দাদ্‌রা

  • বর্ণচোরা ঠাকুর এলো রসের নদীয়ায়

    বাণী

    	বর্ণচোরা  ঠাকুর এলো রসের নদীয়ায়
    	তোরা দেখবি যদি আয়
    তারে	কেউ বলে শ্রীমতি রাধা কেউ বলে সে শ্যামরায়।।
    	কেউ বলে তার সোনার অঙ্গে রাধা-কৃষ্ণ খেলেন রঙ্গে;
    ওগো	কেউ বলে তায় গৌর-হরি কেউ অবতার বলে তায়।।
    তার	ভক্ত তারে ষড়ভুজ শ্রী নারায়ণ বলে,
    কেউ	দেখেছে শ্রীবাসের ঘরে কেউ বা নীলাচলে।
    	দুই হাতে তার ধনুর্বাণ ঠিক যেন শ্রীরাম,
    	দুই হাতে তার মোহন বাঁশি যেন রাধা-শ্যাম,
    	আর দু'হাতে দণ্ড ঝুলি নবীন সন্ন্যাসীরই প্রায়।।
    
  • বল প্রিয়তম বল

    বাণী

    বল প্রিয়তম বল —
    মোর নিরাশা-আঁধারে আলো দিতে তুমি কেন দীপ হ’য়ে জ্বল॥
    	যত কাঁটা পড়ে মোর পথে যেতে যেতে,
    	কেন তুমি তাহা লহ বঁধু বুক পেতে।
    যদি ব্যথা পাই বুঝি পথে তাই তুমি ফুল বিছাইয়া চল॥
    	বল হে বিরহী,
    তুমি আমারে অমৃত এনে দাও কেন নিজে উপবাসী রহি’।
    	মোর পথের দাহন আপন বক্ষে নিয়ে,
    	মেঘ হয়ে চল সাথে সাথে ছায়া দিয়ে।
    মোর ঘুম না আসিলে কেন কাঁদ চাঁদ হয়ে ঢলঢল॥
    
  • বল ভাই মাভৈঃ মাভৈঃ নবযুগ ঐ এলো ঐ

    বাণী

    বল ভাই মাভৈঃ মাভৈঃ, নবযুগ ঐ এলো ঐ
    		এলো ঐ রক্ত যুগান্তর রে।
    বল জয় সত্যের জয় আসে ভৈরব বরাভয়,
    		শোন অভয় ঐ রথ-ঘর্ঘর রে।।
    রে বধির! শোন পেতে কান ওঠে ঐ কোন মহাগান,
    হাঁকছে বিষাণ ডাকছে ভগবান রে।
    জগতে জাগলো সাড়া জেগে ওঠ উঠে দাঁড়া,
    ভাঙ্‌ পাহারা মায়ার কারা-ঘর রে।
    যা আছে যাক্‌ না চুলায় নেমে পড় পথের ধূলায়,
    নিশান দুলায় ঐ প্রলয়ের ঝড় রে।।
    সে ঝড়ের ঝাপটা লেগে ভীম আবেগে উঠনু জেগে
    পাষাণ ভেঙে প্রাণ-ঝরা নির্ঝর রে।
    ভুলেছি পর ও আপন ছিঁড়েছি ঘরের বাঁধন,
    স্বদেশ স্বজন স্বদেশ মোদের ঘর রে।
    যারা ভাই বদ্ধ কুয়ায় খেয়ে মার জীবন গোঁয়ায়
    তাদের শোনাই প্রাণ-জাগা মন্তর রে।।
    ঝড়ের ঝাঁটার ঝাণ্ডা নেড়ে মাভৈঃ বানীর ডঙ্কা মেরে
    শঙ্কা ছেড়ে হাঁক প্রলয়ঙ্কর রে।
    তোদের ঐ চরণ-চাপে যেন ভাই মরণ কাঁপে
    মিথ্যা পাপের কণ্ঠ চেপে ধর্‌ রে।
    শোনা তোর বুক-ভরা গান জাগা তোর দেশ-জোড়া প্রাণ,
    দে বলিদান প্রাণ ও আত্মপর রে।।
    মোরা ভাই বাউল চারণ মানি না শাসন বারণ,
    জীবন মরণ মোদের অনুচর রে।
    দেখে ঐ ভয়ের ফাঁসি হাসি জোর জয়ের হাসি,
    অ-বিনাশী নাইকো মোদের ডর রে,
    গেয়ে যাই গান গেয়ে যাই মরা প্রাণ উট্‌কে দেখাই,
    ছাই-চাপা ভাই অগ্নি ভয়ঙ্কর রে।।
    খুঁড়ব কবর তুড়ব শ্মশান মড়ার হাড়ে নাচাব প্রাণ,
    আনব বিধান নিদান কালের বর রে
    শুধু এই ভরসা রাখিস মরিস্‌নি ভির্মি গেছিস
    ঐ শুনেছিস ভারত বিধির স্বর রে।
    ধর্‌ হাত ওঠ্‌ রে আবার দুর্যোগের রাত্রি কাবার,
    ঐ হাসে মা'র মূর্তি মনোহর রে।।
    
  • বল রে জবা বল

    বাণী

    বল্‌ রে জবা বল্ —
    কোন্ সাধনায় পেলি শ্যামা মায়ের চরণতল।।
    মায়া–তরুর বাঁধন টু’টে মায়ের পায়ে পড়লি লু’টে
    মুক্তি পেলি, উঠলি ফুটে আনন্দ–বিহ্বল।
    তোর সাধনা আমায় শেখা (জবা) জীবন হোক সফল।।
    কোটি গন্ধ –কুসুম ফোটে, বনে মনোলোভা —
    কেমনে মা’র চরণ পেলি, তুই তামসী জবা।
    তোর মত মা’র পায়ে রাতুল হবো কবে প্রসাদী ফুল,
    কবে উঠবে রেঙে —
    ওরে মায়ের পায়ের ছোঁয়া লেগে উঠবে রেঙে,
    কবে তোরই মতো রাঙবে রে মোর মলিন চিত্তদল।।
    
  • বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে

    বাণী

    বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে আমার তনুর তীরে।
    তুমি আসিলে না, (হায়!) আশার সূর্য ডুবিল সাগর-নীরে।।
    	চলে যাই যদি, চিরদিন মনে
    	তোমার সে-কথা রহিবে স্মরণে
    শুধু সেই কথা শোনার লাগিয়া হয়তো আসিব ফিরে।।
    শুধু সেই আশে হয়তো এ তনু মরণে হবে না লীন
    পথ চেয়ে চেয়ে, তব নাম গেয়ে বাজাব বিরহ-বীণ।
    	হের গো, আমার যাবার সময় হলো
    	তোমার সে-কথা মিথ্যা হবে না বলো,
    কোন শুভক্ষণে নিমেষের তরে জড়াবে কন্ঠ ঘিরে।।
    
  • বল্ নাহি ভয় নাহি ভয়

    বাণী

    বল্‌	নাহি ভয় নাহি ভয়!
    বল্‌	মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!
    তুই	নির্ভর কর্‌ আপনার ‘পর আপন পতাকা কাঁধে তুলে ধর্‌
    ওরে	যে যায় যাক্ সে, তুই শুধু বল্ ‘আমার হয়নি লয়’!
    বল্‌	‘আমি আছি’, আমি পুরুষোত্তম, আমি চির-দুর্জয়!
    বল্‌	মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!!
    যে	গেল সে নিজেরে নিঃশেষ করি’ তোদের পাত্র দিয়ে গেল ভরি’!
    ঐ	বন্ধ মৃত্যু পারেনি ক’ তাঁরে পারেনি করিতে লয়!
    তাই	আমাদের মাঝে নিজেরে বিলায়ে সে আজি শান্তিময়
    বল্‌	মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!!
    ওরে	রুদ্র তখনি ক্ষুদ্রেরে গ্রাসে আগেই যবে সে ম’রে থাকে ত্রাসে
    ওরে	আপনার মাঝে বিধাতা জাগিলে বিশ্বে সে নির্ভয়
    এই	ক্ষুদ্র কারায় কভু কি ভয়াল ভৈরব বাঁধা রয়?
    বল্‌	মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!!
    ওরে	আত্ম-অবিশ্বাসী, ভয়ে-ভীত! কেন হেন ঘন অবসাদ চিত
    বল্‌	পর-বিশ্বাসে পর-মুখপানে চেয়ে কি স্বাধীন হয়?
    তুই	আত্মাকে চিন্, বল আমি আছি,’ ‘সত্য আমার জয়’!
    বল্‌	মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!!
    
  • বহু পথে বৃথা ফিরিয়াছি প্রভু

    বাণী

    বহু পথে বৃথা ফিরিয়াছি প্রভু হইব না আর পথহারা
    বন্ধু স্বজন সব ছেড়ে যায় তুমি একা জাগো ধ্রুবতারা।।
    	মায়ারূপী হায় কত স্নেহ-নদী,
    	জড়াইয়া মোরে ছিল নিরবধি,
    সব ছেড়ে গেল, হারাইনু যদি তুমি এসো প্রাণে প্রেমধারা।।
    ভ্রান্ত পথের শ্রান্ত পথিক লুটায় তোমার মন্দিরে,
    প্রভু আরো যদি কিছু আছে মোর প্রিয় লও বাঁচায়ে বন্দীরে।
    	ডাকি' লও মোরে মুক্ত আলোকে
    	তব আনন্দ-নন্দন-লোকে,
    শান্ত হোক এ ক্রন্দন, আর সহে না এ বন্ধন-কারা।।
    
  • বাজাও প্রভু বাজাও ঘন বাজাও

    বাণী

    বাজাও প্রভু বাজাও ঘন বাজাও ভীম বজ্র-বিষাণে দুর্জয় মহা-আহ্বান তব।
    বাজাও! অগ্নি তূর্য কাঁপাক সূর্য বাজুক রুদ্রতালে ভৈরব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! নট-মল্লার দীপক-রাগে
    জ্বলুক তড়িৎ-বহ্নি আগে,
    ভেরির রন্ধ্রে মেঘ-মন্দ্রে জাগাও বাণী জাগ্রত নব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! দাসত্বের এ ঘৃণ্য তৃপ্তি
    ভিক্ষুকের এ লজ্জা-বৃত্তি,
    বিনাশ জাতির দারুণ এ লাজ, দাও তেজ দাও মুক্তি-গরব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! খুন দাও নিশ্চল এ হস্তে
    শক্তি-বজ্র দাও নিরস্ত্রে,
    শীর্ষ তুলিয়া বিশ্বে মোদেরও দাঁড়াবার পুন দাও গৌরব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! ঘুচাতে ভীরুর নীচতা দৈন্য
    প্রের হে তোমার ন্যায়ের সৈন্য,
    শৃঙ্খলিতের টুটাতে বাঁধন আন আঘাত প্রচন্ড আহব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! নিবীর্য্য এ তেজঃসূর্য্যে,
    দীপ্ত কর হে বহ্নি-বীর্য্যে,
    শৌর্য, ধৈর্য্য মহাপ্রাণ দাও, দাও স্বাধীনতা সত্য বিভব।।
    
  • বালা যোবান মোরি স্যখিরি পরদেশে পিয়া

    বাণী

    বালা যোবান মোরি স্যখিরি পরদেশে পিয়া।
    ক্যায়সে স্যামহালু সোলা ব্যরস উম্যারিয়ারি পরদেশে পিয়া।।
    ব্যয়রি ভ্যয়রি যোবান দিলমে নাহি চ্যয়ন
    দিল ন্য লাগে কামমে জাগি কাটে রয়ন
    সোতে ড্যর লাগে একেলী স্যবরিয়া রি পরদেশে পিয়া।।
    ফিকা লাগে খানা পিনা ন্যয়নোমে নিদ ন্যহিরি
    যাঁহা মোরি বিদেশিয়া লেবা মোহে ওয়াহিরি।
    আয়ে ফাগুন চৈত স্যখি খিলা যোবান ফুল মোর
    স্যতায়ে নিসদিন মোহে বুলবুল আওর ফুলচোর
    ক্যয়সে ছিপাউ উও ফুল প্যতরি আঙ্গিঁয়ারি পরদেশে পিয়া।।
    
  • বাসন্তী রং শাড়ি প’রো খয়ের রঙের টিপ্‌

    বাণী

    বাসন্তী রং শাড়ি প’রো খয়ের রঙের টিপ্‌।
    সাঁঝের বেলায় সাজবে যখন জ্বাল্‌বে যখন দীপ্॥
    	দুলিয়ে দিও দোলন্ খোঁপায়
    	আমের মুকুল বকুল চাঁপায়,
    মেখ্‌লা ক’রো কটি-তটে শিউরে-ওঠা নীপ্॥
    কর্ণ-মূলে দুল দুলিও দুলাল চাঁপার কুঁড়ি,
    বন্-অতসীর কাঁকন প’রো, কনক-গাঁদার চুড়ি।
    	আধখানা চাঁদ গরব ভরে
    	হাসে হাসুক আকাশ ’পরে,
    তুমি বাকি আধখানা চাঁদ ধরার মণি-দীপ্॥
    
  • বিকাল বেলার ভুঁইচাঁপা গো

    বাণী

    বিকাল বেলার ভুঁইচাঁপা গো সকাল বেলার যুঁই
    কারে কোথায় দেব আসন তাই ভাবি নিতুই।।
    ফুলদানিতে রাখব কারে,কারে গাঁথি কণ্ঠ -হারে
    কারে যেন দেব তারে কারে বুকে থুই।।
    সমান অভিমানী ওরা সমান সুকোমল
    চাঁপা আমার চোখের আলো,যুঁই চোখের জল।
    বর্ষা-মুখর শ্রাবণ-প্রাতে,কাঁদি আমি যুথীর সাথে
    চাঁপায় চাহি চৈতী-রাতে,প্রিয় আমার দুই।।
    

  • বিদায় বেলায় করুণ সুরে গাইছ কেন গান

    বাণী

    বিদায় বেলায় করুণ সুরে গাইছ কেন গান।
    সুরের সাথে হল আকুল পাষাণ পরান।।
    	আজকে ব্যথায় উঠল ভ’রে
    	মালার কুসুম পড়ল ঝ’রে,
    পরান আমার কেমন করে নেবে তব দান।।
    	বৃথায় ফুলে সাজাও মোরে
    	ভাসাও যত নয়ন লোরে,
    প্রাণের ঠাকুর ডাকেন মোরে কাঁদে মম প্রাণ।।
    
  • বিঁধে গেল তীর তেরছ তার চাহনি

    বাণী

    বিঁধে গেল তীর তেরছ তার চাহনি।
    বিঁধিল মরম-মূলে চাহিল যেমনি।।
    হৃদয় বনের নিষাদ সে নিঠুর
    তনু তার ফুলবন আঁখি তাহে ফণি।
    এলো যখন স্বপন-পরী উড়ায়ে আঁচল সোনালি,
    মোর ধেয়ান-লোক হতে যেন এলো রূপ ধরে রূপওয়ালী।
    দেহে তার চাঁদিনী-চন্দন মাখা, হায় চাহিল সে যেই
    তার চোখের ঐ তীর খেয়ে কেঁদে কহিল হৃদি;
    ওগো হেনে গেল তীর।।
    
  • বুনো ফুলের করুণ সুবাস

    বাণী

    বুনো ফুলের করুণ সুবাস ঝুরে।
    নাম-না-জানা গানের পাখি, তোমার গানের সুরে।।
    	জানাতে হায় এলে কোথা
    	বনের ছায়ার মনের ব্যথা,
    তরুর ছায়া ফেলে এলে মরুর বুকে উড়ে।।
    এলে চাঁদের তৃষ্ণা নিয়ে কৃষ্ণা তিথির রাতে,
    পাতার বাসা ফেলে এলে সজল নয়ন-পাতে।
    	ওরে পাখি, তোর সাথে হায়
    	উড়তে নারি দূর অলকায়,
    বন্ধনে যে বাঁধা আমি মলিন মাটির পুরে।।
    
  • বৃথা তুই কাহার 'পরে করিস অভিমান

    বাণী

    বৃথা তুই কাহার পরে করিস অভিমান
    পাষাণ-প্রতিমা সে যে হৃদয় পাষাণ।।
    রূপসীর নয়নে জল নয়ন-শোভার তরে
    ও শুধু মেঘের লীলা নভে যে বাদল ঝরে।
    চাতকেরই তরে তাহার কাঁদে না পরান।।
    প্রণয়ের স্বপন-মায়া,ধরিতে মিলায় কায়া
    গো-ধূলির রঙের খেলা ক্ষণে অবসান।।
    

  • বেদনা-বিহ্বল পাগল পূবালী পবনে

    বাণী

    বেদনা-বিহ্বল পাগল পূবালী পবনে
    হায় নিদ-হারা তার আঁখি-তারা জাগে আনমনা একা বাতায়নে।।
    	ঝরিছে অঝোর নভে বাদল,
    	হিয়া দুরু দুরু মন উতল,
    কাজলের বাঁধ নাহি মানে হায় — অশ্রুর নদী দু' নয়নে।।
    	মন চলে গেছে দূর সুদূর —
    	একা প্রিয় যথা ব্যথা-বিধুর,
    এ বাদল-রাতি কাটে বিনা সাথী, তারি কথা শুধু পড়ে মনে।।
    
  • বেয়ান বলি ও বেয়ান ঠাকরুন

    বাণী

    পুরুষ	:	(বেয়ান, বলি ও বেয়ান ঠাকরুন)
    		বেয়ান তোমার আলু চেরা চোখে আমি মরে আছি
    স্ত্রী	:	বেয়াই আমি তাইতো তোমার গোদা পায়ে শরণ যাচি।
    		ও তোমার গোদা পায়ে শরণ যাচি।
    পুরুষ	:	(বলি ও বয়ান তোমার)
    		দাঁতে ছাতা গালে ছুলি গলায় পেটে কোলাকুলি
    		আমি দেখেই ছুটি কাছা খুলি
    		(আমি) দেখেই ছুটি ও আমার কাছা খুলে গো
    		দেখেই ছুটি হরিবোল বোলে রে
    		দেখেই ছুটি ও হরিবোল বোলে রে
    		আমি কাছা খুলে বাহু তুলে দেখেই ছুটি।
    স্ত্রী	:	(বলি ও বেয়াই, ও কাছা তো নয়) এ যে লেজুড়েরি কাছাকাছি।
    পুরুষ	:	(বলি ও বেয়ান ঠাকরুন তোমার)
    		ফোকলা দাঁতে প্রেমের বুলি শুনেই কাঁধে নিলেম ঝুলি।
    স্ত্রী	:	(বুঝি গৌর নামের ঝুলি, বলি ও বেয়াই উঁ)
    		বেয়াই নিয়ে এবার যাবে রাঁচি
    		যাবে রাঁচি গৌর হে ওহে গৌর (যাবে রাঁচি)
    		কাছা খুলে বাহু তুলে যাবে রাঁচি (তুমি)।
    পুরুষ	:	(বলি ও বেয়ান)
    		ভাগলপুরি বিবির মতন নাদুস নুদুস কি সে গঠন
    স্ত্রী	:	(বলি ও হামদো বুড়ো) তুমি মাম্‌দো ভূত যে চামড়া খেকো
    		ও আমায় করতে এলে আমড়া গাছি।
    
  • ব্যথার উপরে বঁধু ব্যথা দিও না

    বাণী

    ব্যথার উপরে বঁধু ব্যথা দিও না
    দলিত এ হৃদি মম দ’লে যেয়ো না ॥
    		ল’য়ে কত সাধ আশা
    		তোমার দুয়ারে আসা
    (বঁধু) দিলে যদি আলোবাসা ফিরে নিয়ো না॥
    স্রোতের কুসুম প্রায় ভাসিতাম অসহায়
    তুলে নিয়ে বুকে তারে ফেলে দিলে পুনরায়।
    		নিরদয় এ কি খেলা
    		প্রাণ নিয়ে হেলাফেলা
    খেলার লাগিয়া ভালবাসিও না॥
    
  • ব্যনমে শুন স্যখিরি পিয়া পিয়া বোলে

    বাণী

    ব্যনমে শুন স্যখিরি পিয়া পিয়া বোলে বাঁশুরিয়া।
    সখি ক্যওন উও বন্‌শী ব্যজায় ঘ্যরমে ন্য র‍্যহন্‌ যায়,
    মন্‌ ভ্যয়ে উদাস্‌ সখি ন্যহি মানে জিয়া রি।।
    নিরালা ঢং বাজে মৃদঙ্গ ম্যওর পাপিহা বোলে রি
    চ্যরণন্‌ মে ছ্যন্দ জাগে ত্যন্‌ মন্‌ প্রাণ ডোলে রি
    প্রেম্‌সে ম্যতওয়ালী ভ্যয়ি চাঁদ কি আঁখিয়া রি।।
    স্যখি প্যহনো নীল শাড়ি চূড়া বাঁধো ম্যনহারি
    যাঁহা ব্যন্‌চারী চ্যলো ক্যরকে সিঙ্গার
    চ্যরণন্‌ মে গুজরী গ্যালেমে চম্পা হার —
    নাচুঙ্গী আজ ওয়াকে সাথ্‌ গাউঙ্গি র‍্যসিয়ারি।।
    
  • ব্রজবাসী মোরা এসেছি মথুরা

    বাণী

    ব্রজবাসী মোরা এসেছি মথুরা, দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।
    মথুরার রাজা হ’য়েছে মোদের কানাই গোঠ বিহারী।।
    [মথুরার রাজা হয়েছে হায় তোমাদের রাজা হয়েছে ভাই —
    কানাই গোঠ বিহারী, দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।]*
    রাজ-দণ্ড কেমন মানায় শোভিত যে হাতে বাঁশি
    [শোভিত যে হাতে বাঁশি]*
    মুকুট মাথায় কেমন দেখায় শিরে শিখী-পাখা ধারী।।
    [সে শিরে শিখী-পাখা ধারী
    দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।]*
    শ্যামলী ধেনুর দুগ্ধের ক্ষীর এনেছি কানুর লাগিয়া
    পাঠায়েছে তারে মথিয়া নবনী, যশোদা-নিশীথ জাগিয়া,
    বনমালী লাগি নব-নীপ-মালা আনিয়াছি হের [মোরা] গাঁথিয়া,
    কুড়ায়ে এনেছি ফেলে এসেছিল যে বাঁশরি বনচারী।।
    ব্রজের দুলাল রাখাল ব’সেছে রাজার আসন ’পরে,
    সারা গোকুলের এনেছি আশিস তাই রে তাহার তরে।
    পাঠায়েছে গোপী-চন্দন তাই রাই অনুরাগ ভরে
    (পাঠায়েছে রাই অনুরাগ ভরা গোপী চন্দন,
    পাঠায়েছে রাই [তাই] হরির লাগিয়া হরি চন্দন।)
    নয়ন-যমুনা ছানিয়া এনেছি আকুল অশ্রুবারি।।
    [দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।।]*
    

    * রেকর্ডে গীত