হৃদয় কেন চাহে হৃদয় আমি জানি মন জানে
বাণী
হৃদয় কেন চাহে হৃদয়, আমি জানি মন জানে জানে নদী কেন যে সে, যায় ছুটে সাগর পানে।। কেহ বারি কেন চাহে, জানে চাতক, জানে মেঘ, জানে চকোর সুদূর নভে, চাঁদ কেন তারে টানে।। কুসুম কেন চাহে শিশির, জানে শিশির, জানে ফুল, জানে বুলবুল আছে কাঁটা, তবু যায় গুল-বাগানে। আঁখি চাহে আঁখি-বারি , মন চাহে মনোব্যথা প্রাণ আছে যার সেই জানে, কেন চাহে প্রাণে প্রাণে।।
হে মোর স্বামী অন্তর্যামী
বাণী
হে মোর স্বামী, অন্তর্যামী, লহ সকলি আমার। লহ প্রীতি-প্রেম-পূজা লহ পায়ে গলার হার।। হে প্রিয়তম, সকলি লহ; মান-অভিমান ব্যথা-বিরহ। দুঃখের দাহ, সুখের মোহ লহ হে অশ্রু-ধার।। যাহা কিছু আপন, দিতে যা বাকি যাহা কিছু গোপন, লুকায়ে রাখি যাহা কিছু প্রিয় অঞ্চলে ঢাকি; লহ হে বঁধূ এবার।। তোমায় চাওয়ার পাওয়ার আশা, তোমায় না-পাওয়ার ব্যথা-নিরাশা, তোমারে দিলাম মোর ভালোবাসা বিফলতা হাহাকার।।
হে গোবিন্দ ও অরবিন্দ চরণে
বাণী
হে গোবিন্দ, ও অরবিন্দ চরণে শরণ দাও হে। বিফল জনম কাটিল কাঁদিয়া, শান্তি নাহি কোথাও হে।। জীবন-প্রভাত কাটিল খেলায়, দুপুর ফুরাল মোহের মেলায়। ডাকিব যে নাথ সন্ধ্যা-বেলায়, ডাকিতে পারিনি তাও হে।। এসেছি দুঃখ-জীর্ণ পথিক মৃত্যু-গহন রাতে। কিছু নাহি প্রভু সম্বল, শুধু জল আছে আঁখি-পাতে।। সন্তান তব বিপথগামী, ফিরিয়া এসেছে হে জীবন-স্বামী। পাপী তাপী তবু সন্তান আমি ধূলা মুছে-কোলে নাও হে।।
হৃদি-পদ্মে চরণ রাখো বাঁকা ঘনশ্যাম
বাণী
নারদ : হৃদি-পদ্মে চরণ রাখো বাঁকা ঘনশ্যাম। ধ্রুব : বাঁকা শিখী-পাখা নয়ন বাঁকা বঙ্কিম ঠাম॥ নারদ : তুমি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে! ধ্রুব : অধরে মুরলী ধরি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে॥ নারদ : সোনার গোধূলি যেন নিবিড় সুনীল নভে পীতধড়া প’রো কালো অঙ্গে (হরি হে) ধ্রুব : নীল কপোত সম চরণ দুটি নেচে যাক অপরূপ ভঙ্গে (হরি হে) উভয় : যেন নূপুর বাজে হরি সেই পায়ে যেন নূপুর বাজে। বনে নয় শ্যাম মনোমাঝে যেন নূপুর বাজে। ঐ চরণে জড়ায়ে পরান আমার (যেন) মঞ্জির হয়ে বাজে॥
চলচ্চিত্রঃ ‘ধ্রুব’ (ধ্রুব ও নারদের গান)