দাদ্‌রা

  • বাজাও প্রভু বাজাও ঘন বাজাও

    বাণী

    বাজাও প্রভু বাজাও ঘন বাজাও ভীম বজ্র-বিষাণে দুর্জয় মহা-আহ্বান তব।
    বাজাও! অগ্নি তূর্য কাঁপাক সূর্য বাজুক রুদ্রতালে ভৈরব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! নট-মল্লার দীপক-রাগে
    জ্বলুক তড়িৎ-বহ্নি আগে,
    ভেরির রন্ধ্রে মেঘ-মন্দ্রে জাগাও বাণী জাগ্রত নব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! দাসত্বের এ ঘৃণ্য তৃপ্তি
    ভিক্ষুকের এ লজ্জা-বৃত্তি,
    বিনাশ জাতির দারুণ এ লাজ, দাও তেজ দাও মুক্তি-গরব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! খুন দাও নিশ্চল এ হস্তে
    শক্তি-বজ্র দাও নিরস্ত্রে,
    শীর্ষ তুলিয়া বিশ্বে মোদেরও দাঁড়াবার পুন দাও গৌরব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! ঘুচাতে ভীরুর নীচতা দৈন্য
    প্রের হে তোমার ন্যায়ের সৈন্য,
    শৃঙ্খলিতের টুটাতে বাঁধন আন আঘাত প্রচন্ড আহব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! নিবীর্য্য এ তেজঃসূর্য্যে,
    দীপ্ত কর হে বহ্নি-বীর্য্যে,
    শৌর্য, ধৈর্য্য মহাপ্রাণ দাও, দাও স্বাধীনতা সত্য বিভব।।
    
  • বালা যোবান মোরি স্যখিরি পরদেশে পিয়া

    বাণী

    বালা যোবান মোরি স্যখিরি পরদেশে পিয়া।
    ক্যায়সে স্যামহালু সোলা ব্যরস উম্যারিয়ারি পরদেশে পিয়া।।
    ব্যয়রি ভ্যয়রি যোবান দিলমে নাহি চ্যয়ন
    দিল ন্য লাগে কামমে জাগি কাটে রয়ন
    সোতে ড্যর লাগে একেলী স্যবরিয়া রি পরদেশে পিয়া।।
    ফিকা লাগে খানা পিনা ন্যয়নোমে নিদ ন্যহিরি
    যাঁহা মোরি বিদেশিয়া লেবা মোহে ওয়াহিরি।
    আয়ে ফাগুন চৈত স্যখি খিলা যোবান ফুল মোর
    স্যতায়ে নিসদিন মোহে বুলবুল আওর ফুলচোর
    ক্যয়সে ছিপাউ উও ফুল প্যতরি আঙ্গিঁয়ারি পরদেশে পিয়া।।
    
  • বাসন্তী রং শাড়ি প’রো খয়ের রঙের টিপ্‌

    বাণী

    বাসন্তী রং শাড়ি প’রো খয়ের রঙের টিপ্‌।
    সাঁঝের বেলায় সাজবে যখন জ্বাল্‌বে যখন দীপ্॥
    	দুলিয়ে দিও দোলন্ খোঁপায়
    	আমের মুকুল বকুল চাঁপায়,
    মেখ্‌লা ক’রো কটি-তটে শিউরে-ওঠা নীপ্॥
    কর্ণ-মূলে দুল দুলিও দুলাল চাঁপার কুঁড়ি,
    বন্-অতসীর কাঁকন প’রো, কনক-গাঁদার চুড়ি।
    	আধখানা চাঁদ গরব ভরে
    	হাসে হাসুক আকাশ ’পরে,
    তুমি বাকি আধখানা চাঁদ ধরার মণি-দীপ্॥
    
  • বিকাল বেলার ভুঁইচাঁপা গো

    বাণী

    বিকাল বেলার ভুঁইচাঁপা গো সকাল বেলার যুঁই
    কারে কোথায় দেব আসন তাই ভাবি নিতুই।।
    ফুলদানিতে রাখব কারে,কারে গাঁথি কণ্ঠ -হারে
    কারে যেন দেব তারে কারে বুকে থুই।।
    সমান অভিমানী ওরা সমান সুকোমল
    চাঁপা আমার চোখের আলো,যুঁই চোখের জল।
    বর্ষা-মুখর শ্রাবণ-প্রাতে,কাঁদি আমি যুথীর সাথে
    চাঁপায় চাহি চৈতী-রাতে,প্রিয় আমার দুই।।
    

  • বিদায় বেলায় করুণ সুরে গাইছ কেন গান

    বাণী

    বিদায় বেলায় করুণ সুরে গাইছ কেন গান।
    সুরের সাথে হল আকুল পাষাণ পরান।।
    	আজকে ব্যথায় উঠল ভ’রে
    	মালার কুসুম পড়ল ঝ’রে,
    পরান আমার কেমন করে নেবে তব দান।।
    	বৃথায় ফুলে সাজাও মোরে
    	ভাসাও যত নয়ন লোরে,
    প্রাণের ঠাকুর ডাকেন মোরে কাঁদে মম প্রাণ।।
    
  • বিঁধে গেল তীর তেরছ তার চাহনি

    বাণী

    বিঁধে গেল তীর তেরছ তার চাহনি।
    বিঁধিল মরম-মূলে চাহিল যেমনি।।
    হৃদয় বনের নিষাদ সে নিঠুর
    তনু তার ফুলবন আঁখি তাহে ফণি।
    এলো যখন স্বপন-পরী উড়ায়ে আঁচল সোনালি,
    মোর ধেয়ান-লোক হতে যেন এলো রূপ ধরে রূপওয়ালী।
    দেহে তার চাঁদিনী-চন্দন মাখা, হায় চাহিল সে যেই
    তার চোখের ঐ তীর খেয়ে কেঁদে কহিল হৃদি;
    ওগো হেনে গেল তীর।।
    
  • বুনো ফুলের করুণ সুবাস

    বাণী

    বুনো ফুলের করুণ সুবাস ঝুরে।
    নাম-না-জানা গানের পাখি, তোমার গানের সুরে।।
    	জানাতে হায় এলে কোথা
    	বনের ছায়ার মনের ব্যথা,
    তরুর ছায়া ফেলে এলে মরুর বুকে উড়ে।।
    এলে চাঁদের তৃষ্ণা নিয়ে কৃষ্ণা তিথির রাতে,
    পাতার বাসা ফেলে এলে সজল নয়ন-পাতে।
    	ওরে পাখি, তোর সাথে হায়
    	উড়তে নারি দূর অলকায়,
    বন্ধনে যে বাঁধা আমি মলিন মাটির পুরে।।
    
  • বৃথা তুই কাহার 'পরে করিস অভিমান

    বাণী

    বৃথা তুই কাহার পরে করিস অভিমান
    পাষাণ-প্রতিমা সে যে হৃদয় পাষাণ।।
    রূপসীর নয়নে জল নয়ন-শোভার তরে
    ও শুধু মেঘের লীলা নভে যে বাদল ঝরে।
    চাতকেরই তরে তাহার কাঁদে না পরান।।
    প্রণয়ের স্বপন-মায়া,ধরিতে মিলায় কায়া
    গো-ধূলির রঙের খেলা ক্ষণে অবসান।।
    

  • বেদনা-বিহ্বল পাগল পূবালী পবনে

    বাণী

    বেদনা-বিহ্বল পাগল পূবালী পবনে
    হায় নিদ-হারা তার আঁখি-তারা জাগে আনমনা একা বাতায়নে।।
    	ঝরিছে অঝোর নভে বাদল,
    	হিয়া দুরু দুরু মন উতল,
    কাজলের বাঁধ নাহি মানে হায় — অশ্রুর নদী দু' নয়নে।।
    	মন চলে গেছে দূর সুদূর —
    	একা প্রিয় যথা ব্যথা-বিধুর,
    এ বাদল-রাতি কাটে বিনা সাথী, তারি কথা শুধু পড়ে মনে।।
    
  • বেয়ান বলি ও বেয়ান ঠাকরুন

    বাণী

    পুরুষ	:	(বেয়ান, বলি ও বেয়ান ঠাকরুন)
    		বেয়ান তোমার আলু চেরা চোখে আমি মরে আছি
    স্ত্রী	:	বেয়াই আমি তাইতো তোমার গোদা পায়ে শরণ যাচি।
    		ও তোমার গোদা পায়ে শরণ যাচি।
    পুরুষ	:	(বলি ও বয়ান তোমার)
    		দাঁতে ছাতা গালে ছুলি গলায় পেটে কোলাকুলি
    		আমি দেখেই ছুটি কাছা খুলি
    		(আমি) দেখেই ছুটি ও আমার কাছা খুলে গো
    		দেখেই ছুটি হরিবোল বোলে রে
    		দেখেই ছুটি ও হরিবোল বোলে রে
    		আমি কাছা খুলে বাহু তুলে দেখেই ছুটি।
    স্ত্রী	:	(বলি ও বেয়াই, ও কাছা তো নয়) এ যে লেজুড়েরি কাছাকাছি।
    পুরুষ	:	(বলি ও বেয়ান ঠাকরুন তোমার)
    		ফোকলা দাঁতে প্রেমের বুলি শুনেই কাঁধে নিলেম ঝুলি।
    স্ত্রী	:	(বুঝি গৌর নামের ঝুলি, বলি ও বেয়াই উঁ)
    		বেয়াই নিয়ে এবার যাবে রাঁচি
    		যাবে রাঁচি গৌর হে ওহে গৌর (যাবে রাঁচি)
    		কাছা খুলে বাহু তুলে যাবে রাঁচি (তুমি)।
    পুরুষ	:	(বলি ও বেয়ান)
    		ভাগলপুরি বিবির মতন নাদুস নুদুস কি সে গঠন
    স্ত্রী	:	(বলি ও হামদো বুড়ো) তুমি মাম্‌দো ভূত যে চামড়া খেকো
    		ও আমায় করতে এলে আমড়া গাছি।
    
  • ব্যথার উপরে বঁধু ব্যথা দিও না

    বাণী

    ব্যথার উপরে বঁধু ব্যথা দিও না
    দলিত এ হৃদি মম দ’লে যেয়ো না ॥
    		ল’য়ে কত সাধ আশা
    		তোমার দুয়ারে আসা
    (বঁধু) দিলে যদি আলোবাসা ফিরে নিয়ো না॥
    স্রোতের কুসুম প্রায় ভাসিতাম অসহায়
    তুলে নিয়ে বুকে তারে ফেলে দিলে পুনরায়।
    		নিরদয় এ কি খেলা
    		প্রাণ নিয়ে হেলাফেলা
    খেলার লাগিয়া ভালবাসিও না॥
    
  • ব্যনমে শুন স্যখিরি পিয়া পিয়া বোলে

    বাণী

    ব্যনমে শুন স্যখিরি পিয়া পিয়া বোলে বাঁশুরিয়া।
    সখি ক্যওন উও বন্‌শী ব্যজায় ঘ্যরমে ন্য র‍্যহন্‌ যায়,
    মন্‌ ভ্যয়ে উদাস্‌ সখি ন্যহি মানে জিয়া রি।।
    নিরালা ঢং বাজে মৃদঙ্গ ম্যওর পাপিহা বোলে রি
    চ্যরণন্‌ মে ছ্যন্দ জাগে ত্যন্‌ মন্‌ প্রাণ ডোলে রি
    প্রেম্‌সে ম্যতওয়ালী ভ্যয়ি চাঁদ কি আঁখিয়া রি।।
    স্যখি প্যহনো নীল শাড়ি চূড়া বাঁধো ম্যনহারি
    যাঁহা ব্যন্‌চারী চ্যলো ক্যরকে সিঙ্গার
    চ্যরণন্‌ মে গুজরী গ্যালেমে চম্পা হার —
    নাচুঙ্গী আজ ওয়াকে সাথ্‌ গাউঙ্গি র‍্যসিয়ারি।।
    
  • ব্রজবাসী মোরা এসেছি মথুরা

    বাণী

    ব্রজবাসী মোরা এসেছি মথুরা, দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।
    মথুরার রাজা হ’য়েছে মোদের কানাই গোঠ বিহারী।।
    [মথুরার রাজা হয়েছে হায় তোমাদের রাজা হয়েছে ভাই —
    কানাই গোঠ বিহারী, দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।]*
    রাজ-দণ্ড কেমন মানায় শোভিত যে হাতে বাঁশি
    [শোভিত যে হাতে বাঁশি]*
    মুকুট মাথায় কেমন দেখায় শিরে শিখী-পাখা ধারী।।
    [সে শিরে শিখী-পাখা ধারী
    দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।]*
    শ্যামলী ধেনুর দুগ্ধের ক্ষীর এনেছি কানুর লাগিয়া
    পাঠায়েছে তারে মথিয়া নবনী, যশোদা-নিশীথ জাগিয়া,
    বনমালী লাগি নব-নীপ-মালা আনিয়াছি হের [মোরা] গাঁথিয়া,
    কুড়ায়ে এনেছি ফেলে এসেছিল যে বাঁশরি বনচারী।।
    ব্রজের দুলাল রাখাল ব’সেছে রাজার আসন ’পরে,
    সারা গোকুলের এনেছি আশিস তাই রে তাহার তরে।
    পাঠায়েছে গোপী-চন্দন তাই রাই অনুরাগ ভরে
    (পাঠায়েছে রাই অনুরাগ ভরা গোপী চন্দন,
    পাঠায়েছে রাই [তাই] হরির লাগিয়া হরি চন্দন।)
    নয়ন-যমুনা ছানিয়া এনেছি আকুল অশ্রুবারি।।
    [দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।।]*
    

    * রেকর্ডে গীত

  • ব্রজে আবার আসবে ফিরে আমার ননী-চোরা

    বাণী

    ব্রজে আবার আসবে ফিরে আমার ননী-চোরা
    	আর কাঁদিস্‌নে গো তোরা।
    স্বভাব যে ওর লুকিয়ে থেকে কাঁদিয়ে পাগল করা —
    	আর কাঁদিস্‌নে গো তোরা।
    	আমি যে তার মা যশোদা
    	সে আমারেই কাঁদায় সদা,
    যেই কাঁদি সে যায় যে ভুলে বনে বনে ঘোরা॥
    মথুরাতে আমার গোপাল রাজা হ’ল নাকি,
    যেখানে যায়, সে রাজা হয় (তোরে) ভুল দেখেনি আঁখি।
    	সে রাজা যদি হয়েই থাকে
    	তাই ব’লে কি ভুলবে মাকে,
    আমি হব রাজ-মাতা, তাই ওর রাজবেশ পরা॥
    
  • ভক্ত নরের কাছে হে নারায়ণ

    বাণী

    ভক্ত নরের কাছে হে নারায়ণ চিরদিন আজ হারি
    তাই তো তোমায় নামায়েছি ব্রজে গোলক হইতে কাড়ি।।
    চতুর্ভুজের দ্বিভুজ হরিয়া বেঁধেছি যশোদা দুলাল করিয়া
    বনমালা পীত বসন পরিয়া হয়েছ ময়ূর মুকুটধারী।।
    রাঙা পায়ে তব নূপুর পরায়ে নাচায়েছি পথ মাঝে
    হাতে দিয়ে বেণু সাথে দিয়ে ধেণু সাজানু গোপাল সাজে।
    ভগবান বলে মোরা না ধেয়াই চোর কপট নিঠুর বলি তাই
    সুমধুর গালি দিয়েছি কানাই বামে দিয়ে রাধা প্যারী।।
    
  • ভাইয়ের দোরে ভাই কেঁদে যায়

    বাণী

    ভাইয়ের দোরে ভাই কেঁদে যায় টেনে  নে না তারে কোলে
    মুছিয়ে দে তার নয়নেরি জল (সে যে) আপন মায়ের ছেলে।।
         এত কাল যদি ছিলি এক ঠাঁই
         আজ কেন ছাড়া হলি ঠাঁই ভাই
    ভাই বিনে তোর আর কেহ নাই দিতে প্রাণ অবহেলে।।
         বিপদেতে পাবি কাহারে তখন
         ভাই যদি রয় ফিরায়ে বদন
    সেই ভা'য়ে তোর পরের মতন দিসনে আজিকে ঠেলে।।
    

  • ভারত আজিও ভোলেনি বিরাট

    বাণী

    ভারত আজিও ভোলেনি বিরাট মহাভারতের ধ্যান।
    দেশ হারায়েছে — হারায়নি তা’র আত্মা ও ভগবান।।
    তাহার ক্ষাত্রশক্তি গিয়াছে
    প্রেম ও ভক্তি আজও বেঁচে আছে,
    আজিও পরম ধৈর্য ও বিশ্বাসে —
    তার আশা-দীপ জ্বালিয়া রেখেছে সেই ভাগবত জ্ঞান।।
    দেহের জীর্ণ পিঞ্জরে তার প্রাণ কাঁদে নিরাশায়,
    ‘সম্ভবামি যুগে যুগে’ বাণী ভুলিতে পারে না হায়!
    সেই আশ্বাসে আজ নব অনুরাগে
    পাষাণ ভারতে বিরাট চেতনা জাগে,
    জেগেছে সুপ্ত-সিংহ, এসেছে দিব্য অসি-কৃপাণ।।
    
  • ভীরু এ মনের কলি ফোটালে না কেন

    বাণী

    ভীরু এ মনের কলি ফোটালে না কেন ফোটালে না —
    জয় করে কেন নিলে না আমারে, কেন তুমি গেলে চলি।।
    		ভাঙ্গিয়া দিলে না কেন মোর ভয়,
    		কেন ফিরে গেলে শুনি অনুনয়;
    কেন সে বেদনা বুঝিতে পার না মুখে যাহা নাহি বলি।।
    কেন চাহিলে না জল নদী তীরে এসে,
    সকরুণ অভিমানে চলে গেলে মরু–তৃষ্ণার দেশে।।
    		ঝোড়ো হাওয়া ঝরা পাতারে যেমন
    		তুলে নেয় তার বক্ষে আপন
    কেন কাড়িয়া নিলে না তেমনি করিয়া মোর ফুল অঞ্জলি।।
    
  • ভুল ক'রে যদি ভালোবেসে থাকি

    বাণী

    ভুল ক'রে যদি ভালোবেসে থাকি ক্ষমিও সে অপরাধ।
    অসহায় মনে কেন জেগেছিল ভালবাসিবার সাধ।।
    	কত জন আসে তব ফুলবন
    	মলয়, ভ্রমর, চাঁদের কিরণ, —
    তেমনি আমিও আসি অকারণ অপরূপ উন্মাদ।।
    তোমার হৃদয়-শূন্যে জ্বলিছে কত রবি শশী তারা,
    তারি মাঝে আমি ধূমকেতু সম এসেছিনু পথহারা।
    	তবু জানি প্রিয় একদা নিশীথে
    	মনে পড়ে যাবে আমারে চকিতে,
    সহসা জাগিবে উৎসব-গীতে সকরুণ অবসাদ।।
    
  • ভুলিতে পারিনে তাই আসিয়াছি পথ ভুলি

    বাণী

    ভুলিতে পারিনে তাই আসিয়াছি পথ ভুলি’।
    ভোল মোর সে অপরাধ, আজি যে লগ্ন গোধূলি।।
    এমনি রঙিন বেলায় খেলেছি তোমায় আমায়,
    খুঁজিতে এসেছি তাই সেই পুরানো দিনগুলি।।
    তুমি যে গেছ ভুলে – ছিল না আমার মনে,
    তাই আসিয়াছি তব বেড়া–দেওয়া ফুলবনে।
    গেঁথেছি কতই মালা এই বাগানের ফুল তুলি’—
    আজও সেথা গাহে গান আমার পোষা বুলবুলি।।