হে প্রিয় নবী রসূল আমার
বাণী
হে প্রিয় নবী রসূল আমার প’রেছি আভরণ নামেরি তোমার।। নয়নের কাজলে তব নাম ললাটের টীপে জ্বলে তব নাম গাঁথা মম কুন্তলে আহমদ বাঁধা মোর অঞ্চলে তব নাম দুলিছে গলে মোর তব নাম মণিহার।। তাবিজ অঙ্গুরী তব নাম বাজু ও পৈচী চুড়ি তব নাম ভয়ে ভয়ে পথে পথে ঘুরি যে পাছে কেউ করে চুরি তব নাম ঐ নাম রূপ মোর ঐ নাম আঁখি ধার।। বুকের বেদনা ঢাকা তব নাম ধ্যানে মোর জ্ঞানে মোর তুমি যে প্রেম-ভক্তি মাখা তব নাম প্রিয় নাম আহমদ জপি আমি অনিবার।।
হে বিধাতা হে বিধাতা হে বিধাতা
বাণী
হে বিধাতা! হে বিধাতা! হে বিধাতা! দুঃখ-শোক-মাঝে, তোমারি পরশ রাজে, কাঁদায়ে জননী-প্রায়, কোলে কর পুনরায়, শান্তি-দাতা।। ভুলিয়া যাই হে যবে সুখ-দিনে তোমারে স্মরণ করায়ে দাও আঘাতের মাঝারে। দুঃখের মাঝে তাই, হরি হে, তোমারে পাই দুঃখ-ত্রাতা।। দারা-সুত-পরিজন-রূপে হরি, অনুখন তোমার আমার মাঝে আড়াল করে সৃজন। তুমি যবে চাহ মোরে, লও হে তোদের হ’রে ছিঁড়ে দিয়ে মায়া-ডোর, ক্রোড়ে ধর আপন। ভক্ত সে প্রহ্লাদ ডাকে যবে ‘নারায়ণ’, নির্মম হয়ে তার পিতারও হর জীবন। সব যবে ছেড়ে যায় দেখি তব বুকে হায় আসন পাতা।।
হে পার্থসারথি বাজাও বাজাও
বাণী
হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ চিত্তের অবসাদ দূর কর কর দূর ভয়–ভীত জনে কর হে নিঃশঙ্ক।। ধনুকে টঙ্কার হানো হানো, গীতার মন্ত্রে জীবন দানো; ভোলাও ভোলাও মৃত্যু–আতঙ্ক।। মৃত্যু জীবনের শেষ নহে নহে — শোনাও শোনাও — অনন্ত কাল ধরি’ অনন্ত জীবন প্রবাহ বহে। দুর্মদ দুরন্ত যৌবন–চঞ্চল ছাড়িয়া আসুক মা’র স্নেহ–অঞ্চল; বীর সন্তানদল করুক সুশোভিত মাতৃ–অঙ্ক।।
হে প্রিয়! তোমার আমার মাঝে
বাণী
হে প্রিয়! তোমার আমার মাঝে এ বিরহের পারাবার কেমনে হইব পার।। নিশীথের চখা-চখির মতন দুই কূলে থাকি’ কাঁদি দুই জন আসিল না দিন মোদের জীবনে অন্তহীন আঁধার।। সেধেছিনু বুঝি বাদ কাহার মিলনে সে কোন্ জনমে তাই মিটিল না সাধ। স্মৃতি তব ঝরা পালকের প্রায় লুটায় মনের বালুচরে, হায়। সে কোন্ প্রভাতে কোন্ নবলোকে মিলিব মোরা আবার।।