বাণী

ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস
আজ বাদে কাল ঈদ তবু মন করে উদাস।।
রোজা রেখেছিলি, হে পরহেজগার মোমিন!
ভুলেছিলি দুনিয়াদারি রোজার তিরিশ দিন;
তরক করেছিলি তোরা কে কে ভোগ-বিলাস।।
সারা বছর গুনাহ যত ছিল রে জমা,
রোজা রেখে খোদার কাছে পেলি সে ক্ষমা,
ফেরেশতা সব সালাম করে কহিছে সাবাস।।

নাটিকাঃ ‘ঈদল ফেতর’

বাণী

স্ত্রী:		ফুল বীথি এলে অতিথি
		চম্পা মঞ্জরি-কুঞ্জে পড়ে ঝরি' চঞ্চল তব পায়।
পুরুষ:	কুড়ায়ে সেই ঝরা ফুল, চাঁপার মুকুল
		গেঁথেছি মোহন-মালিকা পরাব বলিয়া তোমার গলায়।।
স্ত্রী:		হে রূপ-কুমার, সুন্দর প্রিয়তম
		এলে যে ফিরিয়া দাসীরে স্মরিয়া জীবন সফল মম।
পুরুষ:	পরো কুন্তলে ধরো অঞ্চলে
		অমিলন প্রেম-পারিজাত,
স্ত্রী:		কি হবে লয়ে সে ফুল-মালা যাহা নিশি ভোরে শুকায়।
পুরুষ:	মোছ মোছ আঁখিধার লহ বাহুর হার ভোলে অতীত ব্যথায়।
উভয়ে:	বিরহ অবসানে মিলন মধুর প্রিয়
		এ মিলন নিশি যেন আর না পোহায়।।

বাণী

ফুটলো যেদিন ফাল্গুনে, হায়, প্রথম গোলাপ-কুঁড়ি
বিলাপ গেয়ে বুলবুলি মোর গেল কোথায় উড়ি।।
	কিসের আশায় গোলাপ বনে
	গাইতো সে গান আপন মনে,
লতার সনে পাতার সনে খেতো লুকোচুরি (হায়)
সেই লতাতে প্রথম প্রেমের ফুটলো মুকুল যবে
পালিয়ে গেল ভীরু পাখি অমনি নীরবে।
	বাসলে ভালো যে জন কাঁদে
	বাঁধবো তা'রে কোন সে ফাঁদে,
ফুল নিয়ে তাই অবসাদে বনের পথে ঘুরি (হায়)।।

বাণী

ফোরাতের পানিতে নেমে 
ফাতেমা দুলাল কাঁদে অঝোর নয়নে রে।।
দু'হাতে তুলিয়া পানি 
ফেলিয়া দিলেন অমনি — পড়িল কি মনে রে।।
দুধের ছাওয়াল আসগর এই পানি চাহিয়ে রে,
দুশ্‌মনের তীর খেয়ে বুকে ঘুমাল খুন পিয়ে রে;
শাদীর নওশা কাশেম শহীদ এই পানি বিহনে রে।।
এই পানিতে মুছিল রে হাতের মেহেদী সকিনার,
এই পানিরই ঢেউয়ে ওঠে, তারি মাতম্‌ হাহাকার;
শহীদানের খুন মিশে আছে, এই পানিরই সনে রে।।
বীর আব্বাসের বাজু শহীদ হ'ল এরি তরে রে,
এই পানির বিহনে জয়নাল খিয়াম তৃষ্ণায় মরে রে;
শোকে শহীদ হ'লেন হোসেন জয়ী হয়েও রণে রে।। 

বাণী

ফুটলো সন্ধ্যামণির ফুল আমার মনের আঙিনায়
ফুল-ফোটাতে কে এলে ফুল ঝরানো সাঁঝ-বেলায়।।
	আজ কি মোর দিনের শেষে
	উঠলো চাঁদ মধুর হেসে'
কৃষ্ণা তিথির তৃষ্ণা মোর মিটলো ওই জোছনায়।।
আজ যে আঁখি অশ্রুহীন কি দিয়ে ধোয়াই চরণ'
সুন্দর বরের বেশে এলে কি আমার মরণ'!
	দেখ বসন্তের পাখি
	কোয়েলা গেছে ডাকি
আনন্দের দূত তুমি ডাকিয়া ফুল ফোটায়।।

বাণী

ফিরে আয়, ঘরে ফিরে আয়
পথহারা, ওরে ঘর-ছাড়া,
	ঘরে আয় ফিরে আয়।।
ফেলে যাওয়া তোর বাঁশরি, রে কানাই —
কাঁদে লুটায়ে ধুলায়,
	ফিরে আয় ঘরে আয়।।
ব্রজে আয় ফিরে ওরে ও কিশোর
কাঁদে বৃন্দাবন কায়দে রাখা তোর
বাঁধিব না আর ওরে ননী-চোর
	অভিমানী ফিরে আয়।।