হে পার্থসারথি বাজাও বাজাও
বাণী
হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ চিত্তের অবসাদ দূর কর কর দূর ভয়–ভীত জনে কর হে নিঃশঙ্ক।। ধনুকে টঙ্কার হানো হানো, গীতার মন্ত্রে জীবন দানো; ভোলাও ভোলাও মৃত্যু–আতঙ্ক।। মৃত্যু জীবনের শেষ নহে নহে — শোনাও শোনাও — অনন্ত কাল ধরি’ অনন্ত জীবন প্রবাহ বহে। দুর্মদ দুরন্ত যৌবন–চঞ্চল ছাড়িয়া আসুক মা’র স্নেহ–অঞ্চল; বীর সন্তানদল করুক সুশোভিত মাতৃ–অঙ্ক।।
হে প্রিয় নবী রসূল আমার
বাণী
হে প্রিয় নবী রসূল আমার প’রেছি আভরণ নামেরি তোমার।। নয়নের কাজলে তব নাম ললাটের টীপে জ্বলে তব নাম গাঁথা মম কুন্তলে আহমদ বাঁধা মোর অঞ্চলে তব নাম দুলিছে গলে মোর তব নাম মণিহার।। তাবিজ অঙ্গুরী তব নাম বাজু ও পৈচী চুড়ি তব নাম ভয়ে ভয়ে পথে পথে ঘুরি যে পাছে কেউ করে চুরি তব নাম ঐ নাম রূপ মোর ঐ নাম আঁখি ধার।। বুকের বেদনা ঢাকা তব নাম ধ্যানে মোর জ্ঞানে মোর তুমি যে প্রেম-ভক্তি মাখা তব নাম প্রিয় নাম আহমদ জপি আমি অনিবার।।
হে প্রবল দর্পহারী কৃষ্ণ-মুরারি
বাণী
হে প্রবল দর্পহারী কৃষ্ণ-মুরারি। শরণাগত আর্ত-পরিত্রাণ-পরায়ণ — যুগ যুগ সম্ভব নারায়ণ দানবারি।। ভূ-ভার হরণে এসো জনার্দন হৃষিকেশ, কল্কীরূপে অধর্ম নিধনে এসো দনুজারি — কংসারি গিরিধারী ডাকে ভয়ার্ত নরনারী।। দুর্বল দীনের বন্ধু, জন-গণ ত্রাতা নিঃস্বের সহায় পরমেশ বিশ্ব-বিধাতা, তিমির-বিদারি এসো মহা-ভারত-বিহারী।। এসো উৎপীড়িতের নীরব রোদনে এসো এসো বীরের আত্মদানে প্রাণ-উদ্বোধনে এসো, দেশ-দ্রৌপদীর লজ্জাহারী, দৈত্য-গর্ব-খর্ব-কারী — শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী।।
হয়ত আমার বৃথা আশা তুমি ফিরে আসবে না
বাণী
হয়ত আমার বৃথা আশা তুমি ফিরে আসবে না। আশা-তরী ডুববে কূলে দুখের স্রোতে ভাসবে না।। হয়তো তুমি এমনি ক'রে পথ চাওয়াবে জনম ভ'রে রইবে দূরে চিরতরে সামনে এসে হাসবে না।। কামনা মোর রইলো মনে রূপ ধ'রে তা উঠলো না; বারে বারে ঝরলো মুকুল ফুল হয়ে তা ফুটলো না। অবুঝ এ প্রাণ তবু কেন তোমার ধ্যানেই বিভোর হেন তুমি চির চপল নিঠুর - জানি, ভালোবাসবে না।।