খেম্‌টা

  • এলো ফুলের মহলে ভ্রমরা

    বাণী

    এলো ফুলের মহলে ভ্রমরা গুন্‌গুনিয়ে।
    ও-সে কুঁড়ির কানে কানে কি কথা যায় শুনিয়ে।।
    জামের ডালে কোকিল কোতুহলে
    আড়ি পাতি’ ডাকে কূ কূ ব’লে,
    হাওয়ায় ঝরা পাতার নূপুর বাজে রুন্‌ঝুনিয়ে।।
    ‘ধীরে সখা ধীরে’ কয় লতা দু’লে,
    জাগিও না কুঁড়িয়ে কাঁচা ঘুমে তুলে,
    গেয়ো না গুন্ গুন্ গুন্ গুন্ গুন্ গুন্ সুরে প্রেমে ঢুলে ঢুলে।’
    নিলাজ ভোম্‌রা বলে, ‘না-না-না-না’, ফুল দুলিয়ে।।
    
  • ও কে কলসি ভাসায়ে জলে

    বাণী

    ও কে কলসি ভাসায়ে জলে আনমনে।
    তীরে ব’সে কী ভাবে আর ঢেউ গণে।।
    নিয়ে শিথিল আঁচল খেলে উতল সমীর
    তার আল্‌তা পায়ের মুছে নেয় নদী-নীর,
    খুলে কবরী জড়ায় হাতের কাঁকনে।।
    সে জল্‌কে আসার ছলে নদী-তীরে
    শুধু ওপার পানে চাহে ফিরে ফিরে,
    খুলে পায়ের নূপুর ফেলে দেয় সে নীরে —
    আসে ঘরে ফিরে নিয়ে জল নয়নে।।
    
  • কুমকুম আবির ফাগের ল’য়ে কালিকা

    বাণী

    কুমকুম আবির ফাগের ল’য়ে কালিকা।
    খেলিছে ‘রসিয়া’ হোরি ব্রজ-বালিকা।।
    	হোরির অনুরাগে
    	যমুনায় দোলা লাগে,
    মাধব সনে ঐ খেলে মাধবিকা।।
    	রঙের গাগরিতে
    	রঙিলা ঘাগরিতে,
    রঙের মাতন লাগায় নাগর-নাগরিকা।।
    	জেগেছে রঙের নেশা
    	মাধবী মধু-মেশা,
    মনের বনে দোলে রাঙা ফুল-মালিকা।।
    
  • কুল রাখ না–রাখ সে তুমি জান

    বাণী

    কুল রাখ না–রাখ সে তুমি জান।
    গোকুলে তোমার কাজ কুল ভোলানো।।
    মহতের পিরিতি বালির বাঁধ সম।
    কভু হাতে দাও দড়ি কভু চাঁদ আন।।
    কভু তুমি রাধার, চন্দ্রাবলীর কভু
    তুমি যখন যা’র তখন তা’র দিকে টান।
    রাজার অপরাধের নালিশ কোথায় করি।
    তুমি জান শুধু বাঁশিতে মন–ভেজানো।।
    
  • বেলা প’ড়ে এলো জল্‌কে সই চল্ চল্

    বাণী

    বেলা প’ড়ে এলো জল্‌কে সই চল্ চল্
    ডাকিছে ওই তটিনী ছল্‌ ছল্‌।।
    বকের সারিকার মালিকা দুলিয়ে
    আসিছে সাঁঝ ঐ চিকুর এলিয়ে
    আকাশের কোলে শিশু শশীরে ঐ
    দেখিতে আসিছে তারকা দলে দল।।
    কমলিনীর মলিন মুখ
    হাসে জলে শাপলা শালুক
    বনের পথে হলো আঁধার
    জোনাকী ঐ চমকে ঝলমল্‌।।
    
  • রাখাল রাজ কি সাজে সাজালে

    বাণী

    রাখাল রাজ! কি সাজে সাজালে আমায় আজ!
    আমার ঘরের ভূষণ কেড়ে নিয়ে দিলে চির-পথিক সাজ।।
    তোমার পায়ের নূপুর আমায় দিয়ে ঘোরাও পথে-ঘাটে নিয়ে,
    বেড়াই বাউল একতারা বাজিয়ে হে, (ও মরি হায় রে)
    এই ভুবন-নাটে বেড়াই ভুলে শরম-ভরম-লাজ।।
    তোমার নৃত্য-খেলার নিত্য-সাথি আনন্দেরি গোঠে হে,
    জীবন-মরণ আমার সহজ চরণ-তলে লোটে হে।
    আমার হাতে দিলে সর্বনাশী ঘর-ভোলানো তোমার বাঁশি,
    কাজ ভুলাতে যখন তখন আসি হে’ (ও মরি হায় রে)
    আমার ভবন কেড়ে — দিলে ছেড়ে বিশ্বভুবন-মাঝ।।