দাও শৌর্য দাও ধৈর্য্য
বাণী
দাও শৌর্য, দাও ধৈর্য্য, হে উদার নাথ, দাও প্রাণ। দাও অমৃত মৃত জনে, দাও ভীত –চিত জনে, শক্তি অপরিমাণ। হে সর্বশক্তিমান।। দাও স্বাস্থ্য, দাও আয়ু, স্বচ্ছ আলো, মুক্ত বায়ু, দাও চিত্ত অ–নিরুদ্ধ, দাও শুদ্ধ জ্ঞান। হে সর্বশক্তিমান।। দাও দেহে দিব্য কান্তি, দাও গেহে নিত্য শান্তি, দাও পুণ্য প্রেম ভক্তি, মঙ্গল কল্যাণ। ভীতি নিষেধের ঊর্ধে স্থির, রহি যেন চির — উন্নত শির যাহা চাই যেন জয় করে পাই, গ্রহণ না করি দান। হে সর্বশক্তিমান।।
দয়া ক’রে দয়াময়ী ফাঁসিয়ে দে এই ভুঁড়ি
বাণী
[ওমা — ভুঁড়ি নিয়ে গেলাম মা — ওমা — মা-মা-মা] দয়া ক’রে দয়াময়ী ফাঁসিয়ে দে এই ভুঁড়ি এ ভুঁড়ি তো নয় ভূধর যেন উদর প্রদেশ জুড়ি॥ ক্রমেই ভুঁড়ির পরিধি মা যাচ্ছে ছেড়ে দেহের সীমা আমার হাত পা রইল বাঙালি ওমা পেট হল ভোজপুরী॥ উপুড় হতে নারি মাগো সর্বদা চিৎপাৎ ভয় লাগে কাৎ হলেই বুঝি হব কুপোকাৎ শালীরা কয় হায় রে বিধি রোলার বিয়ে করলেন দিদি গুঁড়ি ভেবে ঠেস দেয় কেউ কেউ দেয় সুড়সুড়ি॥ (আর) ভুঁড়ি চলে আগে আগে আমি চলি পিছে কুমড়ো গড়ান গড়িয়ে পড়ি নামতে সিঁড়ির নীচে। পেট কি ক্রমে ফুলে ফেঁপে উঠবে মাগো মাথা ছেপে (ওগো) কেউ নাদা কয় কেউ গম্বুজ (বলে) কেউবা গোবর ঝুড়ি। গাড়িতে মা যেই উঠেছি ভুঁড়ি লাগায় লম্ফ ভুমিকম্পের চেয়েও ভীষণ আমার ভুঁড়ি কম্প। সার্ট ক্রমে পেটে এঁটে গেঞ্জি হয়ে গেল সেঁটে দে ভুঁড়ির ময়দা ফেটে হাত পা গুলো ছুড়ি হালকা হয়ে মনের সুখে হাত পা গুলো ছুড়ি এই ভুঁড়ির ময়দা ফেটে দে ফায়দা কি আর এই ভুঁড়িতে ময়দা ফেটে দে হালকা হয়ে মনের সুখে ওমা, হাত-পাগুলো ছুড়ি॥
দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান
বাণী
দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান হে খোদা, এ যে তোমারই হুকুম, তোমারই ফরমান।। এমনি তোমার নামের আছর – নামাজ রোজার নাই অবসর, তোমার নামের নেশায় সদা মশগুল মোর প্রাণ।। তকদিরে মোর এই লিখেছ হাজার গানের সুরে নিত্য দিব তোমার আজান আঁধার মিনার-চূড়ে। কাজের মাঝে হাটের পথে রণ-ভূমে এবাদতে আমি তোমার নাম শোনাব, করব শক্তি দান।।
দিনগুলি মোর পদ্মেরই দল যায় ভেসে
বাণী
দিনগুলি মোর পদ্মেরই দল যায় ভেসে যায় কালের স্রোতে ওগো সুদূর ওগো বিধুর তোমার সাগর-তীর্থ -পথে।। বিফল দিনের কমলগুলি পড়লো ঝ'রে পাপড়ি খুলি' নিও প্রিয় তদের তুলি দিন শেষের ম্লান আলোতে।। সঞ্চিত মোর দিনগুলি হায় ছড়িয়ে গেল অযতনে; তোমার বরণ-মালা গাঁথা হলো না আর এ জীবনে। অন্য মনে কখন বেভুল ভাসিয়ে দিলাম দলি সে ফুল বঞ্চিত তাই হবে কি হায় তোমার চরণ-ছোওয়া হ'তে।।
দীন দরিদ্র কাঙালের তরে
বাণী
দীন দরিদ্র কাঙালের তরে এই দুনিয়ায় আসি’, হে হজরত বাদশাহ হয়েছিলে উপবাসী। (তুমি) চাহ নাই কেহ হইবে আমীর, পথের ফকির কেহ (কেহ) মাথা গুঁজিবার পাইবে না ঠাঁই, কাহারো সোনার গেহ, ক্ষুধার অন্ন পাইবে না কেহ, কারো শত দাস-দাসী।। (আজ) মানুষের ব্যথা অভাবের কথা ভাবিবার কেহ নাই ধনী মুস্লিম ভোগ ও বিলাসে ডুবিয়া আছে সদাই, (তাই) তোমারেই ডাকে যত মুস্লিম গরীব শ্রমিক চাষী।। বঞ্চিত মোরা হইয়াছি আজ তব রহমত হ’তে সাহেবী গিয়াছে, মোসাহেবী করি ফিরি দুনিয়ার পথে, আবার মানুষ হব কবে মোরা মানুষেরে ভালবাসি’।।