বাণী

	হে প্রিয় আমারে দিব না ভুলিতে
মোর	স্মৃতি তাই রেখে' যাই শত গীতে।।
	বিষাদিত সন্ধ্যায় শুনিবে দূরে
	বিরহী বাঁশি ঝুরে আমারি সুরে
	আমারি করুণ গাথা গাহিবে কে কোথা
	সজল মেঘ-ঘেরা নিশীথে।।
	গোধূলি-ধূসর ম্লান আকাশে
	হেরিবে আমার মূরতি ভাসে
	তব পদদলিত ফুলের বাসে
	পড়িবে মনে আমারে চকিতে।।

বাণী

হে নিঠুর ! তোমাতে নাই আশার আলো।
তাই কি তোমার রূপ কৃষ্ণ কালো।।
তুমি ত্রিভঙ্গ তাই তব সকলি বাঁকা
চোখে তব কাজলের ছলনা মাখা।
নিষাদের হাতে বাঁশি সেজেছে ভালো।।

নাটকঃ ‘বিদ্যাপতি’

বাণী

হার মানি ননদিনী
মুখর মুখের বাণী শুনি তোর লজ্জাও লাজ সখি ভোলে
			পুলকে প্রাণ মন দোলে দোলে।।
পলকের চাহনিতে কে জানে কেমনে
প্রাণে এলো এত মধু এত লাজ নয়নে
বাহিরে নীরব কথার কুহু অন্তরে মুহুমুহু বোলে বোলে
			মুহু মুহু কুহু কুহু বোলে।।
তোরি মত ছিনু সই বনের কুরঙ্গী
মানি নাই কোনদিন লাজের ভ্রুভঙ্গি।
মধুরা মুখরা ওলো! মিষ্টি মুখের তোর
সব মধু খেয়েছে কি ঠাকুর জামাই চোর?
তব অভিনব বাণী হিল্লোলে
গুন্ঠন আপনি খোলে পুলকে প্রাণ মন দোলে।।

নাটিকাঃ ‘প্রীতি উপহার’

বাণী

হাসে আকাশে শুকতারা হাসে।
অরুণ-রঞ্জনী-ঊষার পাশে॥
	ওকি ঊষসীর সাথী
	বাসর ঘরে জাগে রাতি,
(ওকি) সখীর মনের কথা জানে আভাসে॥
হাসির ছটায় ওর আঁখি কেন নাচে,
রবির রথের ধ্বনি ওকি শুনিয়াছে।
(ও) কেন দিবা আসিবার আগে
শ্রান্ত বধূর ঘুম ভাঙে,
(ওকি) ধরার সূযমুখী ফুটেছে নভে —
প্রিয়তমে প্রথম দেখার আশে॥

বাণী

হে নামাজী! আমার ঘরে নামাজ পড় আজ।
দিলাম তোমার চরণ-তলে হৃদয় -জায়নামাজ।
	আমি গুনাহগার বে-খবর,
	নামাজ পড়ার ন্ই অবসর
(তব) চরণ-ছোঁয়ায় এই পাপীরে কর সরফরাজ।।
তোমার ওজুর পানি মোছ আমার পিরান দিয়ে
আমার এ ঘর হোক মসজিদ তোমার পরশ নিয়ে।
	যে শয়তানের ফন্দিতে ভাই,
	খোদায় ডাকার সময় না পাই
সেই শয়তান যাক দূরে, শুনে তকবীরের আওয়াজ।।

বাণী

হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে তুমি শুনিতে কি পাও?
আখেরি নবী প্রিয় আল-আরবি বারেক ফিরে চাও।।
পিঁজরার পাখি সম অন্ধকারায়
বন্ধ থাকি' এ জীবন কেটে' যায়;
কাঁদে প্রাণ ছুটে যেতে তব মদিনায়
	চরণের এই জিঞ্জির খুলে' দাও।।
ফতেমার মেয়েদের হেরি' আঁখি-নীর
বেহেশতে কেমনে আছ তুমি থির!
যেতে নারি মসজিদে শুনিয়া আজান,
বাহিরে ওয়াজ হয়, ঘরে কাঁদে প্রাণ
ঝুটা এই বোরখার হোক অবসান —
	আঁধারে হেরেমে আশা-আলোক দেখাও।।