কাহার্‌বা

  • তৃষিত আকাশ কাঁপে রে

    বাণী

    তৃষিত আকাশ কাঁপে রে।
    প্রখর রবির তাপে রে।।
    চাহিয়া তৃষ্ণার বারি
    চাতক ওঠে ফুকারি’
    করুণ-শান্ত বিলাপে রে।।
    রুদ্রযোগী ও-কে দূর বিমানে,
    নিমগ্ন রহিয়াছে যেন ধ্যানে।
    শকুন্তলা সম ভয়ে
    কাঁপে ধরা র’য়ে র’য়ে,
    অগ্নি-ঋষির অভিশাপ রে।।
    

  • তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা

    বাণী

    তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা
    তোর গাঁয়েরি নদীর ঘাটে বাঁধলাম এ মোর না।।
    	তোর চরণের আলতা লেগে
    	পরান আমার উঠল রেঙে (রে)
    ও তোর বাউরি কেশের বিনুনীতে জড়িয়ে গেল পা।
    তোর বাঁকা ভুরু বাঁকা আঁখি বাঁকা চলন, সই,
    দেখে পটে আঁকা ছবির মতন দাঁড়িয়ে পথে রই।
    	উড়ে এলি’ দেশান্তরী
    	তুই কি ডানা-কাটা পরী (রে)
    তুই শুকতারারি সতিনী সই সন্ধ্যাতারার জা’।।
    
  • তোমা বিনা মাধব রহিতে পারি না

    বাণী

    তোমা বিনা মাধব রহিতে পারি না আর।
    বায়ু বিনা যেমন বাঁচে না জীবন তেমনি আপন তুমি যে আমার॥
    	মেঘ বিনা চাতকিনী মরে যায়,
    	জল বিনা যেমন শতদল ঝরে যায়,
    তিল্ তিল্ করি মরিতেছি আমি যে তেমনি বিরহে তোমার॥
    তুমি ছাড়া প্রীতম্ মনে হয় কেহ মোর নাহি এ নিখিলে;
    নিভে গেছে রবি-শশী, ডুবে গেছে পৃথিবী প্রলয়-সলিলে।
    আর সকলের, তুমি প্রভু, ধ্রুব-জ্যোতি;
    			কৃষ্ণ নয়ন-তারা তুমি যে মীরার॥
    
  • তোমায় কূলে তুলে বন্ধু আমি নামলাম জলে

    বাণী

    		তোমায় কূলে তুলে বন্ধু আমি নামলাম জলে।
    আমি		কাঁটা হয়ে রই নাই বন্ধু তোমার পথের তলে॥
    আমি		তোমায় ফুল দিয়েছি কন্যা তোমার বন্ধুর লাগি’
    		যদি আমার শ্বাসে শুকায় সে ফুল তাই হলাম বিবাগী।
    		আমি বুকের তলায় রাখি তোমায় গো, ওরে শুকায়নি ক’ গলে॥
    (ওই)		যে-দেশ তোমার ঘর্‌ রে বন্ধু সে দেশ হতে এসে,
    আমার	দুখের তরী দিছি ছেড়ে, (বন্ধু) চলতেছে সে ভেসে।
    এখন		যে-পথে নাই তুমি বন্ধু গো, তরী সেই পথে মোর চলে॥
    
  • তোমার কুসুম বনে আমি আসিয়াছি ভুলে

    বাণী

    তোমার কুসুম বনে আমি আসিয়াছি ভুলে।
    তবু মুখপানে প্রিয় চাহ মুখ তুলে।।
    দেখি সে-দিনের সম, ওগো ভুলে-যাওয়া স্মৃতি মম
    তব ও-নয়নে আজো ওঠে কি-না দুলে।।
    ওগো ভুল ক’রে আসিয়াছি, জানি ভুলেছ, তুমিও
    তবু ক্ষণেকের তরে সে-ভুল ভেঙো না প্রিয়।
    তীর্থে এসেছি মম দেবীর দেউলে।।
    তোমার মাধবী-রাতে, আসিনি আমি কাঁদাতে
    কাঁদিতে এসেছি একা বিদায়-নদীর কূলে।।

  • তোমার নাম নিয়ে খোদা আমি যে কাজ করি

    বাণী

    		তোমার নাম নিয়ে খোদা আমি যে কাজ করি।
    		আমার তা’তে নাই লাজ ভয় মরি কিম্বা তরি।।
    		আমার ভালো মন্দ তুমি খোদা জানো,
    (তাই)	দুখের শমন দিয়ে এমন বুকের কাছে টানো, (খোদা)
    (আমি)	দুঃখ দেখে তোমার থেকে না যেন যাই সরি’।।
    		সুখ-দুঃখ যশ নিন্দা মান ও অপমান
    		আমার ব’লে নাইতো কিছু সবই তোমার দান,
    (যত)		বাইরে আঘাত আসে তত তোমায় যেন ধরি।।
    (এই)		ফেরেববাজীর দনিয়া ভরা কেবল মায়া ফাঁকি
    (তাই)	তোমার নামের বাতি জ্বেলে বুকের কাছে রাখি,
    		ঐ নামের আঁচের আমি যেন মোমের মত ঝরি।
    খোদা		তোমার প্রেমে গ’লে যেন মোমের মত ঝরি।।
    
  • তোমার বুকের ফুলদানিতে ফুল হব বঁধু আমি

    বাণী

    তোমার বুকের ফুলদানিতে ফুল হব বঁধু আমি
    শুকাতে হয় শুকাইব ঐ বুকে ক্ষণেক থামি'।।
    ঐ নয়নের জ্যোতি হব তিল হব ঐ কপোলের
    দুলব মণির মালা হয়ে ঐ গলে দিবস-যামি।।
    অঙ্গে তোমার রূপ হব গো ধূপ হব মিলন-রাতে,
    গহীন ঘুমে স্বপন হব জল হব নয়ন-পাতে (আমি)।
    তোমার প্রেমের সিঙহাসনে রানী হব, হে রাজা মোর।
    চরণতলের ধূলি হব হে আমার জীবন-স্বামী।।
    

  • তোমার মনে ফুট্‌বে যবে প্রথম মুকুল

    বাণী

    তোমার মনে ফুট্‌বে যবে প্রথম মুকুল
    প্রিয় হে প্রিয় আমারে দিও সে প্রেমের ফুল।।
    	দীরঘ বরষ মাস তাহারই আশে
    	জাগিয়া রব তব দুয়ার পাশে
    বহিবে কবে ফুল-ফোটানো দখিনা বাতাস অনুকূল।।
    আর কারে দাও যদি আমার সে ধ্যানের কুসুম
    ক্ষতি নাই, ওগো প্রিয়, ভাঙুক, এ অকরুণ ঘুম।
    	গুঞ্জরি’ গুঞ্জরি’ ভ্রমর সম
    	কাঁদিব তোমারে ঘিরি’, প্রিয়তম।
    হুতাস বাতাস সম কুসুম ফুটায়ে চলে যাব দূরে বেভুল।।
    

  • তোমার হাতের সোনার রাখি

    বাণী

    তোমার হাতের সোনার রাখি আমার হাতে পরালে।
    আমার বিফল বনের কুসুম তোমার পায়ে ঝরালে।।
    		খুঁজেছি তোমায় তারার চোখে
    		কত সে-গ্রহে কত সে-লোকে,
    আজ কি তৃষিত মরুর আকাশ বাদল-মেঘে ভরালে।।
    দূর অভিমানের স্মৃতি কাঁদায় কেন আজি গো!
    মিলন-বাঁশি সহসা ওঠে ভৈরবীতে বাজি’ গো!
    		হেনেছ হেলা, দিয়েছ ব্যথা
    		মনে পড়ে আজ কেন সে-কথা,
    মরণ-বেলায় কেন এ গলায় মালার মতন জড়ালে।।
    

  • তোমারি প্রকাশ মহান

    বাণী

    তোমারি প্রকাশ মহান, রে নিখিল দুনিয়া জাহান্!
    তোমারি জ্যোতিতে রওশন্ নিশিদিন জমিন ও আস্‌মান্‌।।
    নিভিল কোটি তপন চাঁদ তোমারে খুঁজিয়া প্রভু,
    কত দাউদ ঈশা মুসা করিল তব জয়গান।।
    তোমারে কত নামে হায় ডাকিছে বিশ্ব শিশুর প্রায়,
    কত নামে পূজে তোমায় ফেরেশতা হুর পরী ইনসান্।।
    
  • তোমারেই আমি চাহিয়াছি প্রিয়

    বাণী

    তোমারেই আমি চাহিয়াছি প্রিয় শতরূপে শতবার।
    জনমে জনমে চলে তাই মোর অনন্ত অভিসার।।
    		বনে তুমি যবে ছিলে বনফুল
    		গেয়েছিনু গান আমি বুল্‌বুল্‌,
    ছিলাম তোমার পূজার থালায় চন্দন ফুলহার।।
    তব সংগীতে আমি ছিনু সুর নৃত্যে নূপুর–ছন্দ,
    আমি ছিনু তব অমরাবতীতে পারিজাত ফুল–গন্ধ।
    		কত বসন্তে কত বরষায়
    		খুঁজেছি তোমায় তারায় তারায়,
    আজিও এসেছি তেমনি আশায় ল’য়ে স্মৃতি–সম্ভার।।
    
  • তৌহিদেরি বান ডেকেছে সাহারা মরুর দেশে

    বাণী

    তৌহিদেরি বান ডেকেছে সাহারা মরুর দেশে
    দুনিয়া জাহান ডুবু-ডুবু সেই স্রোতে যায় ভেসে।।
    সেই জোয়ারে আমার নবী পারের তরী নিয়ে
    'আয় কে যাবি পারে'-ডাকে দ্বারে দ্বারে গিয়ে
    যে চায় না তারেও নেয় সে নায়ে আপনি ভালবেসে।।
    পথ দেখায় সে ঈদের চাঁদের পিদিম নিয়ে হাতে
    হেসে,হেসে,দাঁড় টানে চা’র আসহাব তাঁরি সাথে।
    নামাজ-রোজার,ফুল-ফসলে শ্যামল হ’ল মরু
    প্রেমের রসে উঠল পুরে নীরস মনের তরু
    খোদার রহম এলো রে আখেরি নবীর বেশে।।
    

  • তৌহিদেরি মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম

    বাণী

    তৌহিদেরি মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম।
    ঐ নাম জপলেই বুঝতে পারি খোদায়ী কালাম —
    			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
    ঐ নামেরি রশি ধ’রে যাই আল্লার পথে,
    ঐ নামেরি ভেলা ধ’রে ভাসি নূরের স্রোতে,
    ঐ নামেরি বাতি জ্বেলে দেখি আরশের মোকাম।
    			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
    ঐ নামের দামন ধ’রে আছি আমার কিসের ভয়,
    ঐ নামের গুনে পাব (আমি) খোদার পরিচয়,
    তাঁর কদম মোবারক যে আমার বেহেশ্‌তী তাঞ্জাম।
    			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
    

  • ত্রাণ কর মওলা মদিনার উম্মত তোমার

    বাণী

    ত্রাণ কর মওলা মদিনার, উম্মত তোমার গুনাহ্‌গার কাঁদে।
    তব প্রিয় মুসলিম দুনিয়া পড়েছে আবার গুনাহের ফাঁদে।।
    	নাহি কেউ ঈমানদার, নাহি নিশান-বরদার,
    	মুসলিম জাহানে নাহি আর পরহেজগার,
    	জামাত শামিল হতে যায় না মসজিদে,
    	পড়ে নাকো কোরআন মানে না মুর্শিদে;
    ভুলিয়াছে কল্‌মা শাহাদাত, পড়ে না নামাজ ঈদের চাঁদে।।
    	নাহি দান খয়রাত, ভুলে মোহ ফাঁসে
    	মেতে আছে সবে বিভবে বিলাসে;
    	বসিয়াছে জালিম শাহী তখ্‌তে তব —
    	মজলুমের এ ফরিয়াদ আর কাহে কব,
    তলোয়ার নাহি আর, পায়ে গোলামীর জিঞ্জির বাঁধে।।
    
  • ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়

    বাণী

    ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়।
    আয় রে সাগর আকাশ বাতাস দেখ্‌বি যদি আয়।।
    ধূলির ধরা বেহেশ্‌তে আজ, জয় করিল দিল রে লাজ।
    আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়।।
    দেখ্‌ আমিনা মায়ের কোলে, দোলে শিশু ইসলাম দোলে।
    কচি মুখে শাহাদাতের বাণী সে শোনায়।।
    আজকে যত পাপী ও তাপী, সব গুনাহের পেল মাফী।
    দুনিয়া হতে বে-ইনসাফী জুলুম নিল বিদায়।।
    নিখিল দরুদ পড়ে লয়ে নাম, সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম।
    জীন পরী ফেরেশ্‌তা সালাম জানায় নবীর পায়।।
    
  • থাক্ এ গৃহ ঘিরিয়া সদা মঙ্গল কল্যাণ

    বাণী

    থাক্ এ গৃহ ঘিরিয়া সদা মঙ্গল কল্যাণ হে ভগবান।
    দাও পুত পবিত্রতা প্রশান্তি অফুরান, হে ভগবান॥
    অন্তরে দেহে দাও বিমল্-জ্যোতি
    কর্মে প্রেরণা দাও ধর্মে মতি;
    এ গৃহের নারী হোক পুণ্যবতী
    বীরত্বে ত্যাগে হোক পুরুষ মহান; হে ভগবান॥
    এ গৃহের বারি হোক নির্মল সুশীতল হে ভগবান,
    এ গৃহের আলো হোক পুণ্যে সমুজ্জ্বল হে ভগবান।
    সকলের সাথে হেথা প্রীতি যেন রয়
    যেন নাহি থাকে হেথা রোগ শোক ভয়;
    দূর কর হিংসা পাপ সংশয়
    সার তব পায়ে নিবেদিত সকলের মনপ্রাণ, হে ভগবান॥
    
  • দাও আরো আরো দাও সুরা আর সুর

    বাণী

    দাও আরো আরো দাও সুরা আর সুর।
    প্রাণের পাত্র কর সুখে ভরপুর।।
    	বাজুক অধীর হ’য়ে
    	নূপুর জলদ লয়ে,
    সমতালে তাল দিক কাঁকন-কেয়ূর।।
    	সুর ও সুরার ঝোঁক
    	ধরায় অমর হোক,
    এই সে-স্বর্গলোকে আয় তৃষাতুর।।
    

    নাটিকা: ‘নরমেধ’

  • দাও দাও দরশন পদ্ম-পলাশ লোচন

    বাণী

    দাও দাও দরশন পদ্ম-পলাশ লোচন,
    	কেঁদে দু’ নয়ন হ’ল অন্ধ।
    আকাশ বাতাস ঘেরা, তব ও মন্দির বেড়া
    	আর কতকাল রবে বন্ধ॥
    পাখি যেমন সন্ধ্যাকালে, বন্ধু-স্বজন পালে পালে
    উড়ে এসে ব’সেছিল ডালে হে।
    রাত পোহালে একে এক, উড়ে গেল দিগ্বিদিকে,
    	প’ড়ে আছি একা নিরানন্দ।
    টুটিল বাঁধন মায়ার, কবে শুনিব এবার
    	ও রাঙা চরণ নূপুর ছন্দ॥
    দুখ-শোক রৌদ্রজলে, ফেলে মোরে পলে পলে
    	ছলিতেছ হরি কত ছল হে
    জীবনের বোঝা প্রভু, বহিতে কি হবে তবু
    	সহিতে পারি না আর দ্বন্দ্ব।
    মরণের সোনার ছোঁওয়ায়, ডেকে লও ও রাঙা পায়
    	দেখাও এবার মুখ-চন্দ॥
    
  • দাসী হতে চাই না আমি হে শ্যাম কিশোর

    বাণী

    দাসী হতে চাই না আমি হে শ্যাম কিশোর বল্লভ,
    আমি তোমার প্রিয়া হওয়ার দুঃখ লব।
    	জানি জানি হে উদাসীন
    	দুঃখ পাব অন্ত বিহীন
    বঁধুর আঘাত মধুর যে নাথ সে গরবে সকল সব।।
    তোমার যারা সেবিকা নাথ, আমি নাহি তাদের দলে,
    সবর্নাশের আশায় আমি ভেসেছি প্রেম পাথার জলে।
    	দয়া যে চায় যাচুক চরণ
    	আমার আশা করব বরণ
    বিরহে হোক মধুর মরণ, আজীবন সুদূরে রব।।
    
  • দিতে এলে ফুল হে প্রিয়

    বাণী

    দিতে এলে ফুল,হে প্রিয়,কে আজি সমাধিতে মোর?
    এতদিনে কি আমারে পড়িল মনে মনচোর।।
    জীবনে যারে চাহনি তাহারে ঘুমাইতে দাও।
    মরণ-পারে ভেঙো না,ভেঙো না তাহার ঘুম-ঘোর।।
    দিতে এসে ফুল কেঁদো না প্রিয় মোর,সমাধি-পাশে
    ঝরিল যে ফুল অনাদরে হায়,নয়ন-জলে বাঁচিবে না সে!
    সামাধি-পাষাণ নহে গো তোমার সমান কঠোর।।
    কত আশা,সাধ মিশে যায় মাটির সনে
    মুকুলে ঝরে কত ফুল কীটেরি দহনে।
    কেন অসময়ে আসিলে,ফিরে যাও,মোছ আঁখি -লোর।।