দাদ্‌রা

  • আমার ভবের অভাব লয় হয়েছে

    বাণী

    (মা) আমার ভবের অভাব লয় হয়েছে শ্যামা-ভাব-সমাধিতে।
    শ্যামা রসে যে-মন আছে ডুবে কাজ কিরে তার যশ-খ্যাতিতে।।
    	মধু যে পায় শ্যামা-পদে,
    	কাজ কিরে তার বিষয়-মদে;
    যুক্ত যে মন যোগামায়াতে; ভাবনা কি তার রোগ ব্যাধিতে।।
    কাজ কি’রে তার লক্ষ টাকায়, মোক্ষ লক্ষ্মী যাহার ঘরে,
    কত রাজার রাজা প্রসাদ মাগে সেই ভিখারীর পায়ে ধরে।
    ও মা শান্তিময়ী অন্তরে যার, দুঃখ শোকে ভয় কি রে তার
    সে সদানন্দ সদাশিব জীবন্মুক্ত ধরণীতে।।
    
  • আমার ভুবন কান পেতে রয়

    বাণী

    আমার ভুবন কান পেতে রয় প্রিয়তম তব লাগিয়া
    দীপ নিভে যায়, সকলে ঘুমায় মোর আঁখি রহে জাগিয়া।।
    	তারারে শুধাই, ‘কত দেরি আর
    	কখন আসিবে বিরহী আমার?’
    ওরা বলে, ‘হের পথ চেয়ে তার নয়ন উঠেছে রাঙিয়া’।।
    আসিতেছে সে কি মোর অভিসারে কাঁদিয়া শুধাই চাঁদে
    মোর মুখপানে চেয়ে চেয়ে চাঁদ নীরবে শুধু কাঁদে।
    	ফাগুন বাতাস করে হায় হায়
    	বলে, বিরহিণী তোর নিশি যে পোহায়
    ফুল বলে, ‘আর জাগিতে নারি গো ঘুমে আঁখি আসে ভাঙিয়া’।।
    
  • আমার মা আছে রে সকল নামে

    বাণী

    (আমার)	মা আছে রে সকল নামে মা যে আমার সর্বনাম।
    	যে নামে ডাক শ্যামা মাকে পুর্‌বে তাতেই মনস্কাম।।
    		ভালোবেসে আমার শ্যামা মাকে
    		যার যাহা সাধ সেই নামে সে ডাকে,
    	সেই নামে মা দেয় রে সাড়া১ কেউ শ্যামা কয়, কেহ শ্যাম।।
    	এক সাগরে মিশে গিয়ে সকল নামের নদী,
    	সেই হরি হর কৃষ্ণ ও রাম, দেখিস্ তাঁকে যদি।
    		নিরাকারা সাকারা সে কভু
    		সকল জাতির উপাস্য সে প্রভু,
    	নয় সে নারী নয় সে পুরুষ, সর্বলোকে তাঁহার ধাম।।
    

    ১. দেয় রে ধরা।

  • আমার মানস-বনে ফুটেছে রে

    বাণী

    আমার	মানস-বনে ফুটেছে রে শ্যামা-লতার মঞ্জরি।
    সেই	মঞ্জু-বনে ফির্‌ছে রে তাই ভক্তি-ভ্রমর গুঞ্জরি।।
    	সেথা	আনন্দে দেয় করতালি
    		প্রেমের কিশোর বনমালী,
    সেই	লতামূলে শিবের জটার গঙ্গা ঝরে ঝর্ঝরি।।
    	কোটি তরু শাখা মেলি’ এই সে-লতার স্পর্শ চায়,
    	শিরে ধ’রে ধন্য হ’তে এই শ্যামারই শ্যাম শোভায়।
    		এই লতারই ফুল-সুবাসে
    		কোটি চন্দ্র সূর্য আসে১ নীল আকাশে,
    এই	লতার ছায়ায় প্রাণ জুড়াতে ত্রিলোক আছে প্রাণ ধরি’।।
    

    ১. হাসে

  • আমার সকল আকাশ ভ'রলো

    বাণী

    আমার সকল আকাশ ভ'রলো তোমার তনুর কমল-গন্ধে
    আমার বন-ভবন ঘিরল মধুর কৃষ্ণ-মকরন্দে।।
    	এলামেলো মলয় বহে
    	বন্ধু এলো, এলো কহে
    উজ্জ্বল হ'ল আমার ভুবন তোমার মুখ-চন্ধে।।
    আমার দেহ-বীণায় বাজে তোমার চরণ-নূপুর-ছন্দ
    সকল কাজে জাগে শুধু অধীর আনন্দ।
    	আমার বুকের সুখের মাঝে
    	তোমার উদাস বেণু বাজে
    তোমার ছোওয়ায় আবেশ জাগে ব্যাকুল বেণীর বন্ধে।।
    
  • আমার হাতে কালি মুখে কালি

    বাণী

    আমার হাতে কালি মুখে কালি, মা 
    আমার কালিমাখা মুখ দেখে মা 
    পাড়ার লোকে হাসে খালি।। 
    মোর লেখাপড়া হ’ল না মা, 
    আমি ‘ম’ দেখিতেই দেখি শ্যামা, 
    আমি ‘ক’ দেখতেই কালী ব’লে 
    নাচি দিয়ে করতালি।। 
    কালো আঁক দেখে মা ধারাপাতের 
    ধারা নামে আঁখি পাতে, 
    আমার বর্ণ পরিচয় হ’লো না মা 
    তোর বর্ণ বিনা কালী। 
    যা লিখিস মা বনের পাতায় 
    সাগর জলে আকাশ খাতায়, 
    আমি সে লেখা তো পড়তে পারি 
    মূর্খ বলে দিক্‌ না গালি মা, 
    লোকে মূর্খ ব’লে দিক্‌ না গালি।। 
    
  • আমার হৃদয় অধিক রাঙা

    বাণী

    আমার	হৃদয় অধিক রাঙা মা গো রাঙা জবাব চেয়ে,
    আমি		সেই জবাতে ভবানী তোর চরণ দিলাম ছেয়ে॥
    		মোর বেদনার বেদির ‘পরে
    		বিগ্রহ তোর রাখবো ধ‘রে
    পাষাণ দেউল সাজে না — তোর আদরিণী মেয়ে॥
    স্নেহ পূজার ভোগ দেবো মা, অশ্রু-পূজাঞ্জলি,
    অনুরাগের থালায় দেবো ভক্তি-কুসুম-কলি।
    		অনিমেষ আঁখির বাতি
    		রাখবো জ্বেলে দিবস রাতি,
    তোর		রূপ হবে মা আরও শ্যামা (আমার) অশ্রুজলে নেয়ে॥
    
  • আমার হৃদয় মন্দিরে ঘুমায় গিরিধারী

    বাণী

    আমার হৃদয় মন্দিরে ঘুমায় গিরিধারী।
    জাগে আমার জাগ্রত প্রেম দুয়ারে তার দ্বারী ॥
    	কানু আমার বুকে ঘুমায় -
    	ভক্তি জেগে চামর ঝুলায়,
    শিয়রে দীপ আমার আঁখি, প্রীতি দাসী তারি ॥
    চোরের মত মোর গুরুজন ঘুরুক কাছে কাছে -
    আমি তাদের ভয় করিনে, (আমার) প্রেম যে জেগে আছে।
    	আধেক রাতে নিরালাতে
    	জাগবে হরি, ধরবে হাতে,
    ওগো ধ্যান করে গো সেই আশাতে এ প্রাণ রাধা-প্যারী ॥
    

  • আমার হৃদয় হবে রাঙাজবা

    বাণী

    আমার	হৃদয় হবে রাঙাজবা দেহ বিল্বদল,
    মুক্তি		পাবো ছুঁয়ে মুক্তকেশীর চরণতল॥
    মোর		বলির পশু হবে সর্বকাম,
    মোর		পূজার মন্ত্র হবে মায়ের নাম,
    মোর		অশ্রু দেবো মা’র চরণে সেই তো গঙ্গাজল॥
    মোর		আনন্দ মাকে দেবো তাই হবে চন্দন,
    মোর		পুষ্পাঞ্জলি হবে আমার প্রাণ মন।
    মোর		জীবন হবে আরতি-দীপ,
    মোর		গুরু হবেন শঙ্কর-শিব,
    মোর		কাঁটার জ্বালা পদ্ম হবে শুভ্র সুনির্মল॥
    
  • আমার হৃদয়-শামাদানে জ্বালি’

    বাণী

    আমার হৃদয়-শামাদানে জ্বালি’ মোমের বাতি।
    নবীজী গো! জেগে’ আমি কাঁদি সারা রাতি।।
    	আস্‌মানেরই চাঁদোয়া-তলে
    	চাঁদ-সেতারার পিদিম১ জ্বলে,
    ওরাও যেন খোঁজে তোমায় আমার দুঃখের সাথি২।।
    দিনের কাজে পাই না সময় যাই নিরালা রাতে,
    তোমায় পাওয়ার পথ খুঁজি গো কোরানের আয়াতে।
    	তোমায় পেলে পাব খোদায়
    	তাই শরণ যাচি তোমারি পায়,
    পাওয়ার আশে জেগে থাকি প্রেমের শয্যা পাতি’।।
    	ঝর্‌লে পাতা, ডাক্‌লে পাখি,
    	চম্‌কে ভাবি, তুমি নাকি?
    মস্‌জিদে যাই গভীর রাতে খুঁজি আঁতিপাঁতি।।
    রোজ-হাশরে দেখা পাব মোরে সবাই বলে;
    তোমার বিহনে আমার ঘুম নাই নয়নে,
    মোর জীবনে রোজ-কিয়ামত আসে প্রতি পলে।
    বিষের সমান লাগে আমার দুনিয়ার যশ-খ্যাতি।।
    

    ১. চেরাগ ২. ওরা আমার দুখের সাথি

  • আমি অলস উদাস আন্‌মনা

    বাণী

    আমি	অলস উদাস আন্‌মনা।
    আমি	সাঁঝ-আকাশে শান্ত নিথর রঙীন্ মেঘের আল্‌পনা।।
    		অলস যেমন বনের ছায়া
    		নীড়ের পাখি শ্রান্ত-কায়া,
    	যেমন অলস তৃণের মুখে ভোরের শিশির হিম-কণা।।
    	নদীর তীরে অলস রাখাল একলা ব’সে রয় যেমন,
    	তেমনি অলস উদাস আমি রই ব’সে রই অকারণ।
    		যেমন অলস দীঘির জলে
    		থির হ’য়ে রয় কমল-দলে,
    	নিতল ঘুমে স্বপন সম অলস আমি কল্পনা।।
    
  • আমি আছি ব'লে দুখ পাও তুমি

    বাণী

    আমি আছি  ব'লে দুখ পাও তুমি তাই আমি যাব চ'লে
    এবার ঘুমাও প্রদীপের কাজ শেষ হয়ে গেছে জ্ব'লে।।
    	আর আসিবে না কোন অশান্তি
    	আর আসিবে না ভয়ের ভ্রান্তি
    আর ভাঙিব না ঘুম নিশীথে গো 'জাগো প্রিয়া জাগো' বলে।।
    হয়তো আবার সুদূর শূন্য আকাশে বাজিবে বাশিঁ,
    গোপী-চন্দন গন্ধ আসিবে বাতায়ন পথে ভাসি'।
    	চম্পার ডালে বিরহী পাপিয়া
    	'পিয়া পিয়া' বলে উঠিবে ডাকিয়া
    বৃন্দাবন কি ভাসিবে (আসিবে) সেদিন রোদন-যমুনা জলে।।
    
  • আমি গগন গহনে সন্ধ্যা-তারা

    বাণী

    আমি	গগন গহনে সন্ধ্যা-তারা
    	কনক গাঁদার ফুল গো।
    	গোধূলির শেষে হেসে উঠি আমি
    	এক নিমেষের ভুল গো।
    আমি	কণিকা,
    আমি	সাঁঝের অধরে ম্লান আনন্দ-কণিকা
    আমি	অভিমানিনীর খুলে ফেলে দেওয়া মণিকা
    আমি	দেব-কুমারীর দুল গো।।
    	আলতা রাখার পাত্র আমার আধখানা চাঁদ ভাঙা
    	তাহারি রং গড়িয়ে পরে (ঐ) অস্ত-আকাশ রাঙা।
    আমি	একমুঠো আলো কৃষ্ণা-সাঁঝের হাতে
    আমি	নিবেদিত ফুল আকাশ-নদীতে রাতে
    	ভাসিয়া বেড়াই যাঁর উদ্দেশে গো
    	তার পাই না চরণ-মূল।।
    
  • আমি চাঁদ নহি চাঁদ নহি অভিশাপ

    বাণী

    	আমি চাঁদ নহি, চাঁদ নহি অভিশাপ
    	শূন্য হৃদয়ে আজো নিরাশায় আকাশে করি বিলাপ।।
    		শত জনমের অপূর্ণ সাধ ল'য়ে
    আমি	গগনে কাদিঁ গো ভুবনের চাঁদ হয়ে
    	জোছনা হইয়া ঝরে গো আমার অশ্রু বিরহ-তাপ।।
    	কলঙ্কহয়ে বুকে দোলে মোর তোমার স্মৃতির ছায়া
    	এত জোছনায় ঢাকিতে পারিনি তোমার মধুর মায়া।
    		কোন সে সাগর মন্থন শেষে মোরে
    		জড়াইয়া যেন উঠেছিলে প্রেমভরে
    হায়	তুমি গেছ চলে বুকে তবু দোলে তব অঙ্গের ছাপ।।
    
  • আমি চিরতরে দূরে চলে যাব

    বাণী

    আমি চিরতরে দূরে চলে যাব
    তবু আমারে দেব না ভুলিতে
    আমিবাতাস হইয়া জড়াইব কেশ
    বেণী যাবে যবে খুলিতে।।
    তোমার সুরের নেশায় যখন
    ঝিমাবে আকাশ কাঁদিবে পবন
    রোদন হইয়া আসিব তখন
    তোমার বক্ষে দুলিতে।।
    আসিবে তোমার পরমোৎসব —
    কত প্রিয়জন কে জানে,
    মনে প’ড়ে যাবে কোন্‌ সে ভিখারি
    পায়নি ভিক্ষা এখানে।
    তোমার কুঞ্জ-পথে যেতে হায় 
    চমকি’ থামিয়া যাবে বেদনায়
    দেখিবে কে যেন ম’রে মিশে আছে
    তোমার পথের ধূলিতে।। 
    
  • আমি দেখন-হাসি

    বাণী

    আমি দেখন-হাসি
    আমায়দেখ্‌লে পরে হাসতে হাসতে পেয়ে যাবে কাশী।।
    আমিহাসির হাঁসলী ফিরি করি এলে আমার হাসির দেশে
    বুড়োরা সব ছোঁড়া হয়, আর ছোঁড়ারা যায় টেসে।
    আমারহাস-খালিতে বাড়ি, আমি হাস্নু হানার মাসি।।
    এলেআমার হাসির হেঁসেলে তার হাঁসফাঁসানি লেগে
    অন্তে শুধু দন্ত থাকে শরীরটা যায় ভেগে।
    (আমি)পাতি হাঁসির আন্ডা বেচি আর হাসির ময়দা খাঁসি।।
    সেদিন পথে যাচ্ছিল সব রাজার হাতি ঘোড়া উট
    তারা না আমায় দেখি হাসতে হাসতে
    ‘চোঁ চোঁ চোঁ’ এই না বলি’ অমনি দিলে ছুট
    হেসে পালিয়ে গেল দড়ি ছিঁড়ে মটরু মিঞার খাসি।।
    
  • আমি দ্বার খুলে আর রাখব না

    বাণী

    আমি দ্বার খুলে আর রাখব না, পালিয়ে যাবে গো।
    জানবে সবে গো, নাম ধরে আর ডাকব না।।
    	এবার পূজার প্রদীপ হয়ে
    	জ্বলবে আমার দেবালয়ে,
    জ্বালিয়ে যাবে গো — আর আঁচল দিয়ে ঢাকব না।।
    হার মেনেছি গো, হার দিয়ে আর বাঁধব না।
    দান এনেছি গো, প্রাণ চেয়ে আর কাঁদব না।
    	পাষাণ, তোমায় বন্দী ক’রে
    	রাখব আমার ঠাকুর ঘরে,
    রইব কাছে গো — আর অন্তরালে থাকব না।।
    
  • আমি নূতন ক’রে গড়ব ঠাকুর

    বাণী

    আমি নূতন ক’রে গড়ব ঠাকুর কষ্টি পাথর দে মা এনে।
    দিব হাতে বাঁশি মুখে হাসি ডাগর চোখে কাজল টেনে।।
    মথুরাতে আর যাবে না, মা যশোদায় কাঁদাবে না,
    রইবে ব্রজগোপীর কেনা, চলবে রাধার আদেশ মেনে।।
    শ্রীচরণ তার গড়ব না মা, গড়লে চরণ পালিয়ে যাবে
    নাইবা শুনলে নূপুর-ধ্বনি, ঠাকুরকে তো কাছে পাবে।
    চরণ পেলে দেশে দেশে, কুরুক্ষেত্র বাঁধাবে সে —
    গন্ধমালা দিসনে মাগো, ভক্ত ভ্রমর ফেলবে জেনে।।
    	দেখে কখন করবে চুরি
    	একলা ঘরে মরব ঝুরি,
    গন্ধমালা দিসনে মাগো, ভক্ত ভ্রমর ফেলবে জেনে।।
    
  • আমি বাঁধন যত খুলিতে চাই

    বাণী

    আমি	বাঁধন যত খুলিতে চাই জড়িয়ে পড়ি তত।
    	শুভদিন এলো না দিনে দিনে দিন হল হায় গত।।
    		শত দুঃখ অভাব নিয়ে
    		জগৎ আছে জাল বিছিয়ে
    	অসহায় এ পরান কাঁদে জালে মীনের মত।।
    	বোঝা যত কমাতে চাই ততই বাড়ে বোঝা,
    	শান্তি কবে পাব কবে চল্‌ব হয়ে সোজা।
    		দাও ব’লে হে জগৎ-স্বামী
    		মুক্তি কবে পাব আমি?
    কবে	উঠবে ফুটে জীবন আমার ভোরের ফুলের মত।।
    
  • আমি বেলপাতা জবা দেব না

    বাণী

    আমি	বেলপাতা জবা দেব না মাগো দেব শুধু আঁখিজল।
    	মাগো হাত দিয়ে যাহা দেওয়া যায়, পাই হাতে শুধু তার ফল।।
    	হাত দিয়ে ফল দিতে যাই
    	(মাগো) হাতে হাতে তার ফল পাই,
    	পাই অর্থ বিভব যশ
    	পাই না অমৃত আনন্দ মাগো, পাই না হৃদয়ে রস।
    	তাই আঁখিতে রাখিব ব’লে মা আনিয়াছি আঁখি ছলছল।।
    	এবার রাখিব চোখে চোখে তোরে ছাড়িয়া দেব না আর,
    	মাগো তুই চ’লে গেলে হয়ে যায় মোর ত্রিলোক অন্ধকার।
    		এবার দেখিবে নিত্য হৃদয়
    		তোর রাঙা চরণের অরুণ উদয়,
    	তাই জবা ফেলে দিয়ে মেলিয়াছি তাই হৃদয়ের শতদল।।