মধুমাধবী সারং

  • চৈতালি চাঁদনী রাতে

    বাণী

    চৈতালি চাঁদনী রাতে —
    নব মালতীর কলি মুকুল-নয়ন তুলি’
    নিশি জাগে আমারি সাথে।।
    পিয়াসি চকোরীর দিন-গোনা ফুরালো
    শূন্য-গগনের বক্ষ জুড়ালো
    দক্ষিণ-সমীরণ মাধবী-কঙ্কণ
    	পরায়ে দিল বনভূমির হাতে।।
    চাঁদিনী তিথি এলো, আমারি চাঁদ কেন এলো না;
    বনের বুকের আঁধার গেল গো — মনের আঁধার গেল না।
    এ মধু-নিশি মিলন-মালায়
    কাঁটার মত আমি বিঁধিয়া আছি, হায়!
    সবারই আঁখিতে আলোর দেয়ালি
    	অশ্রু আমারি নয়ন-পাতে।।
    
  • দক্ষিণ সমীরণ সাথে বাজো বেণুকা

    বাণী

    দক্ষিণ সমীরণ সাথে বাজো বেণুকা।
    মধু-মাধবী সুরে চৈত্র-পূর্ণিমা রাতে, বাজো বেণুকা।।
    বাজো		শীর্ণা-স্রোত নদী-তীরে
    		ঘুম যবে নামে বন ঘিরে’
    যবে		ঝরে এলোমেলো বায়ে ধীরে ফুল-রেণুকা।।
    		মধু মালতী-বেলা-বনে ঘনাও নেশা
    		স্বপন আনো জাগরণে মদিরা মেশা।
    			মন যবে রহে না ঘরে
    			বিরহ-লোকে সে বিহরে
    		যবে নিরাশার বালুচরে ওড়ে বালুকা।।
    
  • মাধবী-তলে চল মাধবিকা-দল

    বাণী

    মাধবী-তলে চল মাধবিকা-দল
    		আইল সুখ-মধুমাস।
    বহিছে খরতর থরথর মরমর
    		উদাস চৈতী-বাতাস।।
    পিককুল কলকর অবিরল ভাষে,
    মদালস মধুপ পুষ্পল বাসে।
    		বেণু-বনে উঠিছে নিশাস।।
    তরুণ নয়ন সম আকাশ আনীল,
    তট-তরু-ছায়া ধরে নীর নিরাবিল
    		বুকে বুকে স্বপন-বিলাস।।
    
  • শ্যাম-সুন্দর-গিরিধারী

    বাণী

    শ্যাম-সুন্দর-গিরিধারী।
    মানস মধু-বনে মধুমাধবী সুরে মুরলী বাজাও বনচারী।।
    মধুরাতে হে হৃদয়েশ মাধবী চাঁদ হয়ে এসো,
    হৃদয়ে তুলিও ভাবেরই উজান রস-যমুনা-বিহারী।।
    অন্তর মন্দিরে প্রীতি ফুলশয্যায় বিলাস কর লীলা-বিলাসী,
    আঁখির প্রদীপ জ্বালি' শিয়রে জাগিয়া রব শ্যাম, তব রূপ-পিয়াসি।
    যত সাধ আশা গেল ঝরিয়া, পর তাই গলে মালা করিয়া;
    নূপুর করিব তব চরণে গাঁথি' মম নয়নের বারি।।