ত্রিতাল

  • শ্যামা তোর নাম যার জপমালা

    বাণী

    শ্যামা তোর নাম যার জপমালা তার কি মা ভয় ভাবনা আছে।
    দুঃখ-অভাব-রোগ-শোক-জরা লুটায় মা তার পায়ের কাছে॥
    	যার চিত্ত নিবেদিত তোর চরণে
    	ওমা কি ভয় তাহার জীবনে মরণে।
    যেমন খেলে শিশু মায়ের সম তোর অভয় কোলে সে তেমনি নাচে॥
    	রক্ষামন্ত্র যার শ্যামা তোর নাম,
    	সকল বিপদ তারে করে প্রণাম।
    	সদা প্রসন্ন মন তার ধ্যানে মা তোর,
    	ভূমানন্দে মা গো রহে সে বিভোর।
    তার নিকটে আসিতে নারে কালো কঠোর তব নাম প্রসাদ সে লভিয়াছে॥
    
  • শ্যামা-তন্বী আমি মেঘ-বরণা

    বাণী

    শ্যামা-তন্বী আমি মেঘ-বরণা।
    দৃষ্টিতে বৃষ্টির ঝরে ঝরনা।।
    অম্বরে জলদ মৃদঙ্গ বাজাই 
    কদম-কেয়ায় বন-ডালা সাজই, 
    হাসে শস্যে পুষ্পে ধরা নিরাভরণা।।
    পুবালি হাওয়ায় ওড়ে কালো কুম্ভল
    বিজলি ও মেঘ — মুখে হাসি চোখে জল,
    রিমিঝিমি নেচে যাই চল-চরণা।।
    

    ১. মোর দৃষ্টিতে

  • শ্রীকৃষ্ণ রূপের করো ধ্যান অনুক্ষণ

    বাণী

    শ্রীকৃষ্ণ রূপের করো ধ্যান অনুক্ষণ
    হবে নিমেষে সংসার-কালীয় দমন।।
    	নব-জলধর শ্যাম
    	রূপ যাঁর অভিরাম
    (যাঁর)	আনন্দ ব্রজধাম লীলা নিকেতন।।
    বিদ্যুৎ - বর্ণ পীতান্বরধারী,
    বনমালা-বিভূষিত মধুবনারী;
    গোপ-সখা গোপী-বঁধু মনোহারী
    নওল-কিশোর তনু মদনমোহন।।
    
  • সতী–হারা উদাসী ভৈরব কাঁদে

    বাণী

    সতী–হারা উদাসী ভৈরব কাঁদে।
    বিষাণ ত্রিশূল ফেলি’ গভীর বিষাদে।।
    	জটাজুটে গঙ্গা
    	নিস্তরঙ্গা,
    রাহু যেন গ্রাসিয়াছে ললাটের চাঁদে।।
    দুই করে দেবী–দেহ ধরি’ বুকে বাঁধে,
    রোদনের সুর বাজে প্রণব–নিনাদে।
    ভক্তের চোখে আজি ভগবান শঙ্কর —
    সুন্দরতর হ’ল – পড়ি’ মায়া ফাঁদে।।
    
  • সন্ধ্যা-গোধূলি লগনে কে

    বাণী

    সন্ধ্যা–গোধূলি লগনে কে
    রাঙিয়া উঠিলে কারে দেখে।।
    হাতের আলতা পড়ে গেল পায়ে
    অস্ত–দিগন্ত বনান্ত রাঙায়ে,
    আঁখিতে লজ্জা, অধরে হাসি —
    কেন অঞ্চলে মালা ফেলিলে ঢেকে।।
    চিরুনি বিনোদ বিনুনীতে বাঁধে
    দেখিলে সে কোন সুন্দর চাঁদে,
    হৃদয়ে ভীরু প্রদীপ শিখা
    কাঁপে আনন্দে থেকে থেকে।।
    

  • সন্ধ্যামালতী যবে ফুলবনে ঝুরে

    বাণী

    সন্ধ্যামালতী যবে ফুলবনে ঝুরে
    কে আসি’ বাজালে বাঁশি ভৈরবী সুরে।।
    সাঁঝের পূর্ণ চাঁদে অরুণ ভাবিয়া
    পাপিয়া প্রভাতী সুরে উঠিল গাহিয়া
    ভোরের কমল ভেবে সাঁঝের শাপলা ফুলে
    	গুঞ্জরে ভ্রমর ঘুরে’ ঘুরে’।।
    বিকালের বিষাদে ঢাকা ছিল বনভূমি
    সকালের মল্লিকা ফুটাইলে তুমি,
    রাঙিয়া ঊষার রঙে গোধূলি-লগন
    	শোনালে আশার বাণী বিরহ-বিধুরে।।
    
  • সেদিন অভাব ঘুচবে কি মোর যেদিন তুমি

    বাণী

    সেদিন অভাব ঘুচবে কি মোর যেদিন তুমি আমার হবে
    আমার ধ্যানে আমার জ্ঞানে প্রাণ মন মোর ঘিরে রবে।।
    	রইবে তুমি প্রিয়তম
    	আমার দেহে আত্মা-সম
    জানি না সাধ মিটবে কি-না -  তেমন করেও পাব যবে।।
    পাওয়ার আমার শেষ হবে না পেয়েও তোমায় বক্ষতলে
    সাগর মাঝে মিশে গিয়েও নদী যেমন ব’য়ে চলে।
    	চাঁদকে দেখে পরান জুড়ায়
    	তবু দেখার সাধ কি ফুরায়
    মিটেছেল সাধ কি রাধার নিত্য পেয়েও নীল-মাধবে।।
    
  • সো’জা সো’জা সো’জা জগ নরনারী

    বাণী

    সো’জা সো’জা সো’জা জগ নরনারী
    বাদল গ্যর‍্যজো বিজলি চ্যম্যকে
    র‍্যজ্যনী হো রহ্ আঁধিয়ারী।।
    

    নাটিকাঃ ‘জন্মষ্টমী’

  • স্বপনে এসেছিল মৃদু-ভাষিণী

    বাণী

    স্বপনেএসেছিল মৃদু-ভাষিণী
    মৃদু-ভাষিণী মধু-হাসিনী।
    রূপের তৃষা মোর রূপ ধ'রে এসেছিল
    কল্পনা মনোবন-বাসিনী।।
    যে পরম সুন্দর আছে মোর অন্তরে
    তারি অভিসারে আসে উদাসিনী।।
    
  • হংস-মিথুন ওগো যাও ক’য়ে যাও

    বাণী

    হংস-মিথুন ওগো যাও ক’য়ে যাও।
    বৈশাখী তৃষ্ণার জল কোথা পাও।।
    কোন মানস-সরোবর জলে
    পদ্মপাতার ছায়া-তলে,
    পাখায় বাঁধিয়া পাখা দু’জনে প্রখর বিরহ দাহন জুড়াও।।
    অলস দুপুর মোর কাটে না একা,
    ঝ’রে যায় চন্দন-পত্রলেখা।
    কখন আসিবে মেঘ নভে
    মিটিবে আমার তৃষ্ণা কবে,
    তৃষায় মূর্ছিতা চাতকী কোথায় তাহার ঘনশ্যাম, ব’লে দাও।।
    
  • হাসে আকাশে শুকতারা হাসে

    বাণী

    হাসে আকাশে শুকতারা হাসে।
    অরুণ-রঞ্জনী-ঊষার পাশে॥
    	ওকি ঊষসীর সাথী
    	বাসর ঘরে জাগে রাতি,
    (ওকি) সখীর মনের কথা জানে আভাসে॥
    হাসির ছটায় ওর আঁখি কেন নাচে,
    রবির রথের ধ্বনি ওকি শুনিয়াছে।
    (ও) কেন দিবা আসিবার আগে
    শ্রান্ত বধূর ঘুম ভাঙে,
    (ওকি) ধরার সূযমুখী ফুটেছে নভে —
    প্রিয়তমে প্রথম দেখার আশে॥
    
  • হে নট-ভৈরবী আশাবরি

    বাণী

    হে নট-ভৈরবী আশাবরি।
    ওঠো গো অরুণ গান বিসরি’।।
    চেয়ে আছ জলভরা নয়নে,
    তীব্র নিদাঘ তাপ কোমল করি’।।
    পঞ্চমে কোয়েলিয়া ক’য়ে যায়
    প্রথম প্রহর দিবা ব’য়ে যায়,
    গুরু গঞ্জনা দিতে আসে ঐ —
    মুখ ভার করি’ তব ননদিনী তোড়ি।।
    
  • হে প্রিয় আমারে দিব না ভুলিতে

    বাণী

    	হে প্রিয় আমারে দিব না ভুলিতে
    মোর	স্মৃতি তাই রেখে' যাই শত গীতে।।
    	বিষাদিত সন্ধ্যায় শুনিবে দূরে
    	বিরহী বাঁশি ঝুরে আমারি সুরে
    	আমারি করুণ গাথা গাহিবে কে কোথা
    	সজল মেঘ-ঘেরা নিশীথে।।
    	গোধূলি-ধূসর ম্লান আকাশে
    	হেরিবে আমার মূরতি ভাসে
    	তব পদদলিত ফুলের বাসে
    	পড়িবে মনে আমারে চকিতে।।
    
  • হে বিধাতা হে বিধাতা হে বিধাতা

    বাণী

    হে বিধাতা! হে বিধাতা! হে বিধাতা!
    দুঃখ-শোক-মাঝে, তোমারি পরশ রাজে,
    কাঁদায়ে জননী-প্রায়, কোলে কর পুনরায়, শান্তি-দাতা।।
    ভুলিয়া যাই হে যবে সুখ-দিনে তোমারে
    স্মরণ করায়ে দাও আঘাতের মাঝারে।
    দুঃখের মাঝে তাই, হরি হে, তোমারে পাই দুঃখ-ত্রাতা।।
    দারা-সুত-পরিজন-রূপে হরি, অনুখন
    তোমার আমার মাঝে আড়াল করে সৃজন।
    তুমি যবে চাহ মোরে, লও হে তোদের হ’রে
    ছিঁড়ে দিয়ে মায়া-ডোর, ক্রোড়ে ধর আপন।
    ভক্ত সে প্রহ্লাদ ডাকে যবে ‘নারায়ণ’,
    নির্মম হয়ে তার পিতারও হর জীবন।
    সব যবে ছেড়ে যায় দেখি তব বুকে হায় আসন পাতা।।
    
  • হে মহামৌনী তব প্রশান্ত গম্ভীর বাণী

    বাণী

    হে মহামৌনী, তব প্রশান্ত গম্ভীর বাণী শোনাবে কবে
    যুগ যুগ ধরি’ প্রতীক্ষারত আছে জাগি’ ধরণী নীরবে॥
    যে-বাণী শোনার অনুরাগে উদার অম্বর জাগে
    অনাহত যে-বাণীর ঝঙ্কার বাজে ওঙ্কার প্রণবে॥
    চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-তারায় জ্বলে যে-বাণীর শিখা
    পুষ্পে-পর্ণে শত বর্ণে যে-বাণী-ইঙ্গিত লিখা।
    যে অনাদি বাণী সদা শোনে যোগী-ঋষি মুনি জনে
    যে-বাণী শুনি না শ্রবণে বুঝি অনুভবে॥
    
  • হে মাধব হে মাধব হে মাধব

    বাণী

    হে মাধব, হে মাধব, হে মাধব!
    তোমারেই প্রাণের বেদনা কব তোমারি শরণ লব।।
    সুখের সাগরে লহরি সমান
    হিল্লোলি’ উঠে যেন তব নমি গান
    দুঃখে শোকে কাঁদে যবে প্রাণ যেন নাম না ভুলি তব।।
    তুমি ছাড়া বিশ্বে কাহারও কাছে
    এ প্রাণ যেন কিছু নাহি যাচে।
    যেনতোমারি অধিক কেহ প্রিয় নাহি হয়
    বিশ্ব ভুবনে যেন হেনি তুমি-ময়
    কলঙ্ক-লাঞ্ছনা যত বাধা ভয় তব প্রেমে সকলি স’ব।।