মালবশ্রী

  • নয়নে ঘনাও মেঘ মালবিকা

    বাণী

    নয়নে ঘনাও মেঘ, মালবিকা!
    গগনে জাগাও তব নীরদ-লিখা।।
    বিদ্যুৎ হানে যদি গরজায় বাজ
    সুন্দর মৃত্যুরে নাহি ভয় আজ,
    আমার এ বনে এসো মনোবালিকা।।
    ঝরুক এ শিরে মোর ঘন বরষা
    ফুটিবে কাননে ফুল আছে ভরসা,
    এসো জল-ছল-ছল পথে অভিসারিকা।।
    
  • মোর ঘনশ্যাম এলে কি আজ

    বাণী

    মোর ঘনশ্যাম এলে কি আজ কালো মেঘের বেশে।
    দূর মথুরার নীল-যমুনা পার হ’য়ে মোর দেশে।।
    		এলে কালো মেঘের বেশে।।
    	বৃষ্টি ধারায় টাপুর টুপুর
    	বাজে তোমার সোনার নূপুর,
    বিজলিতে চপল আঁখির চমক বেড়ায় হেসে।।
    তোমার তনুর সুগন্ধ পাই, যুঁই কেতকীর ফুলে
    ওগো রাজাধিরাজ! ব্রজে আবার এলে কি পথ ভুলে।
    	মেঘ-গরজনের ছলে
    	ডাকো ‘রাধা রাধা’ বলে
    বাদল হাওয়ায় তোমার বাঁশির বেদন আসে ভেসে।।
    
  • সন্ধ্যা হল ওগো রাখাল এবার ডাক মোরে

    বাণী

    সন্ধ্যা হল ওগো রাখাল এবার ডাক মোরে
    বেণুর রবে ধেনুগণে ডাক যেমন করে।।
    	সংসারেরি গহন বনে
    	ঘুরে ফিরি শূন্য মনে
    ডাকবে কখন বাঁশির সনে আমায় আপন ঘরে।।
    ভেঙেছে মোর প্রাণের মেলা ভাঙলো মায়ার খেলা
    মোরে ডাক এবার তোমার পায়ে, আর করো না হেলা।
    	মোর জীবনের কিশোর রাখাল,
    	বাঁশি শুনে কাটলো সকাল
    তন্দ্রা আন ক্লান্ত চোখে, তোমার সুরের ঘোরে।।
    
  • হে নামাজী আমার ঘরে নামাজ পড় আজ

    বাণী

    হে নামাজী! আমার ঘরে নামাজ পড় আজ।
    দিলাম তোমার চরণ-তলে হৃদয় -জায়নামাজ।
    	আমি গুনাহগার বে-খবর,
    	নামাজ পড়ার ন্ই অবসর
    (তব) চরণ-ছোঁয়ায় এই পাপীরে কর সরফরাজ।।
    তোমার ওজুর পানি মোছ আমার পিরান দিয়ে
    আমার এ ঘর হোক মসজিদ তোমার পরশ নিয়ে।
    	যে শয়তানের ফন্দিতে ভাই,
    	খোদায় ডাকার সময় না পাই
    সেই শয়তান যাক দূরে, শুনে তকবীরের আওয়াজ।।