দাদ্‌রা

  • ভুলে যেয়ো ভুলে যেয়ো

    বাণী

    	ভুলে যেয়ো, ভুলে যেয়ো সেদিন যদি পড়ে আমায় মনে
    যবে	চৈতী বাতাস উদাস হয়ে ফিরবে বকুল বনে।।
    		তোমার মুখের জোছনা নিয়ে
    		উঠবে যে চাঁদ ঝিলমিলিয়ে,
    	হেনার সুবাস ফেলবে নিশাস তোমার বাতায়নে।।
    		শুনবে যেন অনেক দূরে
    		ক্লান্ত বাঁশির করুন সুরে —
    	বিদায় নেওয়া কোন বিরহীর কানে কাঁদে নিরজনে।।
    
  • ভেঙো না ভেঙো না ধ্যান

    বাণী

    ভেঙো না ভেঙো না ধ্যান হে আমার ধ্যানের দেবতা।
    পূজা লহ, অর্ঘ্য লহ ক’য়ো না ক’য়ো না কথা।।
    পাষাণ মূরতি তুমি পাষাণ হইয়া থাকো,
    মন্দির-বেদী হতে ধরার ধূলায় নেমো নাকো।
    তুমিও মাটির মানুষ বুঝায়ে দিও না ব্যথা।।
    সহিবে সকলি স্বামী হেনো হেলা ব্যথা দিও,
    সহিবে না অপমান ভালোবাসার আমার হে প্রিয়,
    থাক তুমি হিয়ার মাঝে তোমার মন্দির যথা।।
    
  • ভোল লাজ ভোল গ্লানি জননী

    বাণী

    ভোল লাজ ভোল গ্লানি জননী মুক্ত আলোকে জাগো।
    কবে সে ঘুমালি মরণ-ঘুমে মা আর তো জাগিলি না গো।।
    চরণে কাঁদে মা তেমনি জলধি
    বক্ষ আঁকড়ি কাঁদে নদ-নদী,
    ত্রিশ কোটি সন্তান নিরবধি — 
    			কাঁদে আর ডাকে মা গো।।
    যে তিতিক্ষা যে শিক্ষা ল’য়ে
    অতীতে ছিলি মা রাজরানী হয়ে,
    ল’য়ে সে-মহিমা পুন নির্ভয়ে — 
    			বিশ্ব-বুকে-দাঁড়া গো।।
    বিশ্বের এই খল কোলহলে
    তুই আয় কল্যাণ-দীপ জ্বেলে’,
    বিরোধের শেষে তুই শান্তি মা — 
    			মৃত্যু শেষে সুধা গো।।
    
  • মনে পড়ে আজ সে কোন্‌ জনমে

    বাণী

    মনে পড়ে আজ সে কোন জনমে বিদায় সন্ধ্যাবেলা –
    আমি দাঁড়ায়ে রহিনু এপারে তুমি ওপারে ভাসালে ভেলা।।
    সেই সে বিদায় ক্ষণে
    শপথ করিলে বন্ধু আমার, রাখিবে আমারে মনে,
    ফিরিয়া আসিবে খেলিবে আবার সেই পুরাতন খেলা।।
    আজো আসিলে না হায়,
    মোর অশ্রুর লিপি বনের বিহগী দিকে দিকে লয়ে যায়,
    তোমারে খুঁজে না পায়।
    মোর গানের পাপিয়া ঝুরে
    গহন কাননে তব নাম লয়ে আজো পিয়া পিয়া সুরে;
    গান থেমে যায়, হায় ফিরে আসে পাখী বুকে বিঁধে অবহেলা।।
    
  • মনে যে মোর মনের ঠাকুর তারেই আমি

    বাণী

    মনে যে মোর মনের ঠাকুর তারেই আমি পূজা করি,
    আমার দেহের পঞ্চভূতের পঞ্চপ্রদীপ তুলে ধরি।।
    	ফকির যোগী হয়ে বনে
    	ফিরি না তার অন্বেষণে
    আমি	মনের দুয়ার খুলে দেখি রূপের জোয়ার মরি মরি।।
    	আছেন যিনি ঘিরে আমায়
    	তারে আমি খুঁজব কোথায়
    সাগরে খুঁজে বেড়াই সাগর বুকে ভাসিয়ে তরী।
    	মন্দিরের ঐ বন্ধ খোঁপে
    	ঠাকুর কি রয় পূজার লোভে?
    পেতে রাখি ভক্তি বেদী আসবে নেমে প্রেমের হরি।।
    
  • মনে রাখার দিন গিয়েছে

    বাণী

    মনে রাখার দিন গিয়েছে এখন ভোলার বেলা
    আর লাগে না ভালো আমার হৃদয় নিয়ে খেলা।।
    	লগ্ন ছিল ছিল সময়
    	পরান ভরা চিল প্রণয়,
    সেদিন যদি আসতে মলয় বসতো ফুলের মেলা।।
    সুকুমার সুন্দর যাহা চিল আমার মাঝে
    গেছে ম'রে নিরাশাতে ঝ'রে গেছে লাজে।
    	আজ উদাসীন শূন্য মনে
    	ঘুরে বেড়াই অকারণে
    তোমার চেয়েও আমি আমায় হানি অবহেলা।।
    
  • মমতাজ মমতাজ তোমার তাজমহল

    বাণী

    	মমতাজ মমতাজ তোমার তাজমহল —
    যেন 	ফিরদৌসের একমুঠো প্রেম,
    	বৃন্দাবনের একমুঠো প্রেম, আজো করে ঝলমল।।
    	কত সম্রাট হ’ল ধূলি স্মৃতির গোরস্তানে —
    	পৃথিবী ভুলিতে নারে প্রেমিক শাহ্‌জাহানে,
    	শ্বেত মর্মরে সেই বিরহীর ক্রন্দন –মর্মর গুঞ্জরে অবিরল।।
    	কেমনে জানিল শাজাহান – প্রেম পৃথিবীতে ম’রে যায়,
    তাই	পাষাণ প্রেমের স্মৃতি রেখে গেল পাষাণে লিখিয়া হায়!
    যেন	তাজের পাষাণ অঞ্জলি ল’য়ে নিঠুর বিধাতা পানে
    	অতৃপ্ত প্রেম বিরহী আত্মা আজো অভিযোগ হানে!
    বুঝি	সেই লাজে বালুকায় মুখ লুকাইতে চায় শীর্ণা যমুনা জল।।
    
  • মা আমি আর কি ভুলি

    বাণী

    মা আমি আর কি ভুলি
    মাগো আমি আর কি ভুলি।
    চরণ যখন ধরেছি তোর মাগো আমি আর কি ভুলি।
    আমায় বহু জনম ঘুরিয়েছিস্ মা পরিয়ে চোখে মায়ার ঠুলি॥
    	তোর পা ছেড়ে যে মোক্ষ যাচে,
    	তুই বর্‌ নিয়ে যা তাহার কাছে
    ওমা আমি যেন যুগে যুগে পাই মা প্রসাদ চরণ-ধূলি॥
    মোরে শিশু পেয়ে খেল্‌না দিয়ে, রেখেছিলি মা ভুলিয়ে
    এখন খেল্‌না ফেলে কোলে নিতে মাকে ডাকি দু’হাত তুলি।
    	তোর ঐশ্বর্য যা কিছু মা
    	দে ভক্তগণে বিলিয়ে উমা,
    তোর ভিখারি এই সন্তানে দিস্ মাতৃনামের ভিক্ষাঝুলি॥
    
  • মা আমি তোর অন্ধ ছেলে

    বাণী

    মা! আমি তোর অন্ধ ছেলে হাত ধ’রে মোর নিয়ে যা মা।
    পথ নাহি পাই যেদিকে চাই দেখি আঁধার ঘোর ত্রিযামা।।
    	আমি নিজে পথ চলিতে যাই
    	বারে বারে পথ ভুলি মা তাই
    মায়া-কূপে পড়ে কাঁদি কোথায় দয়াময়ী শ্যামা।।
    মা তুই যবে হাত ধ’রে চলিস্ রয় না পতন-ভয়,
    তুই যবে পথ দেখাস্ মা গো সে পথ জ্যোতির্ময়।
    	কি হবে জ্ঞান-প্রদীপ নিয়ে সাথে
    	বৃথা এ দীপ জন্মান্ধের হাতে
    তুই যদি হ’স নির্ভর মোর পথের ভয় আর রবে না মা।।
    
  • মা এসেছে মা এসেছে মা এসেছে রে

    বাণী

    মা এসেছে, মা এসেছে, মা এসেছে রে
    মা এসেছে, মা এসেছে উঠ্‌ল কলরোল।
    (ওরে) দিকে দিকে বেজে ওঠে সানাই কাঁসর ঢোল॥
    ভরা নদীর কূলে কূলে, শিউলি শালুক পদ্মফুলে।
    মায়ের আসার আভাস দুলে আনন্দ-হিল্লোল,
    সেই খুশিতে পড়ল নিটোল নীল আকাশে টোল্॥
    বিনা কাজের মাতন রে আজ কাজে দে ভাই ক্ষমা,
    বে-হিসাবী করব খরচ সাধ যা আছে জমা।
    এক বছরের অতৃপ্তি ভাই, এই ক’দিনে কিসে মিটাই,
    কে জানে ভাই ফিরব কিনা আবার মায়ের কোল্ ।
    আনন্দে আজ আনন্দকে পাগল ক’রে তোল্॥
    
  • মা কবে তোরে পারব দিতে আমার সকল ভার

    বাণী

    মা	কবে তোরে পারব দিতে আমার সকল ভার।
    	ভাবতে কখন পারব মাগো নাই কিছু আমার॥
    		কারেও আনিনি মা সঙ্গে ক’রে
    		রাখতে নারি কারেও ধ’রে
    	তুই দিস্, তুই নিস্ মা হ’রে (আমার) কোথায় অধিকার॥
    	হাসি খেলি, চলি, ফিরি ইঙ্গিতে মা তোরই,
    মা	তোরই মাঝে লভি, তোরই মাঝে মরি।
    		পুত্র-মিত্র-কন্যা-জায়া,
    		মহামায়া তোরই মায়া,
    মা	তোর লীলার পুতুল আমি ভাবতে দে এবার॥
    
  • মা তোর কালো রূপের মাঝে

    বাণী

    	মা তোর কালো রূপের মাঝে রসের সাগর লুকিয়ে আছে,
    তোর	কৃষ্ণ জ্যোতির আড়াল টেনে মোর প্রেমময় কৃষ্ণ নাচে।।
    			(নাচে, নাচে, নাচে গো)
    আমি	যাঁহার পরম তৃষ্ণা লয়ে কাঁদি (মা),
    ওমা	কৃষ্ণা কেন রাখলি তারে বাঁধি,
    ওমা	যোগমায়া সে যে বাজায় বাঁশি তোরই রূপের কদম গাছে।।
    	আমার অভয় সুন্দরেরে কেন ভয়ের আবরণে
    	রাখলি ঢেকে মাগো, আমি কাঁদব কত এই বিরহের বৃন্দাবনে।
    ওমা	তোর শক্তি যমুনারি তীরে
    	নাম লয়ে মোর শ্যাম যে কেঁদে ফিরে।
    তুই	কোলে করে মেয়েরে তোর নিয়ে যা তাঁর পায়ের কাছে।।
    
  • মা মেয়েতে খেল্‌ব পুতুল আয় মা

    বাণী

    মা মেয়েতে খেল্‌ব পুতুল আয় মা আমার খেলাঘরে।
    আমি মা হয়ে মা শিখিয়ে দেব পুতুল খেলে কেমন করে।।
    কাঙাল অবোধ করবি যারে বুকের কাছে রাখিস্ তারে (মা)
    [নইলে কে তার দুখ ভোলাবে
    যারে রত্ন মানিক দিবি না মা, উচিত সে তার মাকে পাবে]
    আবার কেউ বা ভীষণ দামাল হবে কেউ থাকবে গৃহ কোণে প’ড়ে।।
    মৃত্যু সেথায় থাকবে না মা থাকবে লুকোচুরি খেলা
    রাত্রি বেলায় কাঁদিয়ে যাবে আসবে ফিরে সকাল বেলা।
    কাঁদিয়ে খোকায়, ভয় দেখিয়ে, ভয় ভোলাবি আদর দিয়ে (মা)
    [বেশি তারে কাঁদাস না মা, মা ছেড়ে সে পালিয়ে যাবে]
    সে খেলে যখন শ্রান্ত হবে ঘুম পাড়াবি বক্ষে ধ’রে।।
    
  • মাকে আমার এলাম ছেড়ে মা অভয়া

    বাণী

    মাকে আমার এলাম ছেড়ে মা অভয়া, মাকে দেখো।
    মোর তরে মা কাঁদে যদি তুমি তাকে ভুলিয়ে রেখো।।
    	মায়ের যে বুক শূন্য ক’রে 
    	এলাম আমি দেশান্তরে
    শূন্য করে সেই খালি বুক মহামায়া তুমি থেকো।।
    

    নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’

  • মাগো তোরি পায়ের নূপুর বাজে

    বাণী

    মাগো তোরি পায়ের নূপুর বাজে
    এই বিশ্বের সকল ধ্বনির মাঝে।।
    জীবের ভাষায় পাখির মধুর গানে,
    সাগর রোলে নদীর কলতানে
    সমীরণের মরমরে শুনি সকাল সাঁঝে।।
    আমার প্রতি নিঃশ্বাসে মা রক্তধরার মাঝে
    প্রাণের অনুরণনে তোর চরণধ্বনি বাজে।
    গভীর প্রণব ওঙ্কারে তোর কালি (মা গো মহাকালী)
    সেই নৃত্যলীলার স্তবগাথা গান চরণতলে নটরাজে।।
    
  • মাতৃ নামের হোমের শিখা

    বাণী

    মাতৃ নামের হোমের শিখা আমার বুকে কে জ্বালালো
    সেই শিখা আজ হরবে যেন মা ত্রিজগতের আঁধার কালো।।
    	আজ মনে হয় দিবস যামী
    	অমৃতেরই পুত্র আমি মা
    আনন্দময় হল ত্রিলোক যেদিকে চাই কেবল আলো।।
    সূর্য যেমন জানে না, তার আলোয় কত জগৎ জাগে,
    বিকার-বিহীন তেমনি আমি, জ্বলি নামের অনুরাগে।
    	হয়তো আমার আলো লেগে
    	নতুন সৃষ্টি উঠবে জেগে,
    তাই কি বিপুল আকর্ষণে সবারে চাই বাস্‌তে ভালো।।
    
  • মায়ের চেয়েও শান্তিময়ী মিষ্টি বেশি মেয়ের চেয়ে

    বাণী

    	মায়ের চেয়েও শান্তিময়ী মিষ্টি বেশি মেয়ের চেয়ে
    	চঞ্চলা এই লীলাময়ী মুক্তকেশী কালো মেয়ে।।
    সে	মিষ্টি যত দুষ্টু তত এই কালো মেয়ে
    	গিরিঝর্ণা সম এলো ধেয়ে এই পাবর্তী মেয়ে
    	করুণা অমৃত ধারায় ভুবন ছেয়ে এলো এই কালো মেয়ে।।
    	মাকে চোখে চোখে রাখি
    	যদি কভু দেয় সে ফাঁকি
    	আমি ভয়ে ভয়ে থাকি গো
    	এই মায়াময়ী মেয়ে নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকি গো।
    আমি	বহু সাধ্য-সাধনাতে পেয়েছি এই মা-কে রে
    	কোটি জনম তপস্যাতে পেয়েছি এই মা-কে রে
    	কোথায় রাখি, আমি কাঙালিনী
    	কোথায় রাখি স্বর্গের এই রত্ন পেয়ে
    আমি	কোথায় রাখি স্বর্গের এই রত্ন পেয়ে।।
    

  • মালঞ্চে আজ কাহার যাওয়া আসা

    বাণী

    মালঞ্চে আজ কাহার যাওয়া আসা।
    ঝরা পাতায় বাজে
    মৃদুল তাহার পায়ের ভাষা।।
    আসার কথা জানায়
    ঐ যে ফুলের আখর সবুজ পাতায়,
    ঐ দোয়েল শ্যামার কূজন কয় যে বাণী
    ঐ ঐ তার ভালোবাসা।।
    মদির সমীরণে
    তনুর সুবাস পাই যে ক্ষণে ক্ষণে,
    সবুজ বসন ফেলি’
    পরল ঐ বন কুস্‌মী রাঙা চেলি।
    তাই বসুন্ধরায় জাগে অরুণ আশা —
    ঐ ঐ যে আলোকের পিপাসা।।
    
  • মালা গাঁথা শেষ না হ’তে

    বাণী

    		মালা গাঁথা শেষ না হ’তে তুমি এলে ঘরে।
    		শূন্য হাতে তোমায় বরণ করব কেমন ক’রে।।
    			লজ্জা পাবার অবসর মোর
    			দিলে না হে চঞ্চল, চোর
    		সজ্জা-বিহীন মলিন তনু দেখলে নয়ন ভ’রে।।
    		বিফল মালার ফুলগুলি হায় কোথায় এখন রাখি,
    		ক্ষণিক দাঁড়াও, ঐ কুসুমে (তোমার) চরণ দু’টি ঢাকি।
    			আকুল কেশে পা মুছিয়ে
    			করব বাতাস আঁচল দিয়ে,
    (মোর) 	নয়ন হবে আরতি-দীপ তোমার পূজার তরে।।
    
  • মালা যদি মোর ধূলায় মলিন হয়

    বাণী

    মালা যদি মোর ধূলায় মলিন হয়
    ব'সে আছি তাই অঞ্চলে নিয়ে কুসুমেরি সঞ্চয়।।
    	ফুলহার যদি কর অবহেলা
    	তাই ভাবি আর ব'য়ে যায় বেলা
    হৃদয়ে থাকুক লুকানো আমার হৃদয়ের পরিচয়।।
    বিফল যদি গো হয় পূজা নিবেদন
    মন্দির-দ্বারে দাঁড়াইয়া তাই পাষাণেরই নারায়ণ।।
    	কেন কাছে আসি, এসে ফিরে যাই
    	যদি ফেল জেনে ভয় মানি তাই
    সকলি সহিব, সহিতে নারিব হৃদয়ের পরাজয়।।