কাহার্‌বা

  • তুমি কি দখিনা পবন

    বাণী

    তুমি কি দখিনা পবন
    দুলে ওঠে দেহলতা
    ফুলে ফুলে ফুল্ল হয়ে ওঠে মন।।
    	অন্তর সৌরভে শিহরে
    	কথার কোয়েলিয়া কুহরে
    তনু অনুরঞ্জিত করে গো প্রীতির পলাশ রঙন।।
    কী যেন মধু জাগে হিয়াতে
    চাহি’ যেন সেই মধু কোন্‌ চাঁদে পিয়াতে।
    	ফুটাইয়া ফুল কোথা চলে যাও
    	হুতাস নিশাসে কী ব’লে যাও
    মধু পান করি না কো র’চে যাই শুধু মধু-বন।।
    

  • তুমি নন্দন-পথ ভোলা

    বাণী

    তুমি নন্দন-পথ ভোলা।।
    তুমি মন্দাকিনী-ধারা উতরোলা।।
    তোমার প্রাণের পরশ লেগে
    কুঁড়ির বুকে মধু উঠ্‌ল জেগে,
    দোলন-চাঁপায় লাগে দোলা।।
    তোমারে হেরিয়া পুলকে ওঠে ডাকি’
    বকুল বনের ঘুমহারা পাখি,
    ধরার চাঁদ তুমি চির-উতলা।।
    
  • তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী

    বাণী

    তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী।
    শিশির-সজল ভোরের আকাশে ভাসে তোমারি উদাস ছবি।।
    	বিষাদ গভীর কার কল্পনা
    	রূপ ধ’রে তুমি ফের আনমনা,
    তোমারি মূরতি ধেয়ায় স্বপনে বিরহী সুরের কবি।।
    তুমি ধরা দিতে যেন আস নাই ধরণীতে,
    একা-একা খেলা খেল সারাবেলা সাথিহীন তরণীতে।
    	আঘাত হানিয়া সে-কোন্ নিঠুর
    	জাগাবে তোমাতে আশাবরি সুর,
    পাষাণ টুটিয়া গলিয়া পড়িবে অশ্রুর জাহ্নবী।।
    
  • তুমি ফুল আমি সুতো গাঁথিব মালা

    বাণী

    পুরুষ	:	তুমি ফুল আমি সুতো গাঁথিব মালা
    স্ত্রী	:	সহিতে হবে মোরে সুচির জ্বালা॥
    পুরুষ	:	দুলিবে গলে মোর বুকের’ পরে
    স্ত্রী	:	ফেলে দিবে বাসি হলে নিশি-ভোরে
    		বন-কুসুম ঝরি বনে নিরালা॥
    পুরুষ	:	তব কুঞ্জ-গলি আসে দখিন-হাওয়া আসে চপল অলি
    স্ত্রী	:	তা’রা রূপ-পিয়াসি তা’রা ছিঁড়ে না কলি।
    		তা’রা বনের বাহিরে মোরে নেবে না কালা।
    পুরুষ	:	তবে চলিয়া যাই আমি নিরাশা ল’য়ে
    স্ত্রী	:	না, না, যেয়ো না যেয়ো না, থাক গো বুকে শিশির হয়ে।
    পুরুষ	:	এসো নব প্রেমে করি বন উজালা।
    দ্বৈত	:	এসো নব প্রেমে করি বন উজালা।
    
  • তুমি বিরাজ কোথা হে উৎসব দেবতা

    বাণী

    তুমি বিরাজ কোথা হে উৎসব দেবতা
    মম গৃহ অঙ্গনে এসো সঙ্গী হয়ে আনো আনন্দ বারতা॥
    		পূজা সম্ভারে প্রসন্ন দৃষ্টি হানো
    		শুভ শঙ্খ বাজাও দশদিক জাগানো
    হে মঙ্গলময়! আসি’ অভয় দানো আনো প্রভাত আকাশ সম নির্মলতা॥
    		লহ বিহগের গীতি অভিনন্দন
    		চাঁদের থালিকা হতে গোপীচন্দন
    আনন্দ অমরার নন্দন হে প্রণত কর চরণে কহ কথা কহ কথা॥
    
  • তুমি যখন এসেছিলে তখন আমার ঘুম ভাঙেনি

    বাণী

    তুমি যখন এসেছিলে তখন আমার ঘুম ভাঙেনি
    মালা যখন চেয়েছিলে বনে তখন ফুল জাগেনি।।
    	আমার আকাশ আঁধার কালো
    	তোমার তখন রাত পোহালো
    তুমি এলে তরুণ-আলো তখন আমার মন রাঙেনি।।
    ওগো রুদ্ধ ছিল মোর বাতায়ন পূর্ণ শশী এলে যবে,
    আঁধার-ঘরে একেলা জাগি হে চাঁদ আবার আসবে কবে।
    	আজকে আমার ঘুম টুটেছে
    	বনে আমার ফুল ফুটেছে
    ফেলে যাওয়া তোমারি মালায় বেঁধেছি মোর বিনোদ-বেনী।।
    
  • তুমি যদি রাধা হতে শ্যাম

    বাণী

    তুমি যদি রাধা হতে শ্যাম,
    আমারি মতন দিবস-নিশি জপিতে শ্যাম-নাম।।
    কৃষ্ণ-কলঙ্কেরি জ্বালা, মনে হ’ত মালতীর মালা
    চাহিয়া কৃষ্ণ-প্রেম জনমে জনমে আসিতে ব্রজধাম।।
    কত অকরুণ তব বাঁশরির সুর
    তুমি হইলে শ্রীমতী ব্রজ-কুলবতী বুঝিতে নিঠুর।
    তুমি যে-কাঁদনে কাঁদায়েছ মোরে
    আমি কাঁদাতাম তেমনি ক’রে
    বুঝিতে, কেমন লাগে এই গুরু-গঞ্জনা
    এ প্রাণ-পোড়ানি অবিরাম।।
    

  • তুমি লহ প্রভু আমার সংসারেরি ভার

    বাণী

    তুমি লহ প্রভু আমার সংসারেরি ভার লহ সংসারেরি ভার
    আজকে অতি ক্লান্তআমি বইতে নারি আর
    	এ ভার বইতে নারি আর।।
    	সংসারেরি তরে খেটে
    	জনম আমার গেল কেটে
    (ওরে) তবু অভাব ঘুচল না (আমার) হায় খাটাই হল সার।।
    বিফল যখন হলাম পেতে সবার কাছে হাত
    তখন তোমায় পড়ল মনে হে অনাথের নাথ।
    	অভাবকে আর করি না ভয়
    	তোমার ভাবে মগ্ন হৃদয়
    তোমায় ফিরিয়ে দিলাম হে মায়াময় তোমারি সংসার।।
    
  • তুমি সারাজীবন দুঃখ দিলে

    বাণী

    তুমি	সারাজীবন দুঃখ দিলে, তব দুঃখ দেওয়া কি ফুরাবে না!
    যে	ভালোবাসায় দুঃখে ভাসায় সে কি আশা পূরাবে না॥
    মোর	জনম গেল ঝুরে ঝুরে - লোকে লোকে ঘুরে ঘুরে,
    তব	স্নিগ্ধ পরশ দিয়ে কি, নাথ, দগ্ধ হিয়া জুড়াবে না॥
    তুমি	অশ্রুতে যে-বুক ভাসালে —
    সেই	বক্ষে এসো দিন ফুরালে
    তুমি	আঘাত দিয়ে ফুল ঝরালে, হাত দিয়ে কি কুড়াবে না॥
    

  • তুমি হাতখানি যবে রাখ মোর হাতের পরে

    বাণী

    তুমি		হাতখানি যবে রাখ মোর হাতের পরে
    মোর		কণ্ঠ হ’তে সুরের গঙ্গা ঝরে।।
    তব		কাজল-আঁখির ঘন পল্লব তলে
    		বিরহ মলিন ছায়া মোর যবে দোলে
    তব		নীলাম্বরীর ছোঁয়া লাগে যেন সেদিন নীলাম্বরে।।
    		যেদিন তোমারে পাই না কাছে গো পরশন নাহি পাই,
    		মনে হয় যেন বিশ্ব ভুবনে কেহ নাই, কিছু নাই।
    		অভিমানে কাঁদে বক্ষে সেদিন বীণ
    		আকাশ সেদিন হয়ে যায় বাণী হীন
    যেন		রাধা নাই, আর বৃন্দাবনে গো সব সাধ গেছে ম’রে।।
    
  • তৃষিত আকাশ কাঁপে রে

    বাণী

    তৃষিত আকাশ কাঁপে রে।
    প্রখর রবির তাপে রে।।
    চাহিয়া তৃষ্ণার বারি
    চাতক ওঠে ফুকারি’
    করুণ-শান্ত বিলাপে রে।।
    রুদ্রযোগী ও-কে দূর বিমানে,
    নিমগ্ন রহিয়াছে যেন ধ্যানে।
    শকুন্তলা সম ভয়ে
    কাঁপে ধরা র’য়ে র’য়ে,
    অগ্নি-ঋষির অভিশাপ রে।।
    

  • তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা

    বাণী

    তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা
    তোর গাঁয়েরি নদীর ঘাটে বাঁধলাম এ মোর না।।
    	তোর চরণের আলতা লেগে
    	পরান আমার উঠল রেঙে (রে)
    ও তোর বাউরি কেশের বিনুনীতে জড়িয়ে গেল পা।
    তোর বাঁকা ভুরু বাঁকা আঁখি বাঁকা চলন, সই,
    দেখে পটে আঁকা ছবির মতন দাঁড়িয়ে পথে রই।
    	উড়ে এলি’ দেশান্তরী
    	তুই কি ডানা-কাটা পরী (রে)
    তুই শুকতারারি সতিনী সই সন্ধ্যাতারার জা’।।
    
  • তোমা বিনা মাধব রহিতে পারি না

    বাণী

    তোমা বিনা মাধব রহিতে পারি না আর।
    বায়ু বিনা যেমন বাঁচে না জীবন তেমনি আপন তুমি যে আমার॥
    	মেঘ বিনা চাতকিনী মরে যায়,
    	জল বিনা যেমন শতদল ঝরে যায়,
    তিল্ তিল্ করি মরিতেছি আমি যে তেমনি বিরহে তোমার॥
    তুমি ছাড়া প্রীতম্ মনে হয় কেহ মোর নাহি এ নিখিলে;
    নিভে গেছে রবি-শশী, ডুবে গেছে পৃথিবী প্রলয়-সলিলে।
    আর সকলের, তুমি প্রভু, ধ্রুব-জ্যোতি;
    			কৃষ্ণ নয়ন-তারা তুমি যে মীরার॥
    
  • তোমায় কূলে তুলে বন্ধু আমি নামলাম জলে

    বাণী

    		তোমায় কূলে তুলে বন্ধু আমি নামলাম জলে।
    আমি		কাঁটা হয়ে রই নাই বন্ধু তোমার পথের তলে॥
    আমি		তোমায় ফুল দিয়েছি কন্যা তোমার বন্ধুর লাগি’
    		যদি আমার শ্বাসে শুকায় সে ফুল তাই হলাম বিবাগী।
    		আমি বুকের তলায় রাখি তোমায় গো, ওরে শুকায়নি ক’ গলে॥
    (ওই)		যে-দেশ তোমার ঘর্‌ রে বন্ধু সে দেশ হতে এসে,
    আমার	দুখের তরী দিছি ছেড়ে, (বন্ধু) চলতেছে সে ভেসে।
    এখন		যে-পথে নাই তুমি বন্ধু গো, তরী সেই পথে মোর চলে॥
    
  • তোমার কুসুম বনে আমি আসিয়াছি ভুলে

    বাণী

    তোমার কুসুম বনে আমি আসিয়াছি ভুলে।
    তবু মুখপানে প্রিয় চাহ মুখ তুলে।।
    দেখি সে-দিনের সম, ওগো ভুলে-যাওয়া স্মৃতি মম
    তব ও-নয়নে আজো ওঠে কি-না দুলে।।
    ওগো ভুল ক’রে আসিয়াছি, জানি ভুলেছ, তুমিও
    তবু ক্ষণেকের তরে সে-ভুল ভেঙো না প্রিয়।
    তীর্থে এসেছি মম দেবীর দেউলে।।
    তোমার মাধবী-রাতে, আসিনি আমি কাঁদাতে
    কাঁদিতে এসেছি একা বিদায়-নদীর কূলে।।

  • তোমার নাম নিয়ে খোদা আমি যে কাজ করি

    বাণী

    		তোমার নাম নিয়ে খোদা আমি যে কাজ করি।
    		আমার তা’তে নাই লাজ ভয় মরি কিম্বা তরি।।
    		আমার ভালো মন্দ তুমি খোদা জানো,
    (তাই)	দুখের শমন দিয়ে এমন বুকের কাছে টানো, (খোদা)
    (আমি)	দুঃখ দেখে তোমার থেকে না যেন যাই সরি’।।
    		সুখ-দুঃখ যশ নিন্দা মান ও অপমান
    		আমার ব’লে নাইতো কিছু সবই তোমার দান,
    (যত)		বাইরে আঘাত আসে তত তোমায় যেন ধরি।।
    (এই)		ফেরেববাজীর দনিয়া ভরা কেবল মায়া ফাঁকি
    (তাই)	তোমার নামের বাতি জ্বেলে বুকের কাছে রাখি,
    		ঐ নামের আঁচের আমি যেন মোমের মত ঝরি।
    খোদা		তোমার প্রেমে গ’লে যেন মোমের মত ঝরি।।
    
  • তোমার বুকের ফুলদানিতে ফুল হব বঁধু আমি

    বাণী

    তোমার বুকের ফুলদানিতে ফুল হব বঁধু আমি
    শুকাতে হয় শুকাইব ঐ বুকে ক্ষণেক থামি'।।
    ঐ নয়নের জ্যোতি হব তিল হব ঐ কপোলের
    দুলব মণির মালা হয়ে ঐ গলে দিবস-যামি।।
    অঙ্গে তোমার রূপ হব গো ধূপ হব মিলন-রাতে,
    গহীন ঘুমে স্বপন হব জল হব নয়ন-পাতে (আমি)।
    তোমার প্রেমের সিঙহাসনে রানী হব, হে রাজা মোর।
    চরণতলের ধূলি হব হে আমার জীবন-স্বামী।।
    

  • তোমার মনে ফুট্‌বে যবে প্রথম মুকুল

    বাণী

    তোমার মনে ফুট্‌বে যবে প্রথম মুকুল
    প্রিয় হে প্রিয় আমারে দিও সে প্রেমের ফুল।।
    	দীরঘ বরষ মাস তাহারই আশে
    	জাগিয়া রব তব দুয়ার পাশে
    বহিবে কবে ফুল-ফোটানো দখিনা বাতাস অনুকূল।।
    আর কারে দাও যদি আমার সে ধ্যানের কুসুম
    ক্ষতি নাই, ওগো প্রিয়, ভাঙুক, এ অকরুণ ঘুম।
    	গুঞ্জরি’ গুঞ্জরি’ ভ্রমর সম
    	কাঁদিব তোমারে ঘিরি’, প্রিয়তম।
    হুতাস বাতাস সম কুসুম ফুটায়ে চলে যাব দূরে বেভুল।।
    

  • তোমার হাতের সোনার রাখি

    বাণী

    তোমার হাতের সোনার রাখি আমার হাতে পরালে।
    আমার বিফল বনের কুসুম তোমার পায়ে ঝরালে।।
    		খুঁজেছি তোমায় তারার চোখে
    		কত সে-গ্রহে কত সে-লোকে,
    আজ কি তৃষিত মরুর আকাশ বাদল-মেঘে ভরালে।।
    দূর অভিমানের স্মৃতি কাঁদায় কেন আজি গো!
    মিলন-বাঁশি সহসা ওঠে ভৈরবীতে বাজি’ গো!
    		হেনেছ হেলা, দিয়েছ ব্যথা
    		মনে পড়ে আজ কেন সে-কথা,
    মরণ-বেলায় কেন এ গলায় মালার মতন জড়ালে।।
    

  • তোমারি প্রকাশ মহান

    বাণী

    তোমারি প্রকাশ মহান, রে নিখিল দুনিয়া জাহান্!
    তোমারি জ্যোতিতে রওশন্ নিশিদিন জমিন ও আস্‌মান্‌।।
    নিভিল কোটি তপন চাঁদ তোমারে খুঁজিয়া প্রভু,
    কত দাউদ ঈশা মুসা করিল তব জয়গান।।
    তোমারে কত নামে হায় ডাকিছে বিশ্ব শিশুর প্রায়,
    কত নামে পূজে তোমায় ফেরেশতা হুর পরী ইনসান্।।