হে নামাজী আমার ঘরে নামাজ পড় আজ
বাণী
হে নামাজী! আমার ঘরে নামাজ পড় আজ। দিলাম তোমার চরণ-তলে হৃদয় -জায়নামাজ। আমি গুনাহগার বে-খবর, নামাজ পড়ার ন্ই অবসর (তব) চরণ-ছোঁয়ায় এই পাপীরে কর সরফরাজ।। তোমার ওজুর পানি মোছ আমার পিরান দিয়ে আমার এ ঘর হোক মসজিদ তোমার পরশ নিয়ে। যে শয়তানের ফন্দিতে ভাই, খোদায় ডাকার সময় না পাই সেই শয়তান যাক দূরে, শুনে তকবীরের আওয়াজ।।
হেলে দুলে চলে বন-মালা গলে
বাণী
হেলে দুলে চলে বন-মালা গলে গোঠ-বিহারী বনে বনমালী সাজে। বঙ্কিম শিখী পাখা শোভিত অলক চন্দন তিলক ললাটে রাজে।। পথের ধুলি হরি চরণ পরশে হল সুরভিত হরি-চন্দন হরষে, নিখিল-ভক্ত-প্রাণ চরণে নূপুর হয়ে রুমু ঝুমু বাজে।। তৃণ নাহি পরশে উচাটন ধেনু সব বংশী-বট-তলে শোনে শ্যাম বেণুরব, অপরূপ অভিনব প্রেম অনুভব, জাগে ব্রজ-গোপীকার প্রাণের মাঝে।।
হে গোবিন্দ রাখ চরণে
বাণী
হে গোবিন্দ রাখ চরণে। মোরা তব চরণে শরণাগত আশ্রয় দাও আশ্রিত জনে হে॥ গঙ্গা ঝরে যে শ্রীচরণ বেয়ে কেন দুখ পাই সে চরণ চেয়ে এ ত্রিতাপ জ্বালা হর হে শ্রীহরি, চাহ করুণা সিক্ত নয়নে॥ হরি ভিক্ষা চাহিলে মানুষ নাহি ফিরায় তোমারি দুয়ারে হাত পাতিল যে, ফিরাবে কি তুমি তায়। হরি সব তরী ডুবে যায় তোমার চরণ তরী ত’ ডোবে না হায়, তব চরণ ধরিয়া ডুবে মরি যদি রবে কলঙ্ক নিখিল ভুবনে॥
হিন্দু-মুসলমান দুটি ভাই ভারতের
বাণী
হিন্দু-মুসলমান দুটি ভাই ভারতের দুই আঁখি-তারা। এক বাগানে দুটি তরু — দেবদারু আর কদমচারা।। যেন গঙ্গা সিন্ধু নদী যায় গো ব’য়ে নিরবধি, এক হিমালয় হতে আসে, এক সাগরে হয় গো হারা।। বুলবুল আর কোকিল পাখি এক কাননে যায় গো ডাকি’, ভাগীরথী যমুনা বয় মায়ের চোখের যুগল-ধারা।। পেটে-ধরা ছেলের চেয়েও চোখে ধরার মায়া বেশি, অতীতে ছিল অতিথি, আজ সে সখা প্রতিবেশী। ফুল পাতিয়ে গোলাপ বেলি এক সে-মায়ের বুকে খেলি, পাগল তারা — ভিন্ন ভাবে আল্লা ভগবানে যারা।।