কীর্তনাঙ্গ

  • এসো নূপুর বাজাইয়া যমুনা নাচাইয়া

    বাণী

    এসো নূপুর বাজাইয়া যমুনা নাচাইয়া
    			কৃষ্ণ কানাইয়া হরি।
    মাখি’গোখুর ধূলিরেণু গোঠে চরাইয়া ধেনু
    			বাজায়ে বাঁশের বাঁশরি।।
    গোপী চন্দন চর্চিত অঙ্গে
    প্রাণ মাতাইয়া প্রেম তরঙ্গে
    বামে হেলায়ে ময়ুর পাখা দুলায়ে তমাল শাখা
    			দীপবনে, দাঁড়ায়ে ত্রিভঙ্গে।
    এসো লয়ে সেই শ্যাম-শোভা ব্রজ বধু মনোলোভা
    			সেই পীত বসন পরি’।।
    এসো গগনে ফেলি নীল ছায়া
    আনো পিপাসিত চোখে মেঘ মায়া।
    এসো মাধব মাধবী তলে
    এসো বনমালী বন-মালা গলে
    এসো ভক্তিতে প্রেমে আঁখি জলে
    এসো তিলক লাঞ্ছিত সুর নর বাঞ্ছিত
    			বামে লয়ে রাই কিশোরী।।
    
  • ব্রজপুর-চন্দ্র পরমসুন্দর কিশোর লীলা-বিলাসী

    বাণী

    ব্রজপুর-চন্দ্র পরমসুন্দর, কিশোর লীলা-বিলাসী
    	সখি গো, আমি তা’রই চিরদাসী।
    অমৃত-রস-ঘন শ্যামল শোভন, প্রেম-বৃন্দাবন-বাসী॥
    	চাঁচর চিকুরে শিখী-পাখা যার,
    	গলে দোলে বন-কুসুম হার
    ললাটে তিলক, কপোলে অলক অধরে মৃদু মৃদু হাসি॥
    	মকর কুন্ডল দোলে শ্রবণে,
    	বোলে মণি-মঞ্জরি রাতুল চরণে
    চির অশান্ত, চপল কান্ত বিশ্ব সে রূপ-পিয়াসি॥
    	বক্ষে শ্রীবৎস কৌস্তুভ শোভে,
    	করে মুরলী ভোলে মধুর রবে,
    পীত বসনধারী সেই মাধবে যেন যুগে যুগে ভালবাসি॥
    
  • হে নিঠুর তোমাতে নাই আশার আলো

    বাণী

    হে নিঠুর ! তোমাতে নাই আশার আলো।
    তাই কি তোমার রূপ কৃষ্ণ কালো।।
    তুমি ত্রিভঙ্গ তাই তব সকলি বাঁকা
    চোখে তব কাজলের ছলনা মাখা।
    নিষাদের হাতে বাঁশি সেজেছে ভালো।।
    

    নাটকঃ ‘বিদ্যাপতি’