ফিরে এলো সেই কৃষ্ণাষ্টমী তিথি
বাণী
ফিরে এলো সেই কৃষ্ণাষ্টমী তিথি, হে শঙ্খচক্রধারী! তোমার মাভৈঃ অভয় আকাশবাণী, কেন নাহি শুনি? হে মুরারি!! সেই ঘনঘটা দুর্যোগ-নিশি নিরাশা-আঁধারে ঢাকা দশদিশি; গগনে তেমনি ঘোর দুন্দুভি বাজে, ঝরে তেমনি অশ্রু-বারি।। আজো মানুষের আত্মা তেমনি কাঁদে আশা-যমুনার দুই পারে, এ-পারে দেবকী ও-পারে যশোদা আজো ডাকে মুক্তির বিধাতারে। আবার প্রেমের বংশী বাজাও, এই হানাহানি হিংসা ভুলাও, আর্ত-কলির গানের এ শেষ-কলি দাও শেষ করে ব্যথাহারী।।
ফুল-ফাগুনের এলো মরশুম
বাণী
ফুল-ফাগুনের এলো মরশুম বনে বনে লাগল দোল্। কুসুম-সৌখিন দখিন হাওয়ার চিত্ত গীত-উতরোল।। অতনুর ঐ বিষ-মাখা শর নয় ও-দোয়েল শ্যামার শিস্, ফোটা ফুলে উঠ্ল ভ’রে কিশোরী বনের নিচোল।। গুল্বাহারের উত্তরী কার জড়াল তরু-লতায়, মুহু মুহু ডাকে কুহু তন্দ্রা-অলস, দ্বার খোল। রাঙা ফুলে ফুল্ল-আনন দোলে কানন-সুন্দরী, বসন্ত তার এসেছে আজ বরষ পরে পথ-বিভোল্।
ফিরে যা সখি ফিরে যা ঘরে
বাণী
ফিরে যা সখি ফিরে যা ঘরে থাকিতে দে লো এ পথে পড়ে যে পথ ধরে গিয়াছে হরি চলি’ আমি যাব না আর গোকুলে, সখি শিশিরে আর ভয় কি করি ভেসেছি যবে অকূলে সখি দিসনে লো দিসনে লো রাখ গোপী-চন্দন, চন্দনে জুড়ায় না প্রাণের ক্রন্দন। দ্বিগুণ বাজায় জ্বালা নব মালতী-মালা, ও যে মালা নয়, মনে হয় সাপিনীর বন্ধন।। সখি যাহার লাগিয়া বসন ভূষণ, সেই গেল যদি চলে কি হবে এ ছার ভূষণের ভার ফেলে দে যমুনা-জলে। সকলের মায়া কাটায়েছি সখি, টুটিয়াছে সব বন্ধন, যেতে দে আমায়, যথা মথুরায় বিহরে নন্দ-নন্দন।। দেখব তারে, রাজার সাজে দেখব তারে রাজার সাজে কেমন মানায় গো-রাখা রাখাল-রাজে।
ফিরে ফিরে দ্বারে আসে যায়
বাণী
ফিরে ফিরে দ্বারে আসে যায় কে নিতি। তার অধরে হাসি আর নয়নে প্রীতি।। দোদুল্ তাহার কায়া ঘনায় চোখে মায়া, জেগে ওঠে দেখে তা’য় পুরানো স্মৃতি।। তাহার চরণ-পাতে তাহার সাথে সাথে, আসে আঁধার রাতে শুক্লা চাঁদের তিথি।। গেলে মন দিতে চাহে না সে নিতে, ধরিতে গেলে চোখে সে কী তার ভীতি।। ডাকি প্রিয় ব’লে তবু যায় সে চ’লে, পায়ে পায়ে দ’লে হৃদয় ফুল-বীথি।।
ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায় আগুন জ্বালায়
বাণী
ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায় আগুন জ্বালায় জ্বলিতে আসে। যে-দীপশিখায় পুড়িয়া মরে পতঙ্গ ঘোরে তাহারি পাশে।। অথই দুখের পাথার-জলে, সুখের রাঙা কমল দোলে কূলের পথিক হারায় দিশা দিবস নিশা তাহারি বাসে।। সুখের আশায় মেশায় ওরা বুকের সুধায় চোখের সলিল মণির মোহে জীবন-দহে বিষের ফণির গরল-শ্বাসে। বুকের পিয়ায় পেয়ে হিয়ায় কাঁদে পথের পিয়া লাগি’ নিতুই নূতন স্বর্গ মাগি’ নিতুই নয়ন জলে ভাসে।।