘোরে ধূমকেতু উল্কা আগুন জ্বালায়ে বুকে উগ্র আনন্দে
    লীলায়িত সিন্ধু অবোধ উল্লাসে,
    মেঘ হ’য়ে উড়ে যেতে চায় তব পাশে।
    	নব নব সৃষ্টি বৃষ্টিধারার প্রায়
    	সেই ছন্দের তালে অবিরাম ঝ’রে যায়,
    ধরণীর গোপন অনুরাগ ভক্তি ফুটে ওঠে নীরব পুষ্প-সুগন্ধে।।
    

    ১. প্রেম ২. ভাব উল্লাসে

  • গাহ নাম অবিরাম কৃষ্ণনাম

    বাণী

    গাহ নাম অবিরাম কৃষ্ণনাম কৃষ্ণনাম।
    মহাকাল যে নামের করে প্রাণায়াম।।
    যে নামের গুণে কংস কারার খোলে দ্বার।
    বসুদেব যে নামে যমুনা হ’ল পার।
    যে নাম মায়ায় হল তীর্থ ব্রজধাম।।
    দেবকীর বুকের পাষাণ গলে,
    যে নাম দোলে যশোদার কোলে।
    যে নাম লয়ে কাঁদে রাই রসময়ী,
    কুরুক্ষেত্রে যে নামে হল পান্ডব জয়ী।
    গোলকে নারায়ণ, ভূলোকে রাধাশ্যাম।।
    
  • গিরিধারী গোপাল ব্রজ গোপ দুলাল

    বাণী

    গিরিধারী গোপাল ব্রজ গোপ দুলাল
    অপরূপ ঘনশ্যাম নব তরুণ তমাল॥
    বিশাখার পটে আঁকা মধুর নিরুপম
    কান্ত ললিতার শ্রীরাধা প্রীতম
    রুক্মিণী-পতি হরি যাদব ভূপাল॥
    যশোদার স্নেহডোরে বাঁধা ননীচোর
    নন্দের নয়ন-আনন্দ-কিশোর
    শ্রীদাম-সুদাম-সখা গোঠের রাখাল॥
    কংস-নিসূদন কৃষ্ণ মথুরাপতি
    গীতা উদ্‌গাতা পার্থসারথি
    পূর্ণ ভগবান বিরাট বিশাল॥
    
  • গিরিধারী লাল কৃষ্ণ গোপাল

    বাণী

    গিরিধারী লাল কৃষ্ণ গোপাল যুগে যুগে হ’য়ো প্রিয়
    জনমে জনমে বঁধু তব প্রেমে আমারে ঝুরিতে দিও॥
    	তুমি চির চঞ্চল চির পলাতকা
    	প্রেমে বাঁধা প’ড়ে হ’য়ো মোর সখা
    মোর জাতি কুল মান তনু মন প্রাণ হে কিশোর হ’রে নিও॥
    রাধিকার সম কুব্জার সম রুক্সিণী সম মোরে
    গোকুল মথুরা দ্বারকায় নাথ রেখো তব সাথী করে।
    	গোপনে চেয়ো সব শত গোপীকায়
    	চন্দ্রাবলী ও সত্যভামায়
    তেমনি হে নাথ চাহিও আমায় লুকায়ে ভালেবাসিও॥
    
  • গোঠের রাখাল বলে দে রে

    বাণী

    		গোঠের রাখাল, বলে দে রে কোথায় বৃন্দাবন।
    (যথা)		রাখাল–রাজা গোপাল আমার খেলে অনুক্ষণ।।
    (যথা)		দিনে রাতে মিলন–রাসে
    		চাঁদ হাসে রে চাঁদের পাশে,
    (যা’র)		পথের ধূলায় ছড়িয়ে আছে শ্রীহরি–চন্দন।।
    (যথা)		কৃষ্ণ–নামের ঢেউ ওঠে রে সুনীল যমুনায়,
    (যা’র)		তমাল–বনে আজো মধুর কানুর নূপুর শোনা যায়।
    		আজো যাহার কদম ডালে
    		বেণু বাজে সাঁঝ–সকালে,
    		নিত্য লীলা করে যথা মদন–মোহন।।
    
  • ঘন-ঘোর-মেঘ-ঘেরা দুর্দিনে ঘনশ্যাম

    বাণী

    ঘন-ঘোর-মেঘ-ঘেরা দুর্দিনে ঘনশ্যাম ভূ-ভারত চাহিছে তোমায়।
    ধরিতে ধরার ভার নাশিতে এ হাহাকার আরবার এসো এ ধরায়।।
    		নিখিল মানবজাতি কলহ ও দ্বন্দ্বে
    		পীড়িত শ্রান্ত আজি কাঁদে নিরানন্দে,
    শঙ্খপদ্ম হাতে এ ঘোর তিমির-রাতে তিমির-বিদারী এসো অরুণ-প্রভায়।।
    বিদূরিত কর এই নিরাশা ও ভয়, মানুষে মানুষে হোক প্রেম অক্ষয়।
    কলিতে দলিতে এসো এই দুখ-পাপ-তাপ আন বর সুন্দর, শেষ হোক অভিশাপ,
    গদা ও চক্র করে অরিন্দম এসো, হত-মার দুর্বল মাগিছে সহায়।।
    
  • ঘনশ্যাম কিশোর নয়ন-আনন্দ

    বাণী

    ঘনশ্যাম কিশোর নয়ন-আনন্দ
    ব্রজপুর চন্দ শ্রী ব্রজপুর চন্দ।
    বনমালা-ভূষিত কৌস্তুভ শোভিত
    শ্রীচরণে ঝংকৃত নূপুর-ছন্দ।।
    অলকা-তিলক-ধারী কানন-বিহারী
    শিরে শিখী-পাখা বামে রাধা-প্যারী,
    বিকশিত ফুলে যাঁর তনুর সুগন্ধ।।
    কদম্ব-মূলে যমুনার কূলে
    বাঁশরি বাজায়ে নাচে হেলে দুলে,
    যাঁর প্রেমে গোপিনীরা কেঁদে হ’ল অন্ধ।।
    সেই হরি মম, সখা প্রিয়তম
    (সে) হৃদয়ে উদয় হ’য়ে হাসে মৃদু-মন্দ।।