কাহার্‌বা

  • ওগো প্রিয় তব গান আকাশ-গাঙের জোয়ারে

    বাণী

    ওগো	প্রিয়, তব গান! আকাশ-গাঙের জোয়ারে
    		উজান বহিয়া যায়
    	মোর কথাগুলি কাঁদিছে বুকের দুয়ারে
    		পথ খুঁজে নাহি পায়।।
    ওগো	দখিনা বাতাস, ফুলের সুরভি বহ
    		ওরি সাথে মোর না-বলা বাণী লহ
    ওগো	মেঘ, তুমি মোর হয়ে গিয়ে কহ
    	বন্দিনী গিরি ঝরনা পাষাণ-তলে
    		যে কথা কহিতে চায়।।
    	ওরে ও সুরমা, পদ্মা, কর্ণফুলি তোদের ভাটির স্রোতে
    	নিয়ে যা আমার না-বলা কথাগুলি ধুয়ে মোর বুক হ'তে
    ওরে	'চোখ গেল' বউ কথা কও' পাখি
    	তোদের কণ্ঠে মোর সুর, যাই রাখি' কি?
    (ওরে)	মাঠের মুরলী কহিও তাহারে ডাকি,
    	আমার গানের কলি না-ফোটা বুলি ঝ'রে গেল নিরাশায়।।
    
  • ওগো সুন্দর তুমি আসিবে বলিয়া

    বাণী

    ওগো সুন্দর! তুমি আসিবে বলিয়া বনপথে পড়ে ঝরি’
    				(রাঙা) অশোকের মঞ্জরি।
    হাসে বনদেবী বেণীতে জড়ায়ে মালতীর বল্লরী,
    				নব কিশলয় পরি’।।
    	কুমুদী-কলিকা ঈষৎ হেলিয়া
    	চাঁদেরে নেহারি হাস মুচিকিয়া,
    মহুয়ার বনে ভ্রম-ভ্রমরী ফিরিতেছে গুঞ্জরি’।।
    যাহা কিছু হেরি ভাল লাগে আজ লুকাইতে নারি হাসি,
    কাজ করি আর শুনি যেন কানে মিঠে পাহাড়িয়া বাঁশি।
    	এক শাড়ি খুলে পরি’ আর শাড়ি
    	বারে বারে মুখ মুকুরে নেহারি,
    দুরু দুরু হিয়া উঠে চমকিয়া, অকারণে লাজে মরি।।
    
  • ওরে আমার চটি আমার ঠনঠনিয়ার চটি

    বাণী

    		ওরে আমার চটি
    		আমার ঠনঠনিয়ার চটি
    		যাত্রা শুনতে কাহার সাথে গেলি তুই পালটি।।
    মোর		শ্রীচরণ ভরসা গেলি কাহার পায়ে গ'লে
    তুই		দু'বছর পায়ে ছিলি তোরে জানতাম সতী ব'লে
    তুই		কাহার গোদা চরণ দেখে গেলি শেষে পটি'।
    তোরে		নিয়ে গেছেন যিনি তার চটিখানি ফেলে
    		এ চটি তো নয় রামচটিতং আছেন বদন মেলে'
    				সদা আছেন বদন মেলে',
    যেন		অষ্টাবক্র বেঁকে হয়ে গিয়েছেন ঠিক আঁশবঁটি
    				বেঁকে হয়েছেন আঁশবঁটি।।
    		চটি কেন তোরে রাখিনিকো বগল-দাবা ক'রে
    বুঝি		এতক্ষণ সে ফাটিয়ে তোরে ফেলেছে পা' ভ'রে
    		শেষে আস্তাকুড়েঁ দেছে ফেলে সে যে হয়তো চটিমটি'।।
    আমি		ভাবি, এ তার পায়ের জুতো না তার গায়ের  নিমা
    		আমারচটির পাশে ইনি ঠিক যেন দিদি মা
    ওরে		চটি রে তোর দিদি হলেও চলতো মোটামুটি
    তুই		চটপটিয়ে আয় চ'লে নয় সত্যি যা'ব চটি'।।
    
  • ওরে ও দরিয়ার মাঝি মোরে নিয়ে যা

    বাণী

    ওরে ও দরিয়ার মাঝি! মোরে নিয়ে যা রে মদিনা।
    তুমি মুর্শিদ হ'য়ে পথ দেখাও ভাই আমি যে পথ চিনি না।।  
    	আমার প্রিয় হজরত সেথায়
    	আছেন নাকি ঘুমিয়ে ভাই,
    আমি প্রাণে যে আর বাঁচি না রে আমার হজরতের দরশ বিনা।। 
    নদী নাকি নাই ও দেশে, নাও না চলে যদি —
    আমি চোখের সাঁতার পানি দিয়ে বইয়ে দেব নদী। 
    	ঐ মদিনার ধূলি মেখে
    	কাঁদবো 'ইয়া মোহাম্মদ' ডেকে ডেকে রে —
    কেঁদেছিল কারবালাতে, (ওরে) যেমন বিবি সাকিনা।।
    
  • ওরে ও নতুন ঈদের চাঁদ

    বাণী

    ওরে ও নতুন ঈদের চাঁদ
    তোমার হেরে হৃদয় সাগর আনন্দে উন্মাদ।।
    তোমার রাঙা তশতরিতে ফিরদৌসের পরী
    খুশির শিরনি বিলায় রে ভাই নিখিল ভুবন ভরি
    খোদার রহম পড়ছে তোমার চাঁদনি রূপে ঝরি।
    দুখ ও শোক সব ভুলিয়ে দিতে তুমি মায়ার ফাঁদ।।
    তুমি আসমানে কালাম
    ইশারাতে লেখা যেন মোহাম্মাদের নাম।
    খোদার আদেশ তুমি জান স্মরণ করাও এসে
    যাকাত দিতে দৌলত সব দরিদ্রেরে হেসে
    শত্রুরে আজি ধরিতে বুকে শেখাও ভালবেসে।
    তোমায় দেখে টুটে গেছে অসীম প্রেমের বাঁধ।।
    
  • ওরে বনের ময়ূর কোথায় পেলি এমন চিত্রপাখা

    বাণী

    ওরে বনের ময়ূর কোথায় পেলি এমন চিত্রপাখা
    তোর পাখাতে হরির স্মৃতি পাখার শ্রী কি আঁকা॥
    		তারই মতন হেলে দুলে
    		নাচিস্ রে তুই পেখম খুলে
    তনুতে তোর ওরে শ্যামের আঁখির নীলাঞ্জন মাখা॥
    হারিয়ে নব কিশোরে, দিবা-নিশি ঘুরি
    তাই কি শ্যামের বিভূতি তুই আনলি ক’রে চুরি।
    		সান্ত্বনা কি দিতে মোরে 
    		শ্যামল রেখে গেছে তোরে
    তাইতো তোরে হেরি ওরে যায় না কাঁদন্ রাখা॥
    
  • ওরে মথুরা-বাসিনী মোরে বল্

    বাণী

    ওরে মথুরা-বাসিনী, মোরে বল্।
    কোথায় রাধার প্রাণ — ব্রজের শ্যামল।।
    		আজও রাজ-সভা মাঝে
    	(সে)	আসে কি রাখাল-সাজে?
    আজও তার বাঁশি শুনে যমুনার জল হয় কি উতল।।
    পায়ে নূপুর কি পরে শিরে ময়ূর-পাখা,
    আছে শ্রীমুখে কি অলকা তিলক আঁকা।
    		রাধা রাধা ব’লে কি গো
    		কাঁদে সেই ময়া-মৃগ?
    নারায়ণ হয়েছে সে তোদের মথুরা এসে মোদের চপল।।
    
  • ওরে মাঝি ভাই

    বাণী

    				ওরে মাঝি ভাই।
    ও তুই, কি দুখ পেয়ে কূল হারালি অকূল দরিয়ায়॥
    চোখের জল্ তুই ছাপাতে চাস্, নদীর জলে এসে,
    শেষে নদীই এলো চক্ষে রে তোর; তুই চলিলি ভেসে।
    ও তুই কলস দেখে নামলি জলে রে, এখন ডুবে দেখিস্ কলস নাই॥
    	ও তুই কূলে যাহার কূল পেলিনে তরী অগাধ জলে
    	মিছে খুঁজে মরিস ওরে পাগল, তরী বাওয়ার ছলে।
    ও রে দুই ধারে এর চোরা বালি রে, (ও) তোর হেথায় মনের মানুষ নাই॥
    
  • ওরে হুলো রে তুই রাত বিরেতে

    বাণী

    ওরে		হুলো রে তুই রাত বিরেতে ঢুকিস্‌নে হেঁসেল্।
    তুই		কবে বেঘোরে প্রাণ হারাবি বুঝিস্‌নে রাস্কেল্।।
    আমি		স্বীকার করি শিকারি তুই তোর গোঁফ দেখেই চিনি,
    		গাছে কাঁঠাল ঝুলতে দেখে দিস্ গোঁফে তুই তেল।।
    		ওরে ছোঁচা ওরে ওঁছা বাড়ি বাড়ি তুই হাঁড়ি খাস,
    		নাদ্‌নার বাড়ি খেয়ে কোন্‌দিন ধনে প্রাণে বা মারা যাস্‌,
    কেঁদে		মিয়াঁও মিয়াঁও ব’লে বিবি বেরালি করবে রে হার্টফেল।।
    		তানপুরারই সুরে যখন তখন গলা সাধিস্,
    শুনে		ভুলো তোরে তেড়ে আসে, ন্যাজ তুলে ছুটিস্,
    তোরে	বস্তা পু’রে কবে কে চালান দিবে ধাপা-মেল।।
    		বৌঝি যখন মাছ কোটে রে, তুমি খোঁজ দাঁও,
    		বিড়াল-তপস্বী আড়নয়নে থালার পানে চাও,
    তুই		উত্তম মধ্যম খা’স এত তবু হ’ল না আক্কেল।।
    
  • কত আর এ মন্দির দ্বার হে প্রিয় রাখিব খুলি

    বাণী

    	কত আর এ মন্দির দ্বার, হে প্রিয়, রাখিব খুলি'
    	বয়ে যায় যে লগ্নের ক্ষণ, জীবনে ঘনায় গোধূলি।।
    	নিয়ে যাও বিদায়-আরতি, হ'ল ম্লান আঁখির জ্যোতি;
    	ঝরে যায় শুষ্ক স্মৃতির মালিকা-কুসুমগুলি।।
    	কত চন্দন ক্ষয় হ'ল হায়, কত ধূপ পুড়িল বৃথায়;
    	নিরাশায় সে পুষ্প কত ও পায়ে হইল ধূলি।।
    ও	বেদী-তলে কত প্রাণ — হে পাষাণ নিলে বলিদান;
    	তবু হায় দিলে না দেখা — দেবতা, রহিলে ভুলি'।।
    
  • কত কথা ছিল তোমায় বলিতে

    বাণী

    কত কথা ছিল তোমায় বলিতে
    ভুলে যাই হয় না বলা পথ চলিতে।।
    ভ্রমরা আসে যবে বনেরই পথে
    না-বলা সেই কথা কয় ফুল-কলিতে।।
    পুড়ে মরে পতঙ্গ, দীপ তবু
    পারে না বলিতে, থাকে জ্বলিতে।।
    সে কথা কইতে গিয়ে গুণীর বীণা
    কাঁদে কভু সারঙ কভু ললিতে।।
    যত বলিতে চাই লুকাই তত
    গেল মোর এ জনম হায় মন ছলিতে।।
    
  • কত কথা ছিল বলিবার

    বাণী

    কত কথা ছিল বলিবার, বলা হ’ল না।
    বুকে পাষাণ সম রহিল তারি বেদনা।।
    	মনে রহিল মনের আশা
    	মিটিল না প্রাণের পিপাসা,
    বুকে শুকালো বুকের ভাষা — মুখে এলো না।।
    	এত চোখের জল, এত গান
    	এত আদর সোহাগ অভিমান,
    কখন সে হ’ল অবসান — বোঝা গেল না।।
    	ঝরিল কুসুম যদি হায়!
    কেন স্মৃতির কাঁটাও নাহি যায়,
    বুঝিল না কেহ কাহারো মন বিধির ছলনা।।
    
  • কত নিদ্রা যাও রে কন্যা

    বাণী

    কত নিদ্রা যাও রে কন্যা		জাগো একটু খানি
    যাবার বেলায় শুনিয়া যাই		তোমার মুখের বাণী।।
    নিশীথিনীর ঘুম ভেঙে যায়	চন্দ্র যখন হেসে তাকায় গো
    চাতাকিনী ঘুমায় কি গো		দেখলে মেঘের পানি।।
    ফুলের কুঁড়ি চোখ মেলে চায়	যেই না ভ্রমর বোলে (রে কন্যা)
    বসন্ত আসিলে রে কন্যা		বনের লতা দোলে (রে কন্যা)
    যারা আছে প্রাণে প্রাণে		জাগে তারা ঘুম না জানে
    আমি যখন রইব না গো		(তখন) জাগবে তুমি জানি।।
    
  • কত ফুল তুমি পথে ফেলে দাও

    বাণী

    কত ফুল তুমি পথে ফেলে দাও (প্রিয়) মালা গাঁথ অকারনে
    আমি চয়েছিনু একটি কুসুম সেই কথা পড়ে মনে।।
    	তব ফুলবনে কত ছায়া দোলে
    	জুড়াইতে চেয়েছিনু তারি তলে
    চাহিলে না ফিরে চলে গেলে ধীরে ছায়া-ঢাকা অঙ্গনে।।
    অঞ্জলি পাতি' চেয়েছিনু, তব ভরা ঘটে ছিল বারি
    শুষ্ক-কন্ঠে ফিরিয়া আসিনু পিপাসিত পথচারী।
    	বহুদিন পরে দাঁড়াইনু এসে
    	তোমারি দুয়ারে উদাসীন বেশে
    শুকানো মালিকা কেন দিলে তুমি তব ভিক্ষার সনে।।
    
  • কথা কইবে না বউ

    বাণী

    কথা কইবে না বউ, তোর সাথে তার আড়ি,
    বউ মান করেছে, আজি চলে যাবে বাপের বাড়ি।।
    বউ কসনে কথা কসনে,
    এত অল্পে অধীর হ'সনে
    ও নতুন ফুলের খবর পেলে
    পালিয়ে যাবে তোকে ফেলে,
    ওর মন্দ স্বভাব ভারি।।
    

    ছায়াছবিঃ ‌‘সাপুড়ে’

  • কবি সবার কথা কইলে এবার

    বাণী

    কবি,		সবার কথা কইলে, এবার নিজের কথা কহ।
    (কেন)	নিখিল ভুবন অভিমানের আগুন দিয়ে দহ।।
    		কে তোমারে হান্‌ল হেলা, কবি!
    (হায়!)	সুরে সুরে আঁক কি গো সেই বেদনার ছবি?
    		কা’র বিরহ রক্ত ঝরায় বক্ষে অহরহ।।
    		কোন্‌ ছন্দময়ীর ছন্দ দোলে আমার গানে গানে,
    		তোমার সুরের স্রোত ব’য়ে যায় কাহার প্রেমের টানে গো —
    		কাহার চরণ পানে?
    		কাহার গলায় ঠাঁই পেল না ব’লে
    (তব)		কথার মালা ব্যথার মত প্রতি হিয়ায় দোলে,
    (তোমার)	হাসিতে যে বাঁশি বাজে, সে ত’ তুমি নহ।।
    

    ১. সবার কথা কইলে কবি নিজের কথা কহ।

  • কবে সে মদিনার পথে

    বাণী

    কবে সে মদিনার পথে, গিয়াছে সুজন।
    বহায়ে নয়ন বারি, ভিজিল বসন।।
    	রমজানের ঐ চাঁদ নবী,
    	পাঠাইলেন নূরের খুবী,
    পাগল করে আমার হিয়া করেছে হরণ।।
    	পশুপাখি তরুলতা,
    	তারা শুধায় পারের কথা,
    আমি একলা বসে ভাবছি হেথা নবীজীর কারণ।।
    	বেড়াই আমি পথে পথে,
    	খুঁজে না পাই মদিনাতে,
    কোথায় গেলেন পাক মোস্তফা অমূল্য রতন।।
    [দুখুমিয়ার লেটোগান, সংগ্রহ ও সম্পাদনা : মুহম্মদ আয়ুব হোসেন, বিশ্বকোষ পরিষদ, কলকাতা, ২০০৩]
    

    রেকর্ড

    কবে সে মদিনা পথে গিয়াছে সুজন।
    বহায়ে নয়ন-বারি (আমার) ভিজায়ে বদন।।
    	রমজানের চাঁদে নবী, 
    	পাঠায় সদা নূরের ছবি, 
    পাগল করে আমার মন করেছে হরণ।।
    	পশুপাখি তরুলতা, 
    	তাদের শুধাই পথের কথা, 
    কেমনে পাবো সে চাঁদে জীবন-শরণ।।
    	খুঁজে সে মদিনা-নাথে, 
    	কেঁদে ফিরি পথে পথে, 
    কোথা গেলে পাবো আমি ও রাঙা চরণ।।
    
  • করুণ কেন অরুণ আঁখি

    বাণী

    করুণ কেন অরুণ আঁখি দাও গো সাকি দাও শারাব
    হায় সাকি এ আঙ্গুরী খুন নয় ও হিয়ার খুন–খারাব।।
    আর সহে না দিল্‌ নিয়ে এই দিল–দরদির দিল্‌লাগী,
    তাইতে চালাই নীল পিয়ালায় লাল শিরাজি বে–হিসাব।।
    হারাম কি এই রঙিন পানি আর হালাল এই জল চোখের?
    নরক আমার হউক মঞ্জুর বিদায় বন্ধু!লও আদাব।।
    দেখ্‌ রে কবি, প্রিয়ার ছবি এই শারাবের আর্শিতে,
    লাল গেলাসের কাঁচ্‌–মহলার পার হ’তে তার শোন্‌ জবাব্‌।।
    

  • কলমা শাহাদতে আছে খোদার জ্যোতি

    বাণী

    	কলমা শাহাদতে আছে খোদার জ্যোতি
    	ঝিনুকের বুকে লুকিয়ে থাকে যেমন মোতি।।
    	ঐ কলমা জপে যে ঘুমের আগে
    	ঐ কলমা জপিয়া যে প্রভাতে জাগে,
    	দুখের সংসার যার সুখময় হয়, তা’র —
    তার	মুসিবত আসে নাকো, হয় না ক্ষতি।।
    	হরদম জপে মনে কলমা যে জন
    	খোদায়ী তত্ত্ব তা’র রহে না গোপন
    	দিলের আয়না তার হয়ে যায় পাক সাফ
    	আল্লার রাহে তার রহে মতি।
    সদা	আল্লার রাহে তার রহে মতি।।
    	এসমে আজম হতে কদর ইহার
    	পায় ঘরে ব’সে খোদা রসুলের দিদার
    	তাহারি হৃদয়াকাশে সাত বেহেশত নাচে
    	আল্লার আরশে হয় আখেরে গতি।
    তার	আল্লার আরশে হয় আখেরে গতি।
    

  • কা’বার জিয়ারতে তুমি কে যাও

    বাণী

    কা’বার জিয়ারতে তুমি কে যাও মদিনায়।
    আমার সালাম পৌঁছে দিও নবীজীর রওজায়।।
    	হাজিদের ঐ যাত্রা-পথে
    	দাঁড়িয়ে আছি সকাল হ’তে,
    কেঁদে’ বলি, কেউ যদি মোর সালাম নিয়ে যায়।।
    পঙ্গু আমি, আরব সাগর লঙ্ঘি কেমন ক’রে,
    তাই নিশিদিন কাবা যাওয়ার পথে থাকি প’ড়ে।
    	বলি, ওরে দরিয়ার ঢেউ
    	মোর সালাম নিয়ে গেল না কেউ,
    তুই দিস্ মোর সালামখানি মরুর ‘লু’-হাওয়ায়।।