শ্যামা-সঙ্গীত

  • ‘কালী কালী’ মন্ত্র জপি

    বাণী

    ‘কালী কালী’ মন্ত্র জপি ব’সে শোকের ঘোর শ্মশানে।
    মা অভয়ার নাম গুণে শান্তি যদি পাই এ প্রাণে।।
    	এই শ্মশানে ঘুমিয়ে আছে
    	যে ছিল মোর বুকের কাছে,
    সে হয়ত আবার উঠবে জেগে মা ভবানীর নাম-গানে।।
    সকল সুখ শান্তি আমার নিল হ’রে যে-পাষাণী,
    শূন্য বুকে বন্দী ক’রে রাখব আমি তারেই আনি’।
    	মোর, যাহা প্রিয় মাকে দিয়ে
    	জাগি আশার দীপ জ্বালিয়ে,
    মা’র সেই চরণের নিলাম শরণ, যে-চরণে মা আঘাত হানে।।

    ১. বুকে চিতা, ২. যে চরণে প্রলয় আনে

  • আজও মা তোর পাইনি প্রসাদ

    বাণী

    আজও মা তোর পাইনি প্রসাদ আজও মুক্ত নহি।
    আজও অন্যে আঘাত দিলে কঠোর ভাষা কহি।।
    	মোর আচরণ, আমার কথা
    	আজও অন্যে দেয় মা ব্যথা
    আজও আমার দাহন দিয়ে শত জনে দহি।।
    শত্রুমিত্র মন্দভালোর যায়নি আজও ভেদ
    কেহ ব্যথা দিলে, প্রাণে আজও জাগে খেদ।
    	আজও মাগো দুঃখে শোকে
    	অশ্রু ঝরে আমার চোখে,
    আমার আমার ভাব ওগো মা আজও জাগে রহি’ রহি’।।
    

    ১. আজও অন্যে কষ্ট দিলে / কষ্ট ভাষা কহি।।

  • আমায় আঘাত যত হানবি শ্যামা

    বাণী

    আমায়		আঘাত যত হানবি শ্যামা ডাকব তত তোরে।
    		মায়ের ভয়ে শিশু যেমন লুকায় মায়ের ক্রোড়ে।।
    ওমা		চারধারে মোর দুখের পাথার
    তুই		পরখ্ কত করবি মা আর,
    আমি		জানি তবু পার হ’ব মা চরণতরী ধ’রে।।
    আমি		ছাড়বো না তোর নামের ধেয়ান বিশ্বভুবন পেলে,
    আমায়		দুঃখ দিয়ে নাম ভুলাবি, নই মা তেমন ছেলে।
    		আমায় দুঃখ দেওয়ার ছলে
    		তুই স্মরণ করিস পলে পলে,
    আমি		সেই আনন্দে দুখের অসীম-সাগর যাব ত’রে।।
    
  • আমায় আর কতদিন মহামায়া

    বাণী

    (আমায়)		আর কতদিন মহামায়া রাখ্‌বি মায়ার ঘোরে।
    (মোরে)		কেন মায়ার ঘূর্ণিপাকে ফেল্‌লি এমন করে।।
    		(ওমা) কত জনম করেছি পাপ
    			কত লোকের কুড়িয়েছি শাপ,
    		তবু মা তার নাই কি গো মাফ ভুগব চিরতরে।।
    		এমনি ক’রে সন্তানে তোর ফেল্‌লি মা অকূলে,
    		তোর নাম যে জপমালা তাও যাই হায় ভুলে’।
    			পাছে মা তোর কাছে আসি
    		তাই	বাঁধন দিলি রাশি রাশি,
    কবে		মুক্ত হ’ব মুক্তকেশী (তোর) অভয় চরণ ধ’রে।।
    
  • আমায় যারা দেয় মা ব্যথা

    বাণী

    আমায় যারা দেয় মা ব্যথা আমায় যারা আঘাত করে,
    	তোরই ইচ্ছায় ইচ্ছাময়ী!
    আমায় যারা ভালবাসে বন্ধু ব’লে বক্ষে ধরে, -
    	তোরই ইচ্ছায় ইচ্ছাময়ী!!
    	আমার আপমান করে যে
    	মাগো তোরই ইচ্ছা সে যে
    আমায় যারা যায় মা ত্যেজে যারা আমার আসে ঘরে,
    	তোরই ইচ্ছায় ইচ্ছাময়ী॥
    আমার ক্ষতি করতে পারে অন্য লোকের সাধ্য কি মা;
    দুঃখ যা পাই তোরই সে দান, মাগো সবই তোর মহিমা!
    	তাই পায়ে কেহ দলে যবে
    	হেসে সয়ে যাই নীরবে,
    কে কারে দুখ্ দেয় মা কবে তোর আদেশ না পেলে পরে
    তোরই ইচ্ছায় ইচ্ছাময়ী!!
    
  • আমার অহঙ্কারের মূল কেটে দে

    বাণী

    মা, মা গো —
    আমার অহঙ্কারের মূল কেটে দে কাঠুরিয়ার মেয়ে,
    কত নিরস তরু হ'ল মঞ্জুরিত তোর চরণ-পরশ পেয়ে।।
    রোদে পুড়ে জলে ভিজে মা দিয়েছি ফুল ফল
    শাখায় আমার, নীড় বেঁধেছে বিহঙ্গের দল।
    বটের মত সারা দেহ মাগো মায়ার জটে আছে ছেয়ে।।
    ও মা মূল আছে তাই বৈতরণীর কূলে আছি পড়ি
    নইলে হ'তাম খেয়াঘাটের পারাপারের তরী।
    	তুই খড়গের ভয় দেখাস মিছে
    	মুক্তি আছে এরি পিছে মাগো
    তোর হাসির বাঁশি শুনতে পাবো অসির আঘাত খেয়ে।।
    
  • আমার কালিবাঞ্ছা কল্পতরুর ছায়াতলে আয় রে

    বাণী

    আমার কালিবাঞ্ছা কল্পতরুর ছায়াতলে আয় রে,
    এই তরুতলে যে যাহা চায় তখনি তা পায় রে॥
    	তুই চতুর্বর্গ ফল কুড়াবি
    	যোগ পাবি, ভোগ পাবি
    এমন কল্পতরু থাকতে - কেন মরিস্ নিরাশায় রে॥
    দস্যু ছেলের আবদারে সে সাজে ডাকাত কালির বেশে,
    কত রামপ্রসাদের কন্যা হয়ে বেড়া বেঁধে যায় রে।
    	ওরে পুত্র-কন্যা বিভব-রতন,
    	চেয়ে নে যার ইচ্ছা যেমন,
    ওরে আমার এ মন থাকে যেন বাঞ্ছাময়ীর পায় রে॥
    	সে আর কিছু না চায়
    	চেয়ে চেয়ে বাসনা তার শেষ হল না হায়!
    এবার খালি হাতে তালি দিয়ে (আমি) চাইব কালিকায় রে॥
    
  • আমার কালো মেয়ে পালিয়ে বেড়ায়

    বাণী

    আমার কালো মেয়ে পালিয়ে বেড়ায় কে দেবে তায় ধ'রে
    তারে	যেই ধরেছি মনে করি অমনি সে যায় স'রে।।
    		বনে ফাকেঁ দেখা দিয়ে
    		চঞ্চলা মোর যায় পালিয়ে,
    দেখি	ফুল হয়ে মা'র নূপুরগুলি পথে আছে ঝ'রে।।
    তার	কণ্ঠহারের মুক্তাগুলি আকাশ-আঙিনাতে
    	তারা হয়ে ছড়িয়ে আছে দেখি আধেক রাতে।
    		কোন মায়াতে মহামায়ায়
    		রাখবো বেঁধে আমার হিয়ায়
    	কাঁদলে যদি হয় দয়া তার তাই কাদিঁ প্রাণ ভ'রে।।
    
  • আমার মা আছে রে সকল নামে

    বাণী

    (আমার)	মা আছে রে সকল নামে মা যে আমার সর্বনাম।
    	যে নামে ডাক শ্যামা মাকে পুর্‌বে তাতেই মনস্কাম।।
    		ভালোবেসে আমার শ্যামা মাকে
    		যার যাহা সাধ সেই নামে সে ডাকে,
    	সেই নামে মা দেয় রে সাড়া কেউ শ্যামা কয়, কেহ শ্যাম।।
    	এক সাগরে মিশে গিয়ে সকল নামের নদী,
    	সেই হরি হর কৃষ্ণ ও রাম, দেখিস্ তাঁকে যদি।
    		নিরাকারা সাকারা সে কভু
    		সকল জাতির উপাস্য সে প্রভু,
    	নয় সে নারী নয় সে পুরুষ, সর্বলোকে তাঁহার ধাম।।
    

    ১. দেয় রে ধরা।

  • আমার মা যে গোপাল-সুন্দরী

    বাণী

    	আমার মা যে গোপাল-সুন্দরী। 
    যেন	এক বৃন্তে কৃষ্ণ-কলি অপরাজিতার মঞ্জরি।।
    মা	আধেক পুরুষ অর্ধ অঙ্গে নারী
    	আধেক কালি আধেক বংশীধারী,
    	অর্ধ অঙ্গে পীতাম্বর আর অর্ধ অঙ্গে দিগম্বরী।।
    মা	সেই পায়ে প্রেম-কুসুম ফোটায় নূপুর-পরা যে চরণ,
    মা'র	সেই পায়ে রয় সর্প-বলয় যে পায়ে প্রলয়- মরণ। 
    	মার আধ-ললাটে অগ্নি-তিলক জ্বলে
    	চন্দ্রলেখা আধেক ললাট তলে,
    	শক্তিতে আর ভক্তিতে মা আছেন যুগল রূপ ধরি'।।
    
  • আমার মানস-বনে ফুটেছে রে

    বাণী

    আমার	মানস-বনে ফুটেছে রে শ্যামা-লতার মঞ্জরি।
    সেই	মঞ্জু-বনে ফির্‌ছে রে তাই ভক্তি-ভ্রমর গুঞ্জরি।।
    	সেথা	আনন্দে দেয় করতালি
    		প্রেমের কিশোর বনমালী,
    সেই	লতামূলে শিবের জটার গঙ্গা ঝরে ঝর্ঝরি।।
    	কোটি তরু শাখা মেলি’ এই সে-লতার স্পর্শ চায়,
    	শিরে ধ’রে ধন্য হ’তে এই শ্যামারই শ্যাম শোভায়।
    		এই লতারই ফুল-সুবাসে
    		কোটি চন্দ্র সূর্য আসে নীল আকাশে,
    এই	লতার ছায়ায় প্রাণ জুড়াতে ত্রিলোক আছে প্রাণ ধরি’।।
    

    ১. হাসে

  • আমার হৃদয় অধিক রাঙা

    বাণী

    আমার	হৃদয় অধিক রাঙা মা গো রাঙা জবাব চেয়ে,
    আমি		সেই জবাতে ভবানী তোর চরণ দিলাম ছেয়ে॥
    		মোর বেদনার বেদির ‘পরে
    		বিগ্রহ তোর রাখবো ধ‘রে
    পাষাণ দেউল সাজে না — তোর আদরিণী মেয়ে॥
    স্নেহ পূজার ভোগ দেবো মা, অশ্রু-পূজাঞ্জলি,
    অনুরাগের থালায় দেবো ভক্তি-কুসুম-কলি।
    		অনিমেষ আঁখির বাতি
    		রাখবো জ্বেলে দিবস রাতি,
    তোর		রূপ হবে মা আরও শ্যামা (আমার) অশ্রুজলে নেয়ে॥
    
  • আমার হৃদয় হবে রাঙাজবা

    বাণী

    আমার	হৃদয় হবে রাঙাজবা দেহ বিল্বদল,
    মুক্তি		পাবো ছুঁয়ে মুক্তকেশীর চরণতল॥
    মোর		বলির পশু হবে সর্বকাম,
    মোর		পূজার মন্ত্র হবে মায়ের নাম,
    মোর		অশ্রু দেবো মা’র চরণে সেই তো গঙ্গাজল॥
    মোর		আনন্দ মাকে দেবো তাই হবে চন্দন,
    মোর		পুষ্পাঞ্জলি হবে আমার প্রাণ মন।
    মোর		জীবন হবে আরতি-দীপ,
    মোর		গুরু হবেন শঙ্কর-শিব,
    মোর		কাঁটার জ্বালা পদ্ম হবে শুভ্র সুনির্মল॥
    
  • আমি রচিয়াছি নব ব্রজধাম হে মুরারি

    বাণী

    আমি	রচিয়াছি নব ব্রজধাম হে মুরারি
    সেথা	করিবে লীলা এসো গোলক-বিহারী।।
    মোর	কামনার কালীদহ করি মন্থন
    	কালীয় নাগে হরি করিও দমন
    আছে	গিরি-গোরবর্ধন মোর অপরাধ
    যদি	সাধ যায় সেই গিরি ধ'রো গিরিধারী।।
    আছে	ষড় রিপু কংসের অনুচর দল
    আছে	অবিদ্যা পুতনা শোক দাবানল
    আছে	শত জনমের সাধ আশা-ধেনুগণ
    আছে	অসহায় রোদনের যমুনা-বারি
    আছে	জটিলতা কুটিলতা প্রেমের বাধা
    হরি	সব আছে, নাই শুধু আনন্দ-রাধা
    তুমি	আসিলে হরি ব্রজে রাসেশ্বরী
    	আসিবেন হ্লাদিনী রূপে রাধা প্যারী।।
    
  • আয় মা উমা! রাখ্‌ব এবার

    বাণী

    (মা)		আয় মা উমা! রাখ্‌ব এবার ছেলের সাজে সাজিয়ে তোরে।
    (ওমা)		মা’র কাছে তুই রইবি নিতুই, যাবি না আর শ্বশুর ঘরে।।
    				মা হওয়ার মা কী যে জ্বালা
    				বুঝবি না তুই গিরি-বালা
    		তোরে না দেখলে শূন্য এ বুক কী যে হাহাকার করে।।
    		তোরে টানে মা শঙ্কর-শিব আসবে নেমে জীব-জগতে,
    		আনন্দেরই হাট বসাব নিরানন্দ ভূ-ভারতে।
    				না দেখে যে মা, তোর লীলা
    				হ’য়ে আছি পাষাণ-শীলা
    		আয় কৈলাসে তুই ফির্‌বি নেচে বৃন্দাবনের নূপুর প’রে।।
    
  • আয় মা ডাকাত কালী আমার ঘরে

    বাণী

    	আয় মা ডাকাত কালী আমার ঘরে কর ডাকাতি
    	যা আছে সব কিছু মোর লুটে নে মা রাতারাতি॥
    আয় মা মশাল জ্বেলে, ও তোর ডাকাত ছেলে ভৈরবেরে করে সাথি
    	জমেছে ভবের ঘরে অনেক টাকা যশঃখ্যাতি
    কেড়ে মোর ঘরের চাবি, নে মা সবই পুত্র কন্যা স্বজন জ্ঞাতি॥
    	মায়ার দুর্গে আমার দুর্গা নামও হার মেনেছে
    ভেঙে দে সেই দুর্গ আয় কালিকা তা থৈ নেচে, আয় আয় আয়।
    	রবে না কিছুই যখন রইবি শুধু মা ভবানী
    	মুক্তি পাব সেদিন টানবো না আর মায়ার ঘানি
    	খালি হাতে তালি দিয়ে কালী বলে উঠবো মাতি
    	কালী কালী কালী বলে উঠবো মাতি
    কালী কালী কালী বলে, খালি হাতে তালি দিয়ে উঠবো মাতি॥
    
  • আর লুকাবি কোথা মা কালী

    বাণী

    আর লুকাবি কোথা মা কালী
    বিশ্ব-ভুবন আঁধার ক’রে তোর রূপে মা সব ডুবালি।।
    সুখের গৃহ শ্মশান ক’রে বেড়াস্ মা তায় আগুন জ্বালি’
    দুঃখ দেবার রূপে মা তোর ভুবন-ভরা রূপ দেখালি।।
    পূজা ক’রে, পাইনি তোরে মা গো এবার চোখের জলে এলি
    বুকের ব্যথায় আসন পাতা ব’স্ মা সেথা দুখ্‌-দুলালী।।
    
  • ও মা বক্ষে ধরেন শিব যে চরণ

    বাণী

    ও মা	বক্ষে ধরেন শিব যে চরণ শরণ নিলাম সেই চরণে
    	জীবন আমার ধন্য হলো ভয় নাই মা আর মরণে।।
    		যা ছিল মা মোর ত্রিলোকে
    		তোকে দিলাম, দিলাম তোকে
    	আমার ব’লে রইল শুধু তোর চরণের ধ্যান, এ মনে।।
    তোর	কেশ নাকি মা মুক্ত হলো ছুঁয়ে তোর ওই রাঙা চরণ
    	মুক্তকেশী, মুক্ত হবো ওই চরণে নিয়ে শরণ।
    	তোর	চরণ-চিহ্ন বক্ষে এঁকে
    		বিশ্বজনে বলবো ডেকে — মা
    	‘দেখে যা কোন্ রত্ন রাজে আমার হৃদয়-সিংহাসনে’।।
    
  • ওগো মাগো আজো বেঁচে আছি

    বাণী

    ওগো মাগো আজো, বেঁচে আছি, তোরই প্রসাদ পেয়ে।
    তোর দয়াময়ী অন্নপূর্ণা, তোরই অন্ন খেয়ে॥
    	কবে কখন খেলার ছলে,
    	ডেকেছিলাম শ্যামা ব’লে;
    সেই পুণ্যে ধন্য আমি, আজ তোরই নাম গেয়ে॥
    পাপী হয়েও পাই আমি তাই, যখন যাহা চাই।
    	দুঃখে শোকে বিপদ ঝড়ে,
    	বাঁচাস্ মা তুই বক্ষে ধ’রে;
    দয়াময়ী নাই কেহ মা, ভবানী তোর চেয়ে॥
    
  • ওমা তুই আমারে ছেড়ে আছিস

    বাণী

    (মা)	ওমা তুই আমারে ছেড়ে আছিস আমি তাই হয়েছি লক্ষ্মীছাড়া
    	ও তোর কৃপা বিনা শক্তিময়ী শুকিয়ে গেল ভক্তিচারা॥
    	ওমা তুই আশ্রয় দিলি না তাই, আমি যা পাই তা পথে হারাই
    	তোর রসময় ভুবন আমার শ্মশান হল ওমা তারা।
    	আজ আনন্দ যমুনা ফেলে এসেছি তাই যমের দ্বারে
    	ওমা জীবনে যা পেলাম না তা মরণ যদি দিতে পারে।
    মাগো	ওমা তত বাড়ে বুকের জ্বালা, পাই যত যশ খ্যাতির মালা
    	রাজপ্রসাদে শুয়ে মাগো শান্তি কি পায় মাতৃহারা॥