কাহার্‌বা

  • মদির স্বপনে মম বন-ভবনে

    বাণী

    মদির স্বপনে মম বন-ভবনে
    জাগো চঞ্চলা বাসন্তিকা, ওগো ক্ষণিকা।।
    মোর গগনের উল্কার প্রায়
    চমকি ক্ষণেক চকিতে মিলায়
    তোমার হাসির যুঁই-কণিকা।।
    পুষ্প ধনু তব মন-রাঙানো
    বঙ্কিম ভুরু হানো হানো।
    তোমার উতল উত্তরীয়
    আমার চোখে ছুঁইয়ে দিও (প্রিয়)
    আমি হব (ওগো) তোমার মালার মণিকা।।
    
  • মধুকর মঞ্জির বাজে

    বাণী

    মধুকর মঞ্জির বাজে বাজে
    		গুন্‌ গুন্‌ মঞ্জুল গুঞ্জরণে।
    মৃদুল দোদুল নৃত্যে
    		বন শবরী মাতে কুঞ্জবনে।।
    বাজাইছে সমীর দখিনা
    পল্লবে মর্মর বীণা,
    বনভুমি ধ্যান–আসীনা
    		সাজিল রাঙা কিশলয়–বসনে।।
    ধূলি ধূসর প্রান্তর পরেছিল গৈরিক সন্ন্যাস–সাজ
    নব–দূর্বাদল শ্যাম হলো আনন্দে আজ।
    লতিকা–বিতানে ওঠে ডাকি’
    মুহু মুহু ঘুমহারা পাখি
    নব নীল অঞ্জন মাখি’
    		উদাসী আকাশ হাসে চাঁদের সনে।।
    

  • মধুর আরতি তব বিশ্ব সভাতে

    বাণী

    মধুর আরতি তব বিশ্ব সভাতে
    নিত্য হেরি নাথ সন্ধ্যায় প্রভাতে।।
    চন্দ্র, সূর্য, দীপ গগন-থালা
    শ্বেত মেঘ-চন্দন, তারার মালা
    মলয় সমীর পূজা-ধূপের গন্ধ
    ঝরা ফুল-অঞ্জলি ধরণীর হাতে।।
    শঙ্খ বাজায় তব সাগর-কল্লোল
    বজ্র রবে ঘন ঘন্টার রোল
    বিগ্রহ নিখিল সৃষ্টি-আঙিনায়।
    (তব) শান্ত সত্ব-পাখা প্রণব-ওঙ্কার
    ঝমঝম বৃষ্টিতে ঝাঁঝর ঝঙ্কার।
    দেবদাসী সম কোটি গ্রহ ঘুরে ঘুরে
    তোমার বন্দনা-নৃত্যে মাতে।।
    
  • মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি

    বাণী

    পুরুষ		:	মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি প্রিয়ে।
    স্ত্রী		:	ধরিতে পারি না পেতে তাই প্রেম ফাঁদ —
    			তুমি মেঘ আমি চাঁদ, ফের গো কাঁদিয়ে।।
    পুরুষ		:	মন্দ বায় আমি গন্ধ লুটি শুধু —
    			চাই না আমি সে মধু;
    স্ত্রী		:	চাইনে চাইনে বঁধু —
    			তাহে নাই সুখ নাই, আমি পরশ যে চাই।
    পুরুষ		:	স্বপন-কুমার ফিরি যে আমি মন ভুলিয়ে।।
    উভয়ে	:	চল তবে যাই মোরা স্বপনের দেশে
    			জোছনায় ভেসে —
    			নন্দন-পারিজাত ফুল ফুটিয়ে।।
    
  • মন লহ নিতি নাম রাধা শ্যাম গাহো

    বাণী

    মন লহ নিতি নাম রাধা শ্যাম গাহো হরি গুণ গান।
    তব ধন জন প্রাণ, যাহার কৃপার দান
    জপ তারি নাম জয় ভগবান জয় ভগবান।।
    জনক-জননীর স্নেহে তাঁহার হেরিস্‌ তুই স্নেহময়,
    ভাই ভগিনীর প্রীতিতে যাঁর, শান্ত মধুর পরিচয়।
    প্রণয়ী বন্ধুর মাঝে, যাঁর প্রেম রূপ বিরাজে;
    পুত্র কন্যা-রূপে সেই জুড়ায় তাপিত পরান।।
    তৃষ্ণা ক্ষুধায় সেই কৃষ্ণেরি লীলা,
    হাসে শ্যাম শস্যে কুসুমে রঙিলা;
    তরঙ্গে ছলছল আঁখি জল-নীলা,
    	কল-ভাষা নদী-কলতান।
    দেয় দুখ্‌ শোক সেই, পুন সেই করে ত্রাণ।
    জয় ভগবান, জয় ভগবান, জয় ভগবান।।
    
  • মনের রঙ লেগেছে বনের পলাশ

    বাণী

    মনের রঙ লেগেছে বনের পলাশ জবা অশোকে
    রঙের ঘোর জেগেছে পারুল কনক-চাঁপার চোখে।।
    মুহু মুহু বোলে কুহু কুহু কোয়েলা, মুকুলিত আমের ডালে
    				গাল রেখে ফুলের গালে।
    দোয়েলা দোল দিয়ে যায়, ডালিম ফুলের নব-কোরকে।।
    ফুলের পরাগ ফাগের রেণু ঝুরু ঝুরু ঝরিছে গায়ে
    				ঝিরি ঝিরি চৈতী বায়ে
    বকুল বনে ঝিমায় মধুপ মদির নেশার ঝোঁকে।।
    হরিত বনে হরষিত মনে হোরির হর্‌রা জাগে
    				রঙিলা অনুরাগে
    নূতন প্রণয়-সাধ জাগে চাঁদের রাঙা আলোকে।।
    
  • মম প্রাণ নিয়ে নিঠুর খেল এ কি খেলা

    বাণী

    মম প্রাণ নিয়ে নিঠুর খেল এ কি খেলা (হায়)।
    ক্ষণে ভালোবাসা হায় ক্ষণে অবহেলা।।
    সকালে গাঁথিয়া মালা পায়ে দল বিকালে তায়।
    তেমনি দলিতে চাহ আমার পরান কি হায়।
    সহিতে পারি না আর এই হেলাফেলা।
    জলরূপী একি কোন্ মরীচিকা তুমি কি গো।
    ডেকে এনে মরুভুমে বধিবে এ বনমৃগ।
    বুঝিয়াছি কখন হায় ফুরায়েছে বেলা।।
    
  • মম বন-ভবনে ঝুলন দোলনা দে দুলায়ে

    বাণী

    মম বন-ভবনে ঝুলন দোলনা দে দুলায়ে উতল পবনে
    মেঘ-দোলা দুলে বাদল গগনে।।
    আয় ব্রজের ঝিয়ারি পরি' সুনীল শাড়ি
    নীল কমল কুঁড়ি দুলায়ে শ্রবণে।।
    নবীন ধানের মঞ্জরি কর্ণে
    তপ্ত বক্ষ ঢাকি' শ্যামল পর্ণে
    ওড়না ছুপায়ে রাঙা রামধনু বর্ণে
    আয় প্রেম-কুমারীরা আয় লো,
    উদাসী বাঁশীর সুরে ডাকে শ্যামরায় লো।
    ঝরিবে আকাশে অবিরল বৃষ্টি
    শ্যাম-সখা সাথে হবে শুভ-দৃষ্টি
    এই ঝুলনের মধু-লগনে।।
    
  • মম মায়াময় স্বপনে কার বাঁশি বাজে

    বাণী

    মম	মায়াময় স্বপনে কার বাঁশি বাজে গোপনে
    	বিধূর মধুর স্বরেকে এলো,কে এলো সহসা।।
    যেন	স্নিগ্ধ আনন্দিত চন্দ্রালোকে ভরিল আকাশ
    	হাসিল তমসা কে এলো,কে এলো সহসা।।
    	অচেনা সুরে কেন ডাকে সে মোরে
    	এমন ক'রে ঘুমের ঘোরে —
    	নব-নীরদ-ঘন-শ্যামল কে এ চঞ্চল
    	হেরিয়া তৃষিত-প্রাণ হলোসরসা
    		কে এলো,কে এলো সহসা।।
    	কভু সে অন্তরে কভু দিগন্তরে
    	এই সোনার মৃগ ভুলাতে আসে মোরে,
    	দেখেছি ধ্যানে যেন এই সে সুন্দরে
    	শুনেছি ইহারি বেণু প্রাণ-বিবশা
    		কে এলো,কে এলো সহসা।।
    

  • মরু সাহারা আজি মাতায়োরা

    বাণী

    মরু সাহারা আজি মাতায়োরা — হলেন নাজেল তাহার দেশে খোদার রসুল।
    যাঁহার নামে যাঁহার ধ্যানে সারা দুনিয়া দীওয়ানা, প্রেমে মশগুল।।
    		যাঁহার আসার আশাতে অনুরাগে
    		নীরস খর্জুর তরুতে রস জাগে,
    তপ্ত মরু’পরে খোদার রহম্‌ ঝরে, হাসে আকাশ পরিয়া চাঁদের দুল।।
    		ছিল এ ত্রিভুবন যাঁহার পথ চাহি’
    		এলে রে সেই নবী ‘ইয়া উম্মতি’ গাহি’,
    যতেক গুম্‌রাহে নিতে খোদার রাহে এলো ফুটাতে দুনিয়াতে ইসলামি ফুল।।
    
  • মরুর ধুলি উঠলো রেঙে রঙিন গোলাপ রাগে

    বাণী

    মরুর ধুলি উঠলো রেঙে রঙিন গোলাপ রাগে
    বুলবুলিরা উঠলো গেয়ে মক্কার গুলবাগে।।
    	খোদার প্রেমের কোন দিওয়ানা
    	দ্বারে দ্বারে দেয় রে হানা,
    নবীন আশার আলোক পেয়ে, ঘুমন্ত সব জাগে।।
    এ কোন তরণ প্রেমিক এলো কা'বার অঙ্গনে
    সবুজ পাতার নিশান দোলায় শুকনো খেজুর বনে।
    	এলো নব দীনের নকীব
    	চির-চাওয়া খোদার হাবীব
    নিখিল পাপী-তাপী যাঁহার পায়ের পরশ মাগে।।
    

  • মসজিদে ঐ শোন্ রে আজান চল নামাজে চল্

    বাণী

    	মসজিদে ঐ শোন্ রে আজান, চল নামাজে চল্ ।
    	দুঃখে পাবি সান্ত্বনা তুই বক্ষে পাবি বল।।
    	ময়লা-মাটি লাগবে যা তোর দেহ-মনের মাঝে —
    	সাফ হবে সব, দাঁড়াবি তুই যেম্‌নি জায়নামাজে;
    (চল্)	রোজগার তুই করবি যদি আখেরের ফসল।।
    	হাজার কাজের অছিলাতে নামাজ করিস কাজা
    	খাজনা তারি দিলি না, যে দ্বীন-দুনিয়ার রাজা
    তাঁরে	পাঁচ বার তুই করবি মনে, তাতেও এত ছল্।।
    	কার তরে তুই মরিস খেটে; কে হবে তোর সাথী
    	বে-নামাজীর আঁধার গোরে কে জ্বালাবে বাতি
    (চল্)	খোদার নামে শির লুটায়ে জীবন কর্‌ সফল।।
    
  • মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই

    বাণী

    	মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই
    	যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুন্‌তে পাই।।
    	আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,
    	পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।
    	গোর আজাব থেকে এ গুণাহ্‌গার পাইবে রেহাই।।
    কত	পরহেজগার খোদার ভক্ত নবীজীর উম্মত,
    	ঐ মস্‌জিদে করে রে ভাই কোরান তেলাওয়াৎ।
    	সেই কোরান শুনে যেন আমি পরান জুড়াই।।
    কত	দরবেশ ফকির রে ভাই মস্‌জিদের আঙিনাতে
    	আল্লার নাম জিকির করে লুকিয়ে গভীর রাতে।
    আমি	তাদের সাথে কেঁদে কেঁদে নাম জপ্‌তে চাই
    	আল্লার নাম জপ্‌তে চাই।।
    
  • মহুয়া ফুলের মদির ঘন সুবাসে

    বাণী

    মহুয়া ফুলের মদির ঘন সুবাসে,
    নয়ন ঝিমিয়ে আসে।।
    মাতাল পাপিয়া ‘পিয়া পিয়া’ ডাকে
    দোলন-চাঁপার ঝুলন শাখে,
    ঝিরিঝিরি হাওয়ায় মন উদাসে।।
    নিদাঁলি ছাওয়া চৈতালি হাওয়া,
    স্বপনের ঘোর লাগে আকাশে
    মৌমাছির পাখা জড়িয়ে আসে।।
    
  • মাঠে আমার ফল্‌ল ফসল

    বাণী

    মাঠে আমার ফল্‌ল ফসল মনের ফসল কই
    শূন্য মনে আল্লা তোমার পানে চেয়ে রই।।
    আরব মরুভূমে নবীজীরে পাঠাইলে
    আমার মনের মরুভূমি বিফল রাখিলে,
    গরীব ব’লে আমি কি গো বান্দা তব নই।।
    চাই না যশ মান আমি চাহি না দৌলৎ,
    আমি চাহি শুধু — তোমার নামেরি সরবত
    যে যাহা চায় তুমি নাকি তারে তাহাই দাও
    আমার মানত পূর্ণ ক’রে পরান বাঁচাও,
    আমি যেন আল্লা নামের তস্‌বি শুধু বই।।
    
  • মাধব গোবিন্দ শ্রীকৃষ্ণ মুরারি

    বাণী

    মাধব গোবিন্দ শ্রীকৃষ্ণ মুরারি॥
    কহ নাম মুখে গাহ সুখে দুখে
    মণিহারই করে গেঁথে রাখ বুকে
    	গোলকে হরি তার সখা সাথী প্যারী॥
    পেল না ব্রহ্মা শিব ধেয়ানে যাহারে
    বাঁধিল গোকুলে গোয়ালিনী তারে
    	যুগে যুগে সে যে প্রেমের ভিখারি॥
    লীলা রসে তাহার ডুবে রও অবিরাম
    এ সংসার হবে রে সুমধুর ব্রজধাম
    	ধরিবেন হৃদয়ে তোরে গিরিধারী॥
    
  • মাধব বংশীধারী বনওয়ারী

    বাণী

    মাধব বংশীধারী বনওয়ারী গোঠ-চারী গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারী।
    গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারি হে পাপ-তাপ-দুখ-হারী।।
    কালরূপ কভু দৈত্য-নিধনে, চিকন কালা কভু বিহর বনে,
    কভু বাজাও বেণু, খেল ধেনু-সনে,
    কভু বামে রাধা প্যারী, গোপ-নারী মনোহারি, নিকুঞ্জ-লীলা-বিহারী।।
    কুরুক্ষেত্র-রণে পান্ডব-মিতা, কন্ঠে অভয়বাণী ভগবদ্-গীতা,
    পূর্ণ ভগবান পরম পিতা, শঙ্খ-চক্র-গদাধারী,
    পাপ-তারী, কান্ডারি ত্রিভুবন সৃজনকারী।।
    
  • মালতী মঞ্জরি ফুটিবে যবে অলস বেলায়

    বাণী

    মালতী মঞ্জরি ফুটিবে যবে অলস বেলায়
    প্রিয় হে প্রিয় মোরে স্মরিও সেই সন্ধ্যায়।।
    ঝরা পল্লবে ফেলি দীরঘ শ্বাস
    কাঁদিয়া ফিরিবে যবে চৈতী বাতাস,
    নাগকেশরের ঝরা কেশর দলে খুঁজিও আমায়।।
    মল্লিকা মুকুলের প্রথম সুবাস
    বিরহী পরাণ যবে করিবে উদাস,
    পিয়াল নদীর কূলে কাঁদিয়া বাঁশি ডাকিবে প্রিয়ায়।।
    
  • মালার ডোরে বেঁধো না গো

    বাণী

    মালার ডোরে বেঁধো না গো বাহুর ডোরে বাঁধো।
    কাঁদোই যদি, আমার বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদো।।
    	তোমার পূজার আসন হতে
    	নামাও এবার ধূলির পথে,
    দেবতা ব’লে সেধো না গো, প্রিয় ব’লে সাধো।।
    পূজারিণী, জাগো জাগো — হৃদয় দুয়ার খোলো।
    নিবেদনের ফুলে বরণ-মালা গেঁথে তোলো।।
    
  • মিনতি রাখো রাখো পথিক থাকো থাকো

    বাণী

    মিনতি রাখো রাখো পথিক থাকো থাকো,
    	এখনি যেয়ো না গো, না না না।
    ক্ষণিক অতিথি বিদায়ের গীতি
    	এখনি গেয়ো না গো, না না না।।
    চৈতী পূর্ণিমা চাঁদের তিথি,
    পুষ্প পাগল এ বনবীথি,
    ধূলায় ছেয়ো না গো, না না না।।
    বলি বলি ক'রে হয়নি যা বলা,
    যে কথা ভরিয়াছিল বুকের তলা;
    সে কথা না শুনে সুন্দর অতিথি হে
    	যেতে চেয়ো না গো, না না না।।