দ্বীনের নবীজি শোনায় একাকী
বাণী
দ্বীনের নবীজি শোনায় একাকী কোরানের মধু-বাণী। আয়েশা খাতুন শোনেন বসিয়া, নয়নে ঝরিছে পানি।। বে-দ্বীন দিওয়ানা হ’য়ে কাঁদে যে কোরান ল’য়ে, বিশ্ববাসী আনিল ঈমান যে পাক কোরান মানি’।। চন্দ্র-তারকা-গ্রহ আদি ঐ তরুলতা মরু-বায়, কোরানের সেই আয়াত শুনিয়া লুটায় নবীর পায়। কোরানে জাগাও ওরে জ্ঞান-গরিমায় মোরে, মরিতে আমায় দিও গো ল’য়ে বক্ষে কোরানখানি।
দেখে যারে রুদ্রাণী মা সেজেছে আজ ভদ্রকালী
বাণী
দেখে যারে রুদ্রাণী মা সেজেছে আজ ভদ্রকালী। শ্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে শ্মশান মাঝে শিব-দুলালী॥ আজ শান্ত সিন্ধু তীরে অশান্ত ঝড় থেমেছে রে, মা’র কালো রূপ উপ্চে পড়ে ছাপিয়ে ভুবন গগন-ডালি॥ আজ অভয়ার ওষ্ঠে জাগে শুভ্র করুণ শান্ত হাসি, আনন্দে তাই বসন ফেলি’ মহেন্দ্র ঐ বাজায়-বাঁশি, ঘুমিয়ে আছে বিশ্ব ভুবন মায়ের কোলে শিশুর মতন, পায়ের লোভে মনের বনে ফুল ফুটেছে পাঁচমিশালি॥
দুরন্ত বায়ু পূরবইয়াঁ বহে
বাণী
দুরন্ত বায়ু পূরবইয়াঁ বহে অধীর আনন্দে তরঙ্গে দুলে আজি নাইয়া রণ-তুরঙ্গ-ছন্দে।। অশান্ত অম্বর-মাঝে মৃদঙ্গ গুরুগুরু বাজে, আতঙ্কে থরথর অঙ্গ মন অনন্তে বন্দে।। ভূজঙ্গী দামিনীর দাহে দিগন্ত শিহরিয়া চাহে, বিষন্ন ভয়-ভীতা যামিনী খোঁজে সেতারা চন্দে।। মালঞ্চে এ কি ফুল-খেলা, আনন্দে ফোটে যূথী বেলা, কুরঙ্গী নাচে শিখী-সঙ্গে মাতি’ কদম্ব-গন্ধে।। একান্তে তরুণী তমালী অপাঙ্গে মাঝে আজি কালি, বনান্তে বাঁধা প’ল দেয়া কেয়া-বেণীর বন্ধে।। দিনান্তে বসি’ কবি একা পড়িস্ কি জলধারা-লেখা, হিয়ায় কি কাঁদে কুহু-কেকা আজি অশান্ত দ্বন্দ্বে।।
দূর বনান্তের পথ ভুলি কোন্ বুলবুলি
বাণী
দূর বনান্তের পথ ভুলি কোন্ বুলবুলি বুকে মোর আসিলি হেথায়। হায় আনন্দের দূত যে তুই, তবু তোর চোখে কেন জল কি ব্যথায়।। কোথা দিই ঠাঁই তোরে ওরে ভীরু পাখি, বেদনাময় আমার ও প্রাণ, এ মরুতে নাই তরু, নাই তোর তৃষার তরে জল যে হেথায়।। নিকুঞ্জে কার গাইতে গেলি গান, বিঁধিল বুক কণ্টকে; হায় পুড়িয়া বৈশাখে এলি ভিজিতে অশ্রুর বরষায়।।