সিন্ধু

  • অম্বরে মেঘ-মৃদঙ বাজে

    বাণী

    অম্বরে মেঘ-মৃদঙ বাজে জলদ-তালে
    লাগিল মাতন ঝড়ের নাচন ডালে ডালে।।
    	দিগন্তের ঐ দুর্গ-মূলে
    	ধূলি-গৈরিক কেতন দুলে
    কে দুরন্ত আগল খুলে ঘুম ভাঙালে।।
    থির সাগরের নীল তরঙ্গে আনন্দেরি
    সেই নাচনের তালে তালে বাজিল ভেরি।
    	মাভৈঃ মাভৈঃ ডাক শুনি যার
    	পথ ছেড়ে দে রথ এল তাঁর।
    দুর্দিনে সে বজ্র-শিখার আগুন জ্বালে।।
    
  • করুণ কেন অরুণ আঁখি

    বাণী

    করুণ কেন অরুণ আঁখি দাও গো সাকি দাও শারাব
    হায় সাকি এ আঙ্গুরী খুন নয় ও হিয়ার খুন–খারাব।।
    আর সহে না দিল্‌ নিয়ে এই দিল–দরদির দিল্‌লাগী,
    তাইতে চালাই নীল পিয়ালায় লাল শিরাজি বে–হিসাব।।
    হারাম কি এই রঙিন পানি আর হালাল এই জল চোখের?
    নরক আমার হউক মঞ্জুর বিদায় বন্ধু!লও আদাব।।
    দেখ্‌ রে কবি, প্রিয়ার ছবি এই শারাবের আর্শিতে,
    লাল গেলাসের কাঁচ্‌–মহলার পার হ’তে তার শোন্‌ জবাব্‌।।
    

  • দুঃখ-ক্লেশ-শোক-পাপ-তাপ শত

    বাণী

    দুঃখ-ক্লেশ-শোক-পাপ-তাপ শত
    শ্রান্তি মাঝে হরি শান্তি দাও দাও॥
    কান্ডারি হে আমার, পার কর কর পার,
    উত্তাল তরঙ্গ অশান্তি পারাবার,
    অভাব দৈন্য শত হৃদি-ব্যথা-ক্ষত,
    যাতনা সহিব কত প্রভু কোলে তুলে নাও।।
    হে দীনবন্ধু করুণাসিন্ধু,
    অম্বর ব্যাপি’ ঝরে তব কৃপা-বিন্দু,
    মরুর্‌ মতন চেয়ে আছি নব ঘনশ্যাম —
    আকুল তৃষ্ণা ল’য়ে প্রভু পিপাসা মিটাও॥
    
  • বন-বিহারিণী চঞ্চল হরিণী

    বাণী

    বন-বিহারিণী	চঞ্চল হরিণী
    চিনি আঁখিতে,	চিনি কানন
    			নটিনী রে।।
    ছুটে চলে যেন	বাঁধ ভাঙ্গা
    			তটিনী রে।।
    নেচে নেচে চলে	ঝর্ণার
    			তীরে তীরে
    ছায়াবীথি-তলে	কভু ধীরে চলে,
    চকিতে পালায়	ছুটি, ছায়া হেরি,
    			গিরি-শিরে।।
    

    নাটকঃ‘সাবিত্রী’

  • বাসন্তী রং শাড়ি প’রো খয়ের রঙের টিপ্‌

    বাণী

    বাসন্তী রং শাড়ি প’রো খয়ের রঙের টিপ্‌।
    সাঁঝের বেলায় সাজবে যখন জ্বাল্‌বে যখন দীপ্॥
    	দুলিয়ে দিও দোলন্ খোঁপায়
    	আমের মুকুল বকুল চাঁপায়,
    মেখ্‌লা ক’রো কটি-তটে শিউরে-ওঠা নীপ্॥
    কর্ণ-মূলে দুল দুলিও দুলাল চাঁপার কুঁড়ি,
    বন্-অতসীর কাঁকন প’রো, কনক-গাঁদার চুড়ি।
    	আধখানা চাঁদ গরব ভরে
    	হাসে হাসুক আকাশ ’পরে,
    তুমি বাকি আধখানা চাঁদ ধরার মণি-দীপ্॥
    
  • বেদনার সিন্ধু-মন্থন শেষ হে ইন্দ্রানী

    বাণী

    বেদনার সিন্ধু-মন্থন শেষ, হে ইন্দ্রানী,
    জাগো, জাগো করে সুধা-পাত্রখানি।।
    রোদন-সায়রে ধুয়ে পুষ্পতনু
    এসো অশ্রুর বরষার ইন্দ্র-ধনু,
    হের কুলে অনুরাগে জীবন-দেবতা জাগে
    	ধরিবে বলিয়া তব পদ্মপাণি।।
    তব দুখ-রাত্রির তপস্যা শেষ- এলো শুভ দিন,
    অতল-তমসা-লক্ষ্মী গো তুমি অমরার
    এসো এসো পার হ'য়ে ব্যথার পাথার।
    অশ্রুত অশ্রুর নীরবতা কর দূর
    	কূলে কূলে হাসির তরঙ্গ হানি।।