ইমন কল্যাণ

  • ও-রে শাদা মেঘ

    বাণী

    ও-রে শাদা মেঘ! তোর পাখা নাই তবু কেমনে
    ভাসিয়া বেড়াস্ শান্ত শারদ-গগনে।।
    	আমি তোর মত লঘু হ’ব
    	আমি ধূলির ঊর্দ্ধে রব,
    আমি দেখিয়া গৌরী-শঙ্কর-শোভা গলিয়া পড়িব চরণে।।
    আমি নিশির কপোলে শিশিরের স্বেদ হেরিব,
    আমি রংধনু হ’য়ে চাঁদের চাহনি ঘেরিব।
    	সে কি নিশীথে বাঁশিতে ডাকে তাই
    	সে কি জানে, মেঘ হতে কেন চাই,
    যদি আমার বুকে দামিনী পায় — সে নবীন নীরদ-বরণে।।
    
  • মরম-কথা গেল সই মরমে ম’রে

    বাণী

    মরম-কথা গেল সই মরমে ম’রে।
    শরম বারণ যেন করিল চরণ ধ’রে।।
    ছল ক’রে কত শত সে মম রুধিত পথ
    লাজ ভয়ে পলায়েছি সে ফিরেছে ব্যথাহত
    অনাদরে প্রেম-কুসুম গিয়াছে ম’রে।।
    কত যুগ মোর আশে ব’সে ছিল পথ-পাশে
    কত কথা কত গান জানায়েছে ভালোবেসে
    শেষে অভিমানে নিরাশে গিয়াছে স’রে।।
    

  • সেদিন প্রভাতে অরুণ শোভাতে

    বাণী

    সেদিন প্রভাতে অরুণ শোভাতে হেসেছ বুকে মোর মধু-হাসিনী।
    পরেছ গলায় আমার দেওয়া ফুল সে কি গো সবি ভুল বিজন-বাসিনী।।
    		যেচেছ কত না আদর সোহাগ
    		ক্ষণে অভিমান ক্ষণে অনুরাগ,
    কত প্রিয় নামে ডেকেছ আমায় সে কি গো গেছ ভুলে মধুভাষিণী।।
    		আমার সাধ-আশ-সাধনা-সুখ-হাসি
    		তোমার সনে প্রিয় সকলি গেছে ভাসি,
    কেন ফেলে দিলে নিরাশার কূলে, কোন্ অপরাধে বল উদাসিনী।।
    
  • স্নিগ্ধ শ্যাম কল্যাণ রূপে রয়েছ

    বাণী

    স্নিগ্ধ শ্যাম কল্যাণ রূপে রয়েছ মোদেরে ঘেরি
    তব অনন্ত করুণা ও স্নেহ নিশিদিন নাথ হেরি।।
    	তব চন্দন-শীতল কান্তি
    	সৌম্য-মধুর তব প্রশান্তি
    জড়ায়ে রয়েছে ছড়ায়ে রয়েছে অঙ্গে ত্রিভুবনেরই।।
    বাহিরে তুমি বন্ধু স্বজন আত্মীয় রূপী মম
    অন্তরে তুমি পরমানন্দ প্রিয় অন্তরতম।
    	নিবেদন করে তোমাতে যে প্রাণ
    	সেই জানে তুমি কত মহান
    যেমনি সে ডাকে সড়া দাও তাকে তিলেক কর না দেরি।।
    

    ১. চির