যোগিয়া মিশ্র

  • ঘুমাও ঘুমাও দেখিতে এসেছি

    বাণী

    ঘুমাও,ঘুমাও,দেখিতে এসেছি ভাঙাতে আসিনি ঘুম
    কেউ জেগে কাঁদে,কারো চোখে নামে নিদালির মৌসুম॥
    	দেখিতে এলাম হ'য়ে কুতুহলী
    	চাঁপা-ফুল দিয়ে তৈরী পুতুলী
    দেখি,শয্যায় স্তূপ হ'য়ে আছে জোছনার কুমকুম
    আমি নই, ঐ কলঙ্কী চাঁদ নয়নে হেনেছে চুম্ ।।
    রাগ করিও না, অনুরাগ হ'তে রাগ আরো ভালো লাগে,
    তৃষ্ণাতুরের কেউ জল চায় কেউ বা শিরাজি মাগে।
    	মনে কর, আমি লোলুপ বাতাস
    	চোর-জোছনা, ফুলের সুবাস
    ভয় নাই, আমি চলে যাই ডাকি' নিশীথিনী নিঃঝুম।।
    
  • জাগো হে রুদ্র জাগো রুদ্রাণী

    বাণী

    জাগো হে রুদ্র, জাগো রুদ্রাণী,
    কাঁদে ধরা দুখ-জরজর!
    জাগো গৌরী, জাগো হর।।
    আজি শস্য-শ্যামা তোদের বন্যা
    অন্নবস্ত্র হীনা অরণ্যা
    সপ্ত সাগর অশ্রু-বন্যা,
    কাঁপিছে বুক থর থর।।
    আর সহিতে পারি না অত্যাচার,
    লহ এ অসহ ধরার ভার।
    গ্রাসিল বিশ্ব লোভ-দানব,
    হা হা স্বরে কাঁদিছে মানব,
    জাগো ভৈরবী জাগো ভৈরব
    ত্রিশূল খড়গ ধর ধর।।
    
  • দিতে এলে ফুল হে প্রিয়

    বাণী

    দিতে এলে ফুল,হে প্রিয়,কে আজি সমাধিতে মোর?
    এতদিনে কি আমারে পড়িল মনে মনচোর।।
    জীবনে যারে চাহনি তাহারে ঘুমাইতে দাও।
    মরণ-পারে ভেঙো না,ভেঙো না তাহার ঘুম-ঘোর।।
    দিতে এসে ফুল কেঁদো না প্রিয় মোর,সমাধি-পাশে
    ঝরিল যে ফুল অনাদরে হায়,নয়ন-জলে বাঁচিবে না সে!
    সামাধি-পাষাণ নহে গো তোমার সমান কঠোর।।
    কত আশা,সাধ মিশে যায় মাটির সনে
    মুকুলে ঝরে কত ফুল কীটেরি দহনে।
    কেন অসময়ে আসিলে,ফিরে যাও,মোছ আঁখি -লোর।।