ইসলামী

  • তোমারি মহিমা গাই বিশ্বপালক করতার

    বাণী

    তোমারি মহিমা গাই বিশ্বপালক করতার
    করুণা কৃপার তব নাহি সীমা নাহি পার॥
    রোজ-হাশরের বিচার-দিনে তুমিই মালিক এয়্ খোদা,
    আরাধনা করি প্রভু, আমরা কেবলি তোমার॥
    সহায় যাচি তোমারি নাথ, দেখাও মোদের সরল পথ,
    সেই পথেতে চালাও খোদা বিলাও যাদের পুরস্কার।
    অবিশ্বাসী ধর্মহারা যাহারা সে ভ্রান্ত-পথ,
    চালায়ো না তাদের পথে, এই চাহি পরওয়ারদিগার॥
    

    বৈতালিক

  • তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে

    বাণী

    তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে
    মধু পূর্ণিমারি সেথা চাঁদ দোলে
    যেন ঊষার কোলে রাঙা-রবি দোলে।।
    কূল মখ্‌লুকে আজি ধ্বনি ওঠে, কে এলো ঐ
    কলেমা শাহাদাতের্‌ বাণী ঠোঁটে, কে এলা ঐ
    খোদার জ্যোতি পেশানিতে ফোটে, কে এলো ঐ
    আকাশ-গ্রহ-তারা পড়ে লুটে, কে এলা ঐ
    পড়ে দরুদ ফেরেশ্‌তা, বেহেশ্‌তে সব দুয়ার খোলে।।
    মানুষে মানুষের অধিকার দিল যে-জন
    ‘এক আল্লাহ্‌ ছাড়া প্রভু নাই’ কহিল যে-জন,
    মানুষের লাগি’ চির-দীন্‌ বেশ ধরিল যে-জন
    বাদশা ফকিরে এক শামিল করিল যে-জন
    এলো ধরায় ধরা দিতে সেই সে নবী
    ব্যথিত-মানবের ধ্যানের ছবি
    আজি মাতিল বিশ্ব-নিখিল্‌ মুক্তি-কলোরোলে।।
    
  • তোরা যারে এখনি হালিমার কাছে লয়ে

    বাণী

    তোরা যারে এখনি হালিমার কাছে লয়ে ক্ষীর সর ননী
    আমি খোয়াবে দেখেছি কাঁদিছে মা বলে আমার নয়ন-মণি॥
    	মোর শিশু আহমদে যেদিন কাঁদিয়া
    	হালিমার হাতে দিয়াছি সঁপিয়া
    সেই দিন হ’তে কেঁদে কেঁদে মোর কাটিছে দিন রজনী॥
    পিতৃহীন সে সন্তান হায় বঞ্চিত মা’র স্নেহে
    তারে ফেলে দূরে কোল খালি করে (আমি) থাকিতে পারি না গেহে।
    	অভাগিনী তার মা আমিনায়
    	মনে করে সে কি আজো কাঁদে হায়
    বলিস তাহারি আসার আশায় দিবানিশি দিন গণি॥
    
  • তৌহিদেরি বান ডেকেছে সাহারা মরুর দেশে

    বাণী

    তৌহিদেরি বান ডেকেছে সাহারা মরুর দেশে
    দুনিয়া জাহান ডুবু-ডুবু সেই স্রোতে যায় ভেসে।।
    সেই জোয়ারে আমার নবী পারের তরী নিয়ে
    'আয় কে যাবি পারে'-ডাকে দ্বারে দ্বারে গিয়ে
    যে চায় না তারেও নেয় সে নায়ে আপনি ভালবেসে।।
    পথ দেখায় সে ঈদের চাঁদের পিদিম নিয়ে হাতে
    হেসে,হেসে,দাঁড় টানে চা’র আসহাব তাঁরি সাথে।
    নামাজ-রোজার,ফুল-ফসলে শ্যামল হ’ল মরু
    প্রেমের রসে উঠল পুরে নীরস মনের তরু
    খোদার রহম এলো রে আখেরি নবীর বেশে।।
    

  • তৌহিদেরি মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম

    বাণী

    তৌহিদেরি মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম।
    ঐ নাম জপলেই বুঝতে পারি খোদায়ী কালাম —
    			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
    ঐ নামেরি রশি ধ’রে যাই আল্লার পথে,
    ঐ নামেরি ভেলা ধ’রে ভাসি নূরের স্রোতে,
    ঐ নামেরি বাতি জ্বেলে দেখি আরশের মোকাম।
    			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
    ঐ নামের দামন ধ’রে আছি আমার কিসের ভয়,
    ঐ নামের গুনে পাব (আমি) খোদার পরিচয়,
    তাঁর কদম মোবারক যে আমার বেহেশ্‌তী তাঞ্জাম।
    			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
    

  • ত্রাণ কর মওলা মদিনার উম্মত তোমার

    বাণী

    ত্রাণ কর মওলা মদিনার, উম্মত তোমার গুনাহ্‌গার কাঁদে।
    তব প্রিয় মুসলিম দুনিয়া পড়েছে আবার গুনাহের ফাঁদে।।
    	নাহি কেউ ঈমানদার, নাহি নিশান-বরদার,
    	মুসলিম জাহানে নাহি আর পরহেজগার,
    	জামাত শামিল হতে যায় না মসজিদে,
    	পড়ে নাকো কোরআন মানে না মুর্শিদে;
    ভুলিয়াছে কল্‌মা শাহাদাত, পড়ে না নামাজ ঈদের চাঁদে।।
    	নাহি দান খয়রাত, ভুলে মোহ ফাঁসে
    	মেতে আছে সবে বিভবে বিলাসে;
    	বসিয়াছে জালিম শাহী তখ্‌তে তব —
    	মজলুমের এ ফরিয়াদ আর কাহে কব,
    তলোয়ার নাহি আর, পায়ে গোলামীর জিঞ্জির বাঁধে।।
    
  • ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়

    বাণী

    ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়।
    আয় রে সাগর আকাশ বাতাস দেখ্‌বি যদি আয়।।
    ধূলির ধরা বেহেশ্‌তে আজ, জয় করিল দিল রে লাজ।
    আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়।।
    দেখ্‌ আমিনা মায়ের কোলে, দোলে শিশু ইসলাম দোলে।
    কচি মুখে শাহাদাতের বাণী সে শোনায়।।
    আজকে যত পাপী ও তাপী, সব গুনাহের পেল মাফী।
    দুনিয়া হতে বে-ইনসাফী জুলুম নিল বিদায়।।
    নিখিল দরুদ পড়ে লয়ে নাম, সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম।
    জীন পরী ফেরেশ্‌তা সালাম জানায় নবীর পায়।।
    
  • দিকে দিকে পুন জ্বলিয়া উঠেছে

    বাণী

    দিকে দিকে পুন জ্বলিয়া উঠেছে দীন-ই-ইসলামী লাল মশাল।
    ওরে বে-খবর, তুইও ওঠ্‌ জেগে, তুইও তোর প্রাণ-প্রদীপ জ্বাল।।
    গাজী মুস্তফা কামালের সাথে জেগেছে তুর্কী সুর্খ-তাজ,
    রেজা পহ্‌লবী-সাথে জাগিয়াছে বিরান মুলুক ইরানও আজ
    গোলামী বিসরি’ জেগেছে মিসরী, জগলুল-সাথে প্রাণ-মাতাল।।
    ভুলি’ গ্লানি লাজ জেগেছে হেজাজ নেজদ্‌ আরবে ইবনে সউদ্‌
    আমানুল্লার পরশে জেগেছে কাবুলে নবীন আল-মামুদ,
    মরা মরক্কো বাঁচাইয়া আজি বন্দী করিম রীফ্‌-কামাল।।
    জাগে ফয়সল্‌ ইরাক আজমে, জাগে নব হারুন-আল্‌-রশীদ,
    জাগে বয়তুল মোকাদ্দস্‌ রে; জাগে শাম দেখ্‌ টুটিয়া নিদ
    জাগে না কো শুধু হিন্দের দশ কোটি মুসলিম বে-খেয়াল।।
    মোরা আস্‌হাব কাহাফের মত হাজারো বছর শুধু ঘুমাই,
    আমাদেরি কেহ ছিল বাদশাহ্‌ কোন কালে; তার করি বড়াই,
    জাগি যদি মোরা, দুনিয়া আবার কাঁপিবে চরণে টাল্‌মাটাল।।
    
  • দূর আজানের মধুর ধ্বনি বাজে বাজে

    বাণী

    দূর আজানের মধুর ধ্বনি বাজে বাজে মসজিদেরই মিনারে।
    এ কী খুশির অধীর তরঙ্গ উঠলো জেগে’ প্রাণের কিনারে।।
    মনে জাগে হাজার বছর আগে
    	ডাকিত বেলাল এমনি অনুরাগে,
    তাঁর খোশ এলেহান, মাতাইত প্রাণ গলাইত পাষাণ ভাসাইত মদিনারে
    		প্রেমে ভাসাইত মদিনারে।।
    তোরা ভোল গৃহকাজ, ওরে মুসলিম থাম
    চল খোদার রাহে, শোন, ডাকিছে ইমাম।
    মেখে’ দুনিয়ারই খা, বৃথা রহিলি না-পাক,
    চল মসজিদে তুই, শোন মোয়াজ্জিনের ডাক,
    তোর জনম যাবে বিফলে যে ভাই এই ইবাদতে বিনা রে।।
    
  • দূর আরবের স্বপন দেখি

    বাণী

    দূর আরবের স্বপন দেখি বাংলাদেশের কুটির হ'তে।
    বেহোশ হয়ে চলেছি যেন কেঁদে কেঁদে কা'বার পথে।।
    হায় গো খোদা, কেন মোরে
    পাঠাইলে হায় কাঙ্গাল ক'রে;
    যেতে নারি প্রিয় নবীর মাজার শরীফ জিয়ারতে।।
    স্বপ্নে শুনি নিতুই রাতে - যেন কা'বার মিনার থেকে
    কাঁদছে বেলাল ঘুমন্ত সব মুসলিমেরে ডেকে ডেকে।
    ইয়া এলাহি ! বল সে কবে
    আমার স্বপন সফল হ'বে,
    গরিব ব'লে হব কি নিরাশ, মদিনা দেখার নিয়ামতে।।
    

  • দে জাকাত দে জাকাত তোরা

    বাণী

    	দে জাকাত, দে জাকাত, তোরা দে রে জাকাত।
    	তোর দিল্‌ খুলবে পরে ওরে আগে খুলুক হাত।।
    	দেখ পাক্‌ কোরআন শোন্‌ নবীজীর ফরমান
    	ভোগের তরে আসেনি দুনিয়ায় মুসলমান।
    তোর	একার তরে দেননি খোদা দৌলতের খেলাত।।
    তোর	দর্‌ দালানে কাঁদে ভুখা হাজারো মুসলিম
    আছে	দৌলতে তোর তাদেরও ভাগ, বলেছেন রহিম।
    	বলেছেন রহমানুর রহিম, বলেছেন রসুলে করিম।
    	সঞ্চয়ে তোর সফল হবে পাবি রে নাজাত।।
    	এই দৌলত বিভব রতন যাবে না তোর সাথে
    	হয়তো চেরাগ জ্বলবে না তোর গোরে শবেরাতে।
    	এই জাকাতের বদলাতে পাবি বেহেশ্‌তী সওগাত।।
    
  • দেখে যা রে দুল্‌হা সাজে সেজেছেন মোদের নবী

    বাণী

    দেখে যারে দুল্‌হা সাজে সেজেছেন মোদের নবী।
    বর্ণিতে সে রূপ মধুর হার মানে নিখিল কবি॥
    আওলিয়া আর আম্বিয়া সব পিছে চলে বরাতি,
    আসমানে যায় মশাল জ্বেলে গ্রহ তারা চাঁদ রবি॥
    হুর পরী সব গায় নাচে আজ, দেয় ‘মোবারকবাদ্’ আলম্,
    আর্‌শ কুর্শি ঝুঁকে পড়ে দেখতে সে মোহন ছবি॥
    আজ আরশের বাসর ঘরে হবে মোবারক রুয়ৎ,
    বুকে খোদার ইশ্ক নিয়ে নওশা ঐ আল-আরবি॥
    
  • দ্বীনের নবীজি শোনায় একাকী

    বাণী

    দ্বীনের নবীজি শোনায় একাকী কোরানের মধু-বাণী।
    আয়েশা খাতুন শোনেন বসিয়া, নয়নে ঝরিছে পানি।।
    	বে-দ্বীন দিওয়ানা হ’য়ে
    	কাঁদে যে কোরান ল’য়ে,
    বিশ্ববাসী আনিল ঈমান যে পাক কোরান মানি’।।
    চন্দ্র-তারকা-গ্রহ আদি ঐ তরুলতা মরু-বায়,
    কোরানের সেই আয়াত শুনিয়া লুটায় নবীর পায়।
    	কোরানে জাগাও ওরে
    	জ্ঞান-গরিমায় মোরে,
    মরিতে আমায় দিও গো ল’য়ে বক্ষে কোরানখানি।
    
  • ধর্মের পথে শহীদ যাহারা আমরা সেই সে জাতি

    বাণী

    ধর্মের পথে শহীদ যাহারা আমরা সেই সে জাতি
    সাম্য-মৈত্রী এনেছি আমরা বিশ্বে করেছি জ্ঞাতি।।
    পাপ-বিদগ্ধ তৃষিত ধরার লাগিয়া আনিল যাঁরা
    মরুর তপ্ত বক্ষ নিঙাড়ি শীতল শান্তি-ধারা
    উচ্চ-নীচের ভেদ ভাঙি দিল সবারো বক্ষ পাতি’।।
    কেবল মুসলমানের লাগিয়া আসেনি’ক ইসলাম
    সত্যে যে চায় আল্লায় মানে মুসলিম তারি নাম
    আমির ফকিরে ভেদ নাই — সবে ভাই, সব এক সাথি।।
    নারীরে প্রথম দিয়াছি মুক্তি, নর্‌ সম অধিকার
    মানুষের গড়া প্রাচীর ভাঙিয়া করিয়াছি একাকার।
    আধার রাতির বোরখা উতারি এনেছি আশার-ভাতি।।
    
  • নতুন ক’রে রেজওয়ান জিন্নত সাজায়

    বাণী

    নতুন ক’রে রেজওয়ান জিন্নত সাজায়
    আজ রোজায় আজ রোজায় আজ রোজায়।
    লাগল চাবি দোজখেরি দরওয়াজায়।।
    	মসজিদেরি মিনার-চুড়ে
    	আজ বেহেশতী নিশান উড়ে
    গাফলতি নাই আর কারো নামাজ কাজায়।।
    	রোজার শবেকদর রাতে
    	কোরান এলো দুনিয়াতে
    ফেরেশতা সব সালাম জানায় মোর্তজায়।।
    
  • নতুন চাঁদের তক্‌বীর শোন্‌

    বাণী

    নতুন চাঁদের তক্‌বীর শোন্‌ কয় ডেকে ঐ মুয়াজ্জিন —
    আসমানে ফের ঈদুজ্জোহার চাঁদ উঠেছে মুসলেমিন।।
    এলো স্মরণ করিয়ে দিতে ঈদুজ্জোহার এই সে চাঁদ,
    তোরা ভোগের পাত্র ফেল্‌ রে ছুঁড়ে ত্যাগের তরে হৃদয় বাঁধ।
    কোরবানি দে তোরা, কোরবানি দে।।
    প্রাণের যা তোর প্রিয়তম আজকে সে সব আন্‌,
    খোদারই রাহে আজ তাহাদের কর রে কোরবান্‌।
    কি হবে ঐ বনের পশু খোদারে দিয়ে,
    তোর কাম-ক্রোধাদি মনের পশু জবেহ্‌ কর্‌ নিয়ে।
    কোরবানি দে তোরা, কোরবানি দে।।
    বিলিয়ে দেওয়ার খুশির শিরনি তশ্‌তরিতে আন,
    পর্‌ রে তোরা সবাই ত্যাগের রঙিন পিরহান্‌।
    মোদের যা কিছু প্রিয় বিলাব সবে
    নবীর উম্মত তবে সকলে কবে।
    কোরবানি দে তোরা, কোরবানি দে।।
    
  • নবীর মাঝে রবির সম আমার মোহাম্মদ রসুল

    বাণী

    নবীর মাঝে রবির সম আমার মোহাম্মদ রসুল।
    খোদার হবিব দীনের নকিব বিশ্বে নাই যার সমতুল।।
    	পাক আরশের পাশে খোদার
    	গৌরবময় আসন যাঁহার,
    খোশ-নসীব উম্মত আমি তাঁর (আমি) পেয়েছি অকূলে কূল।।
    	আনিলেন যিনি খোদার সালাম;
    	তাঁর কদমে হাজার সালাম;
    ফকির দরবেশ জপি' সেই নাম (সবে) ঘর ছেড়ে হলো বাউল।।
    	জানি, উম্মত আমি গুনাহগার
    	হবো তবু পুলসরাত পার;
    আমার নবী হযরত আমার করো মোনাজাত কবুল।।
    
  • নাই হ'ল মা বসন ভূষণ এই ঈদে আমার

    বাণী

    নাই হ'ল মা বসন ভূষণ এই ঈদে আমার।
    আল্লা আমার মাথার মুকুট রসুল গলার হার।।
    নামাজ রোজার ওড়না শাড়ি, ওতেই আমায় মানায় ভারি,
    কল্‌মা আমার কপালে টিপ, নাই তুলনা তার।।
    হেরা গুহারই হীরার তাবিজ, কোরান বুকে দোলে
    হাদিস্‌ ফেকাহ্‌ বাজুবন্দ্‌ দেখে পরাণ ভোলে।
    হাতে সোনার চুড়ি যে মা, হাসান হোসেন মা ফাতেমা,
    মোর অঙ্গুলিতে অঙ্গুরি, মা নবীর চার ইয়ার।।
    
  • নাম মোহাম্মদ বোল রে মন

    বাণী

    নাম মোহাম্মদ বোল রে মন নাম আহমদ বোল।
    যে নাম নিয়ে চাঁদ-সেতারা আস্‌মানে খায় দোল।।
    	পাতায় ফুলে যে নাম আঁকা
    	ত্রিভুবনে যে নাম মাখা,
    যে নাম নিতে হাসিন ঊষার রাঙে রে কপোল।।
    	যে নাম গেয়ে ধায় রে নদী,
    	যে নাম সদা গায় জলধি,
    যে নাম বহে নিরবধি পবন হিল্লোল।।
    	যে নাম রাজে মরু-সাহারায়,
    	যে নাম বাজে শ্রাবণ-ধারায়,
    যে নাম চাহে কাবার মসজিদ — মা আমিনার কোল।।
    
  • নামাজ পড় রোজা রাখ কল্‌মা পড় ভাই

    বাণী

    নামাজ পড়, রোজা রাখ, কল্‌মা পড় ভাই।
    তোর আখেরের কাজ করে নে, সময় যে আর নাই।।
    	সম্বল যার আছে হাতে
    	হজ্বের তরে যা কা'বাতে,
    জাকাত দিয়ে বিনিময়ে শাফায়াত যে পাই।।
    ফরজ তরক্ ক'রে কর্‌লি করজ ভবের দেনা,
    আল্লাহ ও রসুলের সাথে হ'ল না তোর চেনা। 
    	পরানে রাখ কোরআন বেঁধে,
    	নবীরে ডাক কেঁদে কেঁদে্‌
    রাত্রি দিন তুই কর মোনাজাত — আল্লাহ্ তোমায় চাই।।