রূপক

  • আমি বাণিজ্যেতে যাব এবার

    বাণী

    আমি	বাণিজ্যেতে যাব এবার মদিনা শহর।
    আমি	এদেশে হায় গোনাহ্গারি ছিলাম জীবন ভর।।
    	পাঞ্জেগানার বাজার যেথা বসে দিনে রাতে
    	দু’টি টাকা ‘আল্লাহ্’ ‘রসুল’ পুঁজি নিয়ে হাতে,
    কত	পথের ফকির সওদা ক’রে হ’ল সওদাগর।।
    সেথা	আজান দিয়ে কোরান প’ড়ে ফিরিওয়ালা হাঁকে
    	বোঝাই ক’রে দৌলত দেয়, যে সাড়া দেয় ডাকে
    ওগো	জানেন তাহার পাকে কা’বা খোদার অফিস্-ঘর।।১
    	বেহেশ্‌তে রোজগারের পরে ছাড়পত্র পায়,
    	পায় সে সাহস ঈমান-জাহাজ যদি ডুবে’ যায়।
    ওগো	যেতে খোদার খাস্-মহলে পায় সে সিল্‌মোহর।।
    
  • পাষাণ-গিরির বাঁধন টুটে

    বাণী

    পাষাণ-গিরির বাঁধন টুটে নির্ঝরিণী আয় নেমে আয়।
    ডাকছে উদার নীল-পারাবার আয় তটিনী আয় নেমে আয়।।
    	বেলাভূমে আছড়ে প’ড়ে
    	কাঁদছে সাগর তোরই তরে,
    তরঙ্গেরি নূপুর প’রে জল-নটিনী আয় নেমে আয়।।
    দুই ধারে তোর জল ছিটিয়ে, ফুল ফুটিয়ে আয় নেমে আয়,
    শ্যামল-তৃণে চঞ্চল-অঞ্চল লুটিয়ে আয় নেমে আয়।।
    	ডাগর তোর চোখের চাওয়ায়
    	সাগর-জলে জোয়ার জাগায়,
    সেই নয়নের স্বপন দিয়ে বন-হরিণী আয় নেমে আয়।।
    

    ১. সজল যে

  • বিরহের গুলবাগে মোর ভুল ক'রে আজ

    বাণী

    বিরহের গুলবাগে মোর ভুল ক'রে আজ ফুটলো কি বকুল।
    অবেলায় কুঞ্জবীথি মুঞ্জরিতে এলে কি বুলবুল।
    এলে কি পথ ভুলে মোর আঁধার রাতে ঘুম-ভাঙানো চাঁদ,
    অপরাধ ভুলেছ কি, ভেঙেছে কি অভিমানের বাঁধ।
    মরণ আজ মধুর হলো পেয়ে তব চরণ রাতুল।।
    ওগো প্রদীপ নিভে আসে ইহারি ক্ষীণ আলোকে,
    দেখে নিই শেষ দেখা যত সাধ আছে চোখে।
    হে চির-সুন্দর মোর, বিদায়-সন্ধ্যা মম
    রাঙালে এ কি রঙে উদয় ঊষার সম
    ঝ'রে পড়ুক তব পায়ে আমার এই জীবন-মুকুল।।
    
  • মাতল গগন-অঙ্গনে ঐ

    বাণী

    মাতল গগন-অঙ্গনে ঐ আমার রণ-রঙ্গিণী মা।
    সেই মাতনে উঠল দুলে ভূলোক দ্যুলোক গগন-সীমা।।
    	আঁধার-অসুর-বক্ষপানে
    	অরুণ-আলোর খড়গ হানে,
    মহাকালের ডম্বরূতে উঠল বেজে মা’র মহিমা।।
    সৃষ্টি-প্রলয় যুগল নূপুর বাজে শ্যামার যুগল পায়ে,
    গড়িয়ে পড়ে তারার মালা উল্কা হয়ে গগন-গায়ে।
    লক্ষ গ্রহের মুন্ডমালা দোলে গলে দোলে ঐ
    বজ্র-ভেরীর ছন্দ-তালে নাচে শ্যামা তাথৈ থৈ,
    অগ্নি-শিখায় ঝলকে ওঠে খড়গ-ঝরা লাল শোণিমা।।
    
  • সখি লো তায় আন ডেকে

    বাণী

    সখি লো তায় আন ডেকে যে গান গেয়ে যায় পথ দিয়ে।
    সই দিব তারে কণ্ঠহার, তার কণ্ঠেরি ঐ সুর নিয়ে॥
    		কারুর পানে নাহি চায়
    	সে 	আপন মনে গেয়ে যায়
    প্রাণ কাঁপে সুরের নেশায় নয়ন আসে ঝিমিয়ে॥
    		সখি লো শুধিয়ে আয়
    		সে শিখিল এ গান কোথায়
    এত মধু তার গলায় কার অধর-সুধা পিয়ে॥
    		যার গানে এত প্রাণ মাতায়
    		না জানি কি হয় দেখ্‌লে তায়
    তার সুর শুনে কেউ প্রাণ পায় কেউ ফেলে প্রাণ হারিয়ে॥