কাহার্‌বা

  • ‘কালী কালী’ মন্ত্র জপি

    বাণী

    ‘কালী কালী’ মন্ত্র জপি ব’সে শোকের ঘোর শ্মশানে।
    মা অভয়ার নাম গুণে শান্তি যদি পাই এ প্রাণে।।
    	এই শ্মশানে ঘুমিয়ে আছে
    	যে ছিল মোর বুকের কাছে,
    সে হয়ত আবার উঠবে জেগে মা ভবানীর নাম-গানে।।
    সকল সুখ শান্তি আমার নিল হ’রে যে-পাষাণী,
    শূন্য বুকে বন্দী ক’রে রাখব আমি তারেই আনি’।
    	মোর, যাহা প্রিয় মাকে দিয়ে
    	জাগি আশার দীপ জ্বালিয়ে,
    মা’র সেই চরণের নিলাম শরণ, যে-চরণে মা আঘাত হানে।।

    ১. বুকে চিতা, ২. যে চরণে প্রলয় আনে

  • অচেনা সুরে অজানা পথিক

    বাণী

    অচেনা সুরে অজানা পথিক
    		নিতি গেয়ে যায় করুণ গীতি।
    শুনিয়া সে গান দু’লে ওঠে প্রাণ
    		জেগে ওঠে কোন্ হারানো স্মৃতি॥
    ঘুরিয়া মরে উদাসী সে সুর
    সাঁঝের কূলে বিষাদ-বিধুর,
    নীড়ে যেতে হায় পাখি ফিরে চায়,
    		আবেশে ঝিমায় কুসুম-বীথি॥
    
  • অনাদরে স্বামী পড়ে আছি আমি

    বাণী

    অনাদরে স্বামী প’ড়ে আছি আমি তব কোলে তুলে নাও
    নিয়ে ধরণীর ধূলি আছি আমি ভুলি’ চরণের ধূলি দাও॥
    	বিভবে বিলাসে সংসার কাজে
    	অশান্ত প্রাণ কাঁদে বন্ধন মাঝে
    বৃথা দ্বারে দ্বারে চেয়েছি সবারে এবার তুমি মোরে চাও॥
    	যাহা কিছু প্রিয় জীবনের মম
    	হরিয়া লহ তুমি, লও প্রিয়তম।
    	সূর্যের পানে সূর্যমুখী ফুল
    	যেমন চাহিয়া রয় বিরহ-ব্যাকুল
    তেমনি প্রভু আমার এ মন তোমার পানে ফিরাও॥
    
  • অনেক কথা বলার মাঝে লুকিয়ে আছে

    বাণী

    অনেক কথা বলার মাঝে লুকিয়ে আছে একটি কথা।
    বলতে নারি সেই কথাটি তাই এ মুখর ব্যাকুলতা।।
    	সেই কথাটি ঢাকার ছলে
    	অনেক কথা যাই গো ব’লে
    ভাসি আমি নয়ন-জলে বলতে গিয়ে সেই বারতা।।
    অবকাশ দেবে কবে কবে সাহস পাবে প্রাণে
    লজ্জা ভুলে সেই কথাটি বলব তোমায় কানে কানে।
    	মনের বনে অনুরাগে
    	কত কথার মুকুল লাগে
    সেই মুকুলের বুকে জাগাও ফুটে ওঠার ব্যাকুলতা।।
    
  • অনেক ছিল বলার যদি সেদিন

    বাণী

    অনেক ছিল বলার, যদি সেদিন ভালোবাস্‌তে গো।
    পথ ছিল গো চলার, যদি দু’দিন আগে আস্‌তে গো।।
    আজিকে মহাসাগর–স্রোতে, চলেছি দূর পারের পথে
    ঝরা–পাতা হারায় যথা, সেই আঁধারে ভাস্‌তে গো।।
    গহন রাতি ডাকে আমায় এলে তুমি আজ্‌কে
    কাঁদিয়ে গেলে হায় গো আমার বিদায়–বেলার সাঁঝ্‌কে।
    আস্‌তে যদি হে অতিথি
    ছিল যখন শুক্লা তিথি
    ফুটত চাঁপা, সেদিন যদি চৈতালী–চাঁদ হাস্‌তে।।
    
  • অমন করে হাসিস্‌নে আর রাই লো

    বাণী

    অমন করে হাসিস্‌নে আর রাই লো।
    তুই পোড়ার মুখে হাসিস্‌নে আর রাই লো।।
    ছি ছি রঙ্গ করিস অঙ্গে মেখে কৃষ্ণ কালির ছাই লো।।
    বাঁশি হাতে গাছে চড়া, কয়লা-বরণ গয়লা ছোঁড়া সে লো
    সেই নাটের গুরু নষ্টের গোড়া তোর প্রেমের গোঁসাই লো।।
    ঐ গো-রাখা রাখালের সনে তোর নিন্দা শুনি বৃন্দাবনে রাই লো
    ছি ছি কেষ্ট ছাড়া ইষ্ট কি আর ত্রিভুবনে নাই লো।।
    ঐ অমাবস্যার কৃষ্ণ-চাঁদে, বাস্‌লি ভালো কোন্ সুবাদে তুই লো
    তুই দিন-কানা হয়েছিস রাধে ভাবিয়া কানাই লো।।
    

  • অয়ি চঞ্চল-লীলায়িত-দেহা চির-চেনা

    বাণী

    অয়ি চঞ্চল-লীলায়িত-দেহা চির-চেনা
    ফোটাও মনের বনে তুমি বকুল হেনা।।
    	যৌবন-মদ গর্বিতা তন্বী
    	আননে জ্যোৎস্না, নয়নে বহ্নি,
    তব চরণের পরশ বিনা অশোক তরু মুঞ্জরে না।।
    নন্দন-নন্দিনী তুমি দয়িতা চির-আনন্দিতা,
    প্রথম কবির প্রথম লেখা তুমি কবিতা।
    নৃত্য শেষের তব নুপুরগুলি হায়
    রয়েছে ছড়ানো আকাশের তারকায়
    সুর-লোক-উর্বশী হে বসন্ত-সেনা ! চির-চেনা।।
    
  • অ্যগ্যর তুম রাধা হোতে শ্যাম

    বাণী

    অ্যগ্যর তুম রাধা হোতে শ্যাম।
    মেরি তরা বস আঠোঁ প্যহর তুম, রট্‌কে শ্যামকা নাম।।
    বন-ফুলকে মালা নিরালি বন্‌ যাতি নাগন কালি
    কৃষ্ঞ-প্রেমকী ভীক্‌ মাঙ্গনে আতে লাখ্‌ যনম্‌।
    তুম, আতে ইস্‌ বৃজধাম।।
    চুপ্‌কে চুপ্‌কে তুম্‌রে হিরদয় ম বসতা বন্‌সীওয়ালা,
    আওর, ধীরে ধীরে উস্‌কী ধূন সে ব্যঢ়তী মন্‌কি জ্বালা।
    পন-ঘটমে ন্যয়্যন বিছায়ে তুম্‌, র‍্যহতে আস্‌ ল্যগায়ে
    আওর, কালেকে সঙ্গ প্রীত ল্যগাকর্‌ হো জাতে বদনাম।।
    
  • আও আও স্যজনী

    বাণী

    আও আও স্যজনী
    ম্যঙ্গল গাও শঙ্খ বাজাও
    স্যফ্যল মানো র‍্যজনী।।
    অ্যম্যর লোক্ সে কুসুম গিরাও
    তীন লোক্ মে হ্যর‍্যষ মানাও
    হঁস্যতী আজ ধরণী।।
    

    নাটিকাঃ ‘জন্মাষ্টমী

  • আকাশে ভাই চাঁদ উঠেছে

    বাণী

    আকাশে ভাই চাঁদ উঠেছে
    (আহা) দেখবি যদি আয় না!
    রূপে পরান পাগল করে,
    তারে হাতে ধরা যায় না।
    হাতে ধরা যায় না – 
    আমার সাধের ‘আয়না’ –
    আমার বুকে ফুট্‌লো রে ভাই
    কোন্ বাগিচার ফুল
    কোন্ সে দেশের হাসনুহানা
    কোন্ বসোরার গুল্,
    ওরে গন্ধে পরান পাগল করে,
    তারে গলায় পরা যায় না।।
    

    নাটিকা : ‘কাফন-চোরা’

  • আকাশের মৌমাছি-তারকার দল

    বাণী

    আকাশের মৌমাছি-তারকার দল,
    পিয়ে চৈতালী চাঁদের মধু, হ’ল বিহ্বল।।
    মোর মাধবী বনে মৌমাছি আসে না
    আমার আকাশে আর চাঁদ হাসে না।
    ভালো লাগে না এ চাঁদের আলো
    পুষ্পল পরিমল-ছাওয়া বনতল।।
    দক্ষিণ সমীরণে বন বিঘোর গানে, মন ভরে না।
    বিধুর বাঁশরি বাজে, মধু মঞ্জরী, তবু মঞ্জুরে না।
    বুলবুলি এসেছিল, ভুল সে কি ভুল?
    তেমনি তো ফোটে হেনা চম্পার ফুল।
    বেণী বাঁধা বধু লো ধূলায় লুটায়
    			কাঁদে এলো-কুন্তল।।
    
  • আকুল ব্যাকুল ঢুঁড়ত ফিঁরু

    বাণী

    আকুল ব্যাকুল ঢুঁড়ত ফিঁরু শ্যাম তুম বিনা রহন না জায়।
    তুম হারে কারণ সব কুছ ছোড়ি প্রীতি ছোড়ন না যায়॥
    	ক্যিউ তরসাও অন্তরযামী
    	আওয়ো মিলো কির্‌পা কর স্বামী
    নিঁদ নাহি র‍্যয় না দিন নাহি চ্যয় না, বিরহ কী আগ জ্বালায়॥
    
  • আঁখি-বারি আঁখিতে থাক

    বাণী

    আঁখি-বারি আঁখিতে থাক, থাক ব্যথা হৃদয়ে।
    হারানো মোর বুকের প্রিয়া রইবে চোখে জল হয়ে।।
    	নিশি-শেষে স্বপন-প্রায়
    	নিলে তুমি চির-বিদায়,
    ব্যথাও যদি না থাকে হায়, বাঁচিব গো কি ল’য়ে।।
    	ভালোবাসার অপরাধে
    	প্রেমিক জনম জনম কাঁদে,
    কুসুমে কীট বাসা বাঁধে শত বাধা প্রণয়ে।।
    	আজকে শুধু করুণ গীতে
    	কাঁদিতে দাও দাও কাঁদিতে,
    আমার কাঁদন-নদীর স্রোতে বিরহের বাঁধ যাক ক্ষয়ে।।
    
  • আঁচলে হংস-মিথুন আঁকা

    বাণী

    আঁচলে হংস-মিথুন আঁকা
    		বলাকা-পে’ড়ে শাড়ি দুলায়ে।
    চলিছে কিশোরী শ্যামা একা
    		রুমুঝুমু বাজে নূপুর মৃদু পায়ে।।
    ভয়ে ভয়ে চলে আধো-আঁধারে
    বিরহী বন্ধুর দূর অভিসারে,
    পথ কাঁদে যেয়ো না যেয়ো না যেয়ো না ওগো
    		থামো ক্ষণেক এ ঠাঁয়ে।।
    
  • আজ নিশীথে অভিসার তোমারি পথে প্রিয়তম

    বাণী

    		আজ নিশীথে অভিসার তোমারি পথে প্রিয়তম।
    		বনের পারে নিরালায় দিও হে দেখা নিরুপম।।
    		সুদূর নদীর ধারে নিরালাতে বালুচরে
    		চখার তরে যথা একা চখি কেঁদে মরে
    		সেথা সহসা আসিও গোপন প্রিয় স্বপন সম।।
    		তোমারি আশায় ঘুরি শত গ্রহে শত লোকে,
    (ওগো) 	আমারি বিরহ জাগে বিরহী চাঁদের চোখে,
    		আকুল পাথার নিরাশার পারায়ে এসো প্রাণে মম।।
    
  • আজ বন-উপবন মে চঞ্চল

    বাণী

    আজ বন-উপবন মে চঞ্চল মেরে মনমে।
    মোহন মুরলীধারী কুঞ্জ কুঞ্জ ফিরে শ্যাম।।
    সুনো মোহন নূপুর গুঞ্জত হ্যয় —
    বাজে মুরলী বোলে রাধা নাম কুঞ্জ কুঞ্জ ফিরে শ্যাম।।
    বোলে বাঁশরি আও শ্যাম-পিয়ারি,
    ঢুঁড়ত হায় শ্যাম-বিহারী,
    বনমালা সব চঞ্চল ওড়াওয়ে অঞ্চল —
    কোয়েল সখি গাওয়ে সাথ গুণধাম কুঞ্জ কুঞ্জ শ্যাম।।
    ফুলকলি ভোলে ঘুঁঘট খোলে
    পিয়াকে মিলনকি প্রেমকি বোলি বোলে,
    পবন পিয়া লেকে সুন্দর সৌরভ —
    হাঁসত যমুনা সখি দিবস-যাম কুঞ্জ কুঞ্জ ফিরে শ্যাম।।
    
  • আজ শরতে আনন্দ ধরে না রে ধরণীতে

    বাণী

    আজ শরতে আনন্দ ধরে না রে ধরণীতে।
    একি অপরূপ সেজেছে বসুন্ধরা নীলে হরিতে।।
    আনো ডালা ভরি কুন্দ ও শেফালি,
    আজ শারদোৎসব জ্বালো দীপালি।
    স্নেহ-মাখা সুনিবিড় আকাশ উদার ধীর,
    দুলে নদীতীর কার আগমনীতে।।
    

    রেকর্ড-নাটিকা: ‘সুরথ উদ্ধার’

  • আজ শেফালির গায়ে হলুদ

    বাণী

    আজ শেফালির গায়ে হলুদ
    	উলু দেয় পিক পাপিয়া।
    প্রথম প্রণয়-ভীরু বালা
    	লাজে ওঠে কাঁপিয়া।।
    বনভূমি বাসর সাজায়
    	ফুলে পাতায় লালে নীলে,
    ঝরে শিশির আশিস-বারি
    	গগন-ঝারি ছাপিয়া।।
    বৃষ্টি-ধোওয়া সবুজ পাতার
    	শাড়ি করে ঝলমল,
    ননদিনী ‘বৌ কথা কও’
    	ডাকে আড়াল থাকিয়া।।
    দেখতে এলো দিগ্‌বালিকা	
    	সাদা মেঘের রথে ঐ,
    শরৎ-শশীর মঙ্গল-দীপ
    	জ্বলে গগন ব্যাপিয়া।।
    অতীত্ প্রণয়-স্মৃতি স্মরি’
    	কেঁদে যায় আশিন-হাওয়া,
    উড়ে বেড়ায় বর সে ভ্রমর
    	কমল-পরাগ মাখিয়া।।
    
  • আজকে দোলের হিন্দোলায়

    বাণী

    আজকে দোলের হিন্দোলায়
    	আয় তোরা কে দিবি দোল্‌।
    ডাক দিয়ে যায় দ্বারে ঐ
    	হেনার কুঁড়ি আমের বোল্।।
    আগুন-রাঙা ফুলে ফাগুন লালে-লাল,
    কৃষ্ণ-চূড়ার পাশে রঙন অশোক গালে-গাল,
    লোল্ হয়ে পড়িল ঐ রাতের জোছনা-আঁচল।।
    হতাশ পথিক পথ-বিভোল্,
    	ভোল্ আজি বেদনা ভোল্, —
    টোল খেয়ে যাক নীল আকাশ
    	শুনে তোদের হাসির রোল
    দ্বার খু’লে দেখ্ — ফুলেল রাত
    	ফুলে ফুলে ডামাডোল্।।
    
  • আজকে শাদী বাদ্‌শাজাদীর পান করো

    বাণী

    আজকে শাদী বাদ্‌শাজাদীর পান করো শিরাজি।।
    নেশার ঝোঁকে চোখে চোখে খেলুক আতস বাজি
    	(সবে) পান করো শিরাজি।।
    	সামনে মোরা যাকে পাব
    	রঙিন পানি পান করাব
    প্রাণে খুশির রঙ করাব নেচে খেয়ে আজি
    	সবে পান করো শিরাজি।।
    

    রেকর্ড-নাটিকাঃ ‘লায়লী মজনু’