হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে
বাণী
হারানো হিয়ার নিকুঞ্জপথে কুড়াই ঝরা ফুল একেলা আমি। তুমি কেন হায় আসিলে হেথায় সুখের স্বরগ হইতে নামি।। চারিপাশে মোর উড়িছে কেবল শুকনো পাতা মলিন ফুল–দল, বৃথাই কেন হায় তব আঁখিজল ছিটাও অবিরল দিবস–যামী।। এলে অবেলায় পথিক বেভুল বিঁধিছে কাঁটা নাহি যবে ফুল, কি দিয়ে বরণ করি ও চরণ নিভিছে জীবন, জীবন–স্বামী।।
হার মানি ননদিনী
বাণী
হার মানি ননদিনী মুখর মুখের বাণী শুনি তোর লজ্জাও লাজ সখি ভোলে পুলকে প্রাণ মন দোলে দোলে।। পলকের চাহনিতে কে জানে কেমনে প্রাণে এলো এত মধু এত লাজ নয়নে বাহিরে নীরব কথার কুহু অন্তরে মুহুমুহু বোলে বোলে মুহু মুহু কুহু কুহু বোলে।। তোরি মত ছিনু সই বনের কুরঙ্গী মানি নাই কোনদিন লাজের ভ্রুভঙ্গি। মধুরা মুখরা ওলো! মিষ্টি মুখের তোর সব মধু খেয়েছে কি ঠাকুর জামাই চোর? তব অভিনব বাণী হিল্লোলে গুন্ঠন আপনি খোলে পুলকে প্রাণ মন দোলে।।
নাটিকাঃ ‘প্রীতি উপহার’
হে মোহাম্মদ এসো এসো
বাণী
হে মোহাম্মদ এসো এসো আমার প্রাণে আমার মনে। এসো সুখে এসো দুখে আমার বুকে মোর নয়নে।। আমার দিনের সকল কাজে যেন তোমার স্মৃতি বাজে, এসো আমার ঘুমের মাঝে — এসো আমার জাগরণে।। কোরান দিলে, দিলে ঈমান, বেহেশ্তের দিশা দিলে, পাপে তাপে মগ্ন আমায় খোদার রাহে ডেকে নিলে। তোমায় আমি ভুলব কিসে আছ আমার রুহে মিশে, আমি তোমার প্রেমের পাগল রেখো আমায় ঐ চরণে।।
হায় গো ভালোবেসে অবশেষে
বাণী
(হায় গো) ভালোবেসে অবশেষে কেঁদে দিন গেল। ফুল-শয্যা বাসি হল, বঁধূ না এলো।। শুকাইল পানের খিলি বাঁটাতে ভরা, এ পান আমি কারে দিব সে বঁধূ ছাড়া। (হায় গো) নীলাম্বরী শাড়ি ছি ছি পরলেম মিছে লো।। এবার ধ’রে দিস্ যদি তায় রাখ্ব বেঁধে বিনোদ খোঁপায়, কাঙালে পাইলে রতন রাখে যেমন লো।। সোঁদা-মাখা নিস্নে কেশে, গন্ধে যে লো তার মনে আনে চন্দন-গন্ধ সোনার বঁধূয়ার। এত দুঃখ ছিল আমার এই বয়সে লো।।
বাউল