বাণী

[সংলাপঃ পুরুষ: ঘরে কে গো? (দরজায় টোকার শব্দ)
বলি ঘরে কে? (আবার টোকার শব্দ) শালাজ নাকি —
ও হো-হো-হো-হো ...]
পুরুষ	:	ঘরে কে গো? বলি ঘরে কে, শালাজ নাকি?
		এ যে মোর গোয়ালের গাই।
স্ত্রী	:	ও ছোট ঠাকুর ঝি, ওলো আয় আয়,
		দেখে যা এসেছে নন্দাই। এ যে মোর ননদের ভাই।
পুরুষ	:	দেখ, রাত্রি জেগে গুনব কত চালের কড়ি কাঠ
স্ত্রী	:	তাইতো, আগে হয়নি সারা আমার ঘর কন্নার পাট।
পুরুষ	:	তোমার কাজের মাথায় মারো লাঠি
স্ত্রী	:	আমি নিয়ে শীতল পাটি মাস-শাশুড়ির পা টিপিতে যাই।
পুরুষ	:	ওগো শুনছো! শোনো শোনো শোনো না — সত্যি সত্যি চললে,
		নতুনতর ঝুমকোর এক নমুনা এনেছি (আমি)।
স্ত্রী	:	অ্যা, তাই নাকি!
পুরুষ	:	হ্যা — গো — হ্যা।
স্ত্রী	:	কাল চাল ডাল বাছবো, চল এই আমি আসিতেছি
		ওগো এই আমি আসিতেছি
পুরুষ	:	না না, ও তোমায় পা টিপিতে বলেছিলেন কি ভাবিবেন মাসি
স্ত্রী	:	আমার গা করছে বমি বমি তাকে বলে আসি।
পুরুষ	:	এমন শ্যাকরার মত বিন্দে দূতি কলিকালের বৃন্দাবনে নাই॥
		বেঁচে থাক বাবা শ্যাকরার পো হুল্লোড় ঘটালে তবে ছাড়লে॥

বাণী

ঘুমাও,ঘুমাও,দেখিতে এসেছি ভাঙাতে আসিনি ঘুম
কেউ জেগে কাঁদে,কারো চোখে নামে নিদালির মৌসুম॥
	দেখিতে এলাম হ'য়ে কুতুহলী
	চাঁপা-ফুল দিয়ে তৈরী পুতুলী
দেখি,শয্যায় স্তূপ হ'য়ে আছে জোছনার কুমকুম
আমি নই, ঐ কলঙ্কী চাঁদ নয়নে হেনেছে চুম্ ।।
রাগ করিও না, অনুরাগ হ'তে রাগ আরো ভালো লাগে,
তৃষ্ণাতুরের কেউ জল চায় কেউ বা শিরাজি মাগে।
	মনে কর, আমি লোলুপ বাতাস
	চোর-জোছনা, ফুলের সুবাস
ভয় নাই, আমি চলে যাই ডাকি' নিশীথিনী নিঃঝুম।।

বাণী

ঘুম আয় ঘুম, ঘুম ঘুম ঘুম।
আকাশ-বাতাস জল থল উপবন সব হোক নিঝ্ঝুম।।
শান্ত হোক সব অশান্ত কলরোল
রে পথিক! জীবন-পথের ক্লান্তি ভোল্
নয়নে লাগুক সুখ-স্বপনের কুঙ্কুম।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (ঘুমপরী স্বপনপরীর গান)

বাণী

	ঘর-ছাড়া ছেলে আকাশের চাঁদ আয় রে।
	জাফ্‌রানি রঙের পরাব পিরান তোর গায় রে।।
	আস্‌মানে যেতে চায় তারা হয়ে আমার নয়ন-তারা
(তোর)	খেলার সাথি কাঁদে শাপ্‌লার ফুল, ফিরে আয় পথ-হারা,
	দু’নয়ন ঘুমে ঢুলে, হৃদয় ঘুমায় না, কাছে পেতে চায় রে।।
	চোখের কাজল তোর চাঁদ-মুখে লেগেছে, (আয়) মুছাব আঁচলে
	দেখ্ মায়ের তোর স্নেহের সাগর আছে উথলে,
(মোর)	মনের ময়না! ঘরে মন রয় না, পথ চেয়ে’ রাত কেটে যায় রে।।

চলচ্চিত্র : ‘চৌরঙ্গী’

বাণী

ঘুম পাড়ানি মাসিপিসি ঘুম দিয়ে যেয়ো,
বাটা ভ’রে পান দেবো গাল ভ’রে খেয়ো।
		ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।।
ঘুম আয় রে, দুষ্টু খোকায় ছুঁয়ে যা
চোখের পাতা লজ্জাবতী লতার মত নুয়ে যা,
		ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।।
মেঘের মশারিতে রাতের চাঁদ পড়ল ঘুমিয়ে,
খোকার চোখের পাপড়ি পড়ুক ঘুমে ঝিমিয়ে।
শুশুনি শাক খাওয়াব, ঘুম পাড়ানি আয়
ঝিঁঝিঁ পোকার নূপুর খোল, খোকা ঘুম যায়,
		ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।।

চলচ্চিত্র : ‘চৌরঙ্গী’

বাণী

ঘর ছাড়াকে বাঁধতে এলি কে মা অশ্রুমতী!
লীলাময়ী মহামায়া দাক্ষায়ণী সতী।।
	কে মাগো তুই কার দুলালী
	যোগীন্দ্রেরও যোগ ভুলালি,
তোর ছোঁওয়াতে স্নিগ্ধ হ’ল শিবের তপের জ্যোতি।।
সৃষ্টিরে তোর বাঁচাতে মা করিস্ কতই রঙ্গ,
তোর মায়াতে শঙ্করেরও ধ্যান হ’ল তাই ভঙ্গ।
	শুদ্ধ শিবে মুগ্ধ ক’রে
	চঞ্চলা তুই গেলি স’রে,
হরের যদি জ্ঞান হরিস্ মা মোদের কোথায় গতি।
আমরা যে তোর মায়ায় অন্ধ জীবন দুর্বল মতি —
		ওমা কোথায় মোদের গতি।।

‘সতী’