ফের্‌তা

  • দয়া ক’রে দয়াময়ী ফাঁসিয়ে দে এই ভুঁড়ি

    বাণী

    [ওমা — ভুঁড়ি নিয়ে গেলাম মা — ওমা — মা-মা-মা]
    		দয়া ক’রে দয়াময়ী ফাঁসিয়ে দে এই ভুঁড়ি
    		এ ভুঁড়ি তো নয় ভূধর যেন উদর প্রদেশ জুড়ি॥
    		ক্রমেই ভুঁড়ির পরিধি মা যাচ্ছে ছেড়ে দেহের সীমা
    		আমার হাত পা রইল বাঙালি ওমা পেট হল ভোজপুরী॥
    		উপুড় হতে নারি মাগো সর্বদা চিৎপাৎ
    		ভয় লাগে কাৎ হলেই বুঝি হব কুপোকাৎ
    		শালীরা কয় হায় রে বিধি রোলার বিয়ে করলেন দিদি
    		গুঁড়ি ভেবে ঠেস দেয় কেউ কেউ দেয় সুড়সুড়ি॥
    (আর)		ভুঁড়ি চলে আগে আগে আমি চলি পিছে
    		কুমড়ো গড়ান গড়িয়ে পড়ি নামতে সিঁড়ির নীচে।
    		পেট কি ক্রমে ফুলে ফেঁপে উঠবে মাগো মাথা ছেপে
    (ওগো)	কেউ নাদা কয় কেউ গম্বুজ (বলে) কেউবা গোবর ঝুড়ি।
    		গাড়িতে মা যেই উঠেছি ভুঁড়ি লাগায় লম্ফ
    		ভুমিকম্পের চেয়েও ভীষণ আমার ভুঁড়ি কম্প।
    		সার্ট ক্রমে পেটে এঁটে গেঞ্জি হয়ে গেল সেঁটে
    		দে ভুঁড়ির ময়দা ফেটে হাত পা গুলো ছুড়ি
    		হালকা হয়ে মনের সুখে হাত পা গুলো ছুড়ি
    		এই ভুঁড়ির ময়দা ফেটে দে
    		ফায়দা কি আর এই ভুঁড়িতে ময়দা ফেটে দে
    		হালকা হয়ে মনের সুখে ওমা, হাত-পাগুলো ছুড়ি॥
    
  • দিল দোলা ওগো দিল দোলা

    বাণী

    	দিল দোলা ওগো দিল দোলা
    কোন	দখিন হাওয়া গজল-গাওয়া
    		কুসুম-ছাওয়া বনে।
    ওঠে	চমকি চমকি পরান ক্ষণে ক্ষণে।।
    	ফুল-বঁধুদের মধু যেচে' বেড়ায় হিয়া নেচে' নেচে'
    	দেখেছিলাম স্বপনে যায় পেয়েছি তায় আজকে জাগরণে।।
    	কুল ছাপিয়ে মন-তটিনী নটিনীর বেশে, দুলে' দুলে' যায় ভেসে'।
    	বস-ভুষণ আজি শাসন নাহি মানে খুশির তুফানে।
    চাই	কুঞ্জপথে ঝ'রে যেতে ঝরা ফুলের সনে।।
    

  • দে গরুর গা ধুইয়ে

    বাণী

    দে গরুর গা ধুইয়ে –
    নিয়ে ষন্ডা মার্কা গিন্নি গন্ডা তিনেক আন্ডা বাচ্চা
    ঠান্ডা মেরে গেছি দাদা তোমরা ভাব আজি আচ্ছা
    আমি থাকি বাছুর ধরে খায় অন্যে গাই দুইয়ে।
    দে গরুর গা ধুইয়ে –
    নিতি নূতন পুষ্যি (গজায়) যেন গোদের উপর গ্যাঁজ
    যেন দুম্বা ভেড়ার ন্যাজ বাবা
    (ঘরে) হাঁড়িতে ইঁদুর ডন ফেলে আর বাহিরে রসুন প্যাঁজ
    ভাই হোটেলে রসুন প্যাঁজ
    চুটকে আমায় চাটনী করলে সিক্‌নি ঝরে নাক চুইয়ে।
    দে গরুর গা ধুইয়ে –
    খামচা খামচি করে নিতুই এ সংসারের সাথে
    নুন ছাল উঠে গেল প্রাণের মাথা হল আলু ভাতে
    করাত চেরা করে বরাত আমার উপর চিৎ শুইয়ে।
    দে গরুর গা ধুইয়ে –
    পাছড়ে ফেলে স্ত্রী পুত্র যেন প্যাঁচড়া আঁচড়ায়
    জিসকা ফাটে উসকা ফাটে ধোবি বসে আছড়ায়
    ন্যাংটা শিরের মন্ত্র দাদা পেয়েছি দু-কান খুইয়ে।
    দে গরুর গা ধুইয়ে — জোরেসোরে।
    
  • দে দোল্ দে দোল্‌ ওরে দে দোল্‌

    বাণী

    দে দোল্‌ দে দোল্‌ ওরে দে দোল্‌ দে দোল্‌
    জাগিয়াছে ভারত সিন্ধু তরঙ্গে কল-কল্লোল।।
    পাষাণ গলেছে রে অটল টলেছে রে
    জেগেছে পাগল রে ভেঙেছে আগল।।
    বন্ধন ছিল যত হল খানখান রে
    পাষাণ পুরীতে ডাকে জীবনেরি বান রে
    মৃত্যু ক্লান্ত আজি কুড়াইয়া প্রাণ রে
    দুর্মদ যৌবন আজি উতরোল।।
    অভিশাপ রাত্রির আয়ু হল ক্ষয় রে
    আর নাহি অচেতন আর নাহি ভয় রে
    আজও যাহা আসেনি আসিবে সে জয় রে
    আনন্দ ডাকে দ্বারে খোল দ্বার খোল।।
    
  • নতুন খেজুর রস এনেছি মেটে কলস ভ'রে

    বাণী

    নতুন খেজুর রস এনেছি মেটে কলস ভ'রে
    ভিন গাঁ হতে এনে গো রস-পিয়াসি
    ও আমার রস-পিয়াসি রসিক জনের তরে।।
    	মিঠে রোদে শীতের দিনে
    	তরুণ-বঁধূ লও গো কিনে
    ফাগুন-হাওয়া বইবে প্রাণে, ওগো হালকা নেশার ঘোরে।।
    মলিন মুখে দিয়ে দেখ নলিন খেজুর-গুড়
    বাহির-ভিতর হবে তাহার মিষ্টিতে ভরপুর
    	ওগো মিষ্টিতে ভরপুর।
    	মোর তনুর চেয়ে অনেক বেশি
    	মধুর এ রস ও বিদেশি,
    রস না পিয়েও ঝিমিয়ো না গো নেশায় অমন ক'রে।।
    

  • নন্দকুমার বিনে সই আজি বৃন্দাবন অন্ধকার

    বাণী

    নন্দকুমার বিনে সই আজি বৃন্দাবন অন্ধকার
    				নাহি ব্রজে আনন্দ আর।
    যমুনার জল দ্বিগুণ বেড়েছে ঝরি’ গোকূলে অশ্রুধার।।
    শীতল জানিয়া মেঘ-বরণ শ্যামের শরণ লইয়া সই
    তৃষিতা চাতকী জ্বলে মরি হায় বিরহ-দাহনে ভস্ম হই।
    শীতল মেঘে অশনি থাকে
    কে জানিত সখি সজল কাজল শীতল মেঘে অশনি থাকে।
    ব্রজে বাজে না বেণু আর চরে না ধেনু
    (আর) পড়ে না গোকুলে শ্যাম চরণ রেণু
    তার ফেলে যাওয়া বাঁশি নিয়ে শ্রীদাম সুদাম
    ধায় মথুরার পথে আর কাঁদে অবিরাম।
    কৃষ্ণে না হেরি দূর বন পার উড়ে গেছে শুক সারি
    কৃষ্ণ যেথায় সেই মথুরায় চলো যাই ব্রজনারী।।
    
  • নব কিশলয়-রাঙা শয্যা পাতিয়া

    বাণী

    নব কিশলয়-রাঙা শয্যা পাতিয়া
    বালিকা-কুঁড়ির মালিকা গাঁথিয়া
    আমি একেলা জাগি রজনী
    বঁধু,এলো না তো কই সৃজনী,
    বিজনে বসিয়া রচিলাম বৃথা
    বনফুল দিয়া ব্যজনী।
    কৃষ্ণচূড়ার কলিকা অফুট
    আমি তুলি আনিবৃথা রচিনু মুকুট,
    মোর হৃদয়ের রাজা এলো না,
    মোর হৃদি-সিংহাসন শূন্য রহিল
    আমি যাহার লাগিয়া বাসর সাজাই
    সে ভাবে মিছে এ খেলনা (সখি)।
    সে-যে জীবন লইয়া খেলা করে সখি,
    আমি মরণের তীরে ব'সে তা'রে ডাকি
    হেসে যায় বঁধু আনঘরে
    সে-যে জীবন লইয়া খেলা করে।
    সে-যে পাষাণের মুরতি বৃথা পূজা-আরতি
    	নিবেদন করি তার পায়:
    সাধে কি গো বলে সবে পাষাণ গলেছে কবে?
    	তবু মন পাষাণেই ধায় (সখি রে)।
    আমি এবার মরিয়া পুরুষ হইব,বঁধু হবে কুলবালা
    দিয়ে তারে ব্যথা যাব যথাতথা বুঝিবে সেদিন কালা,
    বিরহিণীর কি যে জ্বালা তখনি বুঝিবে কালা।
    দিয়ে তারে ব্যথা যাব যথাতথা বুঝিবে সেদিন কালা।।
    

  • নবীর মাঝে রবির সম আমার মোহাম্মদ রসুল

    বাণী

    নবীর মাঝে রবির সম আমার মোহাম্মদ রসুল।
    খোদার হবিব দীনের নকিব বিশ্বে নাই যার সমতুল।।
    	পাক আরশের পাশে খোদার
    	গৌরবময় আসন যাঁহার,
    খোশ-নসীব উম্মত আমি তাঁর (আমি) পেয়েছি অকূলে কূল।।
    	আনিলেন যিনি খোদার সালাম;
    	তাঁর কদমে হাজার সালাম;
    ফকির দরবেশ জপি' সেই নাম (সবে) ঘর ছেড়ে হলো বাউল।।
    	জানি, উম্মত আমি গুনাহগার
    	হবো তবু পুলসরাত পার;
    আমার নবী হযরত আমার করো মোনাজাত কবুল।।
    
  • না মিটিতে মনোসাধ যেয়ো না হে শ্যামচাঁদ

    বাণী

    	না মিটিতে মনোসাধ যেয়ো না হে শ্যামচাঁদ
    	আঁধার করিয়া ব্রজধাম, সখা হে —।
    	সোনার বরনী রাই অঙ্গে মাখিয়া ছাই
    	দিশা নাই কাঁদে অবিরাম, সখা হে —।।
    	অবিরাম কাঁদে রাই
    	তারে কাঁদায় যে তারি তরে
    	অবিরাম কাঁদে সখা হে।
    	এখনো মাধবী-লতা
    	কহেনি কুসুম-কথা
    		জড়াইয়া তরুর গলে,
    	এখনো ফোটেনি ভাষা
    	আধ-ফুট ভালোবাসা
    		ঢাকা লাজ পল্লব-তলে।
    		বলা হলো না,হলো না,
    	বুকের ভাষা মুখে বলা যে হলো না।
    সখা	আমরা নারী, বলতে নারি!
    	দুঃখের কথা মুখে বলতে নারি
    	নয়ন জলে গলতে পারি
    	তবু মুখে বলতে নারি
    	মরণ-কোলে ঢলতে পারি
    সখা	মুখ ফুটে তবু বলতে নারি, সখা হে —
    	নবীন নীরদ-বরণ শ‍্যাম জানিতাম মোরা তখনি,
    ঐ	করুণ সজল কাজল মেঘে থাকে গো ভীষণ অশনি।
    	তুমি আগুন জ্বালিলে,
    ওহে	নিরদয়! বুকে কেন আগুন জ্বালিলে।
    বুকে	আগুন জ্বালায়ে চোখে সলিল ঢালিলে।
    তাহে	আগুন নেভে কি?
    	চোখেরি জলে ডুবে আগুন নেভে কি
    	সথা হে- আগুন নেভে কি।।
    
  • নাইয়া ধীরে চালাও তরণী

    বাণী

    	নাইয়া! ধীরে চালাও তরণী
    	একে ভরা ভাদর তায় বালা মাতোয়ালা মেঘলা রজনী।।
    	হায় পারে নেওয়ার ছলে নিলে মাঝ নদীতে
    	যৌবন-নদী টলমল নারি রোধিতে
    ঐ	ব্যাকুল বাতাস হরি’ নিল লাজ বাস
    তায়	চঞ্চল-চিত যে তুমি চাহ বধিতে
    	পায়ে ধরি ছাড়, বঁধু আমি পরের ঘরের ঘরণী।।
    	তরঙ্গ ঘোর রঙ্গ করে, অঙ্গে লাগে দোল্
    	একি এ নেশার ঘোরে তনু মন আঁখি লোল্।
    	দুলিছে নদী দুলে বায়ু দুলিছে তরী
    	কেমনে থির রাখি মোর চিত উতরোল ।
    	ওঠে ডিঙি পান্‌সি ভরি’ বারি কি করি কিশোরী রমণী।।
    
  • নাচন লাগে ঐ তরুলতায় পাতায় ফুলে

    বাণী

    নাচন লাগে ঐ তরুলতায় পাতায় ফুলে।
    ফুল-সৌখিন দখিন হাওয়া নাচে দু’লে দু’লে।।
    নাচে অথির-মতি রঙিন-পাখা প্রজাপতি,
    বন দুলায়ে মন ভুলায়ে, ঝিল্লি-নূপুর বাজায়ে
    নাচে বনে নিশীথিনী এলোচুলে।।
    মৃণাল-তনু কমল নাচে এলোখোঁপায় নীল জলে,
    ঝুমুর ঝুমুর ঘুমুর বাজে নির্ঝর পাষাণ-তলে।
    বাদ্ল হাওয়ায় তাল্‌বনা ঐ বাজায় চটুল্ দাদ্‌রা তাল,
    নদীর ঢেউ-এ মৃদঙ বাজে, পান্‌সি নাচে টাল্‌মাটাল্।
    নেচে চেনে গ্রহতারা দিশাহারা নটরাজের নাট-দেউলে।।
    
  • নীপ-শাখে বাঁধো ঝুলনিয়া

    বাণী

    	নীপ-শাখে বাঁধো ঝুলনিয়া,
    	কাজল-নয়না শ্যামলিয়া॥
    	মেঘ-মৃদঙ্গ তালে শিখী নাচে ডালে-ডালে।
    	মল্লার গান গাহিছে পবন পূরবিয়া॥
    	কেতকী কেশরে কুন্তল করো সুরভি,
    পরো	কদম মেখলা কটি-তটে রূপ-গরবী।
    	নব-যৌবন জল-তরঙ্গে,
    	পায়ে পাঁয়জোর বাজুক রঙ্গে
    	কাজরি ছন্দে নেচে চল করতালি দিয়া॥
    
  • পথে কি দেখলে যেতে আমার

    বাণী

    পথে কি দেখলে যেতে আমার গৌর দেবতারে।
    যা’রে কোল যায় না দেওয়া, কোল দেয় সে ডেকে তারে।।
    নবীন সন্ন্যাসী সে রূপে তার পাগল করে
    আঁখির ঝিনুকে তা’র অবিরল মুক্তা ঝরে।
    কেঁদে সে কৃষ্ণের প্রেম ভিক্ষা মাগে দ্বারে দ্বারে।।
    জগতের জগাই-মাধাই মগ্ন যারা পাপের পাঁকে
    সকলের পাপ নিয়ে সে সোনার গৌর-অঙ্গে মাখে।
    উদার বক্ষে তাহার ঠাঁই দেয় সকল জাতে
    দেখেছ প্রেমের ঠাকুর সচল জগন্নাথে?
    একবার বললে হরি যায় নিয়ে সে ভবপারে।।
    
  • পরান হরিয়া ছিলে পাশরিয়া

    বাণী

    পুরুষ 	: 	পরান হরিয়া ছিলে পাশরিয়া
    		কেমনে প্রিয়া আনন্দে (হায়)।
    স্ত্রী 	: 	হায় ছিনু কি যেন স্বপনে মগ্না,
    পুরুষ 	: 	হায় আজি হবে কি এ কণ্ঠলগ্না,
    স্ত্রী 	: 	না — না — 
    পুরুষ	 : 	হায় ফুল ফুটবে নাকি এ বসন্তে,
    স্ত্রী 	: 	না — না — 
    উভয়ে 	: 	হায় বাঁশরি বাজে ব্যাকুল ছন্দে,
    		ফুল জাগানো হাওয়ার সাথে।
    পুরুষ 	: 	মালঞ্চে পাপিয়া উঠিছে ডাকয়িা
    স্ত্রী 	: 	বিরহিণী হিয়া উঠিছে কাঁপিয়া,
    পুরুষ 	: 	হৃদয় চাপিয়া থেকো না আর
    		খোল গো মনের দ্বার
    স্ত্রী 	: 	মুখে আসে না বুকের ভাষা,
    		ওগো কেমনে জানাই ভালোবাসা 
    পুরুষ 	: 	প্রেমের দরিয়া ওঠে উছলিয়া
    স্ত্রী 	: 	কে করে সে-প্রেমের আশা
    পুরুষ 	: 	চাও — চাও — 
    স্ত্রী 	: 	যাও — যাও — 
    উভয়ে 	: 	খেলিব দুজনে মানে অভিমানে
    			এমনি মধুর দ্বন্দ্বে (হায়)।।
    
  • ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায় আগুন জ্বালায়

    বাণী

    ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায় আগুন জ্বালায় জ্বলিতে আসে।
    যে-দীপশিখায় পুড়িয়া মরে পতঙ্গ ঘোরে তাহারি পাশে।।
    অথই দুখের পাথার-জলে, সুখের রাঙা কমল দোলে
    কূলের পথিক হারায় দিশা দিবস নিশা তাহারি বাসে।।
    সুখের আশায় মেশায় ওরা বুকের সুধায় চোখের সলিল
    মণির মোহে জীবন-দহে বিষের ফণির গরল-শ্বাসে।
    বুকের পিয়ায় পেয়ে হিয়ায় কাঁদে পথের পিয়া লাগি’
    নিতুই নূতন স্বর্গ মাগি’ নিতুই নয়ন জলে ভাসে।।
    

  • ফিরে যা সখি ফিরে যা ঘরে

    বাণী

    ফিরে যা সখি ফিরে যা ঘরে
    থাকিতে দে লো এ পথে পড়ে
    যে পথ ধরে গিয়াছে হরি চলি’
    আমি যাব না আর গোকুলে,
    সখি শিশিরে আর ভয় কি করি ভেসেছি যবে অকূলে
    সখি দিসনে লো দিসনে লো রাখ গোপী-চন্দন,
    চন্দনে জুড়ায় না প্রাণের ক্রন্দন।
    দ্বিগুণ বাজায় জ্বালা নব মালতী-মালা,
    ও যে মালা নয়, মনে হয় সাপিনীর বন্ধন।।
    সখি যাহার লাগিয়া বসন ভূষণ, সেই গেল যদি চলে
    কি হবে এ ছার ভূষণের ভার ফেলে দে যমুনা-জলে।
    সকলের মায়া কাটায়েছি সখি, টুটিয়াছে সব বন্ধন,
    যেতে দে আমায়, যথা মথুরায় বিহরে নন্দ-নন্দন।।
    দেখব তারে, রাজার সাজে দেখব তারে
    রাজার সাজে কেমন মানায় গো-রাখা রাখাল-রাজে।
    
  • বদ্‌না গাড়ুতে বসে মুখোমুখী

    বাণী

    বদ্না গাড়ুতে বসে মুখোমুখী দিব্বি হয়েছে ভাব!
    বদনা চাহিছে শুক্তুনী আর – চাহিছে গাড়ু কাবাব।।
    গাড়ু বলে এসো বদনা ভাইটি হোক শুভ চোখাচোখি।
    তুমি মোর হাতে পেঁয়াজ দাও আর আমি দিই হরতকি।।
    [শুনে বদনা ভাবে গদগদ হয়ে বলছেন
    ‘গাড়ুদাদা দাড়িতে একবার টিকিতে বুলাও না’]
    ও গাড়ু দাদা দাড়িতে বুলাও টিকি –
    ছুরি ও নাদ্না রাখি দোঁহে এসো আস্‌নাই করা শিখি।।
    [গাড়ু তখন ভাব জমিয়ে বলছেন]
    পাখিদের মাঝে বামুন যে রাম পাখি।
    কেননা মাথায় উহার জবা-ফুল বাঁধা টিকি
    দেখ নাকি তাহা দেখ নাকি?
    [বদনা তখন বদন ব্যাদন করে বলছেন]
    ও তো টিকি নয় দাদা ও যে তুর্কী ফেজ্।
    পাখিদের মাঝে উনি মোল্লাজী হ্যাঁদু নয় হরগেজ।।
    [গাড়ু তখন বদনার পিঠে নল বুলিয়ে বলছেন]
    হাতে দিব ক্ষীর নাড়ু ভাই, ছেড়ে দাও খাওয়া ঐ বড়টা।
    [শুনে বদনা অবাক – বল্লে]
    রে মদনা তাহলে কি দিয়ে খাইব পরটা?
    গাড়ু বলে, আহা দোস্তীর তরে ছাড়িতে হয়।
    এসা দাদা এসো জড়াজড়ি করি বদ্না গড়ায়ে কয়।।
    জড়াজড়ি থেকে গড়াগড়ি দুই নলে প্রেমবারি ঝরে।
    সেই ভাব দেখে বিদেশী কেটলী রাগে টগবগ করে।।
    

    ‘ভাই ভাই এক-ঠাঁই’

  • বঁধু হে বঁধু ফিরে এসো

    বাণী

    বঁধু হে
    বঁধু ফিরে এসো আজো প্রাণের প্রদীপ রেখেছি আঁচল ঢেকে
    বিরহ নিশাসে দীরঘ বাতাসে কেঁপে ওঠে থেকে থেকে।
    আর রাখতে নারি, নিবু নিবু দীপ রাখতে নারি
    বুঝি আমার পরান প্রদীপ নিভাবে আমারি নয়ন বারি।
    বঁধু যমুনারি তীরে আসি ফিরে ফিরে কাঁদি কদম তরু তলে
    হেরি বালুচরে বেণু আছে পড়ে ডাকে না আর রাধা বলে।
    অভিমানে বাঁশি আমার বুকে আসি’ কেঁদে কেঁদে কহে যেন গো
    হরি আরাধিকা রাধিকা এলে যদি শ্রীহরি এলো না কেন গো।
    পায়ে পড়ে কাঁদে এসে যমুনারি ঢেউ
    বলে রাধা রাধা বলে আর ডাকে না তো কেউ।
    জটিলা কুটিলা আজ কলহ ভুলে জড়াইয়া মোরে কাঁদে যমুনা কূলে।
    বলে কৃষ্ণ কই লো প্রলয়েরি কালে আর লইব কার নাম।
    এই বিরহ যমুনা পার হব কবে বল হে বিরহী মম
    গেলে কোন সে গোলকে রহিবে চোখে চোখে
    প্রিয়তম হে কৃষ্ণ আঁখি তারা সম।।
    
  • বলি মাথা খাস্ রাধে ওলো কথা শোন্

    বাণী

    আবৃত্তি:	কুমারী রাধিকা ঘোষের প্রতি শ্রীমৎ ক্যাগ বিমাতার উক্তি:
    		বলি মাথা খাস্ রাধে ওলো কথা শোন্।
    		বলি কুল আর তুই খাস্‌নে (রাধে কুল আর তুই খাস্‌নে)
    		ওলো গোকুল ঘোষের কন্যা যে তুই কুল গাছ পানে চাস্‌নে
    		(পরের কুল গাছ পানে চাস্‌নে)
    		ও কুল গাছে বড় কাঁটা
    		গায়ে অথবা পায়ে বিঁধিলে দায় হবে পথ হাঁটা
    		(রাধে গায়ে অথবা পায়ে বিঁধিলে দায় হবে পথ হাঁটা)
    		কলঙ্ক দিলি (কলঙ্ক দিলি)
    		তুই যারি তারি কুল চুরি করে খেলি
    		গোকুলের কুলে কলঙ্ক দিলি (কুলে কলঙ্ক দিলি) রাধে গো।
    		ওলো ভাবিস এখনও বয়েস হয়নি কারণ বেড়াস ফ্রক পরে।
    		ওই কুল গাছ আগলায় ভীমরুল চাক
    		(ওই কুল গাছ আগলায় ভীমরুল চাক)
    		তোর কুল খাওয়া বের হবে ফুলে হবি ঢাক
    		(ফুল হবি জয় ঢাক)।
    		বলি পড়তে নাকি কুল খেতে যাস রোজ রোজ ইস্কুলে
    		(রাধে পড়তে নাকি কুল খেতে যাস রোজ রোজ ইস্কুলে)
    		ওই কুলেরি কাঁটায় দুকুল ছিঁড়িস বেণী আঁটিস খুলে
    		(রাধে বেণী আঁটিস খুলে)
    		খাস তুই টোপা কুল খাস নারকুলে কুল
    		(খাস তুই টোপা কুল খাস নারকুলে কুল)
    		অত কুল খেয়ে রাতে পেট ডাকে কুল কুল কুল কুল।
    		ওলো কুলোতে নারি (কুলোতে নারি)
    		ওলো তোর কুল দিয়ে আর কুলোতে নারি (দিয়ে কুলোতে নারি)
    		ছিল কুলুঙ্গীতে কুলের আচার তাও খেয়েছিল কুল খোয়ারী
    		(কুলুঙ্গীর ও কুলের আচার তাও খেয়েছিস কুল খোয়ারী)।
    		ওই কুল গাছ ধরে (সখি গো রাধে গো)
    		(বহুত আচ্ছা দাদা বহুত আচ্ছা বহুত আচ্ছা)
    		ওই কুল গাছ ধরি কোলাকুলি করি ফ্যাসাদ বাধাবি শেষে
    		আর কুল ত্যাগিনী হবে কি নাশিনী কুল গাছ ভালোবেসে
    		(আর কুল ত্যাগিনী হবে কি নাশিনী কুল গাছ ভালোবেসে)॥
    
  • বাঁকা শ্যামল এলো বন-ভবনে

    বাণী

    বাঁকা শ্যামল এলো বন-ভবনে
    তার বাঁশির সুর শুনি পবনে॥
    	রাঙা সে চরণের নূপুর-রোলে রে
    	আকুল এ হৃদয় পুলকে দোলে রে
    সে নূপুর শুনি’ নাচে ময়ূর কদম তমাল-বনে॥
    	বুঝি সেই শ্যামের পরশ লাগিল
    	আমার চরণে তাই নাচন জাগিল —
    ঘিরি শ্যামে দখিন-বামে নেচে বেড়াই আপন মনে॥
    	এলো মাধবী চাঁদ গগন আঙিনায়
    	জোয়ার এসেছে তাই হৃদয় যমুনায়
    খুলিয়া গলার মালা পরাব শ্যামেরি বরণে॥