ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে
বাণী
ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে জাগায়ো না জাগায়ো না, সারা জীবন যে আলো দিল ডেকে তার ঘুম ভাঙায়ো না।। যে সহস্র করে রূপরস দিয়া জননীর কোলে পড়িল ঢলিয়া তাঁহারে শান্তি-চন্দন দাও ক্রন্দনে রাঙায়ো না।। যে তেজ শৌর্য-শক্তি দিলেন, আপনারে করি ক্ষয় তাই হাত পেতে নাও। বিদেহ রবি ও ইন্দ্র মোদের নিত্য দেবেন জয় কবিরে ঘুমাতে দাও। অন্তরে হের হারানো রবির জ্যোতি সেইখানে তারে নিত্য কর প্রণতি আর কেঁদে তাঁরে কাঁদায়ো না।।
ঘর ছাড়াকে বাঁধতে এলি
বাণী
ঘর ছাড়াকে বাঁধতে এলি কে মা অশ্রুমতী! লীলাময়ী মহামায়া দাক্ষায়ণী সতী।। কে মাগো তুই কার দুলালী যোগীন্দ্রেরও যোগ ভুলালি, তোর ছোঁওয়াতে স্নিগ্ধ হ’ল শিবের তপের জ্যোতি।। সৃষ্টিরে তোর বাঁচাতে মা করিস্ কতই রঙ্গ, তোর মায়াতে শঙ্করেরও ধ্যান হ’ল তাই ভঙ্গ। শুদ্ধ শিবে মুগ্ধ ক’রে চঞ্চলা তুই গেলি স’রে, হরের যদি জ্ঞান হরিস্ মা মোদের কোথায় গতি। আমরা যে তোর মায়ায় অন্ধ জীবন দুর্বল মতি — ওমা কোথায় মোদের গতি।।
‘সতী’
ঘনশ্যাম কিশোর নয়ন-আনন্দ
বাণী
ঘনশ্যাম কিশোর নয়ন-আনন্দ ব্রজপুর চন্দ শ্রী ব্রজপুর চন্দ। বনমালা-ভূষিত কৌস্তুভ শোভিত শ্রীচরণে ঝংকৃত নূপুর-ছন্দ।। অলকা-তিলক-ধারী কানন-বিহারী শিরে শিখী-পাখা বামে রাধা-প্যারী, বিকশিত ফুলে যাঁর তনুর সুগন্ধ।। কদম্ব-মূলে যমুনার কূলে বাঁশরি বাজায়ে নাচে হেলে দুলে, যাঁর প্রেমে গোপিনীরা কেঁদে হ’ল অন্ধ।। সেই হরি মম, সখা প্রিয়তম (সে) হৃদয়ে উদয় হ’য়ে হাসে মৃদু-মন্দ।।
ঘুম পাড়ানি মাসিপিসি
বাণী
ঘুম পাড়ানি মাসিপিসি ঘুম দিয়ে যেয়ো, বাটা ভ’রে পান দেবো গাল ভ’রে খেয়ো। ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।। ঘুম আয় রে, দুষ্টু খোকায় ছুঁয়ে যা চোখের পাতা লজ্জাবতী লতার মত নুয়ে যা, ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।। মেঘের মশারিতে রাতের চাঁদ পড়ল ঘুমিয়ে, খোকার চোখের পাপড়ি পড়ুক ঘুমে ঝিমিয়ে। শুশুনি শাক খাওয়াব, ঘুম পাড়ানি আয় ঝিঁঝিঁ পোকার নূপুর খোল, খোকা ঘুম যায়, ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।।
চলচ্চিত্র : ‘চৌরঙ্গী’