ধ্রুপদ

  • জয় নারায়ণ অনন্ত রূপধারী বিশাল

    বাণী

    জয় নারায়ণ অনন্ত রূপধারী বিশাল।
    কভু প্রশান্ত উদার, কভু কৃতান্ত করাল॥
    	কভু পার্থ-সারথি-হরি
    	বংশীধারী কংস-অরি,
    কভু গোপাল বনমালী কিশোর রাখাল॥
    বিপুল মহা-বিরাট কভু বৃন্দাবন-বিলাসী,
    শঙ্খ-গদা-চক্র-পাণি মুখে মধুর হাসি।
    	সৃষ্টি বিনাশে
    	লীলা-বিলাসে,
    মগ্ন তুমি আপন ভাবে অনাদিকাল॥
    
  • জয় বিবেকানন্দ সন্ন্যাসী বীর

    বাণী

    জয় বিবেকানন্দ সন্ন্যাসী বীর চির গৈরিকধারী।
    জয় তরুণ যোগী, শ্রীরামকৃষ্ণ-ব্রত-সহায়কারী।।
    	যজ্ঞাহুতির হোমশিখা সম,
    	তুমি তেজস্বী তাপস পরম
    ভারত-অরিন্দম নমো নমঃ বিশ্বমঠ বিহারী।।
    (মদ) গর্বিত বল-দর্পীর দেশে মহাভারতের বাণী
    শুনায়ে বিজয়ী ঘুচাইলে স্বদেশের অপযশ গ্লানি।
    (নব)	ভারতে আনিলে তুমি নব বেদ
    	মুছে দিলে জাতি ধর্মের ভেদ
    জীবে ঈশ্বরে অভেদ আত্মা জানাইলে হুঙ্কারি১।।
    

    ১. উচ্চারি

  • তুই জগত-জননী শ্যামা

    বাণী

    তুই জগত-জননী শ্যামা আমি কি মা জগত ছাড়া,
    কোন দোষে মা তুই থাকিতে আমি চির মাতৃহারা।।
    পুত্র অপরাধী ব'লে মা কি তারে নেয় না কোলে,
    মা শাসন করে মারে-ধরে তবু কাছ ছাড়া করে না তারা।
    কোন দোষে মা তুই থঅকিতে আমি চির মাতৃহারা।।
    ছেলের চোখে ঠুলি দিয়ে কি মা নিজেরে লুকিয়ে রাখে
    ছেলের দুঃখে মা উদাসীন দেখিনি তো এমন মাকে।
    মাতৃস্নেহ পেলে শ্যামা এমন মন্দমতি হতেম না মা
    তুই যাহারে হানিস হেলা তার কে মোছাবে নয়ন-ধারা
    কোন দোষে মা তুই থাকিতে আমি চির মাতৃহারা।।
    
  • শ্রীকৃষ্ণ মুরারী গদাপদ্মধারী

    বাণী

    শ্রীকৃষ্ণ মুরারী গদাপদ্মধারী
    মধুবন-চারী গিরিধারী ত্রিভুবন-বিহারী।।
    	লীলা-বিলাসী গোলকবাসী
    	রাধা তুলসী প্রেম-পিয়াসী
    মহা বিরাট বিষ্ণু ভূ-ভার হরণকারী।।
    	নব-নীরদ-কান্তি-শ্যাম
    	চির কিশোর অভিরাম
    রসঘন-আনন্দ-রূপ মাধব বনোয়ারী।।
    
  • হে প্রবল দর্পহারী কৃষ্ণ-মুরারি

    বাণী

    হে প্রবল দর্পহারী কৃষ্ণ-মুরারি।
    শরণাগত আর্ত-পরিত্রাণ-পরায়ণ —
    		যুগ যুগ সম্ভব নারায়ণ দানবারি।।
    ভূ-ভার হরণে এসো জনার্দন হৃষিকেশ,
    কল্কীরূপে অধর্ম নিধনে এসো দনুজারি —
    		কংসারি গিরিধারী ডাকে ভয়ার্ত নরনারী।।
    দুর্বল দীনের বন্ধু, জন-গণ ত্রাতা
    নিঃস্বের সহায় পরমেশ বিশ্ব-বিধাতা,
    		তিমির-বিদারি এসো মহা-ভারত-বিহারী।।
    এসো উৎপীড়িতের নীরব রোদনে এসো
    এসো বীরের আত্মদানে প্রাণ-উদ্বোধনে এসো,
    দেশ-দ্রৌপদীর লজ্জাহারী, দৈত্য-গর্ব-খর্ব-কারী —
    		শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী।।