ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায়
বাণী
ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায় (ওগো) জাগিয়ো না উহারে ঘুমাইতে দাও। বনের পাখী ধীরে গাহ গান দখিনা হাওয়া ধীরে ধীরে বয়ে যাও।। এখনো শুকায়নি চোখে তারই জল এখনো আঁধারে হাসি ছলছল প্রভাত রবি শুকায়ো না তায় ধীরে কিরণে তাহারি নয়নে চাও।। সামলে পথিক ফেলিয়ো চরন ঝরেছে হেথায় ফুলেরও জীবন। ভুলিয়া দল না ঝরা পাতাগুলি ফুল সমাধি থাকিতে পারে হেথাও।।
ঘুমাও ঘুমাও দেখিতে এসেছি
বাণী
ঘুমাও,ঘুমাও,দেখিতে এসেছি ভাঙাতে আসিনি ঘুম কেউ জেগে কাঁদে,কারো চোখে নামে নিদালির মৌসুম॥ দেখিতে এলাম হ'য়ে কুতুহলী চাঁপা-ফুল দিয়ে তৈরী পুতুলী দেখি,শয্যায় স্তূপ হ'য়ে আছে জোছনার কুমকুম আমি নই, ঐ কলঙ্কী চাঁদ নয়নে হেনেছে চুম্ ।। রাগ করিও না, অনুরাগ হ'তে রাগ আরো ভালো লাগে, তৃষ্ণাতুরের কেউ জল চায় কেউ বা শিরাজি মাগে। মনে কর, আমি লোলুপ বাতাস চোর-জোছনা, ফুলের সুবাস ভয় নাই, আমি চলে যাই ডাকি' নিশীথিনী নিঃঝুম।।
ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে
বাণী
ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে জাগায়ো না জাগায়ো না, সারা জীবন যে আলো দিল ডেকে তার ঘুম ভাঙায়ো না।। যে সহস্র করে রূপরস দিয়া জননীর কোলে পড়িল ঢলিয়া তাঁহারে শান্তি-চন্দন দাও ক্রন্দনে রাঙায়ো না।। যে তেজ শৌর্য-শক্তি দিলেন, আপনারে করি ক্ষয় তাই হাত পেতে নাও। বিদেহ রবি ও ইন্দ্র মোদের নিত্য দেবেন জয় কবিরে ঘুমাতে দাও। অন্তরে হের হারানো রবির জ্যোতি সেইখানে তারে নিত্য কর প্রণতি আর কেঁদে তাঁরে কাঁদায়ো না।।
ঘন গগন ঘিরিল ঘন ঘোর
বাণী
ঘন গগন ঘিরিল ঘন ঘোর। শাওন-ধারা ঘন-শ্যাম-বরণ চরণ লাগি’ ঝর ঝরে অঝোর্।। কুহু কেকা গাছে চম্পা শাখে (গো) বিরহী বেণু ডাকে প্রিয়তমাকে১ (গো), মেঘ-মাঝে খুঁজে ফিরে সৌদামিনী কোথা লুকালো প্রিয়-ঘন চিতচোর।। রহে না মন ঘরে অন্ধকারে অভিসারে যেতে চায় বন-‘পারে, ঝুরে মৌন ব্যথায় কাননে কেতকী কাঁদে চিত-চাতকী কোথা শ্যাম কিশোর।।
১. কাহাকে