টপ্পা

  • আদরিণী মোর কালো মেয়ে

    বাণী

    	আদরিণী মোর কালো মেয়ে রে কেমনে কোথায় রাখি।
    তারে	রাখিলে চোখে বাজে ব্যথা বুকে বুকে রাখিলে দুখে ঝুরে আঁখি।।
    	কাঙাল যেমন পাইলে রতন লুকাতে ঠাঁই নাহি পায়;
    	তেমনি আমার শ্যামা মেয়েরে জানি না রাখিব কোথায়।
    			দুরন্ত মোর এই মেয়েরে
    			বাঁধব আমি কি দিয়ে রে,
    (তাই)পালিয়ে যেতে চায় সে যবে আমি অমনি মা ব’লে ডাকি।।
    
  • আমার উমা কই গিরিরাজ

    বাণী

    আমার উমা কই গিরিরাজ, কোথায় আমার নন্দিনী।
    এ যে দেবী দশভুজা এ কোন্ রণ-রঙ্গিণী॥
    	মোর লীলাময়ী চঞ্চলারে ফেলে
    	এ কোন দেবীমূর্তি নিয়ে এলে,
    এ যে মহীয়সী মহামায়া বামা মহিষ-মর্দিনী॥
    মোর মধুর স্নেহে জ্বালতে আগুন আন্‌লে কারে ভুল ক’রে,
    এরে কোলে নিতে হয় না সাহস ডাকতে নারি নাম ধ’রে।
    	কে এলি মা দনুজ-দলন বেশে
    	কন্যারূপে মা ব’লে ডাক হেসে হেসে,
    তুই চিরকাল যে দুলালী মোর মাতৃস্নেহে বন্দিনী॥
    
  • আমার শ্যামা মায়ের কোলে চড়ে

    বাণী

    আমার	শ্যামা মায়ের কোলে চ’ড়ে জপি আমি শ্যামের নাম
    		মা হলেন মোর মন্ত্র-গুরু ঠাকুর হলেন রাধা-শ্যাম।।
    			ডুবে শ্যামা-যমুনাতে
    		মা 	খেলবো খেলা শ্যামের সাথে
    		শ্যাম যবে মোরে হানবে হেলা মা পুরাবেন মনস্কাম।।
    		আমার মনের দোতারাতে শ্যাম ও শ্যামা দুটি তার,
    		সেই দোতারায় ঝঙ্কার দেয় ওঙ্কার রব অনিবার।
    			মহামায়া মায়ার ডোরে
    			আনবে বেঁধে শ্যাম-কিশোরে
    আমি		কৈলাসে তাই মাকে ডাকি দেখবো সেথা ব্রজধাম।।
    
  • দিও বর হে মোর স্বামী যবে যাই

    বাণী

    দিও বর হে মোর স্বামী যবে যাই আনন্দ ধামে
    যেন প্রাণ ত্যাজি হে স্বামী শ্রীকৃষ্ণ গোবিন্দ নামে॥
    ভাসি যেন আমি ভাগীরথী নীরে অথবা প্রয়াগে যমুনার তীরে
    অন্তিম সময়ে হেরি আঁখি নীরে যেন মোর রাধা শ্যামে॥
    ব্রজগোপালের শুনায়ে নূপুর মরণ আমার করিও মধুর
    বাজায়ো বাঁশি দাঁড়ায়ো আসি’ রাধারে লইয়া বামে॥