কাহার্‌বা

  • দেবতা গো দ্বার খোলো

    বাণী

    দেবতা গো, দ্বার খোলো।
    অভিসার নিশি বাহির দুয়ারে দাঁড়ায়ে প্রভাত হ’ল॥
    	পাষাণের আবরণে তুমি যদি
    	এমনি গোপন রবে নিরবধি,
    বেণুকার সুরে হৃদি যমুনায় কেন এ লহর তোলো॥
    আর	সহিতে পারি না একা,
    প্রাণে	কেন দিয়ে আশা এত ভালোবাসা
    যদি	নাহি দিবে দেখা।
    	বহিতে পারি না আর এই ভার,
    	এই ফুল সাজ পূজা-সম্ভার
    তুমি	দেখা দেও একবার দেখা দেও —
    দেখা	দিয়ে চিরতরে মোরে ভোলো॥
    
  • দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান

    বাণী

    দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান
    হে খোদা, এ যে তোমারই হুকুম, তোমারই ফরমান।।
    এমনি তোমার নামের আছর –
    নামাজ রোজার নাই অবসর,
    তোমার নামের নেশায় সদা মশগুল মোর প্রাণ।।
    তকদিরে মোর এই লিখেছ হাজার গানের সুরে
    নিত্য দিব তোমার আজান আঁধার মিনার-চূড়ে।
    কাজের মাঝে হাটের পথে
    রণ-ভূমে এবাদতে
    আমি তোমার নাম শোনাব, করব শক্তি দান।।
    

  • দোল ফাগুনের দোল লেগেছে

    বাণী

    দোল ফাগুনের দোল লেগেছে, আমের বোলে দোলন-চাঁপায়।
    মৌমাছিরা পলাশ-ফুলের গেলাশ ভ’রে মউ পিয়ে যায়।।
    		শ্যামল পাতার কোলে কোলে
    		আবির-রাঙা কুসুম দোলে,
    দোয়েল শ্যামা লহর তোলে কৃষ্ণচূড়ার ফুলেল শাখায়।।
    বন-গোপিনী ফুল ছুঁড়ে ঐ খেলে হোরী দখিন-বায়ে,
    হলদে পাখি দোদুল দুলে সোনাল শাখায় আদুল গায়ে।
    		ভাঁট-ফুলের ঐ নাট-দেউলে
    		রঙিন প্রজাপতি দুলে,
    মন ছুটে যায় দূর গোকুলে, বৃন্দাবনে প্রেম যমুনায়।।
    
  • দোলে নিতি নব রূপের টেউ-পাথার

    বাণী

    দোলে নিতি নব রূপের টেউ-পাথার ঘনশ্যাম তোমারি নয়নে।
    আমি হেরি যে নিখিল বিশ্বরূপ-সম্ভার তোমারি নয়নে॥
    		তুমি পলকে ধর নাথ সংহার-বেশ
    		হও পলকে করুণা-নিধান পরমেশ।
    নাথ ভরা যেন বিষ অমৃতের ভান্ডার তোমার দুই নয়নে॥
    		ওগো মহা-শিশু, তব খেলা-ঘরে
    		একি বিরাট সৃষ্টি বিহার করে,
    সংসার চক্ষে তুমিই হে নাথ, সংসার তোমারি নয়নে॥
    		তুমি নিমেষে রচি নব বিশ্বছবি
    		ফেল নিমেষে মুছিয়া হে মহাকবি,
    করে কোটি কোটি ব্রহ্মান্ড ভুবন-সঞ্চার তোমারি নয়নে॥
    		তুমি ব্যাপক ব্রহ্ম চরাচরে
    		জড় জীবজন্তু নারী-নরে,
    কর কমল-লোচন, তোমার রূপ বিস্তার হে আমারি নয়নে॥
    
  • দোলে প্রাণের কোলে প্রভূর নামের মালা

    বাণী

    দোলে প্রাণের কোলে প্রভূর নামের মালা।
    সকাল সাঁঝে সকল কাজে জপি সে নাম নিরালা।।
    সেই নাম বসন-ভূষণ আমারি
    সেই নামে ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিবারি,
    সেই নাম লয়ে বেড়াই কেঁদে
    	সেই নামে আবার জুড়াই জ্বালা।।
    সেই নামরেই নামাবলী গ্রহ তারা রবি শশী দোলে গগন কোলে।
    	মধুর সেই নাম প্রাণে সদা বাজে,
    	মন লাগে না সংসার কাজে
    		সে নামে সদা মন মাতোয়ালা।।
    আদর-সোহাগ মান -অভিমান আপন মনে তার সাথে;
    	কাঁদায়ে কাঁদি, পায়ে ধ'রে সাধি,
    	কভু করি পূজা, কভু বুকে বাঁধি,
    	আমার স্বামী সে ভুবন-উজালা।।
    
  • দোলে বন-তমালের ঝুলনাতে

    বাণী

    দোলে	বন-তমালের ঝুলনাতে কিশোরী-কিশোর
    চাহে	দুঁহু দোঁহার মুখপানে চন্দ্র ও চকোর,
    যেন	চন্দ্র ও চকোর প্রেম-আবেশে বিভোর।।
    	মেঘ-মৃদঙ বাজে সেই ঝুলনের ছন্দে
    	রিম ঝিম বারিধারা ঝরে আনন্দে
    	হেরিতে যুগল শ্রীমুখ চন্দে
    	গগনে ঘেরিয়া এলো ঘন-ঘটা ঘোর।।
    	নব নীরদ দরশনে চাতকিনী প্রায়
    	ব্রজ-গোপিনী শ্যামরূপে তৃষ্ণা মিটায়
    গাহে	বন্দনা-গান দেব-দেবী অলকায়
    	ঝরে বৃষ্টিতে সৃষ্টির প্রেমাশ্রু-লোর।।
    
  • নতুন ক’রে রেজওয়ান জিন্নত সাজায়

    বাণী

    নতুন ক’রে রেজওয়ান জিন্নত সাজায়
    আজ রোজায় আজ রোজায় আজ রোজায়।
    লাগল চাবি দোজখেরি দরওয়াজায়।।
    	মসজিদেরি মিনার-চুড়ে
    	আজ বেহেশতী নিশান উড়ে
    গাফলতি নাই আর কারো নামাজ কাজায়।।
    	রোজার শবেকদর রাতে
    	কোরান এলো দুনিয়াতে
    ফেরেশতা সব সালাম জানায় মোর্তজায়।।
    
  • নতুন চাঁদের তক্‌বীর শোন্‌

    বাণী

    নতুন চাঁদের তক্‌বীর শোন্‌ কয় ডেকে ঐ মুয়াজ্জিন —
    আসমানে ফের ঈদুজ্জোহার চাঁদ উঠেছে মুসলেমিন।।
    এলো স্মরণ করিয়ে দিতে ঈদুজ্জোহার এই সে চাঁদ,
    তোরা ভোগের পাত্র ফেল্‌ রে ছুঁড়ে ত্যাগের তরে হৃদয় বাঁধ।
    কোরবানি দে তোরা, কোরবানি দে।।
    প্রাণের যা তোর প্রিয়তম আজকে সে সব আন্‌,
    খোদারই রাহে আজ তাহাদের কর রে কোরবান্‌।
    কি হবে ঐ বনের পশু খোদারে দিয়ে,
    তোর কাম-ক্রোধাদি মনের পশু জবেহ্‌ কর্‌ নিয়ে।
    কোরবানি দে তোরা, কোরবানি দে।।
    বিলিয়ে দেওয়ার খুশির শিরনি তশ্‌তরিতে আন,
    পর্‌ রে তোরা সবাই ত্যাগের রঙিন পিরহান্‌।
    মোদের যা কিছু প্রিয় বিলাব সবে
    নবীর উম্মত তবে সকলে কবে।
    কোরবানি দে তোরা, কোরবানি দে।।
    
  • নতুন নেশার আমার এ মদ

    বাণী

    নতুন নেশার আমার এ মদ বল কি নাম দেবো এরে বঁধুয়া।
    গোপী চন্দন গন্ধ মুখে এর বরণ সোনার চাঁদ চুঁয়া।।
    	মধু হ'তে মিঠে পিয়ে আমার মদ
    	গোধূলি রং ধরে কাজল নীরদ,
    প্রিয়েরে প্রিয়তম করে এ মদ মম, চোখে লাগায় নভোনীল ছোঁওয়া।।
    	ঝিম্ হয়ে আসে সুখে জীবন ছেয়ে,
    	পান্‌সে জোছনাতে পান্‌সি চলে বেয়ে,
    মধুর এ মদ নববধূর চেয়ে আমার মিতালী এ মহুয়া।। 
    
  • নদীর নাম সই অঞ্জনা

    বাণী

    নদীর নাম সই অঞ্জনা নাচে তীরে খঞ্জনা,
    		পাখি সে নয় নাচে কালো আঁখি।
    আমি যাব না আর অঞ্জনাতে জল নিতে সখি লো,
    		ঐ আঁখি কিছু রাখিবে না বাকি॥
    সেদিন তুলতে গেলাম দুপুর বেলা
    কলমি শাক ঢোলা ঢোলা (সই)
    হ’ল না আর সখি লো শাক তোলা,
    আমার মনে পড়িল সখি, ঢল ঢল তা’র চটুল আঁখি
    ব্যথায় ভ’রে উঠলো বুকের তলা।
    ঘরে ফেরার পথে দেখি,
    নীল শালুক সুঁদি ও কি
    ফু’টে আছে ঝিলের গহীন জলে।
    আমার অমনি পড়িল মনে
    সেই ডাগর আঁখি লো
    ঝিলের জলে চোখের জলে হ’ল মাখামাখি॥
    
  • নন্দন বন হতে কি গো ডাকো মোরে

    বাণী

    নন্দন বন হতে কি গো ডাকো মোরে আজো নিশীথে
    ক্ষণে ক্ষণে ঘুম হারা পাখি কেঁদে ওঠে করুন-গীতে।।
    	ভেঙে যায় ঘুম চেয়ে থাকি
    	চাহে চাঁদ ছলছল আখিঁ
    ঝরা চম্পার ফুল যেন কে ফেলে চলে যায় চকিতে।।
    সহিতে না তিলেক বিরহ ছিলে যবে জীবনের সাতি,
    ব'লে যাও আজ কোন অমরায় কেমনে কাটাও দিবারাতি।।
    	জীবনে ভুলিলে তুমি যারে
    	তারে ভুলে যাও মরনের ওপারে
    আঁধার ভুবনে মোরে একাকী দাও মোরে দাও ঝুরিতে।।
    
  • নবীন আশা জাগ্‌ল যে রে আজ

    বাণী

    নবীন আশা জাগ্‌ল যে রে আজ!
    নূতন রঙে রাঙা তোদের সাজ॥
    কোন সে বাণী বাজ্‌ল প্রাণের মাঝ
    বাজরে বীনা বাজ, দীপক-তানে বাজ
    আপন কাজে পাস্‌ রে কেন লাজ?
    এগিয়ে গিয়ে ধর্‌ রে নিজের কাজ।
    শির্‌ উচিয়ে দাঁড়া জগৎ-মাঝ!
    তোদের কণ্ঠে হানে যেন প্রবল বাজ॥
    ফেলে দে রে যা কিছু সব জীর্ণ
    রিক্ত যা, হবে তা দীর্ণ।
    থাকিস্‌ নে বসে কেউ শীর্ণ
    দুন্দুভি-ঢাক বাজুক না রে আজ॥
    
  • নবীন বসন্তের রানী তুমি

    বাণী

    পুরুষ		: 	নবীন বসন্তের রানী তুমি গোলাব-ফুলী রঙ।
    স্ত্রী		: 	তব অনুরাগের রঙে আমি উঠিয়াছি আজ রেঙে
    						প্রিয় এই অপরূপ ঢঙ।।
    পুরুষ		: 	পলাশ কৃষ্ণচূড়ার কলি
    			রাঙা ও-পায়ে এলে কি দলি’?
    স্ত্রী		:	বেয়ে প্রেমের পথের গলি
    			এলাম কঠোর হৃদয় দলি’,
    			হের পায়ে তাহারি রঙ।।
    পুরুষ		:	হায়, হৃদয়-হীনা হৃদয়-সাথি হয় না তা জানি,
    			অবুঝ হৃদয় তবু চাহে তায় জানে সে-পাষাণী।
    স্ত্রী		:	ধরিয়া পায়ে প্রেম জানায়ে
    			যাও পালায়ে শেষে কাঁদায়ে
    			কাঁদাই যতই, কাঁদি যে ততই;
    পুরুষ		:	বায়ু কেঁদে যায় ফুল ঝরায়ে।
    স্ত্রী		:	না, না, যাও যাও মন চেয়ো না
    			গন্ধ লহ, ফুল চেয়ো না;
    			আছে কাঁটা ফুলের সঙ্গ।।
    উভয়ে		:	যাই চল সেই কাননে
    			নাই কাঁটা ফুলের সনে
    			যথা নাই বিরহ, শুধু মিলন।।
    
  • নমঃ নমঃ নমো বাঙলাদেশ মম

    বাণী

    নমঃ নমঃ নমো		বাঙলাদেশ মম
    চির মনোরম		চির মধুর
    বুকে নিরবধি		বহে শত নদী
    চরণে জলধির		বাজে নূপুর।।
    গ্রীষ্মে নাচে বামা		কালবোশেখি ঝড়ে
    সহসা বরষাতে		কাঁদিয়া ভেঙ্গে পড়ে
    শরতে হেসে চলে		শেফালিকা-তলে
    গাহিয়া আগমনী		গীতি বিধুর।।
    হরিত অঞ্চল		হেমন্তে দুলায়ে
    ফেরে সে মাঠে মাঠে		শিশির ভেজা পায়ে
    শীতের অলস বেলা		পাতা ঝরারি খেলা
    ফাগুনে পরে সাজ		ফুল-বধূর।।
    এই দেশের মাটি		জল ও ফুলে ফলে
    যে রস যে সুধা		নাহি ভূমণ্ডলে
    এই মায়েরি বুকে		হেসে খেলে সুখে
    ঘুমাবো এই বুকে		স্বপ্নাতুর।।
    
  • নমস্তে বীণা পুস্তক হস্তে দেবী

    বাণী

    নমস্তে বীণা পুস্তক হস্তে দেবী বীণাপাণি।
    শতদল-বাসিনী সিদ্ধি-বিধায়িনী সরস্বতী বেদবাণী।।
    	এসো আমল ধবল শুভ সাত্ত্বিকী বর্ণে,
    	হংস-বাহনে লীলা উৎপল কর্ণে,
    এসো বিদ্যারূপিণী মা শারদা ভারতী এসো ভীতজনে বরাভয় দানি।।
    	শুদ্ধ জ্ঞান দাও শুভ্র আলোক
    	অজ্ঞান তিমির অপগত হোক।
    মৃতজনে সঙ্গীত-অমৃত দাও মা বীণাতে মাভৈঃ ঝঙ্কার হানি।
    
  • নয়নে তোমার ভীরু মাধুরীর মায়া

    বাণী

    নয়নে তোমার ভীরু মাধুরীর মায়া
    বন-মৃগী সম উঠিছ চমকি' হেরিয়া আপন ছায়া।।
    	প্রাতে ঊষার প্রায়
    	রেঙে ওঠো লজ্জায়,
    এলায়িত লতিকায় ভঙ্গুর তব কায়া।।
    দৃষ্টিতে তব আরতি-দীপের দ্যুতি
    তুমি নিবেদিতা সন্ধ্যা-পূজা-আরতি।
    	ভূমি অবলুণ্ঠিতা
    	বনলতা কুণ্ঠিতা
    কোলাহল-শঙ্কিতা যেন গো তাপস-জায়া।।
    

  • নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখি-জল

    বাণী

    নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখি-জল
    মলিন হয়েছে ঘুমে চোখের কাজল।।
    	হেরিয়া নিশি-প্রভাতে
    	শিশির কমল-পাতে
    ভাব বুঝি বেদনাতে ফুটেছে কমল।।
    	এ শুধু শীতের মেঘে
    	কপট কুয়াশা লেগে’
    ছলনা উঠেছে জেগে’ এ নহে বাদল।।
    	কেন কবি খালি খালি
    	হ’লি রে চোখের বালি
    কাঁদাতে গিয়া কাঁদালি নিজেরে কেবল।।
    

  • না মিটিতে সাধ মোর নিশি পোহায়

    বাণী

    		না মিটিতে সাধ মোর নিশি পোহায়।
    		গভীর আঁধার ছেয়ে আজো হিয়ায়।।
    			আমার নয়ন ভ’রে
    			এখনো শিশির ঝরে,
    		এখনো বাহুর ’পরে বঁধূ ঘুমায়।।
    			এখনো কবরী-মূলে
    			কুসুম পড়েনি ঢুলে,
    		এখনো পড়েনি খুলে’ মালা খোঁপায়।।
    			নিভায়ে আমার বাতি
    			পোহাল সবার রাতি,
    (আমি) 	নিশি জেগে’ মালা গাঁথি, প্রাতে শুকায়।।
    
  • নাই চিনিলে আমায় তুমি

    বাণী

    নাই চিনিলে আমায় তুমি রইব আধেক চেনা।
    চাঁদ কি জানে কোথায় ফোটে চাঁদনি রাতে হেনা।।
    	আধো আঁধার আধো আলোতে
    	একটু চোখের চাওয়া পথে —
    জানিতাম তা ভুলবে তুমি, আমার আঁখি ভুলবে না।।
    আমার ঈষৎ পরিচয়ের এই সঞ্চার লয়ে
    হয় না সাহস কোথায় যাব মনের কথা কয়ে।
    	একটু জানার মধু পিয়ে
    	বেড়াই কেন গুন্‌গুনিয়ে —
    তুমি জান, আমি জানি, আর কেহ জানে না।।
    
  • নাই হ'ল মা বসন ভূষণ এই ঈদে আমার

    বাণী

    নাই হ'ল মা বসন ভূষণ এই ঈদে আমার।
    আল্লা আমার মাথার মুকুট রসুল গলার হার।।
    নামাজ রোজার ওড়না শাড়ি, ওতেই আমায় মানায় ভারি,
    কল্‌মা আমার কপালে টিপ, নাই তুলনা তার।।
    হেরা গুহারই হীরার তাবিজ, কোরান বুকে দোলে
    হাদিস্‌ ফেকাহ্‌ বাজুবন্দ্‌ দেখে পরাণ ভোলে।
    হাতে সোনার চুড়ি যে মা, হাসান হোসেন মা ফাতেমা,
    মোর অঙ্গুলিতে অঙ্গুরি, মা নবীর চার ইয়ার।।