কাহার্‌বা

  • সে চ'লে গেছে ব'লে কি গো

    বাণী

    সে চ'লে গেছে ব'লে কি গো স্মৃতিও হায় যায় ভোলা
    ওগো মনে হ'লে তারি কথা আজো মর্মে সে মোর দেয় দোলা।।
    	ঐ প্রতিটি ধূলি কণায়
    	আছে তার ছোঁওয়া লেগে হেথায়,
    আজো তাহারি আসার আশায়, রাখি মোর ঘরেরই সব দ্বার খোলা।।
    	হেথা সে এসেছিল যবে
    	ঘর ভরেছিল ফুল-উৎসবে,
    মোর কাজ ছিল শুধু ভবে তার হার গাঁথা আর ফুল তোলা।।
    	সে নাই ব'লে বেশি ক'রে
    	শুধু তার কথাই মনে পড়ে,
    হেরি তার ছবি ভুবন ভ'‌রে তারে ভুলিতে মিছে বলা।।
    

  • সেদিন নিশীথে মোর কানে কানে

    বাণী

    সেদিন নিশীথে মোর কানে কানে যে কথাটি গেছ বলে
    প্রথম মুকুল হয়ে সেই বাণী মালতী লতায় দোলে।।
    	সে-কথাটি আবার শুনিবে বলিয়া
    	আড়ি পাতে চাঁদ মেঘে লুকাইয়া
    চাহে চুপি চুপি পিয়াসি পাপিয়া ঘন পল্লব তলে।।
    বসে আছি সেই মালতী বিতানে আজ তুমি নাই কাছে —
    ম্লান মুখে পথ চাহে ফুলগুলি আঁধার বকুল গাছে।
    	দখিনা বাতাস করে হায় হায়
    	ঝরিছে কুসুম শুকনো পাতায়
    নিবু নিবু হল তোমার আশায় চাঁদের প্রদীপ জ্বলে।।
    
  • সেদিন প্রভাতে অরুণ শোভাতে

    বাণী

    সেদিন প্রভাতে অরুণ শোভাতে হেসেছ বুকে মোর মধু-হাসিনী।
    পরেছ গলায় আমার দেওয়া ফুল সে কি গো সবি ভুল বিজন-বাসিনী।।
    		যেচেছ কত না আদর সোহাগ
    		ক্ষণে অভিমান ক্ষণে অনুরাগ,
    কত প্রিয় নামে ডেকেছ আমায় সে কি গো গেছ ভুলে মধুভাষিণী।।
    		আমার সাধ-আশ-সাধনা-সুখ-হাসি
    		তোমার সনে প্রিয় সকলি গেছে ভাসি,
    কেন ফেলে দিলে নিরাশার কূলে, কোন্ অপরাধে বল উদাসিনী।।
    
  • সোনার মেয়ে! সোনার মেয়ে

    বাণী

    সোনার মেয়ে! সোনার মেয়ে!
    তোমার রূপের মায়ায় আমার নয়ন- ভুবন গেল ছেয়ে'।।
    	ঝরে তোমার রূপের ধারা—
    	চন্দ্র জাগে তন্দ্রাহারা,
    আকাশ-ভরা হাজার তারা তোমার মুখে আছে চেয়ে'।।
    	কোন গ্রহ-লোক ব্যথায় ভ'রে
    	কোন অমরা শূন্য ক'রে
    (ওগো) রাখলে চরণ ধরার পরে রঙ-সায়রের রঙের নেয়ে।
    	শিল্পী আকেঁ তোমার ছবি
    	তোমারি গান গাহে কবি
    নিশীথিনী হারিয়ে রবি চাঁদ হাতে পায় তোমায় পেয়ে।।
    

  • সৈয়দে মক্কী মদনী আমার নবী মোহাম্মদ

    বাণী

    সৈয়দে মক্কী মদনী আমার নবী মোহাম্মদ
    করুণা-সিন্ধু খোদার বন্ধু নিখিল মানব-প্রেমাস্পদ।।
    আদম নূহ, ইব্রাহিম দাউদ সোলেয়মান মুসা আর ঈসা,
    সাক্ষ্য দিল আমার নবীর, সবার কালাম হ'ল রদ।
    যাঁহার মাঝে দেখল জগৎ ইশারা খোদার নূরের,
    পাপ-দুনিয়ায় আনলো যে রে, পুণ্য বেহেশতী সনদ।।
    হায় সিকান্দর খুঁজল বৃথাই আব-হায়াত এই দুনিয়ায়
    বিলিয়ে দিল আমার নবী, সে সুধা মানব সবায়।
    হায় জুলেখা মজল ঐ ইউসুফেরই রূপ দেখে,
    দেখলে মোদের নবীর সুরত, যোগীন হত ভসম মেখে'।
    শুনলে নবীর শিঁরিন জবান, দাউদ মাগিত মদদ।।
    ছিল নবীর নূর পেশানিতে, তাই ডুবল না কিস্তি নূহের
    পুড়ল না আগুনে হযরত ইব্রাহিম সে নমরুদের
    হায়, দোজখ আমার হারাম হ'ল পিয়ে কোরানের শিঁরিন শ্যহদ।।
    
  • সোনার চাঁপা ভাসিয়ে দিয়ে গহীন সাগর-জলে

    বাণী

    সোনার চাঁপা ভাসিয়ে দিয়ে গহীন সাগর-জলে
    দূরে ব’সে কাঁদে কে রে কাঁদে আয় ফিরে আয় ব’লে।।
    		কার আঁচলের মানিক ওরে
    		অকূল স্রোতে পড়লি ঝরে রে
    কোন্ মায়ের কোল্ খালি ক’রে এলি রে তুই চ’লে।।
    

    নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’

  • সোনার হিন্দোলে কিশোর–কিশোরী

    বাণী

    সোনার হিন্দোলে কিশোর–কিশোরী দোলে ঝুলনের উৎসব রঙ্গে
    বিন্দু বিন্দু বারি অবিরত পড়ে ঝরি’ বাজে তাল জলদ মৃদঙ্গে।।
    	জড়াইয়া শ্যামে দোলে ভীরু রাধা
    	থির বিজুরি ডোরে মেঘ যেন বাঁধা
    পল্লব কোলে ফুলদলে দোলে (যেন) গোপীদল গোপীবল্লভ সঙ্গে।।
    	উল্লাসে থরথর খরতর বহে বায়
    	পুলকে ডালে ডালে কদম্ব শিহরায়।
    	দৃষ্টিতে গোপীদের বৃষ্টির লাবনি
    	আনন্দ উতরোল গাহে বৃন্দাবনী
    নূপুর মধুর বাজে যমুনা তরঙ্গে ঝুলনের উৎসব রঙ্গে।।
    

  • স্নিগ্ধ-শ্যাম-বেণী-বর্ণা

    বাণী

    স্নিগ্ধ-শ্যাম-বেণী-বর্ণা এসো মালবিকা
    অর্জুন-মঞ্জরি-কর্ণে গলে নীপ-মালিকা, মালবিকা।।
    ক্ষীণা তন্বী জল-ভার-নমিতা
    শ্যাম জম্বু-বনে এসো অমিতা
    আনো কুন্দ মালতী যুঁই ভরি থালিকা, মালবিকা।।
    ঘন নীল বাসে অঙ্গ ঘিরে
    এসো অঞ্জনা রেবা-নদীর তীরে।
    পরি’ হংস-মিথুন আঁকা শাড়ি ঝিল্‌মিল্‌
    এসো ডাগর চোখে মাখি সাগরের নীল
    ডাকে বিদ্যুৎ ইঙ্গিতে দিগ্‌-বালিকা, মালবিকা।।
    

  • স্বপন যখন ভাঙবে তোমার দেখবে আমি নাই

    বাণী

    স্বপন যখন ভাঙবে তোমার দেখবে আমি নাই।
    মোরে শূন্য তোমার বুকেরি কাছে খুজবে গো বৃথাই।।
    	দেখবে জেগে বাহুর পরে
    	আছে নীরব অশ্রু ঝ'রে
    কাছ থেকেও ছিলাম দূরে যাই গো চলে যাই।।
    কাঁটার মতো ছিলাম বিধে আমি তোমার বুকে,
    বিদায় নিলাম চিরতরে ঘুমাও তুমি সুখে (ওগো)।
    	একলা ঘরে জেগে ভোরে
    	হয়তো মনে পড়বে মোরে,
    দূরে স'রে হয়তো পাব অন্তরেতে ঠাঁই।।
    
  • হরি নাচত নন্দদুলাল

    বাণী

    (হরি) নাচত নন্দদুলাল
    শ্যামল সুন্দর মদন মনোহর
    নওল কিশোর কানাইয়া গোপাল।
    নাচত গিরিধারী ময়ূর মুকুট পরি
    দিকে দিকে ছন্দ আনন্দ পড়িছে ঝরি
    নাচে গোপী সখা বংশীওয়ালা হরি
    রুনুঝুনু বাজওত ঘুঙ্গুর তাল।
    

    নাটিকাঃ ‘মীরাবাঈ’

  • হাওয়াতে নেচে’ নেচে' যায় ঐ তটিনী

    বাণী

    হাওয়াতে নেচে’ নেচে’ যায় ঐ তটিনী।
    পাহাড়ের পথ-ভোলা কিশোরী নটিনী।।
    		তরঙ্গ আঁচল দুলায়ে
    		বনভূমির মন ভুলায়ে,
    চলেছে চপল পায়ে একাকিনী উদাসিনী।।
    এঁকে বেঁকে থম্‌কে গিয়ে,
    হরিণীরে চম্‌কে দিয়ে।
    ছুটিয়া যায় সুদূরে
    আয় আয় বলি, ডাকে কে কুলের বধূরে,
    নেচে চলে পথ বেভুল ঘর-ছাড়া বিবাগিনী।।
    
  • হায় গো ভালোবেসে অবশেষে

    বাণী

    (হায় গো) 	ভালোবেসে অবশেষে কেঁদে দিন গেল।
    		ফুল-শয্যা বাসি হল, বঁধূ না এলো।।
    		শুকাইল পানের খিলি বাঁটাতে ভরা,
    		এ পান আমি কারে দিব সে বঁধূ ছাড়া।
    (হায় গো) 	নীলাম্বরী শাড়ি ছি ছি পরলেম মিছে লো।।
    		এবার ধ’রে দিস্ যদি তায়
    		রাখ্‌ব বেঁধে বিনোদ খোঁপায়,
    		কাঙালে পাইলে রতন রাখে যেমন লো।।
    		সোঁদা-মাখা নিস্‌নে কেশে, গন্ধে যে লো তার
    		মনে আনে চন্দন-গন্ধ সোনার বঁধূয়ার।
    		এত দুঃখ ছিল আমার এই বয়সে লো।।
    

    বাউল

  • হার মানি ননদিনী

    বাণী

    হার মানি ননদিনী
    মুখর মুখের বাণী শুনি তোর লজ্জাও লাজ সখি ভোলে
    			পুলকে প্রাণ মন দোলে দোলে।।
    পলকের চাহনিতে কে জানে কেমনে
    প্রাণে এলো এত মধু এত লাজ নয়নে
    বাহিরে নীরব কথার কুহু অন্তরে মুহুমুহু বোলে বোলে
    			মুহু মুহু কুহু কুহু বোলে।।
    তোরি মত ছিনু সই বনের কুরঙ্গী
    মানি নাই কোনদিন লাজের ভ্রুভঙ্গি।
    মধুরা মুখরা ওলো! মিষ্টি মুখের তোর
    সব মধু খেয়েছে কি ঠাকুর জামাই চোর?
    তব অভিনব বাণী হিল্লোলে
    গুন্ঠন আপনি খোলে পুলকে প্রাণ মন দোলে।।
    

    নাটিকাঃ ‘প্রীতি উপহার’

  • হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে

    বাণী

    হারানো হিয়ার নিকুঞ্জপথে কুড়াই ঝরা ফুল একেলা আমি।
    তুমি কেন হায় আসিলে হেথায় সুখের স্বরগ হইতে নামি।।
    	চারিপাশে মোর উড়িছে কেবল
    	শুকনো পাতা মলিন ফুল–দল,
    বৃথাই কেন হায় তব আঁখিজল ছিটাও অবিরল দিবস–যামী।।
    	এলে অবেলায় পথিক বেভুল
    	বিঁধিছে কাঁটা নাহি যবে ফুল,
    কি দিয়ে বরণ করি ও চরণ নিভিছে জীবন, জীবন–স্বামী।।
    

  • হে নামাজী আমার ঘরে নামাজ পড় আজ

    বাণী

    হে নামাজী! আমার ঘরে নামাজ পড় আজ।
    দিলাম তোমার চরণ-তলে হৃদয় -জায়নামাজ।
    	আমি গুনাহগার বে-খবর,
    	নামাজ পড়ার ন্ই অবসর
    (তব) চরণ-ছোঁয়ায় এই পাপীরে কর সরফরাজ।।
    তোমার ওজুর পানি মোছ আমার পিরান দিয়ে
    আমার এ ঘর হোক মসজিদ তোমার পরশ নিয়ে।
    	যে শয়তানের ফন্দিতে ভাই,
    	খোদায় ডাকার সময় না পাই
    সেই শয়তান যাক দূরে, শুনে তকবীরের আওয়াজ।।
    

  • হে নিঠুর তোমাতে নাই আশার আলো

    বাণী

    হে নিঠুর ! তোমাতে নাই আশার আলো।
    তাই কি তোমার রূপ কৃষ্ণ কালো।।
    তুমি ত্রিভঙ্গ তাই তব সকলি বাঁকা
    চোখে তব কাজলের ছলনা মাখা।
    নিষাদের হাতে বাঁশি সেজেছে ভালো।।
    

    নাটকঃ ‘বিদ্যাপতি’

  • হে পার্থসারথি বাজাও বাজাও

    বাণী

    হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ
    চিত্তের অবসাদ দূর কর কর দূর
    	ভয়–ভীত জনে কর হে নিঃশঙ্ক।।
    ধনুকে টঙ্কার হানো হানো,
    গীতার মন্ত্রে জীবন দানো;
    	ভোলাও ভোলাও মৃত্যু–আতঙ্ক।।
    মৃত্যু জীবনের শেষ নহে নহে —
    শোনাও শোনাও — অনন্ত কাল ধরি’
    অনন্ত জীবন প্রবাহ বহে।
    দুর্মদ দুরন্ত যৌবন–চঞ্চল
    ছাড়িয়া আসুক মা’র স্নেহ–অঞ্চল;
    বীর সন্তানদল করুক সুশোভিত মাতৃ–অঙ্ক।।
    
  • হে প্রিয় নবী রসূল আমার

    বাণী

    হে প্রিয় নবী রসূল আমার
    প’রেছি আভরণ নামেরি তোমার।।
    নয়নের কাজলে তব নাম
    ললাটের টীপে জ্বলে তব নাম
    গাঁথা মম কুন্তলে আহমদ
    বাঁধা মোর অঞ্চলে তব নাম
    দুলিছে গলে মোর তব নাম মণিহার।।
    তাবিজ অঙ্গুরী তব নাম
    বাজু ও পৈচী চুড়ি তব নাম
    ভয়ে ভয়ে পথে পথে ঘুরি যে
    পাছে কেউ করে চুরি তব নাম
    ঐ নাম রূপ মোর ঐ নাম আঁখি ধার।।
    বুকের বেদনা ঢাকা তব নাম
    ধ্যানে মোর জ্ঞানে মোর তুমি যে
    প্রেম-ভক্তি মাখা তব নাম
    প্রিয় নাম আহমদ জপি আমি অনিবার।।
    
  • হে মদিনাবাসী প্রেমিক ধর

    বাণী

    হে মদিনাবাসী প্রেমিক ধর হাত মম॥
    জ্বলওয়া দেখালে দিল হরিলে বন্ধু হলো বেগানা
    হেসে হেসে সংসার কহে দীওয়ানা এ দীওয়ানা॥
    বিরহের এ রাত একেলা কেঁদে হলো ভোর
    হৃদয়ে মোর শান্তি নাহি কাঁদে পরান মোর॥
    দুখের দোসর কেউ নাহি মোর নাই ব্যথী ব্যথার
    তোমায় ভুলে ভাসি অকূলে পার করো সরকার॥
    
  • হে মদিনার নাইয়া

    বাণী

    হে মদিনার নাইয়া!
    ভব-নদীর তুফান ভারি কর মোরে পার
    তোমার দয়ায় ত’রে গেল লাখো গুনাহ্‌গার॥
    পারের কড়ি নাই হে আমার হয়নি নামাজ রোজা
    কূলে এসে বসে আছি নিয়ে পাপের বোঝা
    (আমায়) ‘পার কর ইয়া রসুল’ বলে কাঁদি জারে জার॥
    তোমার নাম গেয়েছি শুধু কেঁদে সুব্‌হ শাম
    তরিবার মোর নাই ত’ পুঁজি বিনা তোমার নাম।
    হাজরো বার দরিয়াতে ডুবে যদি মরি
    ছাড়ব না মোর পারের আশা তোমার চরণ-তরী
    সবার শেষে পার যেন হয় এই খিদ্‌মতগার॥