বাণী

		দুখের সাহারা পার হয়ে আমি চলেছি ক্বাবার পানে।
		পড়িব নামাজ মা'রফাতের আরফাত ময়দানে।।
		খোদার ঘরের দিদার পাইব, হজ্জের পথের জ্বালা জুড়াইব,
(মোর)	মুর্শিদ হয়ে হজরত পথ দেখান সুদূর পানে।।
		রোজা রাখা মোর সফল হইবে, পাবো পিয়াসার পানি;
		আবে জম্‌জম্‌ তৌহিদ পিয়ে ঘুচাব পথের গ্লানি।
		আল্লার ঘর তওয়াফ করিয়া কাঁদিব সেথায় পরান ভরিয়া,
		ফিরিব না আর, কোরবানি দেবো এই জান সেইখানে।।

বাণী

[ওমা — ভুঁড়ি নিয়ে গেলাম মা — ওমা — মা-মা-মা]
		দয়া ক’রে দয়াময়ী ফাঁসিয়ে দে এই ভুঁড়ি
		এ ভুঁড়ি তো নয় ভূধর যেন উদর প্রদেশ জুড়ি॥
		ক্রমেই ভুঁড়ির পরিধি মা যাচ্ছে ছেড়ে দেহের সীমা
		আমার হাত পা রইল বাঙালি ওমা পেট হল ভোজপুরী॥
		উপুড় হতে নারি মাগো সর্বদা চিৎপাৎ
		ভয় লাগে কাৎ হলেই বুঝি হব কুপোকাৎ
		শালীরা কয় হায় রে বিধি রোলার বিয়ে করলেন দিদি
		গুঁড়ি ভেবে ঠেস দেয় কেউ কেউ দেয় সুড়সুড়ি॥
(আর)		ভুঁড়ি চলে আগে আগে আমি চলি পিছে
		কুমড়ো গড়ান গড়িয়ে পড়ি নামতে সিঁড়ির নীচে।
		পেট কি ক্রমে ফুলে ফেঁপে উঠবে মাগো মাথা ছেপে
(ওগো)	কেউ নাদা কয় কেউ গম্বুজ (বলে) কেউবা গোবর ঝুড়ি।
		গাড়িতে মা যেই উঠেছি ভুঁড়ি লাগায় লম্ফ
		ভুমিকম্পের চেয়েও ভীষণ আমার ভুঁড়ি কম্প।
		সার্ট ক্রমে পেটে এঁটে গেঞ্জি হয়ে গেল সেঁটে
		দে ভুঁড়ির ময়দা ফেটে হাত পা গুলো ছুড়ি
		হালকা হয়ে মনের সুখে হাত পা গুলো ছুড়ি
		এই ভুঁড়ির ময়দা ফেটে দে
		ফায়দা কি আর এই ভুঁড়িতে ময়দা ফেটে দে
		হালকা হয়ে মনের সুখে ওমা, হাত-পাগুলো ছুড়ি॥

বাণী

দাও আরো আরো দাও সুরা আর সুর।
প্রাণের পাত্র কর সুখে ভরপুর।।
	বাজুক অধীর হ’য়ে
	নূপুর জলদ লয়ে,
সমতালে তাল দিক কাঁকন-কেয়ূর।।
	সুর ও সুরার ঝোঁক
	ধরায় অমর হোক,
এই সে-স্বর্গলোকে আয় তৃষাতুর।।

নাটিকা: ‘নরমেধ’

বাণী

দূর আরবের স্বপন দেখি বাংলাদেশের কুটির হ'তে।
বেহোশ হয়ে চলেছি যেন কেঁদে কেঁদে কা'বার পথে।।
হায় গো খোদা, কেন মোরে
পাঠাইলে হায় কাঙ্গাল ক'রে;
যেতে নারি প্রিয় নবীর মাজার শরীফ জিয়ারতে।।
স্বপ্নে শুনি নিতুই রাতে - যেন কা'বার মিনার থেকে
কাঁদছে বেলাল ঘুমন্ত সব মুসলিমেরে ডেকে ডেকে।
ইয়া এলাহি ! বল সে কবে
আমার স্বপন সফল হ'বে,
গরিব ব'লে হব কি নিরাশ, মদিনা দেখার নিয়ামতে।।

বাণী

দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান
হে খোদা, এ যে তোমারই হুকুম, তোমারই ফরমান।।
এমনি তোমার নামের আছর –
নামাজ রোজার নাই অবসর,
তোমার নামের নেশায় সদা মশগুল মোর প্রাণ।।
তকদিরে মোর এই লিখেছ হাজার গানের সুরে
নিত্য দিব তোমার আজান আঁধার মিনার-চূড়ে।
কাজের মাঝে হাটের পথে
রণ-ভূমে এবাদতে
আমি তোমার নাম শোনাব, করব শক্তি দান।।

বাণী

দ্বীনের নবীজি শোনায় একাকী কোরানের মধু-বাণী।
আয়েশা খাতুন শোনেন বসিয়া, নয়নে ঝরিছে পানি।।
	বে-দ্বীন দিওয়ানা হ’য়ে
	কাঁদে যে কোরান ল’য়ে,
বিশ্ববাসী আনিল ঈমান যে পাক কোরান মানি’।।
চন্দ্র-তারকা-গ্রহ আদি ঐ তরুলতা মরু-বায়,
কোরানের সেই আয়াত শুনিয়া লুটায় নবীর পায়।
	কোরানে জাগাও ওরে
	জ্ঞান-গরিমায় মোরে,
মরিতে আমায় দিও গো ল’য়ে বক্ষে কোরানখানি।