বাণী

		দুখের সাহারা পার হয়ে আমি চলেছি ক্বাবার পানে।
		পড়িব নামাজ মা'রফাতের আরফাত ময়দানে।।
		খোদার ঘরের দিদার পাইব, হজ্জের পথের জ্বালা জুড়াইব,
(মোর)	মুর্শিদ হয়ে হজরত পথ দেখান সুদূর পানে।।
		রোজা রাখা মোর সফল হইবে, পাবো পিয়াসার পানি;
		আবে জম্‌জম্‌ তৌহিদ পিয়ে ঘুচাব পথের গ্লানি।
		আল্লার ঘর তওয়াফ করিয়া কাঁদিব সেথায় পরান ভরিয়া,
		ফিরিব না আর, কোরবানি দেবো এই জান সেইখানে।।

বাণী

দুলিবি কে আয় মেঘের দোলায়।
কুসুম দোলে পাতার কোলে পুবালি হাওয়ায়।।
অলকা-পরী অলক খু’লে
কাজরি নাচে গগন-কূলে,
বলাকা-মালার ঝুলন ঝুলায়।।
দাদুরি বোলে, ডাহুকী ডাকে
ময়ূরী নাচে তমাল শাখে,
ময়ূর দোলে কদম-তলায়।।
তটিনী দুলে ঢেউয়ের তালে,
নিবিড় আঁধার ঝাউয়ের ডালে,
বেণুর ছায়া ঘনায় মায়া পরান ভোলায়।।

বাণী

দিতে এলে ফুল,হে প্রিয়,কে আজি সমাধিতে মোর?
এতদিনে কি আমারে পড়িল মনে মনচোর।।
জীবনে যারে চাহনি তাহারে ঘুমাইতে দাও।
মরণ-পারে ভেঙো না,ভেঙো না তাহার ঘুম-ঘোর।।
দিতে এসে ফুল কেঁদো না প্রিয় মোর,সমাধি-পাশে
ঝরিল যে ফুল অনাদরে হায়,নয়ন-জলে বাঁচিবে না সে!
সামাধি-পাষাণ নহে গো তোমার সমান কঠোর।।
কত আশা,সাধ মিশে যায় মাটির সনে
মুকুলে ঝরে কত ফুল কীটেরি দহনে।
কেন অসময়ে আসিলে,ফিরে যাও,মোছ আঁখি -লোর।।

বাণী

দক্ষিণ সমীরণ সাথে বাজো বেণুকা।
মধু-মাধবী সুরে চৈত্র-পূর্ণিমা রাতে, বাজো বেণুকা।।
বাজো		শীর্ণা-স্রোত নদী-তীরে
		ঘুম যবে নামে বন ঘিরে’
যবে		ঝরে এলোমেলো বায়ে ধীরে ফুল-রেণুকা।।
		মধু মালতী-বেলা-বনে ঘনাও নেশা
		স্বপন আনো জাগরণে মদিরা মেশা।
			মন যবে রহে না ঘরে
			বিরহ-লোকে সে বিহরে
		যবে নিরাশার বালুচরে ওড়ে বালুকা।।

বাণী

		দাঁড়ালে দুয়ারে মোর		কে তুমি ভিখারিনী।
		গাহিয়া সজল চোখে		বেলা-শেষের রাগিণী॥
		মিনতি-ভরা আঁখি			ওগো কে তুমি ঝড়ের পাখি
(ওগো)	কি দিয়ে জুড়াই ব্যথা		কেমনে কোথায় রাখি
		কোন্ প্রিয় নামে ডাকি’		মান ভাঙাব মানিনী॥
		বুকে তোমায় রাখতে প্রিয়	চোখে আমার বারি ঝরে,
(ওগো)	চোখে যদি রাখিতে চাই		বুকে উঠে ব্যথা ভ’রে।
		যত দেখি তত হায়,		ওগো পিপাসা বাড়িয়া যায়
		কে তুমি যাদুকরী			স্বপন-মরু-চারিণী॥

বাণী

দুঃখ সাগর মন্থন শেষ ভারতলক্ষ্মী আয় মা আয়
কবে সে ডুবিলি অতল পাথারে উঠিলি না আর হায় মা হায়॥
	মন্থনে শুধু উঠে হলাহল
	শিব নাই পান কে করে গরল
অমৃত ভান্ড লয়ে আয় মাগো জ্বলিয়া মরি বিষের জ্বালায়॥
হরিৎ ক্ষেত্রে সোনার শস্যে দুলে না আর তোর আঁচল
শুকায়েছে মাগো মায়ের স্তন্য গাভীর দুগ্ধ নদীর জল।
	চাই না মোক্ষ চাই মা বাঁচিতে
	অক্ষয় আয়ু লয়ে ধরণীতে
চাই প্রাণ চাই ক্ষুধায় অন্ন মুক্ত আলোকে মুক্ত বায়॥