ভাওয়াইয়া

  • নদীর নাম সই অঞ্জনা

    বাণী

    নদীর নাম সই অঞ্জনা নাচে তীরে খঞ্জনা,
    		পাখি সে নয় নাচে কালো আঁখি।
    আমি যাব না আর অঞ্জনাতে জল নিতে সখি লো,
    		ঐ আঁখি কিছু রাখিবে না বাকি॥
    সেদিন তুলতে গেলাম দুপুর বেলা
    কলমি শাক ঢোলা ঢোলা (সই)
    হ’ল না আর সখি লো শাক তোলা,
    আমার মনে পড়িল সখি, ঢল ঢল তা’র চটুল আঁখি
    ব্যথায় ভ’রে উঠলো বুকের তলা।
    ঘরে ফেরার পথে দেখি,
    নীল শালুক সুঁদি ও কি
    ফু’টে আছে ঝিলের গহীন জলে।
    আমার অমনি পড়িল মনে
    সেই ডাগর আঁখি লো
    ঝিলের জলে চোখের জলে হ’ল মাখামাখি॥
    
  • পদ্মদীঘির ধারে ধারে ঐ

    বাণী

    	পদ্মদীঘির ধারে ধারে ঐ সখি লো কমল-দীঘির পারে।
    	আমি জল নিতে যাই সকাল সাঁঝে সই,
    সখি, 	ছল ক'রে সে মাছ ধরে, আর, চায় সে বারে বারে।।
    	মাছ ধরে সে, বঁড়শী আমার বুকে এসে বেঁধে,
    			ওলো সই বুকে এসে বেঁধে,
    আর,	চোখের জল কলসি আমার সই, আমি ভরাই কেঁদে কেঁদে
    				সই যত দেখি তা'রে।।
    	ছিপ নিয়ে যায় মাছ জলে তার (ওলো সই) তাকায় না তা’র পানে
    	মন ধরে না মীন ধরে সে সখি লো সেই জানে।
    	মন-ভিখারি মীন-শিকারি মুখের পানে চায়,
    			সখি লো চোখের পানে চায়,
    আমি	বঁড়শী-বেঁধা মাছের মত (গো)
    			সখি ছুটিয়া মরি হায়, অকূল পাথারে।।