কাহার্‌বা

  • চম্‌’কে চম্‌’কে ধীর ভীরু পায়

    বাণী

    চম্‌’কে চম্‌’কে ধীর ভীরু পায়,
    পল্লী–বালিকা বন–পথে যায় একেলা বন–পথে যায়।।
    শাড়ি তার কাঁটা লতায়, জড়িয়ে জড়িয়ে যায়,
    পাগল হাওয়াতে অঞ্চল ল’য়ে মাতে —
    		যেন তার তনুর পরশ চায়।।
    শিরীষের পাতায় নূপুর, বাজে তার ঝুমুর ঝুমুর,
    কুসুম ঝরিয়া মরিতে চাহে তার কবরীতে,
    		পাখী গায় পাতার ঝরোকায়।।
    চাহি’ তা’র নীল নয়নে, হরিণী লুকায় বনে,
    হাতে তা’র কাঁকন হ’তে মাধবী লতা কাঁদে,
    		ভ্রমরা কুন্তলে লুকায়।।
    
  • চরণে দলিয়া গিয়াছে চলিয়া

    বাণী

    চরণে দলিয়া গিয়াছে চলিয়া
    			তবু কেন তারে ভালোবাসি।
    বলিতে পারি না বোঝাতে পারি না
    			আঁখি-জলে যায় বুক ভাসি’।।
    কেন সে বিরাজে		হৃদয়েরি মাঝে
    তার স্বর যেন 		সদা প্রাণে বাজে
    কি বাঁধনে মোরে		বেঁধেছে বল সে
    			দিয়ে গেছে গলে প্রেম-ফাঁসি।।
    
  • চরশ মেশা চন্ডুর নেশা মুন্ডু ঝিমঝিম

    বাণী

    চরশ মেশা চন্ডুর নেশা মুন্ডু ঝিমঝিম
    (কাঠসিম ঘোড়া নিম, আকুতাকু হিমশিম)
    বাগ বাজারে লাখো হাজার পঙ্খিরাজ অশ্বের ডিম।।
    নওয়াবী নেশা রওয়াবী নেশা প্রাণ হয় তরতজা, হায় হায়
    মদের নেশা গাঁজার নেশা এর কাছে একদম পাঁজা
    খুলে হৃদয় খিড়কী বাদশার লেড়কী
    পাঁইজোর যেন বাজায় রিম্‌ঝিম্‌।।
    নলে যেম্‌নি দম্ দি অম্‌নি নল-দময়ন্তী
    লটাপটি করে বুকে হয়ে চরণ পঙ্খি, ও গুরু
    (ঐ লেগেছে লটাতে পটিতে)
    শেয়ালের লেজুড় যেমন ঠেসে কামড়ে ধরে কাঁকড়ায়
    (এই ধরেছে কামড়ে লেজুড় কাঁকড়ায়)
    চন্ডুর নেশা তেমনি একদিন খেয়ো গিয়ে আখড়ায়
    প্রেমে মজে ডাইভোর্স ক’রে (তালাক দিয়ে)
    (দাদা) আমি ছেড়েছি কোকেন আফিম।।
    আফিম টাফিম সব ছেড়ে দিয়েছি
    সত্যি বলি এখন ভাল ছেলে হয়ে গিয়েছি
    জানেন মাল ধরেছি মাল, ভাল করিনি, এ্যাঁ ভাল করিনি!!
    
  • চল রে কাবার জিয়ারতে

    বাণী

    চল রে কাবার জিয়ারতে, চল নবীজীর দেশ।
    দুনিয়াদারির লেবাস খুলে পর রে হাজীর বেশ।।
    আওকাতে তোর থাকে যদি - আরফাতের ময়দান,
    	চল আরফাতের ময়দান,
    এক জামাত হয় যেখানে ভাই নিখিল মুসলমান। 
    মুসলিম গৌরব দেখার যদি থাকে তোর খায়েশ।।
    যেথায় হজরত হলেন নাজেল মা আমিনার ঘরে
    খেলেছেন যার পথে-ঘাটে মক্কার শহরে, 
    	চল মক্কার শহরে।
    সেই মাঠের ধূলা মাখবি যথা নবী চরাতেন মেষ।।
    ক'রে হিজরত কায়েম হলেন মদিনায় হজরত - যে মদিনায় হজরত,
    সেই মদিনা দেখবি রে চল, মিটবে রে তোর প্রানের হসরত;
    সেথা নবীজীর ঐ রওজাতে তোর আরজি করবি পেশ।। 
    

  • চল্ রে চপল তরুণ-দল বাঁধন হারা

    বাণী

    চল্‌ রে চপল তরুণ-দল বাঁধন হারা
    চল্‌ অমর সমরে, চল ভাঙি’ কারা
    জাগায়ে কাননে নব পথের ইশারা।।
    প্রাণ-স্রোতের ত্রিধারা বহায়ে তোরা ওরে চল!
    জোয়ার আনি, মরা নদীতে পাহাড় টলায়ে মাতোয়ারা।।
    ডাকে তোরে স্নেহভরে ‘ওরে ফিরে আয় ফিরে ঘরে’
    তারে ভোল্‌ ওরে ভোল্‌ তোরা যে ঘর-ছাড়া।।
    তাজা প্রাণের মঞ্জুরি ফুটায়ে পথে তোরা চল্‌,
    রহে কে ভুলে ছেঁড়া পুঁথিতে তাদের পরানে দে রে সাড়া।
    রণ-মাদল আকাশে ঘন বাজে গুরু গুরু।
    আঁধার ঘরে কে আছে প’ড়ে তাহার দুয়ারে দে রে নাড়া।।
    
  • চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে

    বাণী

    চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে গাঁথিলে মালা।
    সয়েছি বুকে নিবিড় সুখে তোমারি হাতের সূচিব জ্বালা।।
    আজিও জাগে লোহিত রাগে রঙিন গোলাবে তাহারি ব‍্যথা
    তব ও গলে দুলিব ব’লে দিয়েছি কুলে কলঙ্ক-কালা ।।
    যদি ও গলে নেবে না তুলে কেন বধিলে ফুলের পরান
    অভিমানে হায় মালা যে শুকায় ঝ’রে ঝ’রে যায় লাজে নিরালা।।
    

    নাটকঃ‘আলেয়া’

  • চাঁপা রঙের শাড়ি আমার

    বাণী

    চাঁপা রঙের শাড়ি আমার যমুনা-নীর ভরণে গেল ভিজে।
    ভয়ে মরি আমি, ঘরে ননদী, কহিব শুধাইলে কি যে।।
    	ছি ছি হরি, একি খেল লুকোচুরি
    	একেলা পথে পেয়ে কর খুন্‌সুড়ি,
    রোধিতে তব কর ভাঙিল চুড়ি — ছলকি গেল কলসি যে।।
    	ডাঁশা কদম্ব দিবে বলি হরি
    	ডাকিলে-তরুতলে কেন ছল করি’,
    কাঁচা বয়সী পাইয়া শ্রী হরি — মজাইলে, মজিলে নিজে।।
    
  • চারু চপল পায়ে যায়

    বাণী

    চারু চপল পায়ে যায় যুবতী গোরী।।
    আঁচলের পাল তুলে সে চলে ময়ূর-পঙ্খি-তরী।।
    	আয়রে দেখবি যদি
    	ভাদরের ভরা নদী,
    চলে কে বে-দরদি — ভেঙে কূল গিরি-দরি।।
    	মুখে চাঁদের মায়া
    	কেশে তমাল-ছায়া,
    এলোচুলে দুলে দুলে নেচে চলে হাওয়া-পরী।।
    	নয়ন-বাণে মারে প্রাণে
    	চরণ-ছোঁয়ায় জীবন দানে,
    মায়াবিনী যাদু জানে — হার মানে ঊর্বশী অপ্সরী।।
    
  • চিকন কালো ভুরুর তলে কাজল আঁখি দোলে

    বাণী

    চিকন কালো ভুরুর তলে কাজল আঁখি দোলে রে
    যেন বন-লতার কোলে কোয়েল পাখি দোলে রে।।
    	যেন ফুল-ধনুর উজল তীর গো হায়
    	বাদশাজাদীর রঙ মহলে 
    যেন নীলার প্রদীপ জ্বলে দোলে রে দোলে রেদেোলে রে।।
    	সজল শিশির মাখা দু'টি কুসুম গো
    	সুনীল দু'টি কমল -কুড়িঁ
    যেন রূপের সাঁতার -জলে দোলে রে দোলে রে দোলে রে।।
    
  • চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়

    বাণী

    চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়
    আজিকে যে রাজাধিরাজ কা'ল সে ভিক্ষা চায়।।
    অবতার শ্রীরামচন্দ্র যে জানকীর পতি
    তারও হলো বনবাস রাবণ করে দুর্গতি।
    আগুনেও পুড়িল না ললাটের লেখা হায়।।
    স্বামী পঞ্চ পাণ্ডব, সখা কৃষ্ণ ভগবান
    দুঃশাসন করে তবু দ্রৌপদীর অপমান
    পুত্র তার হলো হত যদুপতি যার সহায়।।
    মহারাজ হরিশচন্দ্র, রাজ্য দান ক'রে শেষ
    শ্মশান-রক্ষী হয়ে লভিল চণ্ডাল-বেশ
    বিষ্ণু-বুকে চরণ-চিহ্ন, ললাট-লেখা কে খণ্ডায়।।
    

  • চীন আরব হিন্দুস্থান নিখিল ধরাধাম

    বাণী

    চীন আরব হিন্দুস্থান নিখিল ধরাধাম।
    জানে আমায় চেনে আমায় মুসলিম আমার নাম।।
    অন্ধকারে আজান দিয়ে ভাঙনু ঘুমঘোর,
    আলোর অভিযান এনেছি রাত করেছি ভোর;
    এক সমান করেছি ভেঙে উচ্চ নীচ তামাম।।
    চেনে মোরে সাহারা গোবি দুর্গম পর্বত,
    মন্থন করেছে সাগর, আমার সিন্ধু রথ;
    বয়েছি আফ্রিকা ইউরোপ আমারই তাঞ্জাম।।
    পাক মুলুকে বসিয়েছি খোদার মসজিদ,
    জগৎ সাক্ষী পাপীদেরকে পিইয়েছি তৌহীদ্‌;
    বিরান বনে রচেছি রে হাজার নগর গ্রাম।।
    
  • চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না

    বাণী

    চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না এ নয়ন পানে।
    জানিতে নাইকো বাকি, সই ও আঁখি কি যাদু জানে।।
    একে ঐ চাউনি বাঁকা সুর্মা আঁকা তা’য় ডাগর আঁখি রে
    বধিতে তা’য় কেন সাধ? যে মরেছে ঐ নয়ন বাণে।
    			মরেছে ঐ আঁখির বাণে।।
    চকোর কি প’ড়ল ধরা পীযূষ ভরা ঐ মুখ-চাঁদে (রে),
    কাঁদিছে নার্গিসের ফুল লাল কপোলের কমল-বাগানে।
    জ্বলিছে দিবস রাতি মোমের বাতি রূপের দেওয়ালি (রে),
    নিশিদিন তাই কি জ্বলি’ পড়ছ গলি’ অঝোর নয়ানে।
    মিছে তুই কথার কাঁটায় সুর বিঁধে হায় হার গাঁথিস কবি (রে)।
    বিকিয়ে যায় রে মালা এই নিরালা আঁখির দোকানে।।
    
  • চোখের জলে মন ভিজিয়ে যায় চলে

    বাণী

    চোখের জলে মন ভিজিয়ে যায় চলে ঐ কোন্ উদাসী।
    বুকে কেন নীরব বীণা মুখে কেন নেইকো হাসি।।
    	আকাশে চাঁদ তারার মেলা
    	বনের পথে রঙের ডালা
    তবু কেন আঁখিতে ওর উথলে পড়ে অশ্রুরাশি।।
    	বনের হাওয়ায় বাজিয়ে বেণু,
    	ছড়িয়ে চলে ফুলের রেণু
    বিদেশিকে আন্‌না ডেকে সাধ হয়েছে ভালবাসি।।
    

    ১. ফুলেল হাওয়া

  • চোখের নেশার ভালোবাসা

    বাণী

    চোখের নেশার ভালোবাসা সে কি কভু থাকে গো
    জাগিয়া স্বপনের স্মৃতি স্মরণে কে রাখে গো।।
    তোমরা ভোল গো যা’রে চিরতরে ভোল তা’রে
    মেঘ গেলে আবছায়া থাকে কি আকাশে গো।।
    পুতুল লইয়া খেলা খেলেছ বালিকা বেলা
    খেলিছ পরাণ ল’য়ে তেমনি পুতুল খেলা।
    ভাঙ্গিছ গড়িছ নিতি হৃদয়–দেবতাকে গো।
    চোখের ভালোবাসা গ’লে
    শেষ হ’য়ে যায় চোখের জলে
    বুকের ছলনা সেকি নয়ন জলে ঢাকে গো।।
    
  • চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী

    বাণী

    চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী 
    চারদিকে রঙ ছড়িয়ে বেড়ায় রঙ্গিলা কুরঙ্গী॥
    যে সকলের মন মাতায় কলকাতার চৌমাথায়
    ওপারে যে ফিল্মের ঝিল্‌মিল্‌ আলোর দেয়ালি।
    এপারে যে পথের ভিখারিনী চোখের বালি।
    গোরা কালো সাহেব মেমে মন্দ ভালো বি.এ. এম.এ.
    				সবাই তাহার সঙ্গী।
    যে দক্ষিণ হাত তুলি দক্ষিণা চায়
    আলো দেয় রবি শশী, ফুল দেয় দখিনা বায়।
    			ওকি গোলাপ ফুল নারঙ্গি।
    নুয়ে প’ড়ে আকাশ দেখে তাহার নাচের ভঙ্গী॥
    

    সিনেমাঃ ‘চৌরঙ্গী’

  • চৌরঙ্গী হ্যায় ইয়ে চৌরঙ্গী

    বাণী

    চৌরঙ্গী হ্যায় ইয়ে চৌরঙ্গী।
    ইসকী দুনিয়া রং বেরংগী।।
    গোরে, কালে আওবে, যাওবে
    আপনি আপনি ছাব দেখলাবে,
    ই ড্যগর মেঁ সব সংসার —
    ইসকী দুনিয়া রঙ্গ বেরংগী।।
    কিতনে আওবে রাজাবাবু
    কিতনে হামসে বেকারি,
    কিতনে আপনে গুলকে বন্দে
    কিতনে প্রেম-পূজারী।
    কোই কিসিকো রাব লাগায়ে
    কোই য়া কর খুদ খো যায়ে
    সিধা রাস্তা ফির হাজার
    ইসকী দুনিয়া রঙ্গ বেরংগী।।
    
  • ছন্দের বন্যা হরিণী অরণ্যা

    বাণী

    ছন্দের বন্যা হরিণী অরণ্যা
    চলে গিরি-কন্যা চঞ্চল ঝর্ণা
    নন্দন-পথ-ভোলা চন্দন-বর্ণা।।
    গাহে গান ছায়ানটে, পর্বতে শিলাতটে
    লুটায়ে পড়ে তীরে শ্যামল ওড়না।।
    ঝিরি ঝিরি হাওয়ায় ধীরি ধীরি বাজে
    তরঙ্গ-নূপুর বন-পথ মাঝে।
    এঁকেবেকে নেচে যায় সর্পিল ভঙ্গে
    কুরঙ্গ সঙ্গে অপরূপ রঙ্গে
    গুরু গুরু বাজে তাল মেঘ-মৃদঙ্গে
    তরলিত জোছনা-বালিকা অপর্ণা।।
    
  • ছলছল নয়নে মোর পানে চেয়ো না

    বাণী

    ছলছল নয়নে মোর পানে চেয়ো না
    যাবে যাও, নয়নে জল নিয়ে যেয়ো না।।
    থাকে ব্যথা থাক বুকে, যাও তুমি হাসি মুখে
    আমার চাঁদিনী রাত ঘন মেঘে ছেয়ো না।।
    রঙিন পিয়ালাতে মম লোনা অশ্রু-জল ঢালি’
    পানসে ক’রো না নেশা, জীবন ভরা ব্যথা খালি।
    ভুলিতে চাহি যে ব্যথা, মনে এনো না সে কথা,
    করুণ সুরে আর বিদায়-গীতি গেয়ো না।।
    
  • ছাড় ছাড় আঁচল বঁধু

    বাণী

    ছাড় ছাড় আঁচল, বঁধু, যেতে দাও।
    বনমালী, এমনি ক’রে মন ভোলাও।।
    একা পথে দুপুর বেলা, নিরদয়, একি খেলা।
    তুমি এমনি করে মায়া-জাল বিছাও।।
    পথে দিয়ে বাধা, একি প্রেম সাধা,
    আমি নহি তো রাধা, বঁধু, ফিরে যাও।।
    হে নিখিল নর-নারী, তোমার প্রেম-ভিখারি
    লীলা বুঝিতে নারি তব শ্যাম রাও।।
    
  • ছিটাইয়া ঝাল নুন এলো ফাল্গুন মাস

    বাণী

    ছিটাইয়া ঝাল নুন এলো ফাল্গুন মাস
    কাঁচা বুকে ধরে ঘুণ, শ্বাস ওঠে ফোঁস ফাঁস।।
    শিমুল ফুলের মত ফটাফট্‌ ফাটে হিয়া
    প্রেম-তুলো বের হয়ে পড়ে গো ছড়াইয়া,
    সবে বালিশ ধরিয়া করে ছটপট হাঁসফাঁস।।
    চিবুতে সজ্‌’নে খাড়া সজনীরা ভুলে যায়,
    আনাগোনা করে প্রেম পরানের দরজায়,
    হৃদয়ের ইঞ্জিনে গ্যাস্‌ ওঠে ভোঁস ভাঁস।।
    কচি আম-ঝোল-টক খাইয়া গিন্নি মায়
    বৌঝির সাথে করে টক্ষাই টক্ষাই।
    আইবুড়ো আইবুড়ি জল গেলে ছ’ গেলাস।।
    বিরহিণীদের আঁখি-কলসি হয়েছে ফুটো,
    গাধাও আজ গাহে গান ফেলিয়া ঘাসের মুঠো,
    নোনা-পাকা মন বলে, কবে আসে তালশাঁস।।