গম্ভীর আরতি নৃত্যের ছন্দে
বাণী
গম্ভীর আরতি নৃত্যের ছন্দে। হে প্রভু! তোমারে প্রকৃতি বন্দে।। চন্দ্র সূর্য কত শত গ্রহ তারা তোমারে ঘিরি’ নাচে প্রেমে মাতোয়ারা, অনন্ত কাল ঘোরে ধূমকেতু উল্কা আগুন জ্বালায়ে বুকে উগ্র আনন্দে লীলায়িত সিন্ধু অবোধ১ উল্লাসে২, মেঘ হ’য়ে উড়ে যেতে চায় তব পাশে। নব নব সৃষ্টি বৃষ্টিধারার প্রায় সেই ছন্দের তালে অবিরাম ঝ’রে যায়, ধরণীর গোপন অনুরাগ ভক্তি ফুটে ওঠে নীরব পুষ্প-সুগন্ধে।।
১. প্রেম ২. ভাব উল্লাসে
গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ
বাণী
গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ নিখিল রাঙিল রঙে অপরূপ ঢঙ॥ চিত্তে কে নৃত্যে মাতে দোল লাগানো ছন্দে, মদির রঙের নেশায় অধীর আনন্দে, নাচিছে সমীরে পুষ্প, পাগল বসন্ত, বাজে মেঘ মৃদঙ।। প্রাণের তটে কামোদ নটে সুর বাজিছে সুমধুর — দুলে অলকানন্দ রাঙা তরঙ্গে শিখী কুরঙ্গ নাচে রঙিলা ভ্রুভঙ্গে, বাজিছে বুকে সুর-সারং কাফির সঙ্গ্
গ্রামের শেষের মাঠের পথে
বাণী
গ্রামের শেষের মাঠের পথে গান গেয়ে কে যায় একা বাউল আনমনা। তার সুরে সবুজ ধানের ক্ষেত্রে ঢেউ খেলিয়া যায় গায় সাথে চপল-ঝরনা।। চলে নূপুর মুখর পায় সুর বাজিয়ে একতারায়, তাথৈ তাথৈ হাততালি দেয় সাথে তালবনা।। শান্ত নদীর কূলে হঠাৎ জোয়ার উঠে দুলে, বালুচরে চম্কে চখা চাহে নয়ন তুলে’। ওঠে রেঙে আকাশ কোল্ লাগে শাখায় শাখায় দোল্ লাগে দোল্, মনের মাঝে এঁকে সে যায় সুরের আল্পনা।।