হে প্রবল দর্পহারী কৃষ্ণ-মুরারি
বাণী
হে প্রবল দর্পহারী কৃষ্ণ-মুরারি। শরণাগত আর্ত-পরিত্রাণ-পরায়ণ — যুগ যুগ সম্ভব নারায়ণ দানবারি।। ভূ-ভার হরণে এসো জনার্দন হৃষিকেশ, কল্কীরূপে অধর্ম নিধনে এসো দনুজারি — কংসারি গিরিধারী ডাকে ভয়ার্ত নরনারী।। দুর্বল দীনের বন্ধু, জন-গণ ত্রাতা নিঃস্বের সহায় পরমেশ বিশ্ব-বিধাতা, তিমির-বিদারি এসো মহা-ভারত-বিহারী।। এসো উৎপীড়িতের নীরব রোদনে এসো এসো বীরের আত্মদানে প্রাণ-উদ্বোধনে এসো, দেশ-দ্রৌপদীর লজ্জাহারী, দৈত্য-গর্ব-খর্ব-কারী — শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী।।
হে গোবিন্দ রাখ চরণে
বাণী
হে গোবিন্দ রাখ চরণে। মোরা তব চরণে শরণাগত আশ্রয় দাও আশ্রিত জনে হে॥ গঙ্গা ঝরে যে শ্রীচরণ বেয়ে কেন দুখ পাই সে চরণ চেয়ে এ ত্রিতাপ জ্বালা হর হে শ্রীহরি, চাহ করুণা সিক্ত নয়নে॥ হরি ভিক্ষা চাহিলে মানুষ নাহি ফিরায় তোমারি দুয়ারে হাত পাতিল যে, ফিরাবে কি তুমি তায়। হরি সব তরী ডুবে যায় তোমার চরণ তরী ত’ ডোবে না হায়, তব চরণ ধরিয়া ডুবে মরি যদি রবে কলঙ্ক নিখিল ভুবনে॥
হেরা হতে হেলে দুলে নূরানী তনু
বাণী
হেরা হতে হেলে দুলে নূরানী তনু ও কে আসে হায়, সারা দুনিয়ার হেরেমের পর্দা খুলে খুলে যায় — সে যে আমার কমলিওয়ালা — কমলিওয়ালা।। তার ভাবে বিভোল রাঙা পায়ের তলে পর্বত জঙ্গম টলমল টলে, খোরমা খেজুর বাদাম জাফরানি ফুল ঝ’রে ঝ’রে যায় — সে যে আমার কমলিওয়ালা — কমলিওয়ালা।। আসমানে মেঘ চলে ছায়া দিতে, পাহাড়ের আঁসু গলে ঝরনার পানিতে, বিজলি চায় মালা হতে, পূর্ণিমার চাঁদ তার মুকুট হতে চায় — সে যে আমার কমলিওয়ালা — কমলিওয়ালা।।
হৃদি-পদ্মে চরণ রাখো বাঁকা ঘনশ্যাম
বাণী
নারদ : হৃদি-পদ্মে চরণ রাখো বাঁকা ঘনশ্যাম। ধ্রুব : বাঁকা শিখী-পাখা নয়ন বাঁকা বঙ্কিম ঠাম॥ নারদ : তুমি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে! ধ্রুব : অধরে মুরলী ধরি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে॥ নারদ : সোনার গোধূলি যেন নিবিড় সুনীল নভে পীতধড়া প’রো কালো অঙ্গে (হরি হে) ধ্রুব : নীল কপোত সম চরণ দুটি নেচে যাক অপরূপ ভঙ্গে (হরি হে) উভয় : যেন নূপুর বাজে হরি সেই পায়ে যেন নূপুর বাজে। বনে নয় শ্যাম মনোমাঝে যেন নূপুর বাজে। ঐ চরণে জড়ায়ে পরান আমার (যেন) মঞ্জির হয়ে বাজে॥
চলচ্চিত্রঃ ‘ধ্রুব’ (ধ্রুব ও নারদের গান)