ভক্তিমূলক

  • পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া

    বাণী

    		পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া
    		যাও রে বইয়া এই গরিবের সালামখানি লইয়া।।
    		কাবার জিয়ারতের আমার নাই সম্বল ভাই
    		সারা জনম সাধ ছিল যে মদিনাতে যাই (রে ভাই)
    		মিটল না সাধ, দিন গেল মোর দুনিয়ার বোঝা বইয়া।।
    (তোমার)	পানির সাথে লইয়া যাও রে আমার চোখের পানি
    		লইয়া যাও রে এই নিরাশের, দীর্ঘ নিশাসখানি।
    		নবীজীর রওজায় কাঁদিও ভাই রে আমার হইয়া।।
    		মা ফাতেমা হজরত আলীর মাজার যথায় আছে
    আমার	সালাম দিয়া আইস তাদের পায়ের কাছে (রে ভাই!)
    		কাবায় মোনাজাত করিও আমার কথা কইয়া।।
    
  • প্রভু তোমাতে যে করে প্রাণ নিবেদন

    বাণী

    প্রভু	তোমাতে যে করে প্রাণ নিবেদন ভয় নাহি আর তার
    	শত সে বিপদে আপদে তাহার হাত ধরে কর পার॥
    		তার দুঃখে শোকে ভাবনায় ভয়ে
    		তব নাম রাজে সান্ত্বনা হয়ে
    	পার হয়ে যায় তব নাম লয়ে দুস্তর পারাবার॥
    	ঝড় ঝঞ্ঝায় প্রাণ শিখা তার শান্ত অচঞ্চল
    	টলমল করে রূপে রসে তার জীবনের শতদল।
    		যেমন পরম র্ভিরতায়
    		শিশু তার মার বক্ষে ঘুমায়
    	তোমারে যে পায় সে জন তেমনি ডরে নাহি সংসার॥
    
  • প্রভু তোমারে খুঁজিয়া মরি ঘুরে ঘুরে

    বাণী

    প্রভু তোমারে খুঁজিয়া মরি ঘুরে ঘুরে বৃথা দূরে চেয়ে থাকি
    তুমি অন্তরতম আছ অন্তরে নয়নেরে দিয়ে ফাঁকি॥
    	তুমি কাছে থাকি খেল লুকোচুরি
    	তাই বাহিরে চাহিয়া দেখিতে না পাই
    যেমন আঁখির পল্লব নাথ দেখিতে পায় না আঁখি॥
    মোরা ভাবি তুমি কত দূরে বুঝি গ্রহ তারকার পারে
    বুকে যে ঘুমায় তারে খুঁজি বনে প্রান্তরে দ্বারে দ্বারে।
    	বাহিরে না পেয়ে ফিরি যবে ঘরে
    	দেখি জেগে আছ তুমি মোর তরে
    যত ডাকি তত লুকাও হে চোর মোর বুকে মুখ রাখি॥
    
  • বর্ণচোরা ঠাকুর এলো রসের নদীয়ায়

    বাণী

    	বর্ণচোরা  ঠাকুর এলো রসের নদীয়ায়
    	তোরা দেখবি যদি আয়
    তারে	কেউ বলে শ্রীমতি রাধা কেউ বলে সে শ্যামরায়।।
    	কেউ বলে তার সোনার অঙ্গে রাধা-কৃষ্ণ খেলেন রঙ্গে;
    ওগো	কেউ বলে তায় গৌর-হরি কেউ অবতার বলে তায়।।
    তার	ভক্ত তারে ষড়ভুজ শ্রী নারায়ণ বলে,
    কেউ	দেখেছে শ্রীবাসের ঘরে কেউ বা নীলাচলে।
    	দুই হাতে তার ধনুর্বাণ ঠিক যেন শ্রীরাম,
    	দুই হাতে তার মোহন বাঁশি যেন রাধা-শ্যাম,
    	আর দু'হাতে দণ্ড ঝুলি নবীন সন্ন্যাসীরই প্রায়।।
    
  • বাঁকা শ্যামল এলো বন-ভবনে

    বাণী

    বাঁকা শ্যামল এলো বন-ভবনে
    তার বাঁশির সুর শুনি পবনে॥
    	রাঙা সে চরণের নূপুর-রোলে রে
    	আকুল এ হৃদয় পুলকে দোলে রে
    সে নূপুর শুনি’ নাচে ময়ূর কদম তমাল-বনে॥
    	বুঝি সেই শ্যামের পরশ লাগিল
    	আমার চরণে তাই নাচন জাগিল —
    ঘিরি শ্যামে দখিন-বামে নেচে বেড়াই আপন মনে॥
    	এলো মাধবী চাঁদ গগন আঙিনায়
    	জোয়ার এসেছে তাই হৃদয় যমুনায়
    খুলিয়া গলার মালা পরাব শ্যামেরি বরণে॥
    
  • বেলা গেল সন্ধ্যা হ’ল

    বাণী

    বেলা গেল সন্ধ্যা হ’ল, (ওরে) এখন খোল আঁখি।
    তুই সোনার খনির কাছে এসে ফিরলি ধূলা-মাখি।।
    	এ সংসারের সার ছেড়ে তুই
    	সং সেজে হায়, বেড়াস নিতুই,
    যে তোরে ধন-রত্ন দিলো তারেই দিলি ফাঁকি।।
    ভুলে রইলি যাদের নিয়ে, তাদের পেলি কোথা হতে,
    তোর যাবার বেলায় কেউ কি সাথি হবে রে তোর পথে।
    	এখনো তুই ডাক একবার
    	নাইরে সীমা তাহার দয়ার,
    সে-ই করবে ক্ষমা, ঘুম পাড়াবে শীতল বুকে রাখি।।
    
  • ব্রজে আবার আসবে ফিরে আমার ননী-চোরা

    বাণী

    ব্রজে আবার আসবে ফিরে আমার ননী-চোরা
    	আর কাঁদিস্‌নে গো তোরা।
    স্বভাব যে ওর লুকিয়ে থেকে কাঁদিয়ে পাগল করা —
    	আর কাঁদিস্‌নে গো তোরা।
    	আমি যে তার মা যশোদা
    	সে আমারেই কাঁদায় সদা,
    যেই কাঁদি সে যায় যে ভুলে বনে বনে ঘোরা॥
    মথুরাতে আমার গোপাল রাজা হ’ল নাকি,
    যেখানে যায়, সে রাজা হয় (তোরে) ভুল দেখেনি আঁখি।
    	সে রাজা যদি হয়েই থাকে
    	তাই ব’লে কি ভুলবে মাকে,
    আমি হব রাজ-মাতা, তাই ওর রাজবেশ পরা॥
    
  • মনে যে মোর মনের ঠাকুর তারেই আমি

    বাণী

    মনে যে মোর মনের ঠাকুর তারেই আমি পূজা করি,
    আমার দেহের পঞ্চভূতের পঞ্চপ্রদীপ তুলে ধরি।।
    	ফকির যোগী হয়ে বনে
    	ফিরি না তার অন্বেষণে
    আমি	মনের দুয়ার খুলে দেখি রূপের জোয়ার মরি মরি।।
    	আছেন যিনি ঘিরে আমায়
    	তারে আমি খুঁজব কোথায়
    সাগরে খুঁজে বেড়াই সাগর বুকে ভাসিয়ে তরী।
    	মন্দিরের ঐ বন্ধ খোঁপে
    	ঠাকুর কি রয় পূজার লোভে?
    পেতে রাখি ভক্তি বেদী আসবে নেমে প্রেমের হরি।।
    
  • মম মধুর মিনতি শোন ঘনশ্যাম

    বাণী

    মম মধুর মিনতি শোন ঘনশ্যাম গিরিধারী
    কৃষ্ণমুরারী, আনন্দ ব্রজে তব সাথে মুরারি।।
    যেন নিশিদিন মুরলী-ধ্বনি শুনি
    উজান বহে প্রেম-যমুনারি বারি
    নূপুর হয়ে যেন হে বনচারী
    চরণ জড়ায়ে ধরে কাঁদিতে পারি।।
    
  • মহাবিদ্যা আদ্যাশক্তি পরমেশ্বরী কালিকা

    বাণী

    মহাবিদ্যা আদ্যাশক্তি পরমেশ্বরী কালিকা।
    পরমা প্রকৃতি জগদম্বিকা, ভবানী ত্রিলোক-পালিকা।।
    	মহাকালি মহাসরস্বতী,
    	মহালক্ষ্মী তুমি ভগবতী
    তুমি বেদমাতা, তুমি গায়ত্রী, ষোড়শী কুমারী বালিকা।।
    কোটি ব্রক্ষ্মা, বিষ্ণু, রুদ্র মা মহামায়া তব মায়ায়,
    সৃষ্টি করিয়া করিতেছ লয় সমুদ্রে জলবিম্ব-প্রায়।
    	অচিন্ত্য পরমাত্মারূপিণী,
    	সুর-নর চরাচর-প্রসবিনী।
    নমস্তে শিরে অশুভ নাশিনী, তারা মঙ্গল চন্ডিকা।
    নমস্তে শিরে অশুভ নাশিনী, তারা মঙ্গল সাধিকা।।
    
  • মা আমি আর কি ভুলি

    বাণী

    মা আমি আর কি ভুলি
    মাগো আমি আর কি ভুলি।
    চরণ যখন ধরেছি তোর মাগো আমি আর কি ভুলি।
    আমায় বহু জনম ঘুরিয়েছিস্ মা পরিয়ে চোখে মায়ার ঠুলি॥
    	তোর পা ছেড়ে যে মোক্ষ যাচে,
    	তুই বর্‌ নিয়ে যা তাহার কাছে
    ওমা আমি যেন যুগে যুগে পাই মা প্রসাদ চরণ-ধূলি॥
    মোরে শিশু পেয়ে খেল্‌না দিয়ে, রেখেছিলি মা ভুলিয়ে
    এখন খেল্‌না ফেলে কোলে নিতে মাকে ডাকি দু’হাত তুলি।
    	তোর ঐশ্বর্য যা কিছু মা
    	দে ভক্তগণে বিলিয়ে উমা,
    তোর ভিখারি এই সন্তানে দিস্ মাতৃনামের ভিক্ষাঝুলি॥
    
  • মা কবে তোরে পারব দিতে আমার সকল ভার

    বাণী

    মা	কবে তোরে পারব দিতে আমার সকল ভার।
    	ভাবতে কখন পারব মাগো নাই কিছু আমার॥
    		কারেও আনিনি মা সঙ্গে ক’রে
    		রাখতে নারি কারেও ধ’রে
    	তুই দিস্, তুই নিস্ মা হ’রে (আমার) কোথায় অধিকার॥
    	হাসি খেলি, চলি, ফিরি ইঙ্গিতে মা তোরই,
    মা	তোরই মাঝে লভি, তোরই মাঝে মরি।
    		পুত্র-মিত্র-কন্যা-জায়া,
    		মহামায়া তোরই মায়া,
    মা	তোর লীলার পুতুল আমি ভাবতে দে এবার॥
    
  • মুখে তোমার মধুর হাসি হাতে কুটিল ফাঁসি

    বাণী

    মুখে তোমার মধুর হাসি হাতে কুটিল ফাঁসি।
    সুন্দর চোর, চিনি তোমায় তবু ভালোবাসি।।
    	শত ব্রজে কেঁদে মরে
    	শত রাধা তোমার তরে,
    কত গোকুল ডুবলো অকূল আঁখির নীরে ভাসি'।।
    কত নারীর মন গেঁথে, নাথ, পরলে বন-মালা,
    যমুনাতে ডুবালে শ্যাম কত কুলের বালা।
    	দেখাও আসল হাত দু'খানি-
    	করাল গদার চক্রপাণি,
    তব এ দু'টি হাত ছলনা, নাথ, বাজাও যে হাতে বাঁশি।।
    

  • যদি আমি তোমায় হারাই

    বাণী

    যদি আমি তোমায় হারাই, তুমি যেয়ো না নাথ হারিয়ে।
    আমি পথ হারালে ধ’রো আমায় আঁধারে হাত বাড়িয়ে।।১
    	ঝড়-বাদলে নিশীথ-রাতে
    	লুকিয়ে চ’লো আমার সাথে,
    ফুলের কাছে নিয়ে যেয়ো কাঁটার বাধা ছাড়িয়ে।।
    তোমায় দেওয়া এ প্রাণ যদি অন্যে চাহি দানিতে,
    তুমি যেন ‘না’ বোলো না কঠোর আঘাত হানিতে।
    	চঞ্চল মোর চিত্ত যেন
    	তোমার পায়ে টেনে এনো
    তোমার পূজা শিখায়ো নাথ তুমিই পাশে দাঁড়িয়ে।।
    

    ১. অন্ধকারে ধরো আমায় সহসা হাত বাড়িয়ে।।

  • যাদের তরে এ সংসারে খাটনু জনম ভর

    বাণী

    যাদের তরে এ সংসারে খাটনু জনম ভর,
    তাদের কেউ হবে না হে নাথ মরণ-সাথি মোর।।
    	শত পাপ শত অধর্ম ক’রে
    বিভব রতন আনলেম ঘরে
    সে সকল ভাগ বাটোয়ারা ক’রে খাবে পাঁচ ভুত চোর।।
    জীবনে তোমার লই নাই নাম তোমাতে হয় নাই মতি
    মরণ-বেলায় তাই কাঁদি প্রভু কি হবে মোর গতি।
    	চেয়ে দেখি আজ  যাবার বেলায়
    	কর্ম কেবল মোর সাথে যায়
    তরিবার আর না দেখি উপায় বিনা পদতরী তোর।।
    
  • রাঙা জবার বায়না ধ’রে আমার কালো মেয়ে কাঁদে

    বাণী

    		রাঙা জবার বায়না ধ’রে আমার কালো মেয়ে কাঁদে
    সে		তারার মালা সরিয়ে ফেলে এলোকেশ নাহি বাঁধে॥
    		পলাশ অশোক কৃষ্ণচূড়ায়, রাগ ক’রে সে পায়ে গুঁড়ায়
    সে		কাঁদে দু’হাত দিয়ে ঢেকে যুগল আঁখি সূর্য চাঁদে॥
    		অনুরাগের রাঙাজবা থাক না মোর মনের বনে
    আমার	কালো মেয়ের রাগ ভাঙাতে ফিরি জবার অন্বেষণে।
    		মা’র রাঙা চরণ দেখতে পেয়ে, বলি এই যে জবা হাবা মেয়ে
    (সে)		জবা ভেবে আপন পায়ে উঠলো নেচে মধুর ছাঁদে॥
    
  • রাস-মঞ্চে দোল-দোল লাগে রে

    বাণী

    রাস-মঞ্চে দোল-দোল লাগে রে, জাগে ঘূর্ণি-নৃত্যের দোল।
    আজি রাস-নৃত্য নিরাশ চিত্ত জাগো রে,
    চল যুগলে যুগলে বন-ভবনে -  
    আনো নিথর হেমন্ত হিম পবনে চঞ্চল হিল্লোল॥
    শতরূপে প্রকাশ আজি শ্রী হরি,
    শত দিকে শত সুরে বাজে বাঁশরি -  
    সকল গোপিনী আজি রাই কিশোরী, -
    যাবে তৃষ্ণা, পাবে কৃষ্ণের কোল॥
    তরল তাল ছন্দ-দুলাল নন্দ-দুলাল নাচে রে,
    অপরূপ রঙ্গে নৃত্য-বিভঙ্গে অঙ্গের পরশ যাচে রে;
    মানস-গঙ্গা অধীর-তরঙ্গা প্রেমের-যমুনা হ’ল রে উতরোল॥
    

  • ললাটে মোর তিলক একো মুছে বঁধুর চরণ-ধুলি

    বাণী

    ললাটে মোর তিলক একো মুছে বঁধুর চরণ-ধুলি
    আঁখিতে মোর কাজল মেখো ঘন শ্যামের বরণগুলি।।
    	বঁধুর কথা মধুর প্রিয়
    	কর্ণ মূলে দুলিয়ে দিও
    বক্ষে আমার হার পরিও বঁধুর পায়ের নূপুর খুলি।।
    তার পীত বসন দিয়ে ক'রো এই যোগিনীর উত্তরীয়
    হবে অঙ্গেরই চন্দন আমার কলঙ্ক তার মুছে নিও।
    	সে দেয় যা ফেলে মনের ভুলে
    	তাই অঞ্চলে মোর দিও তুলে
    তার বনমালার বাসি ফুলে ভ'রো আমার ভিক্ষা ঝুলি।।
    
  • সখি গো বৃথা প্রবোধ দিস্‌নে ললিতে

    বাণী

    সখি গো বৃথা প্রবোধ দিস্‌নে ললিতে
    কোন্ প্রাণে তুই বলতে পারিলি মোর শ্রীকৃষ্ণে ভুলিতে।।
    সেই নন্দপুরের চন্দ্র বিহনে নাহি আনন্দ মোর।
    তারে না হেরিলে তিলেকের তরে বাঁচে না চিত-চকোর।।
    বলে দে বলে দে কোথা আমার প্রাণসখা
    				ভাসি আমি আঁখি-নীরে 
    কেঁদে কেঁদে অন্ধ হলাম ভাসি আমি আঁখি-নীরে।
    সখি, এই তো আমার সাধনা
    আমার মত জগত কাঁদুক, এই তো আমার কামনা।।
    কাঁদতে হবে — 
    যে হরিরে মোর হরিবে, তায় রাধার মত কাঁদতে হবে।
    সে কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলে চিরজীবন কাঁদবে ভবে।
    সখি কাঁদলে তারে যায় না পাওয়া
    তাহলে সখি আমি পেতাম 
    যদি কাঁদলে তারে পাওয়া যেত যশোমতী তারে হারাত না।
    সে যে প্রেমের চির-কাঙাল 
    প্রেম বিনে তায় যায় না পাওয়া।
    
  • হে গোবিন্দ রাখ চরণে

    বাণী

    হে গোবিন্দ রাখ চরণে।
    মোরা তব চরণে শরণাগত আশ্রয় দাও আশ্রিত জনে হে॥
    	গঙ্গা ঝরে যে শ্রীচরণ বেয়ে
    	কেন দুখ পাই সে চরণ চেয়ে
    এ ত্রিতাপ জ্বালা হর হে শ্রীহরি, চাহ করুণা সিক্ত নয়নে॥
    হরি ভিক্ষা চাহিলে মানুষ নাহি ফিরায়
    তোমারি দুয়ারে হাত পাতিল যে, ফিরাবে কি তুমি তায়।
    	হরি সব তরী ডুবে যায়
    	তোমার চরণ তরী ত’ ডোবে না হায়,
    তব চরণ ধরিয়া ডুবে মরি যদি রবে কলঙ্ক নিখিল ভুবনে॥