গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো ফুলের পরাগ মেখে
বাণী
গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো ফুলের পরাগ মেখে তোমার বনে ফুল ফুটেছে যায় ক'য়ে তাই ডেকে।। তোমার ভ্রমর দূতের কাছে যে বারতা লুকিয়ে আছে — দখিন হাওয়ায় তারি আভাস শুনি থেকে থেকে।। দল মেলেছে তোমার মনের মুকুল এতদিনে — সেই কথাটি পাখিরা গায় বিজন বিপিনে। তোমার ঘাটের ঢেউগুলি হায় আমার ঘাটে দোল দিয়ে যায় — লতায় পাতায় জোছনা দিয়ে সেই কথা চাঁদ লেখে।।
গুঞ্জা মালা গলে কুঞ্জে এসো হে কালা
বাণী
গুঞ্জা মালা গলে কুঞ্জে এসো হে কালা বনমালী এসো দুলায়ে বনমালা॥ তব পথে বকুল ঝরিছে উতল বায়ে দলিয়া যাবে বলে অকরুণ রাঙা পায়ে রচেছি আসন তরুণ তমাল ছায়ে পলাশ শিমুলে রাঙা প্রদীপ জ্বালা॥ ময়ূরে নাচাও তুমি তোমারি নূপুর তালে বেঁধেছি ঝুলনিয়া ফুলেল কদম ডালে তোম বিনা বনমালী বিফল এ ফুল দোল বাঁশি বাজাবে কবে উতলা ব্রজবালা॥
গিরিধারী লাল কৃষ্ণ গোপাল
বাণী
গিরিধারী লাল কৃষ্ণ গোপাল যুগে যুগে হ’য়ো প্রিয় জনমে জনমে বঁধু তব প্রেমে আমারে ঝুরিতে দিও॥ তুমি চির চঞ্চল চির পলাতকা প্রেমে বাঁধা প’ড়ে হ’য়ো মোর সখা মোর জাতি কুল মান তনু মন প্রাণ হে কিশোর হ’রে নিও॥ রাধিকার সম কুব্জার সম রুক্সিণী সম মোরে গোকুল মথুরা দ্বারকায় নাথ রেখো তব সাথী করে। গোপনে চেয়ো সব শত গোপীকায় চন্দ্রাবলী ও সত্যভামায় তেমনি হে নাথ চাহিও আমায় লুকায়ে ভালেবাসিও॥
গানগুলি মোর আহত পাখির সম
বাণী
গানগুলি মোর আহত পাখির সম লুটাইয়া পড়ে তব পায়ে প্রিয়তম।। বাণ–বেঁধা মোর গানের পাখিরে তু’লে নিও প্রিয় তব বুকে ধীরে, লভিবে মরণ চরণে তোমার সুন্দর অনুপম।। তারাসুখের পাখায় উড়িতেছিল গো নভে — তবনয়ন–শায়কে বিঁধিলে তাহাদের কবে। মৃত্যু আহত কন্ঠে তাহার একি এ গানের জাগিল জোয়ার — মরণ বিষাদে অমৃতের স্বাদ আনিলে নিষাদ মম।।