বাণী

হে মাধব, হে মাধব, হে মাধব!
তোমারেই প্রাণের বেদনা কব তোমারি শরণ লব।।
সুখের সাগরে লহরি সমান
হিল্লোলি’ উঠে যেন তব নমি গান
দুঃখে শোকে কাঁদে যবে প্রাণ যেন নাম না ভুলি তব।।
তুমি ছাড়া বিশ্বে কাহারও কাছে
এ প্রাণ যেন কিছু নাহি যাচে।
যেনতোমারি অধিক কেহ প্রিয় নাহি হয়
বিশ্ব ভুবনে যেন হেনি তুমি-ময়
কলঙ্ক-লাঞ্ছনা যত বাধা ভয় তব প্রেমে সকলি স’ব।।

বাণী

হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায় ফুল ফোটাতে।
মৌমাছি যে ফুলও ফোটায় হুল ফোটানোর সাথে সাথে।।
	আঘাত দিলে, দিলে বেদন
	রাঙাতে হায়, পারলে না মন,
প্রেমের কুঁড়ি ফুটল না তাই পড়ল ঝ’রে নিরাশাতে।।
আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা,
হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা।
শয়ন-সাথি হলে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।।
ফুল তুলে হায় ঘর সাজালে, করলে নাকো গলার মালা
ত্যাজি’ সুধা পিয়ে সুরা হলে তুমি মাতোয়ালা,
নিশাস ফেলে নিভাইলে যে-দীপ আলো দিত রাতে।।

বাণী

হিন্দোলি’ হিন্দোলি’ 
		ওঠে নীল সিন্ধু
গগনে উঠিল তার
		কোন্ পূর্ণ ইন্দু।।
শত শুক্তি-আঁখি দিয়া
পিইছে চাঁদ-অমিয়া,
শিশির রূপে ঝরিয়া
		পড়ে জোছনা-বিন্দু।।

বাণী

হে প্রিয়! তোমার আমার মাঝে এ বিরহের পারাবার
				কেমনে হইব পার।।
	নিশীথের চখা-চখির মতন
	দুই কূলে থাকি’ কাঁদি দুই জন
আসিল না দিন মোদের জীবনে অন্তহীন আঁধার।।
সেধেছিনু বুঝি বাদ
কাহার মিলনে সে কোন্‌ জনমে তাই মিটিল না সাধ।
	স্মৃতি তব ঝরা পালকের প্রায়
	লুটায় মনের বালুচরে, হায়।
সে কোন্‌ প্রভাতে কোন্‌ নবলোকে মিলিব মোরা আবার।।

বাণী

হিন্দু আর মুসলিম মোরা দুই সহোদর ভাই।
এক বৃন্তে দু’টি কুসুম এক ভারতে ঠাঁই॥
সৃষ্টি যাঁর মুসলিম রে ভাই হিন্দু সৃষ্টি তাঁরি
মোরা বিবাদ ক’রে খোদার উপর করি যে খোদকারি।
শাস্তি এত আজ আমাদের হীন-দশা এই তাই॥
দুই জাতি ভাই সমান মরে মড়ক এলে দেশে
বন্যাতে দুই ভাইয়ের কুটির সমানে যায় ভেসে।
দুই জনারই মাঠেরে ভাই সমান বৃষ্টি ঝরে —
সব জাতিরই সকলকে তাঁর দান যে সমান করে
চাঁদ সুরুযের আলো কেহ কম-বেশি কি পাই
বাইরে শুধু রঙের তফাৎ ভিতরে ভেদ নাই॥

বাণী

নারদ	:	হৃদি-পদ্মে চরণ রাখো বাঁকা ঘনশ্যাম।
ধ্রুব	:	বাঁকা শিখী-পাখা নয়ন বাঁকা বঙ্কিম ঠাম॥
নারদ	:	তুমি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে!
ধ্রুব	:	অধরে মুরলী ধরি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে॥
নারদ	:	সোনার গোধূলি যেন নিবিড় সুনীল নভে
		পীতধড়া প’রো কালো অঙ্গে (হরি হে)
ধ্রুব	:	নীল কপোত সম চরণ দুটি
		নেচে যাক অপরূপ ভঙ্গে (হরি হে)
উভয়	:	যেন নূপুর বাজে
		হরি সেই পায়ে যেন নূপুর বাজে।
		বনে নয় শ্যাম মনোমাঝে যেন নূপুর বাজে।
		ঐ চরণে জড়ায়ে পরান আমার
		(যেন) মঞ্জির হয়ে বাজে॥

চলচ্চিত্রঃ ‘ধ্রুব’ (ধ্রুব ও নারদের গান)