ইসলামী

  • অসীম বেদনায় কাঁদে মদিনাবাসী

    বাণী

    অসীম বেদনায় কাঁদে মদিনাবাসী।
    নিভিয়া গেল চাঁদের মুখের হাসি।।
    শোকের বাদল আছড়ে প’ড়ে
    কাঁদছে মরুর বুকের পরে,
    ব্যথার তুফানে আরব গেল ভাসি’।।
    গোলাব-বাগে গুল্‌ নাহি আজ
    			কাঁদিছে বুল্‌বুলি,
    ছাইল আকাশ অন্ধকারে
    			মরু সাহারার ধূলি।
    তরুলতা বনের পাখি,
    ‌‘কোথায় হোসেন?’ কইছে ডাকি’,
    পড়ছে ঝরে তারার রাশি।।
    

  • আজি আল কোরায়শী প্রিয় নবী এলেন ধরাধাম

    বাণী

    আজি	আল কোরায়শী প্রিয় নবী এলেন ধরাধাম
    তাঁর	কদম মোবারকে লাখো হাজারো সালাম।
    	তওরত ইঞ্জিলে মুসা ঈসা পয়গম্বর
    	বলেছিলেন আগাম যাঁহার আসারি খবর
    	রব্বুলে দায়ের যাঁহার দিয়েছিলেন নাম
    	সেই আহমদ মোর্তজা আজি এলেন আরব ধাম।।
    	আদমেরি পেশানিতে জ‍্যোতি ছিল যাঁর
    	যাঁর গুণে নূহ তরে গেল তুফান পাথার
    	যাঁর নূরে নমরুদের আগুন হলো ফুলহার
    	সেই মোহাম্মদ মুস্তাফা এলেন নিয়ে দীন-ইসলাম।।
    	এলেন কাবার মুক্তিদাতা মসজিদের প্রাণ,
    	শাফায়াতের তরী এলে পাপী তাপীর ত্রাণ
    	দিকে দিকে শুনি খোদার নামের আজান
    	নবীর রূপে এলো খোদার রহমতেরি জাম।।
    
  • আজি ঈদ্ ঈদ্ ঈদ্ খুশীর ঈদ্

    বাণী

    	আজি ঈদ্ ঈদ্ ঈদ্ খুশীর ঈদ্ এলো ঈদ্
    (যাঁর)	আসার আশায় চোখে মোদের ছিল না রে নিদ।।
    	শোন্ রে গাফিল, কি ব’লে তকবীর ঈদ্গাহে,
    (তোর)	আমানতের হিস্‌সা সাদকা দে খোদার রাহে
    	নে সাদকা দিয়ে বেহেশ্‌তে যাবার রসিদ।।
    	ঈদের চাঁদের তশ্‌তরীতে জান্নাত হ’তে
    	আনন্দেরি শিরনি এলো আসমানি পথে,
    	সেই শিরনি নিয়ে নূতন আশায় জাগবে না উম্মিদ।।
    (তোর)	পিরাহানের আতর গোলাব লাগুক রে মনে,
    (আজ)	প্রেমের দাওত্ দে দুনিয়ার সকল জনে,
    	দিলেন ঈদের মারফতে হজরত এই তাগিদ।।
    
  • আঁধার মনের মিনারে মোর

    বাণী

    আঁধার মনের মিনারে মোর হে মুয়াজ্জিন, দাও আজান
    গাফেলতির ঘুম ভেঙে দাও হউক নিশি অবসান॥
    	আল্লাহ নামের যে তক্‌বীরে
    	ঝর্না বহে পাষাণ চিরে
    শুনি’ সে তক্‌বিরের আওয়াজ জাগুক আমার পাষাণ প্রাণ॥
    জামাত ভারি জমবে এবার এই দুনিয়ার ঈদগাহে,
    মেহেদী হবেন ইমাম সেথায় রাহ্ দেখাবেন গুমরাহে।
    	আমি যেন সেই জামাতে
    	সামিল হতে পারি প্রাতে
    ডাকে আমায় শহীদ হতে সেথায় যতো নওজোয়ান॥
    
  • আবহায়াতের পানি দাও মরি পিপাসায়

    বাণী

    আবহায়াতের পানি দাও, মরি পিপাসায়
    শরণ নিলাম নবীজির মোবারক পা’য়।।
    ভিখারিরে ফিরাবে কি শূন্য হাতে,
    দয়ার সাগর তুমি যে মরু সাহারায়।।
    অন্ধ আমি আঁধারে মরি ঘুরিয়া,
    দেখাবে না-কি মোরে পথ, এই নিরাশায়।।
    যে-মধু পিয়ে রহে না ক্ষুধা তৃষ্ণা,
    মরার আগে সেই মধু দিও গো আমায়।।
    
  • আমার ধ্যানের ছবি আমার হজরত

    বাণী

    আমার ধ্যানের ছবি আমার হজরত।
    ও নাম প্রাণে মিটায় পিয়াসা,
    আমার তামান্না আমারি আশা,
    আমার গৌরব আমারি ভরসা,
    এ দীন গোনাহগার তাঁহারই উম্মত।।
    ও নামে রওশন জমীন আসমান,
    ও নামে মাখা তামাম জাহান,
    ও নামই দরিয়ায় বহায় উজান,
    ও নাম ধেয়ায় মরু ও পর্বত।।
    আমার নবীর নাম জপে নিশিদিন
    ফেরেশ্‌তা আর হুর পরী জিন্‌,
    ও নাম জপি আমার ভোমরায়
    পাবো কিয়ামতে তাঁহার শাফায়ৎ।।
    
  • আমার প্রিয় হজরত নবী কমলিওয়ালা

    বাণী

    আমার প্রিয় হজরত নবী কমলিওয়ালা
    যাঁহার রওশনীতে দীন দুনিয়া উজালা।।
    যাঁরে খুঁজে ফেরে কোটি গ্রহ তারা,
    ঈদের চাঁদে যাঁহার নামের ইশারা,
    বাগিচায় গোলাব গুল্‌ গাঁথে যাঁর মালা।।
    আউলিয়া আম্বিয়া দরবেশ যাঁর নাম
    খোদার নামের পরে জপে অবিরাম
    কেয়ামতে যাঁর হাতে কওসর-পিয়ালা।।
    পাপে-মগ্ন ধরা যাঁহার ফজিলতে
    ভাসিল সুমধুর তৌহিদ-স্রোতে,
    মহিমা যাঁহার জানেন এক আল্লাতা’লা।।
    
  • আমার মোহাম্মদের নামের ধেয়ান

    বাণী

    আমার	মোহাম্মদের নামের ধেয়ান হৃদয়ে যার রয়
    		ওগো হৃদয়ে যার রয়।
    	খোদার সাথে হয়েছে তার গোপন পরিচয়।।
    ঐ	নামে যে ডুবে আছে
    	নাই দুখ-শোক তাহার কাছে
    ঐ	নামের প্রেমে দুনিয়াকে সে দেখে প্রেমময়।।
    	যে খোশ-নসীব গিয়াছে ঐ নামের স্রোতে ভেসে'
    	জেনেছে সে কোরআন-হাদিস-ফেকা এক নিমেষে।
    		মোর নবীজীর বর-মালা,
    		করেছে যার হৃদয় আলা
    	বেহেশতের সে আশ রাখে না, তার নাই দোজখে ভয়।।
    

  • আমার যখন পথ ফুরাবে

    বাণী

    আমার যখন পথ ফুরাবে, আসবে গহীন রাতি (খোদা) —
    তখন তুমি হাত ধ'রো মোর হয়ো পথের সাথী (খোদা)।। 
    অনেক কথা হয়নি বলা, বলার সময় দিও, খোদা —
    আমার তিমির অন্ধ চোখে দৃষ্টি দিও প্রিয়, খোদা
    বিরাজ করো বুকে তোমার আরশটিকে পাতি'।।
    সারা জীবন কাটলো আমার বিরহে বঁধু,
    পিপাসিত কন্ঠে এসে দিও মিলন-মধু।
    তুমি যথায় থাকো প্রিয় সেথায় যেন যাই, খোদা
    সখা ব'লে ডেকো আমায়, দীদার যেন পাই, খোদা।
    সারা জনম দুঃখ পেলাম, যেন এবার সুখে মাতি।।
    
  • আমার হৃদয়-শামাদানে জ্বালি’

    বাণী

    আমার হৃদয়-শামাদানে জ্বালি’ মোমের বাতি।
    নবীজী গো! জেগে’ আমি কাঁদি সারা রাতি।।
    	আস্‌মানেরই চাঁদোয়া-তলে
    	চাঁদ-সেতারার পিদিম১ জ্বলে,
    ওরাও যেন খোঁজে তোমায় আমার দুঃখের সাথি২।।
    দিনের কাজে পাই না সময় যাই নিরালা রাতে,
    তোমায় পাওয়ার পথ খুঁজি গো কোরানের আয়াতে।
    	তোমায় পেলে পাব খোদায়
    	তাই শরণ যাচি তোমারি পায়,
    পাওয়ার আশে জেগে থাকি প্রেমের শয্যা পাতি’।।
    	ঝর্‌লে পাতা, ডাক্‌লে পাখি,
    	চম্‌কে ভাবি, তুমি নাকি?
    মস্‌জিদে যাই গভীর রাতে খুঁজি আঁতিপাঁতি।।
    রোজ-হাশরে দেখা পাব মোরে সবাই বলে;
    তোমার বিহনে আমার ঘুম নাই নয়নে,
    মোর জীবনে রোজ-কিয়ামত আসে প্রতি পলে।
    বিষের সমান লাগে আমার দুনিয়ার যশ-খ্যাতি।।
    

    ১. চেরাগ ২. ওরা আমার দুখের সাথি

  • আমি আল্লার ডাকে ছুটে যাই

    বাণী

    পুরুষ	:	আমি আল্লার ডাকে ছুটে যাই যবে
    		তুমি মোনাজাত কর গো নীরবে,
    স্ত্রী	:	তুমি যে খোদার দেওয়া সওগাত মম বেহেশ্‌তের সাথি।।
    পুরুষ	:	তুমি হেরেমের বন্দিনী নহ তুমি যে ঘরের বাতি।
    স্ত্রী	:	তুমি যে ঈদের চাঁদ! তব তরে জাগিয়া কাটাই রাতি।।
    পুরুষ	:	তুমি নারী আগে আনিলে ঈমান দ্বীন ইসলাম ‘পরে,
    স্ত্রী	:	তুমি যে বিজয়ী খোদার রহম আনিয়াছ জয় ক’রে!
    পুরুস	:	আজি দুর্বল মোরা তোমারে ত্যজিয়া
    স্ত্রী	:	দাঁড়াইব পাশে উঠহ জাগিয়া,
    উভয়ে	:	হাতে হাত ধরি’ চলি যদি মোরা জাগিবে নূতন জাতি —
    					দুনিয়া আবার উঠিবে মাতি’।।
    
  • আমি গরবিনী মুসলিম বালা

    বাণী

    আমি গরবিনী মুসলিম বালা
    সংসার সাহারাতে আমি গুলে লালা।।
    জ্বালায়েছি বাতি (আমি) আঁধার কাবায়
    এনেছি খুশির, ঈদে শিরনির থালা।।
    আনিয়াছি ঈমান প্রথম আমি
    আমি দিয়াছি সবার আগে মোহাম্মদে মালা।।
    কত শত কারবালা বদরের রণে
    বিলায়ে দিয়াছি স্বামী-পুত্র স্বজনে;
    জানে গ্রহ-তারা জানে আল্লাহ তালা।।
    

  • আমি বাণিজ্যেতে যাব এবার

    বাণী

    আমি	বাণিজ্যেতে যাব এবার মদিনা শহর।
    আমি	এদেশে হায় গোনাহ্গারি ছিলাম জীবন ভর।।
    	পাঞ্জেগানার বাজার যেথা বসে দিনে রাতে
    	দু’টি টাকা ‘আল্লাহ্’ ‘রসুল’ পুঁজি নিয়ে হাতে,
    কত	পথের ফকির সওদা ক’রে হ’ল সওদাগর।।
    সেথা	আজান দিয়ে কোরান প’ড়ে ফিরিওয়ালা হাঁকে
    	বোঝাই ক’রে দৌলত দেয়, যে সাড়া দেয় ডাকে
    ওগো	জানেন তাহার পাকে কা’বা খোদার অফিস্-ঘর।।১
    	বেহেশ্‌তে রোজগারের পরে ছাড়পত্র পায়,
    	পায় সে সাহস ঈমান-জাহাজ যদি ডুবে’ যায়।
    ওগো	যেতে খোদার খাস্-মহলে পায় সে সিল্‌মোহর।।
    
  • আমি মুসলিম যুবা

    বাণী

    পুরুষ	:	(আমি) মুস্‌লিম যুবা, মোর হাতে বাঁধা আলির জুল্‌ফিকার।
    স্ত্রী	:	(আমি) মুস্‌লিম নারী জ্বালিয়া চেরাগ ঘুচাই অন্ধকার।।
    পুরুষ	:	ধরিয়া রাখিতে দীনের নিশান
    		আনন্দে করি জান কোরবান,
    স্ত্রী	:	কত ছেলে মোর শহীদ হয়েছে মরুতে কারাবালার।
    				আমি নন্দিনী মা ফাতেমার।।
    পুরুষ	:	য়ুরোপ-এশিয়া-আফ্রিকা জুড়ে ছড়ানু খোদার বাণী,
    স্ত্রী	:	মোর একা গৃহ-মক্কাতে আমি আনি জম্‌জম্‌ পানি।
    পুরুষ	:	(আমি) জিনিব পৃথিবী আছে মোর আশা
    স্ত্রী	:	(আমি) প্রাণে দেই তেজ, বুকে ভালোবাসা,
    পুরুষ	:	আমি মুস্‌লিম যুবা
    স্ত্রী	:	আমি মুস্‌লিম নারী,
    উভয়ে	:	দুইধারী তলোয়ার।।
    
  • আমি যদি আরব হতাম মদিনারই পথ

    বাণী

    আমি যদি আরব হ’তাম — মদিনারই পথ।
    এই পথে মোর চ’লে যেতেন নূর নবী হজরত।।
    পয়জার তাঁর লাগত এসে আমার কঠিন বুকে,
    আমি ঝর্না হয়ে গ’লে যেতাম অম্‌নি পরম সুখে;
    সেই চিহ্ন বুকে পুরে পালিয়ে যেতাম কোহ্‌-ই-তুরে,
    দিবা নিশি করতাম তাঁর কদম জিয়ারত।।
    মা ফাতেমা খেলতো এসে আমার ধূলি ল’য়ে
    আমি পড়তাম তাঁর পায়ে লুটিয়ে ফুলের রেণু হয়ে।
    হাসান হোসেন হেসে হেসে নাচতো আমার বক্ষে এসে
    চক্ষে আমার বইতো নদী পেয়ে সে নেয়ামত।।
    
  • আমিনা দুলাল এসো মদিনায়

    বাণী

    আমিনা দুলাল এসো মদিনায় ফিরিয়া আবার, ডাকে ভুবনবাসী।
    হে মদিনার চাঁদ! জ্যোতিতে তোমার, আঁধার ধরার মুখে ফোটাও হাসি।।
    	নয়নেরই পিয়ালায় আনো হজরত
    	তরাইতে পাপীরে খোদার রহমত,
    আবার কাবার পানে ডাকো সকলে বাজায়ে মধুর কোরানের বাঁশি।।
    শোকে বেদনার পাপের জ্বালায় হের মৃত-প্রায় আজি বিশ্ব নিখিল,
    খোদার হাবিব এসে বাঁচাও বাঁচাও, বসাও খুশির হাট, তাজা কর দিল্।
    	প্রেম-কওসর দিয়ে বেহেশ্‌ত্‌ হতে
    	মেহেদীরে পাঠাও দুঃখের জগতে,
    দুনিয়া ভাসুক পুন পুণ্য-স্রোতে শোনাও আজান পাপ-তাপ-বিনাশী।।
    
  • আমিনা-দুলাল নাচে হালিমার কোলে

    বাণী

    আমিনা-দুলাল নাচে হালিমার কোলে
    তালে তালে সোনার বুকে সোনার তাবিজ দোলে।।
    সে কাঁদিলে মুক্তা ঝরে হাসলে ঝরে মানিক
    	ঈদের চাঁদে লেগে আছে সেই খুশির খানিক।
    তাঁর কচি মুখে খোদার কালাম আধো আধো বলে।।
    	দেখেছিল লুকিয়ে সে নাচ কোটি গ্রহতারা
    	আসমানে তাই ঘোরে তারা আজো দিশাহারা
    সেদিন নেচেছিল বিশ্বভুবন ইয়া মোহাম্মদ ব’লে।।
    	কোরানের আয়াতে লেখা সেই নাচেরই ছন্দ
    	তকবীরের ধ্বনিতে বাজে তাহারি আনন্দ
    আমি থাকলে সেদিন হতাম ধূলি তাঁহার পায়ের তলে।।
    

  • আমিনার কোলে নাচে হেলে দুলে

    বাণী

    আমিনার কোলে নাচে হেলে দুলে
    শিশু নবী আহমদ রূপের লহর তুলে।।
    রাঙা মেঘের কাছে ঈদের চাঁদ নাচে
    যেন নাচে ভোরের আলো গোলাব গাছে।
    চরণে ভ্রমরা গুঞ্জরে গুল ভুলে।।
    সে খুশির ঢেউ লাগে আরশ কুরসি পাশে
    হাততালি দিয়ে হুরী সব বেহেশতে হাসে
    সুখে ওঠে কেঁপে হিয়া চরণ মূলে।।
    চাঁদনি রাঙা অতুল মোহন মোমের পুতুল
    আদুল গায়ে নাচে খোদার প্রেমে বেভুল
    আল্লার দয়ার তোহ্ফা এলো ধরার কূলে।।
    
  • আয় মরু পারের হাওয়া নিয়ে যা রে

    বাণী

    আয় মরু পারের হাওয়া নিয়ে যা রে মদিনায় —
    জাত-পাক মুস্তাফার রওজা মুবারক যেথায়।।
    মরিয়া আছি দুখে মাশরেকী এই মুল্লুকে,
    পড়ব মাগরিবের নামাজ কবে খানা-এ কা'বায়।।
    হজরতের নাম তসবি করে যাব রে মিসকিন বেশে
    ইসলামের ঐ দ্বীনী ডঙ্কা বাজল প্রথম যে দেশে।
    কাঁদব ধরে মাজার শরীফ ধরে শুনব সেথায় কান পাতি, —
    নবীর মুখে তেমনি কি রে রব ওঠে 'এ্যায় উম্মতি'!
    পাক কোরানের কালাম হয়ত সেথা শোনা যায়।।
    
  • আল্লা নামের দরখ্‌তে ভাই

    বাণী

    	আল্লা নামের দরখ্‌তে ভাই ফুটেছে এক ফুল।
    তাঁরে	কেউ বলে মোস্তফা নবী, কেউ বলে রসুল।।
    	পয়গম্বর ফেরেশ্‌তা হুর পরী ফকির ওলি
    	খুঁজে জমিন আসমান ভাই দেখতে সে ফুল-কলি,
    সে-ফুল	যে দেখেছে সেই হয়েছে বেহেশ্‌তি বুলবুল।।
    	আল্লা নামের দরিয়াতে ভাই উঠলো প্রেমের ঢেউ
    তারে	কেউ বলে আমিনা দুলাল, মোহম্মদ কয় কেউ,
    সে-ঢেউ	যে দেখেছে সে পেয়েছে অকূলের কূল।।
    	আল্লা নামের খনিতে ভাই উঠেছে এক মণি
    	কোটি কোহিনূর ম্লান হয়ে যায় হেরি’ তার রোশ্‌নি,
    সেই	মণির রঙে উঠল রেঙে ঈদের চাঁদের দুল
    তারে	কেউ বলে মোস্তফা নবী, কেউ বলে রসুল।।