ভক্তিমূলক

  • কৃষ্ণ কৃষ্ণ বোল রে মন কৃষ্ণ কৃষ্ণ বোল

    বাণী

    কৃষ্ণ কৃষ্ণ বোল রে মন, কৃষ্ণ কৃষ্ণ বোল
    কৃষ্ণ কৃষ্ণ বোল রে মন, প্রেমের লহর তোল
    	রে মন মায়ার বন্ধন খোল।।
    নিরালা হৃদয়-যমুনাতে কে বাজায় বাঁশি আধেক রাতে
    তুই কুল ভুলে চল তাহারি সাথে প্রেম-আনন্দে দোল।
    	ও তুই প্রেম-আনন্দে দোল।।
    সে গোলক হাতে ভালবাসে গোকুল বৃন্দাবন
    মধুর প্রেমের-ভিখারি সে মদন মোহন।
    প্রেম দিয়ে যে বাঁধতে পারে, সাধ কবে তার কাছে হারে
    মুনি-ঋষি পায় না তারে গোপীরা পায় কোল।
    	ও তার গোপীরা পায় কোল।।
    
  • কে পরালো মুণ্ডমালা আমার শ্যামা-মায়ের গলে

    বাণী

    কে পরালো মুণ্ডমালা আমার শ্যামা-মায়ের গলে।
    সহস্র দল জীবন কমল দোলে রে যার চরণ-তলে।।
    	কে বলে মোর মা-কে কালো,
    	মায়ের হাসি দিনের আলো
    মায়ের আমার গায়ের জ্যোতি গগন পবন জলে স্থলে।।
    শিবের বুকে চরণ যাঁহার কেশব যাঁরে পায় না ধ্যানে,
    শব নিয়ে সে রয় শ্মশানে কে জানে কোন অভিমানে।
    	সৃষ্টিরে মা রয় আবরি'
    	সেই মা নাকি দিগম্বরী?
    তাঁরে অসুরে কয় ভয়ঙ্করী ভক্ত তাঁয় অভয়া বলে।।
    
  • কেঁদো না কেঁদো না মাগো কে বলেছে কালো

    বাণী

    	কেঁদো না কেঁদো না মাগো কে বলেছে কালো?
    	ইষৎ হাসিতে তোর ত্রিভুবন আলো, কে বলেছে কালো।।
    		কে দিয়েছে গালি তোরে, মন্দ সে মন্দ!
    		যে বলেছে কালি তোরে, অনধ সে অন্ধ!
    মোর	তারায় সে দেখে নাই তার নয়ন-তারা য়নাই আলো!
    		তাই তারায় সে দেখে নাই।।
    রাখে	লুকিয়ে মা তোর নয়ন-কমল (মাগো)
    		কোটি আলোর সহস্র দল
    তোর	রূপ দেখে মা লজ্জায় শিব অঙ্গে ছাই মাখালো।।
    তোর	নীল -কপোলে কোটি তারা, চন্দনেরি ফোটার পারা
    		ঝিকিমিকি করে গো —
    মা	তোর দেহলতায় অতুল কোটি রবি -শশীর মুকুল
    		ফোটে আবার ঝরে গো —
    তুমি	হোমের শিখা বহ্নি- জ্যোতি, তুমি স্বাহা দীপ্তিমতী
    	আঁধার ভুবন ভবনে মা কল্যাণ-দীপ জ্বালো
    		তুমি কল্যাণ-দীপ জ্বালা।।
    

  • কোথায় গেলি মাগো আমার

    বাণী

    কোথায় গেলি মাগো আমার খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রেখে
    ক্লান্ত আমি খেলে খেলে এ সংসারে ও-মা ধুলা মেখে।।
    	বলেছিলি সন্ধ্যা হ'লে
    	ধুলা মুছে নিবি কোলে
    ও-মা  ছেলেরে তুই গেলি ছ'লে পাইনে সাড়া ডেকে' ডেকে'।।
    এ কি খেলার পুতুল মা গো দিয়েছিলি মন ভুলাতে
    আধেক তাহার হারিয়ে গেছে আধেক ভেঙে আছে হাতে।
    	এ পুতুলও লাগছে মা ভার
    	তোর পুতুল তুই নে গো এবার
    এখন সন্ধ্যা হলো ও-মা সন্ধ্যা হলো নামলো আঁধার
    	ঘুম পাড়া মা আঁচল ঢেকে।।
    
  • খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে

    বাণী

    খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে।
    প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে প্রভু নিরজনে।।
    	শূন্যে মহা আকাশে
    	মগ্ন লীলা বিলাসে,
    ভাঙিছ গড়িছ নিতি ক্ষণে ক্ষণে।।
    তারকা রবি শশী খেলনা তব, হে উদাসী,
    পড়িয়া আছে রাঙা পায়ের কাছে রাশি রাশি।
    	নিত্য তুমি, হে উদার
    	সুখে দুখে অবিকার,
    হাসিছ খেলিছ তুমি আপন মনে।।
    
  • চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়

    বাণী

    চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়
    আজিকে যে রাজাধিরাজ কা'ল সে ভিক্ষা চায়।।
    অবতার শ্রীরামচন্দ্র যে জানকীর পতি
    তারও হলো বনবাস রাবণ করে দুর্গতি।
    আগুনেও পুড়িল না ললাটের লেখা হায়।।
    স্বামী পঞ্চ পাণ্ডব, সখা কৃষ্ণ ভগবান
    দুঃশাসন করে তবু দ্রৌপদীর অপমান
    পুত্র তার হলো হত যদুপতি যার সহায়।।
    মহারাজ হরিশচন্দ্র, রাজ্য দান ক'রে শেষ
    শ্মশান-রক্ষী হয়ে লভিল চণ্ডাল-বেশ
    বিষ্ণু-বুকে চরণ-চিহ্ন, ললাট-লেখা কে খণ্ডায়।।
    

  • চুরি ক’রে এনো গিরি

    বাণী

    চুরি ক’রে এনো গিরি, আমার উমার দুই কুমারে।
    দেখ্‌ব তখন ভোলা মেয়ে কেমন ভু’লে থাকতে পারে॥
    তার ছেলেরে আনলে হেথা, বুঝবে মেয়ে মায়ের ব্যথা;
    (বিনা) সাধনাতে গৌরী তখন, আসবে ছুটে আমার দ্বারে॥
    জামাই আমার শিব ভোলানাথ, ডাকিলেই সে আসিবে জানি
    চাইবে নাকো আসতে শুধু, তোমার মেয়ে ঐ পাষাণী।
    কুমার গণেশ তুমি আমি, শিব পূজিব দিবস যামী;
    শৈব হ’লে শিবাণী মোর, রইতে নারে ছেড়ে তারে॥
    
  • জগতের নাথ কর পার হে

    বাণী

    জগতের নাথ কর পার হে
    মায়া-তরঙ্গে টলমল তরণী অকুল ভব পারাবার হে।।
    নাহি কাণ্ডারি ভাঙা মোর তরী আশা নাই কুলে উঠিবার
    আমি গুণহীন ব'লে করো যদি হেলা শরণ লইব তবে কার।।
    সঙসারেরি এই ঘোর পাথারে ছিল যারা প্রিয় সাথি
    একে একে তারা ছাড়িয়া গেল হায় ঘনাইল যেই দুখ-রাতি।
    	ধ্রুবতারা হয়ে তুমি জ্বালো
    	অসীম আঁধারে প্রভু আশারই আলো
    তোমার করুণা বিনা হে দীনবন্ধু, পারের আশা নাহি আর।।
    

  • জয় বাণী বিদ্যাদায়িণী

    বাণী

    জয় বাণী বিদ্যাদায়িণী
    জয় বিশ্বলোক-বিহারিণী।।
    	সৃজন-আদিম তমঃ অপসারি'
    	সহস্রদল কিরণ বিথারি'
    আসিলে মা তুমি গগন বিদারি' মানস-মরাল-বাহিনী।।
    	ভারতে ভারতী মূক তুমি আজি
    	বীণাতে উঠিছে ক্রন্দন বাজি'
    ছিন্ন চরণ-শতদলরাজি কহিছে বিষাদ-কাহিনী।।
    	ঊর মা আবার কমলাসীনা, (মাগো)
    	করে ধর পুনঃ সে রুদ্রবীণা
    নব সুর তানে বানী দীনাহীনা জাগাও অমৃতভাষিণী
    			মা জাগাও অমৃতভাষিণী।।
    
  • জয়তু শ্রীরামকৃষ্ণ নমো নমঃ

    বাণী

    জয়তু শ্রীরামকৃষ্ণ নমো নমঃ
    সর্ব-ধর্ম-সমন্বয়-কারী নব-রূপে অবতার পুরুষ পরম।।
    	ঈশ্বরে বিশ্বাস জানকীর প্রায়
    	বন্দিনী ছিল কামনার লঙ্কায়
    উদ্ধারিলে তারে তোমার তপস্যায় শক্তিরে জাগাইয়া শ্রীরাম-সম।।
    তোমা কথামৃত কলির নববেদ একাধারে রামায়ণ গীতা
    বিবেকানন্দ মাঝে লক্ষণ অর্জুন শক্তি করিলে পুনজীবিতা।
    	ভূতারতের কলহের কুরুক্ষেত্রে
    	দাঁড়াইলে তুমি আসি সকরুণ নেত্রে
    	বাজালে অভয় পাঞ্চজন্য শঙ্খ,
    	বিনাশিলে অধর্ম, হিংসা, আতঙ্ক
    প্রেম-নদীয়ায় তুমি নব-গৌরাঙ্গ সকল জাতির সখা, প্রিয়তম।।
    
  • জাগো জাগো গোপাল নিশি হ’ল ভোর

    বাণী

    জাগো	জাগো গোপাল নিশি হ’ল ভোর,
    কাঁদে		ভোরের তারা হেরি’ তোর ঘুম-ঘোর॥
    		দামাল ছেলে তুই জাগিস্‌নি তাই
    বনে		জাগেনি পাখি ঘুমে মগ্ন সবাই ,
    		বাতাস নিশ্বাস ফেলে খুঁজিছে বৃথাই
    তোর		বাঁশরি লুটায়ে কাঁদে আঙিনায় মোর॥
    তুই		উঠিস্‌নি ব’লে দেখ রবি ওঠেনি
    ঘরে		আনন্দ নাই, বনে ফুল ফোটেনি।
    		ধোয়াবে বলিয়া তোর মুখের কাজল
    		থির হ’য়ে আছে ঘাটে যমুনার জল,
    		অঞ্চল-ঢাকা মোর, ওরে চঞ্চল,
    আমি		চেয়ে আছি কবে ঘুম ভাঙিবে তোর॥
    
  • ডাকতে তোমায় পারি যদি আড়াল থাকতে পারবে না

    বাণী

    ডাকতে তোমায় পারি যদি আড়াল থাকতে পারবে না
    এখন আমি ডাকি তোমায় তখন তুমি ছাড়বে না।।
    	যদি দেখা না পাই কভু —
    	সে দোষ তোমার নহে প্রভু
    সে সাধনায় আমারি হার জানি তুমি ছাড়বে না।।
    বহু লোকের চিন্তাতে মোর বহু দিকে মন যে ধায়,
    জানি জানি, অভিমানী পাইনে আজ তাই তোমায়।
    	বিশ্ব, ভুবন ভুলে যেদিন
    	তোমার ধ্যানে হব বিলীন,
    সেদিন আমার বক্ষ হতে চরণ তোমার কাড়বে না।।
    
  • তুই মা হ’বি না মেয়ে হ’বি দে মা উমা ব’লে

    বাণী

    (তুই) মা হ’বি না মেয়ে হ’বি দে মা উমা ব’লে
    তুই আমারে কোল্‌ দিবি, না আমিই নেব কোলে।।
    	মা হয়ে তুই মা গো আমার,
    	নিবি কি মোর সংসার-ভার।
    দিন ফুরালে আসব ছুটে, মা তোর চরণ-তলে।
    (তুই) মুছিয়ে দিবি দুঃখ-জ্বালা, তোর স্নেহ-অঞ্চলে।।
    এক হাতে মোর পূজার থালা ভক্তি-শতদল।
    (ও মা) আর এক হাতে ক্ষীর নবনী, কি নিবি তুই বল্।
    		ওমা কি নিবি তুই বল্।
    	মেয়ে হ’য়ে মুক্ত কেশে,
    	খেল্‌বি ঘরে হেসে হেসে,
    ডাকলে মা তুই ছুটে এসে, জড়াবি মোর গলে।
    (তোরে) বক্ষে ধ’রে শিব-লোকে যাব আমি চলে।।
    
  • তুমি দিয়েছ দুঃখ-শোক-বেদনা তোমারি জয়

    বাণী

    তুমি দিয়েছ দুঃখ-শোক-বেদনা, তোমারি জয় তোমারি জয়।
    ভালোবাস যারে কাঁদাও তাহারে ছলানাময়।
    	তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়॥
    তুমি কাঁদায়েছ বসুদেব দেবকীরে,
    নন্দ যশোদা ব্রজের গোপীরে,
    কাঁদাইলে তুমি শত শ্রীমতীরে হে নিরদয়।
    	তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়॥
    তোমারে চাহিয়া কোটি নয়নে বিরহ অশ্রু ঝুরে,
    ধরণী যে আজ ডুবু ডুবু শ্যাম সাগর সলিলে পুরে।
    ভক্তে কাঁদাতে হে ব্যথা বিলাসী
    যুগে যুগে আসি’ বাজাইলে বাঁশি
    তবুও এ-প্রাণ তোমারি পিয়াসি মানে না ভয়।
    	তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়।
    

    বৈতালিক

  • তুমি লহ প্রভু আমার সংসারেরি ভার

    বাণী

    তুমি লহ প্রভু আমার সংসারেরি ভার লহ সংসারেরি ভার
    আজকে অতি ক্লান্তআমি বইতে নারি আর
    	এ ভার বইতে নারি আর।।
    	সংসারেরি তরে খেটে
    	জনম আমার গেল কেটে
    (ওরে) তবু অভাব ঘুচল না (আমার) হায় খাটাই হল সার।।
    বিফল যখন হলাম পেতে সবার কাছে হাত
    তখন তোমায় পড়ল মনে হে অনাথের নাথ।
    	অভাবকে আর করি না ভয়
    	তোমার ভাবে মগ্ন হৃদয়
    তোমায় ফিরিয়ে দিলাম হে মায়াময় তোমারি সংসার।।
    
  • তুমি সারাজীবন দুঃখ দিলে

    বাণী

    তুমি	সারাজীবন দুঃখ দিলে, তব দুঃখ দেওয়া কি ফুরাবে না!
    যে	ভালোবাসায় দুঃখে ভাসায় সে কি আশা পূরাবে না॥
    মোর	জনম গেল ঝুরে ঝুরে - লোকে লোকে ঘুরে ঘুরে,
    তব	স্নিগ্ধ পরশ দিয়ে কি, নাথ, দগ্ধ হিয়া জুড়াবে না॥
    তুমি	অশ্রুতে যে-বুক ভাসালে —
    সেই	বক্ষে এসো দিন ফুরালে
    তুমি	আঘাত দিয়ে ফুল ঝরালে, হাত দিয়ে কি কুড়াবে না॥
    

  • তোমার আমার এই বিরহ সইব কত আর

    বাণী

    তোমার আমার এই বিরহ সইব কত আর
    রইবে কত আড়াল টেনে গ্রহ-তারকার।।
    	তৃষিত মোর হৃদয় যাচে
    	এসো আমার বুকের কাছে
    যেমন দূরের চাঁদকে ডাকে ব্যাকুল পারাবার।।
    হাত চাহে মোর ব'সো কাছে করবো সেবা তব,
    নয়ন বলে নয়ন পাতায় রাখবো হে বল্লভ।
    	হে নাথ তোমার তীর্থ পথে
    	এ প্রাণ চাহে ধূলি হ'তে
    ঘুচবে কবে মোদের মাঝে অসীম অন্ধকার।।
    

  • দাও দাও দরশন পদ্ম-পলাশ লোচন

    বাণী

    দাও দাও দরশন পদ্ম-পলাশ লোচন,
    	কেঁদে দু’ নয়ন হ’ল অন্ধ।
    আকাশ বাতাস ঘেরা, তব ও মন্দির বেড়া
    	আর কতকাল রবে বন্ধ॥
    পাখি যেমন সন্ধ্যাকালে, বন্ধু-স্বজন পালে পালে
    উড়ে এসে ব’সেছিল ডালে হে।
    রাত পোহালে একে এক, উড়ে গেল দিগ্বিদিকে,
    	প’ড়ে আছি একা নিরানন্দ।
    টুটিল বাঁধন মায়ার, কবে শুনিব এবার
    	ও রাঙা চরণ নূপুর ছন্দ॥
    দুখ-শোক রৌদ্রজলে, ফেলে মোরে পলে পলে
    	ছলিতেছ হরি কত ছল হে
    জীবনের বোঝা প্রভু, বহিতে কি হবে তবু
    	সহিতে পারি না আর দ্বন্দ্ব।
    মরণের সোনার ছোঁওয়ায়, ডেকে লও ও রাঙা পায়
    	দেখাও এবার মুখ-চন্দ॥
    
  • নাচে নাচে রে মোর কালো মেয়ে নৃত্যকালী

    বাণী

    নাচে	নাচে রে মোর কালো মেয়ে নৃত্যকালী শ্যামা নাচে।
    	নাচ হেরে তার নটরাজও প'ড়ে আছে পায়ের কাছে।।
    		মুক্তকেশী আদুল গায়ে
    		নেচে বেড়ায় চপল পায়ে
    	মা'র চরণে গ্রহতারা নূপুর হয়ে জড়িয়ে আছে।।
    	ছন্দ-সরস্বতী দোলে পুতুল হয়ে মায়ের কোলে রে
    	সৃষ্টি নাচে, নাচে প্রলয় মায়ের আমার পায়ের তলে রে।
    		আকাশ কাঁপে নাচের ঘোরে
    		ঢেউ খেলে যায় সাত সাগরে
    	সেই নাচনের পুলক জাগে ফুল হয়ে রে লতায় গাছে।।
    
  • পরমাত্মা নহ তুমি মোর

    বাণী

    পরমাত্মা নহ তুমি মোর (তুমি) পরমাত্মীয় মোর।
    হে বিপুল বিরাট! মোর কাছে তুমি, প্রিয়তম চিতচোর॥
    তোমারে যে ভয় করে হে বিশ্বত্রাতা
    তার কাছে তুমি রুদ্র দন্ডদাতা,
    প্রেমময় বলে তোমারে যে বাসে ভালো
    তার কাছে তুমি মধুর লীলা কিশোর॥
    দ্যাখে ভীরু চোখ আষাঢ়ের মেঘে বজ্র তব বিপুল,
    মোর মালঞ্চে সেই মেঘে হেরি, ফোটায় নবমুকুল।
    আকাশের নীল অসীম পদ্ম পরে
    চরণ রেখেছ, হে মহান লীলা ভরে
    সেই অনন্ত জানি না কেমন ক’রে
    আমার হৃদয়ে খেল দিবানিশি ভোর॥