যৎ

  • আদরিণী মোর কালো মেয়ে

    বাণী

    	আদরিণী মোর কালো মেয়ে রে কেমনে কোথায় রাখি।
    তারে	রাখিলে চোখে বাজে ব্যথা বুকে বুকে রাখিলে দুখে ঝুরে আঁখি।।
    	কাঙাল যেমন পাইলে রতন লুকাতে ঠাঁই নাহি পায়;
    	তেমনি আমার শ্যামা মেয়েরে জানি না রাখিব কোথায়।
    			দুরন্ত মোর এই মেয়েরে
    			বাঁধব আমি কি দিয়ে রে,
    (তাই)পালিয়ে যেতে চায় সে যবে আমি অমনি মা ব’লে ডাকি।।
    
  • আমার আনন্দিনী উমা আজো এলো না

    বাণী

    (আমার) 	আনন্দিনী উমা আজো এলো না তার মায়ের কাছে।
    		হে গিরিরাজ! দেখে এসো কৈলাসে মা কেমন আছে॥
    			মোর মা যে প্রতি আশ্বিন মাসে
    			মা মা ব’লে ছুটে আসে,
    		‘মা আসেনি’ ব’লে আজও ফুল ফোটেনি লতায় গাছে ॥
    		তত্ত্ব-তলাশ নিইনি মায়ের তাই বুঝি মা অভিমানে,
    		না এসে তার মায়ের কোলে ফিরিছে শ্মশান মশানে।
    			ক্ষীর নবনী ল’য়ে থালায়
    			কেদে ডাকি, ‘আয় উমা আয়’।
    		যে কন্যারে চায় ত্রিভুবন তাকে ছেড়ে মা কি বাঁচে॥
    
  • আমার উমা কই গিরিরাজ

    বাণী

    আমার উমা কই গিরিরাজ, কোথায় আমার নন্দিনী।
    এ যে দেবী দশভুজা এ কোন্ রণ-রঙ্গিণী॥
    	মোর লীলাময়ী চঞ্চলারে ফেলে
    	এ কোন দেবীমূর্তি নিয়ে এলে,
    এ যে মহীয়সী মহামায়া বামা মহিষ-মর্দিনী॥
    মোর মধুর স্নেহে জ্বালতে আগুন আন্‌লে কারে ভুল ক’রে,
    এরে কোলে নিতে হয় না সাহস ডাকতে নারি নাম ধ’রে।
    	কে এলি মা দনুজ-দলন বেশে
    	কন্যারূপে মা ব’লে ডাক হেসে হেসে,
    তুই চিরকাল যে দুলালী মোর মাতৃস্নেহে বন্দিনী॥
    
  • আমার শ্যামা মায়ের কোলে চড়ে

    বাণী

    আমার	শ্যামা মায়ের কোলে চ’ড়ে জপি আমি শ্যামের নাম
    		মা হলেন মোর মন্ত্র-গুরু ঠাকুর হলেন রাধা-শ্যাম।।
    			ডুবে শ্যামা-যমুনাতে
    		মা 	খেলবো খেলা শ্যামের সাথে
    		শ্যাম যবে মোরে হানবে হেলা মা পুরাবেন মনস্কাম।।
    		আমার মনের দোতারাতে শ্যাম ও শ্যামা দুটি তার,
    		সেই দোতারায় ঝঙ্কার দেয় ওঙ্কার রব অনিবার।
    			মহামায়া মায়ার ডোরে
    			আনবে বেঁধে শ্যাম-কিশোরে
    আমি		কৈলাসে তাই মাকে ডাকি দেখবো সেথা ব্রজধাম।।
    
  • কও কথা কও কথা, কথা কও

    বাণী

    কও কথা কও কথা, কথা কও হে দেবতা।
    তুমি তো জানো স্বামী আমার প্রাণে কত ব্যথা।।
    		মোর তরে আজি সকল দুয়ার
    		হইল বন্ধ হে প্রভু আমার
    তুমি খোলো দ্বার! সহে না যে আর সহে না এ নীরবতা।।
    		শুনি অসহায় মোর ক্রন্দন
    		গলিবে না পাষাণের নারায়ণ
    ভোলো অভিমান চরণে লুটায় পূজারিণী আশাহতা।।
    

    নাটিকাঃ ‍‌'মীরাবাঈ'

  • কি হবে জানিয়া বল

    বাণী

    কি হবে জানিয়া বল কেন জল নয়নে
    তুমি তো ঘুমায়ে আছ সুখে ফুল-শয়নে।।
    তুমি কি বুঝিবে বালা কুসুমে কীটের জ্বালা,
    কারো গলে দোলে মালা কেহ ঝরে পবনে।।
    আকাশের আঁখি ভরি’ কে জানে কেমন করি’
    শিশির পড়ে গো ঝরি’, ঝরে বারি শাওনে।
    নিশীথে পাপিয়া পাখি এমনি তো ওঠে ডাকি’
    তেমনি ঝুরিছে আঁখি বুঝি বা অকারণে।।
    কে শুধায়, আঁধার চরে চখা কেন কেঁদে মরে,
    এমনি চাতক-তরে মেঘ ঝুরে গগনে।।
    কারে মন দিলি কবি, এ যে রে পাষাণ-ছবি
    এ শুধু রূপের রবি নিশীথের স্বপনে।।
    
  • কী দশা হয়েছে মোদের দেখ্ মা উমা আনন্দিনী

    বাণী

    কী দশা হয়েছে মোদের দেখ্ মা উমা আনন্দিনী।
    তোর বাপ হয়েছে পাষাণ গিরি, মা হয়েছে পাগলিনী।।
    	(মা)	এ দেশে আর ফুল ফোটে না
    		গঙ্গাতে আর ঢেউ ওঠে না
    তোর হাসি-মুখ দেখলে যে মা পোহায় না মোর নিশীথিনী।।
    আর যাবি না ছেড়ে মোদের বল্ মা আমায় কন্ঠ ধরি
    সুর যেন তার না থামে আর বাজালি তুই যে বাঁশরি।।
    	(মা)	না পেলে তুই শিবের দেখা
    		রইতে যদি নারিস্ একা,
    আমি শিবকে বেঁধে রাখব মা গো হয়ে শিব-পূজারিণী।।
    
  • জাগো জাগো পোহাল রাতি

    বাণী

    জাগো জাগো, পোহাল রাতি।
    গগন-আঙনে ম্লান চাঁদের বাতি।।
    	মধুমাছি মধু বোলে
    	ফুলমুখী ঘুম ভোলে,
    শরমে নয়ন খোলে — শয়ন-সাথী।।
    	সলিল লুটায় ঘটে
    	বধূর বুকে তটে,
    বাজে বাঁশি ছায়া-বটে — আবেশ মাতি’।।
    
  • দিও বর হে মোর স্বামী যবে যাই

    বাণী

    দিও বর হে মোর স্বামী যবে যাই আনন্দ ধামে
    যেন প্রাণ ত্যাজি হে স্বামী শ্রীকৃষ্ণ গোবিন্দ নামে॥
    ভাসি যেন আমি ভাগীরথী নীরে অথবা প্রয়াগে যমুনার তীরে
    অন্তিম সময়ে হেরি আঁখি নীরে যেন মোর রাধা শ্যামে॥
    ব্রজগোপালের শুনায়ে নূপুর মরণ আমার করিও মধুর
    বাজায়ো বাঁশি দাঁড়ায়ো আসি’ রাধারে লইয়া বামে॥
    
  • নিশীথ নিশীথ জাগি’ গোঁয়ানু

    বাণী

    নিশীথ নিশীথ জাগি’ গোঁয়ানু রাতি।
    জ্বলিয়া জ্বলিয়া নেভে শিয়রের বাতি।।
    সারাদিন গাঁথি মালা তুলিয়া কুসুম
    পথ চাহি চাহি ক’রে চোখে আসে ঘুম,
    রহে পড়ি’ নব শেজ কুসুমের পাঁতি।।
    আমার কাননে আসি’ অলি যায় ফিরে
    গাহি গান ফেরে সাঁঝে পাখি সব নীড়ে,
    একেলা রহি গো শুধু আমি বিনা সাথি।।
    
  • পেয়ে কেন নাহি পাই হৃদয়ে মম

    বাণী

    পেয়ে কেন নাহি পাই হৃদয়ে মম
    হে চির-সুদূর প্রিয়তম॥
    		তুমি আকাশের চাঁদ
    আমি	পাতিয়া সরসী-ফাঁদ
    জনম	জনম কাঁদি কুমুদীর সম॥
    		নিখিলের রূপে রূপে
    		দেখা দাও চুপে চুপে
    এলে না মূরতি ধরি তুমি নিরুপম॥
    

  • ভুল করেছি ওমা শ্যামা

    বাণী

    		ভুল করেছি ওমা শ্যামা বনের পশু বলি দিয়ে।
    (তাই)		পূজিতে তোর রাঙা চরণ এলাম মনের পশু নিয়ে॥
    			তুই যে বলিদান চেয়েছিস
    			কাম-ছাগ, ক্রোধ-রূপী মহিষ,
    		মা তোর পায়ে দিলাম লোভের জবা মোহ-রিপুর ধূপ জ্বালিয়ে॥
    মাগো		দিলাম হৃদয়-কমন্ডলুর মদ-সলিল তোর চরণে,
    		মাৎসর্য্যের পূর্ণাহুতি দিলাম পায়ে পূর্ণ মনে।
    			ষড় রিপুর উপচারে
    			যে পূজা চাস্ মা বারে বারে
    		সেই পূজারই মন্ত্র মাগো ভক্তরে তোর দে শিখিয়ে॥
    
  • মন দিয়ে যে দেখি তোমায় তাই দেখিনে

    বাণী

    মন দিয়ে যে দেখি তোমায় তাই দেখিনে নয়ন দিয়ে।
    পরান আছে বিভোর হয়ে তোমার নামের ধেয়ান নিয়ে॥
    	হৃদয় জুড়ে আছ ব’লে,
    	এড়িয়ে চলি নানান ছলে।
    আছ আমার অন্তরে, তাই অন্তরালে রই লুকিয়ে॥
    আমার কথা শুনাই না গো তোমার কথা শোনার আশায়,
    ভরে আছে অন্তর মোর বন্ধু তোমার ভালোবাসায়।
    	তোমায় ভালো বাসতে পেরে
    	পেয়েছি মোর আনন্দেরে
    অমর হলাম হে প্রিয় মোর তোমার প্রেমের সুধা পিয়ে॥
    
  • যাহা কিছু মম আছে প্রিয়তম

    বাণী

    যাহা কিছু মম আছে প্রিয়তম সকলি নিয়ো হে স্বামী
    যত সাধ আশা প্রীতি ভালোবাসা সঁপিনু চরণে আমি॥
    	ধ’রে যা’রে রাখি আমার বলিয়া
    	সহসা কাঁদায়ে যায় সে চলিয়া
    অনিমেষ, আঁখি তুমি ধ্রুবতারা জাগো দিবসযামী॥
    	মায়ারি ছলনায় পুতুল খেলায়
    	ভুলাইয়া প্রভু রেখেছিলে আমায়
    ভুলেছি সে খেলা আজি অবেলায় তোমারই দুয়ারে থামি॥
    
  • সখি জাগো রজনী পোহায়

    বাণী

    	সখি জাগো, রজনী পোহায়
    	মলিন কামিনী-ফুল যামিনী-গলায়।।
    	চলিছে বধূ সিনানে
    (ওগো) বসন বশ না মানে
    	শিথিল আঁচল টানে পথের কাঁটায়।।