ভজন

  • ব্রজগোপাল শ্যাম সুন্দর

    বাণী

    ব্রজগোপাল শ্যাম সুন্দর
    যশোদা দুলাল শিশু নটবর॥
    নন্দ নন্দন নয়নানন্দ
    চরণে মধুর সৃজন ছন্দ
    ভুবন মোহন কৃষ্ণচন্দ্র
    অপরূপ রূপ হেরে চরাচর॥
    কোটি গ্রহতারা চরণে নূপুর
    ওঙ্কার ধ্বনি বাঁশরির সুর।
    বঙ্কিম আঁখি বাঁকা শিখীপাখা
    বাঁকা শ্রীচরণ ভঙ্গিমা বাঁকা
    কৃষ্ণময় শ্রীঅঙ্গ ডাকা
    করাল মধুর প্রভু গিরিধর॥
    
  • ভুবনময়ী ভবনে এসো

    বাণী

    ভুবনময়ী ভবনে এসো সীমার মাঝে এসো অসীমা।
    ভক্ত মনের মাধুরী দিয়ে গড়িয়াছি মা তোমার প্রতিমা।।
    	চিন্ময়ী গো ধর মৃন্ময়ীরূপ
    	কত যুগ মাগো জ্বলিবে পূজাধূপ
    মানসপটে বোধন ঘটে হও চির আসীনা করুণাময়ী মা।।
    সে কোন অতীতে সুদূর ত্রেতায় এসেছিলে মা অশিব নাশিনী
    আসিলে না আর ধূলির ধরায় দিলে না মা বর অমৃত ভাষিণী।
    	কত যুগ গেল কত বরষ মাস
    	কত বিফল পূজা কত কাঁদন হুতাশ
    জাগ যোগমায়া যোগনিদ্রা ভোল পুন বিশ্বে প্রচার হোক্‌ তব মহিমা।।
    
  • ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে

    বাণী

    দ্বৈত	:	ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে
    		তুই ভুলবি ভুলের খেলা কবে॥
    স্ত্রী	:	নিবু নিবু তোর জীবন-বাতি শেষ হলো সুখ-রাতি,
    পুরুষ	:	রাত পোহালে সুখের সাথী সঙ্গে নাহি রবি॥
    স্ত্রী	:	যাঁর কৃপায় তুই রইলি সুখে ডাক্‌লি না রে তারে
    পুরুষ	:	তুই কি নিয়ে হায় তাহার কাছে যাবি পরপারে।
    স্ত্রী	:	জমালি যা তুই জীবন ভ’রে পিছু প’ড়ে রবে
    পুরুষ	:	দারাসুত লবে বিভব রতন পাপের বোঝা নাহি লবে॥
    স্ত্রী	:	স্রোতের মতো সময যে যায় নিয়ে শরণ প্রভুর পায়
    পুরুষ	:	কৃপা-সিন্ধুর কৃপা পেলে ত’রে যাবি তুই তবে॥
    
  • ভেঙো না ভেঙো না ধ্যান

    বাণী

    ভেঙো না ভেঙো না ধ্যান হে আমার ধ্যানের দেবতা।
    পূজা লহ, অর্ঘ্য লহ ক’য়ো না ক’য়ো না কথা।।
    পাষাণ মূরতি তুমি পাষাণ হইয়া থাকো,
    মন্দির-বেদী হতে ধরার ধূলায় নেমো নাকো।
    তুমিও মাটির মানুষ বুঝায়ে দিও না ব্যথা।।
    সহিবে সকলি স্বামী হেনো হেলা ব্যথা দিও,
    সহিবে না অপমান ভালোবাসার আমার হে প্রিয়,
    থাক তুমি হিয়ার মাঝে তোমার মন্দির যথা।।
    
  • মন লহ নিতি নাম রাধা শ্যাম গাহো

    বাণী

    মন লহ নিতি নাম রাধা শ্যাম গাহো হরি গুণ গান।
    তব ধন জন প্রাণ, যাহার কৃপার দান
    জপ তারি নাম জয় ভগবান জয় ভগবান।।
    জনক-জননীর স্নেহে তাঁহার হেরিস্‌ তুই স্নেহময়,
    ভাই ভগিনীর প্রীতিতে যাঁর, শান্ত মধুর পরিচয়।
    প্রণয়ী বন্ধুর মাঝে, যাঁর প্রেম রূপ বিরাজে;
    পুত্র কন্যা-রূপে সেই জুড়ায় তাপিত পরান।।
    তৃষ্ণা ক্ষুধায় সেই কৃষ্ণেরি লীলা,
    হাসে শ্যাম শস্যে কুসুমে রঙিলা;
    তরঙ্গে ছলছল আঁখি জল-নীলা,
    	কল-ভাষা নদী-কলতান।
    দেয় দুখ্‌ শোক সেই, পুন সেই করে ত্রাণ।
    জয় ভগবান, জয় ভগবান, জয় ভগবান।।
    
  • মম প্রাণ-শতদল হোক প্রণামী-কমল

    বাণী

    মম প্রাণ-শতদল হোক প্রণামী-কমল (ওগো) তব চরণে
    আমার এ হৃদয় নাথ হোক তন্ময় তোমারি স্বরণে তোমারি স্বরণে॥
    তব পূজার বেদী হোক আমার এ মন
    হোক্ আরতি-প্রদীপ মোর এ দুটি নয়ন
    নাথ, লহ মোরে পায় তোমারি সেবায় জীবনে-মরণে॥
    মম দুঃখে সুখে মম তৃষিত বুকে তুমি বিরাজ,
    মোর সকল কাজে বীণা-বেণু সম নিশিদিন বাজো॥
    মোর দেহখানি, নাথ চন্দন প্রায়
    হোক্ ক্ষয় তব মন্দির-পাষাণ-শিলায়,
    পাই যেন লয়, নাথ, তব সৃষ্টির রূপে বরণে॥
    
  • মাতৃ নামের হোমের শিখা

    বাণী

    মাতৃ নামের হোমের শিখা আমার বুকে কে জ্বালালো
    সেই শিখা আজ হরবে যেন মা ত্রিজগতের আঁধার কালো।।
    	আজ মনে হয় দিবস যামী
    	অমৃতেরই পুত্র আমি মা
    আনন্দময় হল ত্রিলোক যেদিকে চাই কেবল আলো।।
    সূর্য যেমন জানে না, তার আলোয় কত জগৎ জাগে,
    বিকার-বিহীন তেমনি আমি, জ্বলি নামের অনুরাগে।
    	হয়তো আমার আলো লেগে
    	নতুন সৃষ্টি উঠবে জেগে,
    তাই কি বিপুল আকর্ষণে সবারে চাই বাস্‌তে ভালো।।
    
  • মাধব বংশীধারী বনওয়ারী

    বাণী

    মাধব বংশীধারী বনওয়ারী গোঠ-চারী গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারী।
    গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারি হে পাপ-তাপ-দুখ-হারী।।
    কালরূপ কভু দৈত্য-নিধনে, চিকন কালা কভু বিহর বনে,
    কভু বাজাও বেণু, খেল ধেনু-সনে,
    কভু বামে রাধা প্যারী, গোপ-নারী মনোহারি, নিকুঞ্জ-লীলা-বিহারী।।
    কুরুক্ষেত্র-রণে পান্ডব-মিতা, কন্ঠে অভয়বাণী ভগবদ্-গীতা,
    পূর্ণ ভগবান পরম পিতা, শঙ্খ-চক্র-গদাধারী,
    পাপ-তারী, কান্ডারি ত্রিভুবন সৃজনকারী।।
    
  • মোর বেদনার কারাগারে জাগো

    বাণী

    মোর  বেদনার কারাগারে জাগো, জাগো- বেদনাহারী হে মুরারি।
    	অসীম দুঃখ ঘেরা কৃষ্ণা তিথিতে এসো এসো হে কৃষ্ণ গিরিধারী।।
    	ব‍্যথিত এ চিত দেবকীর সম মূর্ছিত পাষাণেরি ভারে
    	ডাকে প্রাণ-যাদব, এসো এসো মাধব উথলিছে প্রেম আঁখিবারি
    		মুরারি উথলিছে প্রেম আঁখিবারি।।
    	হৃদয়-ব্রজে মম ভক্তি প্রীতি জাগিয়া আছে আশায়,
    কদম্ব ফুল সম উঠিছে শিহরি’ মম শ‍্যাম-বরষায়।
    ওগো বনশীওয়ালা, তব না শোনা বাঁশি
    	শোনে অনুরাগ রাধা প্রণয় পিয়াসি,
    গোপন ধ‍্যানের মধুবনে তব নুপুর শুনি, হে কিশোর বনচারী।।
    
  • মোর মন ছুটে যায় দ্বাপর যুগে

    বাণী

    উভয়		:	মোর মন ছুটে যায় দ্বাপর যুগে দূর দ্বারকায় বৃন্দাবনে।
    স্ত্রী+উভয়ে	:	মোর মন হ’তে চায় ব্রজের রাখাল খেলতে রাখাল-রাজার সনে॥
    স্ত্রী		:	রূপ ধরে না বিশ্বে যাহার
    			দেখতে সাধ যায় কিশোর-রূপ তার
    পুরুষ		:	কেমন মানায় নরের রূপে অনন্ত সেই নারায়ণে॥
    স্ত্রী		:	সাজ্‌ত কেমন শিখী-পাখা বাজ্‌ত কেমন নূপুর পায়ে,
    পুরুষ		:	থির কেমনে থাক্‌ত ধরা নাচ্‌ত যখন তমাল-ছায়ে।
    উভয়		:	মা যশোদা বাঁধ্‌ত যখন কাঁদ্‌ত ভগবান কেমনে॥
    স্ত্রী		:	সাজ্‌ত কেমন বন-মালায় বিশ্ব যাহার অর্ঘ্য সাজায়;
    পুরুষ		:	যোগী-ঋষি পায় না ধ্যানে গোপ-বালা কেমনে পায়।
    উভয়		:	তেম্‌নি ক’রে কালার প্রেমে সব খোয়াব এই জীবনে॥
    
  • মোর শ্যাম সুন্দর এসো

    বাণী

    মোর শ্যাম সুন্দর এসো।
    প্রেমের বৃন্দাবনে এসো হে ব্রজধাম-সুন্দর এসো।।
    এসো হৃদয়ে হৃদয়েশ মোর নয়নের আগে এসো হে।
    মোর নব-অনুরাগে এসো শ্যাম কোটি-কাম-সুন্দর এসো।।
    রস মানস গঙ্গার কূলে রসরাজ এসো এসো হে।
    এসো মুরলী বাজায়ে এসো হে, এসো ময়ূর নাচায়ে এসো হে মধাব,
    মধু-বনমাঝে, এসো এসো হে।।
    মোর মুখের ভাষায় এসো, মোর প্রাণের আশায় এসো।
    নবীন নীরদ ঘনশ্যাম রূপে রূপ-পিপাসায় এসো
    এসো মদন-মোহন শোভন অভিরাম-সুন্দর এসো।।
    
  • মোরে পূজারি কর তোমার

    বাণী

    মোরে পূজারি কর তোমার ঠাকুর ঘরে হে ত্রিজগতের নাথ।
    মোর সকল দেহ লুটাক তোমার পায়ে (হয়ে) একটি প্রণিপাত।।
    	নিত্য যেন তোমারি মন্দিরে
    	চিত্ত আমার ব্যাকুল হয়ে ফিরে
    গ্রহ যেমন সূর্যলোক ঘিরে ঘুরে দিবস রাত।।
    মোর নয়ন যেন তোমারি রূপ হেরে সকল দেখার মাঝে
    যেন এ রসনা জপে তোমারি নাম হে নাথ সকল কাজে।
    	তোমার চরণ রয় যে শতদলে
    	তারি পানে মোর মন যেন চলে
    নিত্য তোমায় নমস্কারের ছলে (যেন) যুক্ত থাকে হাত।।
    
  • যত নাহি পাই দেবতা তোমায়

    বাণী

    যত নাহি পাই দেবতা তোমায় , তত কাঁদি আর পূঁজি।
    ত্ই লুকাও ধরা নাহি দাও, ততই তোমারে খুঁজি
    কত সে রূপের রঙের মায়ায়, আড়াল করিয়া রাখ আপনায়
    তবু তব পানে অশান্ত মন কেন ধায় নাহি বুঝি।।
    কাঁদালে যদি গো এমন করিয়া কেন প্রেম দিলে তবে
    অন্তবিহীন এ লুকোচুরির শেষ হবে নাথ কবে?
    সহে না হে নাথ বৃথা আসা যাওয়া-
    জনমে জনমে এই পথ চাওয়া
    কাঁদিয়া কাঁদিয়া ফুরায়ে গেল চোখের জলের পুঁজি।।
    

  • যুগ যুগ ধরি লোকে-লোকে মোর

    বাণী

    যুগ যুগ ধরি লোকে-লোকে মোর
    		প্রভুরে খুঁজিয়া বেড়াই;
    সংসারে গেহে , প্রীতি ও স্নেহে
    	আমার স্বামী বিনে নাই সুখ নাই।।
    তার	চরণ পাবার আশা ল'য়ে মনে
    	ফুটিলাম ফুল হয়ে কত বার বনে,
    		পাখি হয়ে তার নাম
    		শত বার গাহিলাম
    	তবু হায় কভু তার দেখা নাহি পাই।।
    	গ্রহ তারা হয়ে খুঁজেছি আকাশে,
    	দিকে দিকে ছুটেছি মিশিয়া বাতাসে,
    		পর্বত হয়ে নাম
    	কোটি যুগ ধিয়ালাম,
    	নদী হয়ে কাঁদিলাম খুঁজিয়া বৃথাই।।
    

  • রাখ রাখ রাঙা পায় হে শ্যামরায়

    বাণী

    রাখ রাখ রাঙা পায়, হে শ্যামরায়!
    ভুলে গৃহ স্বজন সবই সঁপেছি তোমায়॥
    সংসার মরু ঘোর, নাহি তরু-ছায়া,
    নব নীরদ শ্যাম, আনো মেঘ-মায়া;
    আনন্দ-নীপবনে নন্দ-দুলাল এসো,
    বাহও উজান, হরি, অশ্রুর যমুনায়॥
    একা জীবন মোর গহন ঘন ঘোর,
    এসো এ বনে বনমালী, গোপ কিশোর,
    কুঞ্জ রচেছি দুখ-শোক তমাল-ছায় -  
    প্রেম-প্রীতির গোপী চন্দন শুকায়ে যায়॥
    দারা সুত প্রিয়জন, হরি হে, নাহি চাই,
    পদ্মা-পলাশ-আঁখি যদি দেখিতে পাই;
    রাখাল-রাজা এসো, এসো হে ঋষিকেশ,
    গোকুলে লহ ডাকি’, অকূলে ভাসি হায়॥
    

  • রাখাল রাজ কি সাজে সাজালে

    বাণী

    রাখাল রাজ! কি সাজে সাজালে আমায় আজ!
    আমার ঘরের ভূষণ কেড়ে নিয়ে দিলে চির-পথিক সাজ।।
    তোমার পায়ের নূপুর আমায় দিয়ে ঘোরাও পথে-ঘাটে নিয়ে,
    বেড়াই বাউল একতারা বাজিয়ে হে, (ও মরি হায় রে)
    এই ভুবন-নাটে বেড়াই ভুলে শরম-ভরম-লাজ।।
    তোমার নৃত্য-খেলার নিত্য-সাথি আনন্দেরি গোঠে হে,
    জীবন-মরণ আমার সহজ চরণ-তলে লোটে হে।
    আমার হাতে দিলে সর্বনাশী ঘর-ভোলানো তোমার বাঁশি,
    কাজ ভুলাতে যখন তখন আসি হে’ (ও মরি হায় রে)
    আমার ভবন কেড়ে — দিলে ছেড়ে বিশ্বভুবন-মাঝ।।
    
  • রাধা শ্যাম কিশোর প্রিয়তম কৃষ্ণগোপাল

    বাণী

    রাধা শ্যাম কিশোর প্রিয়তম কৃষ্ণগোপাল বনমালী ব্রজের রাখাল।
    কৃষ্ণ গোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল
    কভু শ্যাম রাঘব, কভু শ্যাম মাধব, কভু সে কেশব যাদব ভূপাল॥
    যমুনা বিহারী মুরলীধারী, বুন্দাবনে সখা গোপী মনহারী,
    কভু মথুরাপতি কভু পার্থসারথি কভু ব্রজে যশোদা আনন্দ দুলাল॥
    দোলে গলে তাহার মন বন ফুলহার,
    বাজে চরণে নূপুর গ্রহ তারকার কোটি গ্রহ তারকার।
    কালিয়-দমন কভু, করাল মুরারি কাননচারী শিখী পাখা ধারী;
    শ্যামল সুন্দর গিরিধারীলাল।
    কৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল॥
    
  • রাধা-তুলসী প্রেম-পিয়াসি গোলকবাসী শ্রীকৃষ্ণ নারায়ণ

    বাণী

    রাধা-তুলসী, প্রেম-পিয়াসি, গোলকবাসী শ্রীকৃষ্ণ নারায়ণ।
    নাম জপ মুখে, মূরতি রাখ বুকে ধ্যান দেখ তারি রপ মোহন।।
    	অমৃত রসঘন কিশোর-সুন্দর,
    	নব নীরদ শ্যাম মদন মনোহর —
    সৃষ্টি প্রলয় যুগল নূপুর শোভিত যাহার রাঙা চরণ।।
    	মগ্ন সদা যিনি লীলারসে,
    	যে লীলা-রস ভরা গোপী-কলসে,
    কান্না-হাসির আলো-ছায়ার মায়ায় যাহার মোহিত ভূবন।।
    
  • রাধাকৃষ্ণ নামের মালা

    বাণী

    দ্বৈত	:	রাধাকৃষ্ণ নামের মালা
    		জপ দিবানিশি নিরালা॥
    পুরুষ	:	অগতির গতি গোকুলের পতি
    স্ত্রী	:	শ্রীকৃষ্ণে ভক্তি দেয় যে শ্রীমতী
    পুরুষ	:	ভব-সাগরে কৃষ্ণ নাম ধ্রুবজ্যোতি
    দ্বৈত	:	সেই কৃষ্ণের প্রিয়া ব্রজবালা॥
    স্ত্রী	:	পাপ-তাপ হবে দুর হরির নামে
    		শ্রীমতী রাধা যে হরির বামে
    পুরুষ	:	ঐ নাম জপি’ যাবি গোলকধামে
    দ্বৈত	:	সেই রাধা নাম হবে দুঃখ জ্বালা॥
    স্ত্রী	:	সাধনে সিদ্ধ হবে রাধা ব’লে ডাকো
    পুরুষ	:	কৃষ্ণ-মূরতি হৃদি-মন্দিরে রাখো
    দ্বৈত	:	জপ রে যুগল নাম রাধাশ্যাম
    		এই আঁধার জগৎ হবে আলো॥
    
  • লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছ

    বাণী

    লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছ আমার সনে
    লুকাতে চাও বৃথা হে শ্যাম, ধরা পড় ক্ষণে ক্ষণে।।
    গহন মেঘে লুকাতে চাও অম্‌নি রাঙা, চরণ লেগে
    যে পথে ধাও সে পথ ওঠে ইন্দ্রধনুর রঙে রেঙে,
    চপল হাসি চম্‌কে বেড়ায় বিজলিতে নীল গগনে।।
    রবি-শশী-গ্রহ-তারা তোমার কথা দেয় প্রকাশি’
    ঐ আলোতে হেরি তোমার তনুর জ্যোতি মুখের হাসি।
    হাজার কুসুম ফুটে’ ওঠে লুকাও যখন শ্যামল বনে।
    মনের মাঝে যেম্‌নি লুকাও, মন হয়ে যায় অম্‌নি মুনি,
    ব্যথায় তোমার পরশ যে পাই, ঝড়ের রাতে বংশী শুনি
    দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে লুকাও আমার এই নয়নে
    দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে থাক আমার এই নয়নে।।