কাহার্‌বা

  • জগজন মোহন সঙ্কটহারী

    বাণী

    জগজন মোহন সঙ্কটহারী
    কৃষ্ণমুরারী শ্রীকৃষ্ণমুরারী।
    রাম রচাও ত শ্যামবিহারী
    পরম যোগী প্রভু ভবভয়-হারী।।
    গোপী-জন-রঞ্জন-ব্রজ-ভয়হারী,
    পুরুষোত্তম প্রভু গোলক-চারী।।
    বন্‌শী বাজাও ত বন বন-চারী
    ত্রিভুবন-পালক ভক্ত-ভিখারি,
    রাধাকান্ত হরি শিখি-পাখাধারী —
    কমলাপতি জয় গোপী-মনহারী।।
    
  • জগতের নাথ কর পার হে

    বাণী

    জগতের নাথ কর পার হে
    মায়া-তরঙ্গে টলমল তরণী অকুল ভব পারাবার হে।।
    নাহি কাণ্ডারি ভাঙা মোর তরী আশা নাই কুলে উঠিবার
    আমি গুণহীন ব'লে করো যদি হেলা শরণ লইব তবে কার।।
    সঙসারেরি এই ঘোর পাথারে ছিল যারা প্রিয় সাথি
    একে একে তারা ছাড়িয়া গেল হায় ঘনাইল যেই দুখ-রাতি।
    	ধ্রুবতারা হয়ে তুমি জ্বালো
    	অসীম আঁধারে প্রভু আশারই আলো
    তোমার করুণা বিনা হে দীনবন্ধু, পারের আশা নাহি আর।।
    

  • জগতের নাথ তুমি তুমি প্রভু প্রেমময়

    বাণী

    জগতের নাথ তুমি, তুমি প্রভু প্রেমময়।
    আমি জগতের বাহিরে নহি দেহ চরণে আশ্রয়।।
    যাহাদের তরে আমি খাটিনু দিবস-রাতি,
    (আমার)যাবার বেলায় কেহ তাদের হ’ল না সাথের সাথি।
    সম্পদ মোর পাঁচ ভূতে খায়, কর্ম কেবল সঙ্গে রয়।।
    ভুলিয়া সংসার মোহে লই নাই তোমারি নাম —
    তরাতে এমন পাপী পাবে না হে ঘনশ্যাম।
    শুনেছি তোমারে যদি কাঁদিয়া কেহ ডাকে —
    তুমি অমনি তারে কর ক্ষমা চরণে রাখ তাকে।
    আমি সেই আশাতে এসেছি নাথ যদি তব কৃপা হয়।।
    
  • জনম জনম গেল আশা পথ চাহি

    বাণী

    জনম জনম গেল আশা–পথ চাহি’।
    মরু–মুসাফির চলি, পার নাহি নাহি।।
    বরষ পরে বরষ আসে যায় ফিরে,
    পিপাসা মিটায়ে চলি নয়নের নীরে।
    জ্বালিয়া আলেয়া–শিখা, নিরাশার মরীচিকা
    ডাকে মরু–কাননিকা শত গীত গাহি’।।
    এ মরু ছিল গো কবে সাগরের বারি
    স্বপন হেরি গো তারি আজো মরুচারী।
    সেই সে সাগর–তলে, যে তরী ডুবিল জলে
    সে তরী–সাথীরে খুঁজি মরু–পথ বাহি’।।
    
  • জনম জনম তব তরে কাঁদিব

    বাণী

    জনম জনম তব তরে কাঁদিব।
    যত হানিবে হেলা ততই সাধিব।।
    	তোমারি নাম গাহি’ 
    	তোমারি প্রেম চাহি’,
    ফিরে ফিরে নিতি তব চরণে আসিব।।
    জানি জানি বঁধু, চাহে যে তোমারে,
    ভাসে সে চিরদিন নিরাশা-পাথারে।
    	তবু জানি হে স্বামী
    	কোন্ সে-লোকে আমি,
    তোমারে পাব বুকে বাহুতে বাঁধিব।।
    

    ১. যত করিবে, ২. ফিরে ফিরে আমি তব চরণে আসিব, ৩. জীবন-স্বামী

  • জয় দুর্গা জননী দাও শক্তি

    বাণী

    [ওম্ সর্বমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে।
    শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোস্তুতে।।]
    	জয় দুর্গা, জননী, দাও শক্তি
    	শুদ্ধ জ্ঞান দাও, দাও প্রেম-ভক্তি,
    অসুর-সংহারি কবচ-অস্ত্র দাও মা, বাঁধি বাহুতে।।
    অর্থ-বিভব দাও, যশ দাও মাগো, প্রতি ঘরে দাও শান্তি,
    পরম-অমৃত দাও, দূর কর’ মৃত্যু-সম বাঁচিয়া থাকার এই ক্লান্তি।
    	শ্রান্তিবিহীন উৎসাহ দাও কর্মে
    	নবীন দীক্ষা দাও শক্তির ধর্মে
    মোদের রক্ষা কর’ বরাভয় বর্মে, চিন্ময় জ্যোতি দাও প্রতি অণুতে।।
    
  • জয় দুর্গা দুর্গতিনাশিনী

    বাণী

    জয় দুর্গা, দুর্গতিনাশিনী।
    হরি-হৃদি-কমল-বনবাসিনী।।
    সব বন্ধন পাপ-তাপ-হরা
    সব শোক-দুঃখ-ব্যথা শীতল করা
    জয় অভয়া, শুভদা, শিব-স্বয়ম্বরা।
    জয় জননী-রূপা চির সুমঙ্গলা
    শুভ্র রুচির হাসিনী
    জয় দুর্গা, জয় দুর্গা জয় দুর্গা।।

    নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’

  • জয় হোক জয় হোক

    বাণী

    জয় হোক জয় হোক —
    শান্তির জয় হোক, সাম্যের জয় হোক্,
    সত্যের জয় হোক জয় হোক॥
    সর্ব অকল্যাণ পীড়ন অশান্তি
    সর্ব অপৌরুষ মিথ্যা ও ভ্রান্তি,
    হোক ক্ষয়, ক্ষয় হোক জয় হোক জয় হোক॥
    দূর হোক অভাব ব্যাধি শোক
    দুখ দৈন্য গ্লানি বিদ্বেষ অহেতুক,
    মৃত্যুবিজয়ী হোক্ অমৃত লভুক —  
    ভয়-ভীত দুর্বল নির্ভয় হোক।
    রবে না এ শৃঙ্খল উচ্ছৃঙ্খলতার
    বন্ধন কারাগার হবে হবে চুরমার,
    পার হবে বাধার গিরি মরু পারাবার —  
    নির্যাতিত ধরা মধুর, সুন্দর প্রেমময় হোক,
    জয় হোক জয় হোক॥
    
  • জয়তু শ্রীরামকৃষ্ণ নমো নমঃ

    বাণী

    জয়তু শ্রীরামকৃষ্ণ নমো নমঃ
    সর্ব-ধর্ম-সমন্বয়-কারী নব-রূপে অবতার পুরুষ পরম।।
    	ঈশ্বরে বিশ্বাস জানকীর প্রায়
    	বন্দিনী ছিল কামনার লঙ্কায়
    উদ্ধারিলে তারে তোমার তপস্যায় শক্তিরে জাগাইয়া শ্রীরাম-সম।।
    তোমা কথামৃত কলির নববেদ একাধারে রামায়ণ গীতা
    বিবেকানন্দ মাঝে লক্ষণ অর্জুন শক্তি করিলে পুনজীবিতা।
    	ভূতারতের কলহের কুরুক্ষেত্রে
    	দাঁড়াইলে তুমি আসি সকরুণ নেত্রে
    	বাজালে অভয় পাঞ্চজন্য শঙ্খ,
    	বিনাশিলে অধর্ম, হিংসা, আতঙ্ক
    প্রেম-নদীয়ায় তুমি নব-গৌরাঙ্গ সকল জাতির সখা, প্রিয়তম।।
    
  • জহরত পান্না হীরার বৃষ্টি

    বাণী

    পুরুষ	:	জহরত পান্না হীরার বৃষ্টি
    		তব হাসি-কান্না চোখের দৃষ্টি
    		তারও চেয়ে মিষ্টি মিষ্টি মিষ্টি॥
    স্ত্রী	:	কান্না-মেশানো পান্না নেবো না, বঁধু।
    		এই পথেরই ধূলায় আমার মনের মধু
    		করে হীরা মানিক সৃষ্টি মিষ্টি আরো মিষ্টি॥
    পুরুষ	:	সোনার ফুলদানি কাঁদে লয়ে শূন্য হিয়া
    		এসো মধু-মঞ্জরি মোর! এসো প্রিয়া, প্রিয়া!
    স্ত্রী	:	কেন ডাকে বউ কথা কও, বউ কথা কও,
    		আমি পথের ভিখারিনী গো, নহি ঘরের বউ।
    		কেন রাজার দুলাল মাগে মাটির মউ।
    		বুকে আনে ঝড়, চোখে বৃষ্টি তার সকরুণ দৃষ্টি তবু মিষ্টি॥
    

    সিনেমাঃ চৌরঙ্গী

  • জাগত সোওত আঁঠু জাম

    বাণী

    জাগত সোওত আঁঠু জাম রাহত প্রভু মনমে তুমহারে ধ্যান।
    রাত আধেঁরি মে চাঁদ সমান প্রভু উজ্জ্বল কর মেরা প্রাণ।।
    এক সুর বোলে ঝিওর সারি রাত
    এ্যায়সে হি জপত হুঁ তেরা নাম হে নাথ,
    রুম রুম মে রম রহো মেরে এক তুমহারা গান।।
    গয়ি বন্ধু কুটুম স্বজন
    ত্যজ দিনু ম্যায় তুমহারে কারণ,
    তুমহো মেরে প্রাণ-আধারণ, দাসী তুমহারী আন।।
    
  • জাগে না সে জোশ ল'য়ে আর মুসলমান

    বাণী

    জাগে না সে জোশ ল'য়ে আর মুসলমান। 
    হায় করিল জয় যে তেজ ল'য়ে দুনিয়া জাহান।। 
    যাহার তক্‌বির-ধ্বনি, তক্‌দির বদলালো দুনিয়ার
    না-ফরমানের জামানায় আনিল ফরমান খোদার,
    হায় পড়িয়া বিরান আজি সে গুল্‌-গুলিস্তান।।
    নাহি সাচ্চাই সিদ্দিকের, উমরের নাহি সে ত্যাগ আর
    নাহি আর বেলালের ঈমান, নাহি আলীর জুল্‌ফিকার,
    হায় নাহি আর সে জেহাদ-লাগি' বীর শহীদান।।
    নাহি আর বাজুতে কুওত, নাহি খালেদ, মুসা, তারেক
    নাহি বাদ্‌শাহি তখ্‌তে তাউস, ফকির আজ দুনিয়ার মালেক
    হায় ইসলাম কিতাবে শুধু মুসলিম গোরস্তান।।
    
  • জাগো অনশন-বন্দী ওঠ রে যত

    বাণী

    জাগো		অনশন-বন্দী, ওঠ রে যত
    		জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্যহত!
    যত		অত্যাচারে আজি বজ্র হানি’
    হাঁকে		নিপীড়িত-জন-মন-মথিত বাণী,
    নব		জনম লভি’ অভিনব ধরণী ওরে ঐ আগত।।
    আদি		শৃঙ্খল সনাতন শাস্ত্র আচায়
    মূল		সর্বনাশের, এরে ভাঙিব এবার।
    ভেদি’		দৈত্য-কারা আয় সর্বহারা;
    কেহ		রহিবে না আর পর-পদ-আনত।।
    		নব ভিত্তি ‘পরে —
    নব		নবীন জীবন হবে উত্থিত রে!
    শোন্‌		অত্যাচারী! শোন্‌ রে সঞ্চয়ী!
    		ছিনু সর্বহারা, হব সর্বজয়ী।
    ওরে		সর্বশেষের এই সংগ্রাম-মাঝ।
    নিজ		নিজ অধিকার জুড়ে দাঁড়া সবে আজ;
    এই		‘জনগন-অন্তর-সংহতি’ রে
    হবে		নিখিল মানব জাতি সমুদ্ধত।।
    

  • জাগো জাগো গোপাল নিশি হ’ল ভোর

    বাণী

    জাগো	জাগো গোপাল নিশি হ’ল ভোর,
    কাঁদে		ভোরের তারা হেরি’ তোর ঘুম-ঘোর॥
    		দামাল ছেলে তুই জাগিস্‌নি তাই
    বনে		জাগেনি পাখি ঘুমে মগ্ন সবাই ,
    		বাতাস নিশ্বাস ফেলে খুঁজিছে বৃথাই
    তোর		বাঁশরি লুটায়ে কাঁদে আঙিনায় মোর॥
    তুই		উঠিস্‌নি ব’লে দেখ রবি ওঠেনি
    ঘরে		আনন্দ নাই, বনে ফুল ফোটেনি।
    		ধোয়াবে বলিয়া তোর মুখের কাজল
    		থির হ’য়ে আছে ঘাটে যমুনার জল,
    		অঞ্চল-ঢাকা মোর, ওরে চঞ্চল,
    আমি		চেয়ে আছি কবে ঘুম ভাঙিবে তোর॥
    
  • জাগো জাগো রে মুসাফির

    বাণী

    জাগো জাগো, রে মুসাফির হ’য়ে আসে নিশিভোর।
    ডাকে সুদূর পথের বাঁশি ছাড় মুসাফির-খানা তোর।।
    অস্ত-আকাশ-অলিন্দে ঐ পান্ডুর কপোল রাখি’
    কাঁদে মলিন ভোরের শশী, বিদায় দাও বন্ধু চকোর।।
    মরুচারী খুঁজিস সলিল অগ্নিগিরির কাছে, হায়!
    খুঁজিস অমর ভালোবাসা এই ধরণীর এই ধূলায়।
    দারুণ রোদের দাহে খুঁজিস কুঞ্জ-ছায়া স্বপ্ন-ঘোর।।
    
  • জাগো দুস্তর পথের নব যাত্রী

    বাণী

    জাগো	দুস্তর পথের নব যাত্রী
    		জাগো জাগো!
    ঐ	পোহাল তিমির রাত্রি।।
    	দ্রীম দ্রীম দ্রীম রণ-ডঙ্কা
    	শোন বোলে নাহি শঙ্কা!
    	আমাদের সঙ্গে নাচে রণ-রঙ্গে
    	দনুজ-দলনী বরাভয়-দাত্রী।।
    	অসম্ভবের পথে আমাদের অভিযান
    	যুগে যুগে করি মোরা মানুষেরে মহীয়ান।
    	আমরা সৃজিয়া যাই নতুন যুগভাই
    	মোরা নবতম ভারত-বিধাত্রী।।
    	সাগরের শঙ্খ ঘন ঘন বাজে,
    	রণ-অঙ্গনে চল কুচকাওয়াজে।
    	বজ্রের আলোকে মৃত্যুর মুখে
    	দাঁড়াব নির্ভীক উগ্র সুখে
    	ভারত-রক্ষী মোরা নব শাস্ত্রী।।
    

  • জানি জানি তুমি আসিবে ফিরে

    বাণী

    জানি জানি তুমি আসিবে ফিরে।
    আবার উঠিবে চাঁদ নিরাশার তিমিরে।।
    	নিঝুম কাননে থাকি
    	ডাকিবে গানের পাথি,
    দখিন-সমীরণ আবার বহিবে ধীরে।।
    আবার গাঙের জলে আসিবে জোয়ার
    জ্বলিবে আশায় দীপ, রবে না আঁধার।
    	তোমার পরশ লেগে
    	ঘুম মোর যাবে ভেঙে,
    একদা প্রভাতে প্রিয় আকুল নয়ন-নীরে।।
    

  • জানি জানি প্রিয় এ জীবনে মিটিবে না সাধ

    বাণী

    জানি	জানি প্রিয়, এ জীবনে মিটিবে না সাধ
    আমি	জলের কুমুদিনী ঝরিব জলে
    তুমি	দূর গগনে থাকি’ কাঁদিবে চাঁদ।।
    	আমাদের মাঝে বঁধু বিরহ বাতাস
    	চিরদিন ফেলে যাবে দীরঘ শ্বাস
    	পায় না বুকে কভু পায় না বুকে তবু মুখে মুখে
    	চাঁদ কুমুদীর নামে রটে অপবাদ।।
    তুমি	কত দূরে বঁধু, তবু বুকে এত মধু কেন উথলায়?
    	হাতের কাছে রহো রাতের চাঁদ গো
    	ধরা নাহি যায় তবু ছোঁওয়া নাহি যায়।
    	মরু-তৃষা ল’য়ে কাঁদে শূন্য হিয়া
    	সকলে বলে আমি তোমারি প্রিয়া
    সেই	কলঙ্ক-গৌরব সৌরভ দিল গো
    	মধুর হ’ল মোর বিরহ-বিষাদ।।
    

  • ঝড় এসেছে ঝড় এসেছে কাহারা যেন ডাকে

    বাণী

    ঝড় এসেছে ঝড় এসেছে কাহারা যেন ডাকে।
    বেরিয়ে এলো নতুন পাতা পল্লবহীন শাখে।।
    	ক্ষুদ্র আমার শুকনো ডালে
    	দুঃসাহসের রুদ্র ভালে
    কচি পাতার লাগলো নাচন ভীষণ ঘূর্ণিপাকে।
    স্তবির আমার ভয় টুটেছে গভীর শঙ্খ-রবে,
    মন মেতেছে আজ  নতুনের ঝড়ের মহোৎসবে।
    	কিশলয়ের জয়-পতাকা
    	অন্তরে আজ মেললো পাখা
    প্রণাম জানাই ভয়-ভাঙানো অভয়-মহাত্মাকে।।
    

  • ঝলমল জরীণ বেণী দুলায়ে

    বাণী

    ঝলমল জরীণ বেণী দুলায়ে প্রিয়া কি এলে 
    সজল শাওন-মেঘে কাজল নয়ন মেলে।।
    কেয়া ফুলের পরিমল, ঝুরে মরে তব পথে,
    হেরি দীঘল তব তনু তাল পিয়াল তরু পড়ে হেলে’।।
    পরিবে বলিয়া খোঁপায় ঝরিছে বকুল চাঁপা
    তোমায় খুঁজিছে আকাশ তারার প্রদীপ জ্বেলে।।
    তোমারি লাবনি প্রিয়া ঝরিছে শ্যামল মেঘে,
    ফুটালে ফুল মরুভূমে চঞ্চল চরণ ফেলে।।