কাহার্‌বা

  • মোহাম্মদ মোর নয়ন-মণি

    বাণী

    মোহাম্মদ মোর নয়ন-মণি মোহাম্মদ নাম জপমালা।
    ঐ নামে মিটাই পিয়াসা ও নাম কওসারের পিয়ালা।।
    	মোহাম্মদ নাম শিরে ধরি,
    	মোহাম্মদ নাম গলায় পরি,
    ঐ নামের রওশনীতে আঁধার এ মন রয় উজালা।।
    	আমার হৃদয়-মদিনাতে
    	শুনি ও নাম দিনে-রাতে,
    ও নাম আমার তস্‌বি হাতে, মন-মরুতে গুলে-লালা।।
    	মোহাম্মদ মোর অশ্রু চোখের
    	ব্যথার সাথী শান্তি শোকের,
    চাইনে বেহেশ্‌ত যদি ও নাম জপ্‌তে সদা পাই নিরালা।।
    
  • মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা

    বাণী

    মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা
    তুমি বাদ্‌শারও বাদ্‌শাহ্ কম্‌লিওয়ালা।।
    পাপে-তাপে পূর্ণ আঁধার দুনিয়া
    হ’ল পুণ্য বেহেশ্‌তী নূরে উজালা।।
    গুনাহ্‌গার উম্মত লাগি’ তব
    আজো চয়ন্‌ নাহি, কাঁদিছ নিরালা।।
    কিয়ামতে পিয়াসি উম্মত লাগি’
    দাঁড়ায়ে রবে ল’য়ে তহুরার পিয়ালা।।
    জ্বলিবে রোজ হাশরে দ্বাদশ রবি
    কাঁদিবে নফ্‌সি ব’লে সকল নবী
    য়্যা উম্মতী য়্যা উম্মতী, একেলা তুমি
    কাঁদিবে খোদার পাক আরশ চুমি’ —
    পাপী উম্মত ত্রাণ তব জপমালা ধ্যান
    তব গুণ গাহিল খোদ্ আল্লাহতা’লা।।
    

  • মোহাম্মদের নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে

    বাণী

    মোহাম্মদের নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে।
    তাই কিরে তোর কণ্ঠেরি গান, (ওরে) এমন মধুর লাগে।।
    	ওরে গোলাপ নিরিবিলি
    	নবীর কদম ছুঁয়েছিলি —
    তাঁর কদমের খোশবু আজো তোর আতরে জাগে।।
    	মোর নবীরে লুকিয়ে দেখে
    	তাঁর পেশানির জ্যোতি মেখে,
    ওরে ও চাঁদ রাঙলি কি তুই গভীর অনুরাগে।।
    	ওরে ভ্রমর তুই কি প্রথম
    	চুমেছিলি তাঁহার কদম,
    গুন্‌গুনিয়ে সেই খুশি কি জানাস্‌ রে গুল্‌বাগে।।
    

  • ম্লান আলোকে ফুটলি কেন গোলক-চাঁপার ফুল

    বাণী

    ম্লান আলোকে ফুটলি কেন গোলক-চাঁপার ফুল।
    ভূষণহীনা বনদেবী কার হ'রি তুই দুল।।
    	হার হ'বি কার কবরীতে
    	সন্ধ্যারানী দূর নিভৃতে,
    ব'সে আছে অভিমানে ছড়িয়ে এলোচুল।।
    মাটির ধরার ফুলদানিতে তোর হবে কি ঠাঁই,
    আদর কে আর করবে তোরে, বসন্ত যে নাই হায় বসন্ত নাই।
    	গোলক-চাঁপা খুঁজিস কারে —
    সে দেবতা নাই রে হেথা শূন্য যে আজি গোকুল।।
    
  • যখন আমার কুসুম ঝরার বেলা তখন তুমি এলে

    বাণী

    যখন আমার কুসুম ঝরার বেলা তখন তুমি এলে
    ভাটির স্রোতে ভাসলো যখন ভেলা পারের পথিক এলে।।
    	আঁধার যখন ছাইল বনতল
    	পথ হারিয়ে এলে হে চঞ্চল
    দীপ নিভাতে এলে হে বাদল ঝড়ের পাখা মেলে।।
    শূন্য যখন নিবেদনের থালা তখন তুমি এলে
    শুকিয়ে যখন ঝরল বরণ-মালা তখন তুমি এলে।
    	নিরশ্রু এই নয়ন পাতে
    	শেষ পূজা মোর আজকে রাতে
    নিবু নিবু প্রাণ শিখাতে আরতি দীপ জ্বেলে।।
    
  • যখন আমার গান ফুরাবে তখন এসো

    বাণী

    যখন আমার গান ফুরাবে তখন এসো ফিরে
    ভাঙবে সভা বসবো একা রেবা নদীর তীরে।।
    গীত শেষে গগন তলে, শ্রান্ত-তনু পড়বে ঢলে
    ভালো যখন লাগবে না আর সুরের সারঙ্গীরে।।
    মোর কণ্ঠের জয়ের মালা তোমার গলায় নিও
    ক্লান্তি আমার ভুলিয়ে দিও প্রিয় হে মোর প্রিয়।
    ঘুমাই যদি কাছে ডেকো, হাতখানি মোর হাতে রেখো
    জেগে যখন খুঁজবো তোমায় আকুল অশ্রু-নীরে
    তখন এসো ফিরে।।
    
  • যখন প্রেমের জ্বালায় অঙ্গ জ্বলে

    বাণী

    (যখন)		প্রেমের জ্বালায় অঙ্গ জ্বলে, জুড়াই জ্বালা গজলে।
    		ছাতা দিয়ে মারি খোঁচা যেন সুরের বগলে॥
    		সিঁড়ির ধারে পিঁড়ি পেতে বিড়ি বাঁধি হায় কলকাতায়,
    		মিলন আশার তামাক ঠাসি হায় বিরহের শাল পাতায়,
    		[‘‘আরে লুল্লু আট পয়সার বিড়ি কিনে লিস্‌রে হাঁ হাঁ”]
    		জালিম বিবির দিলের ছিপি (দাদা) খুলি সুরের ফজলে॥
    		কার্ফা তালে চার পা তুলে (হায়) ছুটাই তালের লাল ঘোড়া,
    		ভজুয়া নাত্‌নি ছুটে আসে হায় ফেলে দিয়ে হায় ঝালবড়া;
    		সুরে-তালে লাগে লড়াই যেন পাঠান মোগলে॥
    
  • যত ফুল তত ভুল কণ্টক জাগে

    বাণী

    	যত ফুল তত ভুল কণ্টক জাগে
    	মাটির পৃথিবী তাই এত ভালো লাগে।।
    হেথা	চাঁদে আছে কলঙ্ক, সাধে অবসাদ
    হেথা	প্রেমে আছে গুরুগঞ্জনা অপবাদ;
    আছে	মান-অভিমান পিরিতি-সোহাগে।।
    হেথা	হারাই হারাই ভয়, প্রিয়তমে তাই
    	ব’ক্ষে জড়ায়ে কাঁদি ছাড়িতে না চাই।
    	স্বর্গের প্রেমে নাই বিরহ-অনল
    	সুন্দর আঁখি আছে, নাই আখি-জল;
    	রাধার অশ্রু নাই কুমকুম-ফাগে।।
    

    নাটকঃ অন্নপূর্ণা (নাট্যকারঃ মণিলাল বন্দোপাধ্যায়)

  • যবে তুলসীতলায় প্রিয় সন্ধ্যাবেলায়

    বাণী

    যবে		তুলসীতলায় প্রিয় সন্ধ্যাবেলায় তুমি করিবে প্রণাম,
    তব		দেবতার নাম নিতে ভুলিয়া বারেক প্রিয় নিও মোর নাম।।
    		একদা এমনি এক গোধূলি বেলা
    		যেতেছিলে মন্দির-পথে একেলা,
    		জানি না কাহার ভুল তোমার পূজার ফুল
    				আমি লইলাম —
    সেই		দেউলের পথ সেই ফুলেরই শপথ
    প্রিয়,		তুমি ভুলিলে হায় আমি ভুলিলাম।।
    		পথের দুঁধারে সেই কুসুম ফোটে — হায় এরা ভোলেনি,
    		বেঁধেছিলে তরু শাখে লতার যে ডোর হের আজো খোলেনি।
    		একদা যে নীল নভে উঠেছিল চাঁদ
    ছিল		অসীম আকাশ ভরা অনন্ত সাধ,
    আজি		অশ্রু-বাদল সেথা ঝরে অবিরাম।।
    
  • যবে ভোরের কুন্দ-কলি মেলিবে আঁখি

    বাণী

    যবে	ভোরের কুন্দ-কলি মেলিবে আঁখি
    	ঘুম ভাঙায়ে হাতে বাঁধিও রাখি।।
    		রাতের বিরহ যবে
    		প্রভাতে নিবিড় হবে
    	অকরুণ কলরবে গাহিবে পাখি।।
    যেন	অরুণ দেখিতে গিয়া তরুণ কিশোর
    	তোমারে প্রথম হেরি' ঘুম ভাঙে মোর।
    		কবরীর মঞ্জরি
    		আঙিনায় রবে ঝরি'
    	সেই ফুল পায়ে দলি এসো একাকী।।
    

  • যাই গো চ'লে যাই না-দেখা লোকে

    বাণী

    যাই গো চ'লে যাই না-দেখা লোকে
    	জানিতে চির অজানায়।
    নিরুদ্দেশের পথে মানস-রথে স্বপন ঘুমে
    	মন যথা চ'লে যায়।।
    সাগর-জলে পাতাল-তলে তিমিরে
    অজানা মায়া আছে চিরদিন সে-দেশ ঘিরে —
    মেঘলোক পারায়ে চাঁদের বুকে গ্রহ-তারায়।।
    যাই হিমগিরি-চূড়াতে, মেরুর তুষারে,
    আকাশের দ্বার খুলে' হেরিতে ঊষারে।
    রামধনু ওঠে যথা পরীরা খেলে
    যে-দেশ হইতে আসে এ জীবন, যেখানে হারায়।।
    
  • যাও মেঘদূত দিও প্রিয়ার হাতে

    বাণী

    যাও মেঘদূত, দিও প্রিয়ার হাতে
    আমার বিরহ–লিপি লেখা কেয়া পাতে।।
    আমার প্রিয়ার দিরঘ নিশাসে
    থির হয়ে আছে মেঘ যে–দেশেরই আকাশে
    আমার প্রিয়ার ম্লান মুখ হেরি’
    ওঠে না চাঁদ আর যে–দেশে রাতে।।
    পাইবে যে–দেশে কুন্তল–সুরভি বকুল ফুলে
    আমার প্রিয়া কাঁদে এলায়ে কেশ সেই মেঘনা–কূলে।
    স্বর্ণলতার সম যার ক্ষীণ করে
    বারে বারে কঙ্কণ চুড়ি খুলে পড়ে
    মুকুল’ বয়সে যথা বরষার ফুল–দল
    বেদনায় মুরছিয়া আছে আঙিনাতে।।
    
  • যাও হেলে দুলে এলোচুলে কে গো বিদেশিনী

    বাণী

    পুরুষ	:	যাও হেলে দুলে এলোচুলে কে গো বিদেশিনী
    		কাহার আশে কাহার অনুরাগিনী।
    স্ত্রী	:	আমি কনক চাঁপার দেশের মেয়ে
    		এনু ঊষার রঙের গান গেয়ে
    		আমি মল্লিকা গো পল্লীবাসিনী।
    পুরুষ	:	চিনি চিনি ওই চুড়ি কাঁকনের রিনিকি রিনি
    		তুমি ভোর বেলা দাও স্বপনে দেখা।
    স্ত্রী	:	তোমার রঙে কবি আঁক আমারি ছবি
    		তুমি দেবতা রবি আমি তব পূজারিণী।
    পুরুষ	:	এসো ধরণীর দুলালী আলোর দেশে
    		যথা তারার সাথে চাঁদ গোপনে মেশে
    স্ত্রী	:	আনো আলোক তরী আমি যাই গো ভেসে
    দ্বৈত	:	চলো যাই ধরণী ধূলির ঊর্ধে
    পুরুষ	:	যথা বয় অনন্ত
    স্ত্রী	:	প্রেম মন্দারিণী
    পুরুষ	:	যথা বয় অনন্ত
    দ্বৈত	:	প্রেম মন্দারিণী॥
    
  • যাক্ না নিশি গানে গানে

    বাণী

    যাক্ না নিশি গানে গানে জাগরণে
    আজকে গানের বান এসেছে আমার মনে।।
    	মন ছিল মোর পাতায় ছাওয়া
    	হঠাৎ এলো দিখন্ হাওয়া
    পাতার কোলে কথার কুঁড়ি ফুট্‌লো অধীর হরষণে।।
    সেই কথারই মুকুলগুলি সুরের সুতোয় গেঁথে গেঁথে,
    কা’রে যেন চাই পরাতে কাহারে চাই কাছে পেতে।
    	জানি না সে কোন্ বিজনে
    	নিশীথ জেগে এ গান শোনে
    না-দেখা তার চোখের চাওয়ায় আবেশ জাগায় মোর নয়নে।।
    

  • যাদের তরে এ সংসারে খাটনু জনম ভর

    বাণী

    যাদের তরে এ সংসারে খাটনু জনম ভর,
    তাদের কেউ হবে না হে নাথ মরণ-সাথি মোর।।
    	শত পাপ শত অধর্ম ক’রে
    বিভব রতন আনলেম ঘরে
    সে সকল ভাগ বাটোয়ারা ক’রে খাবে পাঁচ ভুত চোর।।
    জীবনে তোমার লই নাই নাম তোমাতে হয় নাই মতি
    মরণ-বেলায় তাই কাঁদি প্রভু কি হবে মোর গতি।
    	চেয়ে দেখি আজ  যাবার বেলায়
    	কর্ম কেবল মোর সাথে যায়
    তরিবার আর না দেখি উপায় বিনা পদতরী তোর।।
    
  • যাবার বেলায় ফেলে যেয়ো একটি খোঁপার ফুল

    বাণী

    যাবার বেলায় ফেলে যেয়ো একটি খোঁপার ফুল (প্রিয়)
    আমার চোখের চেয়ে চেয়ো একটু চোখের ভুল (প্রিয়)।।
    অধর –কোণের ঈয়ৎ হাসির ক্ষণিক আলোকে
    রাঙ্গিয়ে যেয়ো আমার হিয়ার গহন কালোকে
    যেয়ো না গো মুখ ফিরিয়ে দুলিয়ে হীরের দুল।।
    একটি কথা ক’য়ে যেয়ো, একটি নমস্কার,
    সেই কথাটি গানের সুরে গাইব বারেবার
    হাত ধ’রে মোর বন্ধু ব’লো একটু মনের ভুল।।
    

  • যাবার বেলায় সালাম লহ

    বাণী

    	যাবার বেলায় সালাম লহ হে পাক রমজান।
    তব	বিদায় ব্যথায় কাঁদিছে নিখিল মুসলিম জাহান।। 
    	পাপীর তরে তুমি পারের তরী ছিলে দুনিয়ায়, 
    	তোমারি গুণে দোজখের আগুন নিভে যায়,
    	তোমারি ভয়ে লুকায়ে ছিল দূরে শয়তান।। 
    	ওগো রমজান, তোমারি তরে মুসলিম যত 
    	রাখিয়া রোজা ছিল জাগিয়া চাহি' তবু পথ,
    	আনিয়াছিলে দুনিয়াতে তুমি পবিত্র কোরআন।। 
    	পরহেজগারের তুমি যে প্রিয় প্রাণের সাথী, 
    	মসজিদে প্রাণের তুমি যে জ্বালাও দ্বীনের বাতি,
    	উড়িয়ে গেলে যাবার বেলায় নতুন ঈদের চাঁদের নিশান।।
    
  • যাবি কে মদিনায় আয়

    বাণী

    যাবি কে মদিনায় আয় ত্বরা করি'।
    তোর খেয়া ঘাটে এলো পুণ্য তরী।।
    আবুবকর, উমর খাত্তাব, উসমান, আলী হায়দর
    দাঁড়ি এ সোনার তরণীর, পাপী সব নাই নাই আর ডর।
    এ তরীর কাণ্ডারি আহমদ, পাকা সব মাঝি ও মাল্লা,
    মাঝিদের মুখে সারিগান শোন ঐ 'লা শরীক আল্লাহ'।
    পাপ-দরিয়ার তুফানে আর নাহি ডরি।।
    ঈমানের পারানি কড়ি আছে যার আয় এ সোনার নায় —
    ধরিয়া দ্বীনের রশি কলেমার জাহাজ-ঘাটায়।
    ফিরদাউস হ’তে ডাকে হুরী-পরী।।
    
  • যাস্‌নে মা ফিরে যাস্‌নে

    বাণী

    যাস্‌নে মা ফিরে, যাস্‌নে জননী ধরি দুটি রাঙা পায়।
    শরণাগত দীন সন্তানে ফেলি’ ধরার ধূলায় (মা) ধরি রাঙা পায়।।
    (মোরা) অমর নহি মা দেবতাও নহি
    	শত দুখ সহি’ ধরণীতে রহি’,
    মোরা অসহায়, তাই অধিকারী মাগো তোর করুণায়।।
    দিব্যশক্তি দিলি দেবতারে মৃত্যু-বিহীন প্রাণ,
    তবু কেন মাগো তাহাদেরি তরে তোর এত বেশি টান?
    (আজো) মরেনি অসুর মরেনি দানব
    	ধরণীর বুকে নাচে তান্ডব,
    সংহার নাহি করি’ সে অসুরে চলে যাস্ বিজয়ায়।।
    

    নাটিকা: ‘বিজয়া’

  • যুগ যুগ ধরি লোকে-লোকে মোর

    বাণী

    যুগ যুগ ধরি লোকে-লোকে মোর
    		প্রভুরে খুঁজিয়া বেড়াই;
    সংসারে গেহে , প্রীতি ও স্নেহে
    	আমার স্বামী বিনে নাই সুখ নাই।।
    তার	চরণ পাবার আশা ল'য়ে মনে
    	ফুটিলাম ফুল হয়ে কত বার বনে,
    		পাখি হয়ে তার নাম
    		শত বার গাহিলাম
    	তবু হায় কভু তার দেখা নাহি পাই।।
    	গ্রহ তারা হয়ে খুঁজেছি আকাশে,
    	দিকে দিকে ছুটেছি মিশিয়া বাতাসে,
    		পর্বত হয়ে নাম
    	কোটি যুগ ধিয়ালাম,
    	নদী হয়ে কাঁদিলাম খুঁজিয়া বৃথাই।।