বাণী

জানি জানি তুমি আসিবে ফিরে।
আবার উঠিবে চাঁদ নিরাশার তিমিরে।।
	নিঝুম কাননে থাকি
	ডাকিবে গানের পাথি,
দখিন-সমীরণ আবার বহিবে ধীরে।।
আবার গাঙের জলে আসিবে জোয়ার
জ্বলিবে আশায় দীপ, রবে না আঁধার।
	তোমার পরশ লেগে
	ঘুম মোর যাবে ভেঙে,
একদা প্রভাতে প্রিয় আকুল নয়ন-নীরে।।

বাণী

জগজন মোহন সঙ্কটহারী
কৃষ্ণমুরারী শ্রীকৃষ্ণমুরারী।
রাম রচাও ত শ্যামবিহারী
পরম যোগী প্রভু ভবভয়-হারী।।
গোপী-জন-রঞ্জন-ব্রজ-ভয়হারী,
পুরুষোত্তম প্রভু গোলক-চারী।।
বন্‌শী বাজাও ত বন বন-চারী
ত্রিভুবন-পালক ভক্ত-ভিখারি,
রাধাকান্ত হরি শিখি-পাখাধারী —
কমলাপতি জয় গোপী-মনহারী।।

বাণী

জয় হরপ্রিয়া শিবরঞ্জনী।
শিব-জটা হতে সুরধুনী স্রোতে ঝরি’ শতধারে ভাসাও অবনি।
দিবা দ্বিপ্রহরে প্রথম বেলা কাফি-সিন্ধুর তীরে কর খেলা
দীপ্ত নিদাঘে সারঙ্গ রাগে অগ্নি ছড়ায় তব জটাব ফণী॥
কভু ধানশ্রীতে মায়া রূপ ধর,
জ্ঞানী শিবের তেজ কোমল কর
পিলু বারোঁয়ার বিষাদ ভোলানো
নূপুরের চটুল ছন্দ আনো
বাগীশ্বরী হ’য়ে মহিমা শান্তি ল’য়ে
আসো গভীর যবে হয় রজনী॥
বরষার মল্লারে মেঘে তুমি আসো,
অশনিতে চমকাও, বিদ্যুতে হাসো
সপ্ত সুরের রঙে সুরঞ্জিতা ইন্দ্রধনু-বরণী॥

বাণী

জাগো জাগো, পোহাল রাতি।
গগন-আঙনে ম্লান চাঁদের বাতি।।
	মধুমাছি মধু বোলে
	ফুলমুখী ঘুম ভোলে,
শরমে নয়ন খোলে — শয়ন-সাথী।।
	সলিল লুটায় ঘটে
	বধূর বুকে তটে,
বাজে বাঁশি ছায়া-বটে — আবেশ মাতি’।।

বাণী

জাগো রূপের কুমার, কেন অলস ঘুমে কাটাও রাতি।
হের দুয়ারে দাঁড়ায়ে বধূর সাজে তব জাগার সাথী।।
আসে বারেবারে সে যে অভিসারে
তার বুকের ভাষা মুখে কইতে নারে,
মোরা বাসর ঘরে এলাম জ্বাল্‌তে বাতি।।

নৃত্য-সঙ্গীত, নাটক : সর্বহারা

বাণী

জানি	জানি প্রিয়, এ জীবনে মিটিবে না সাধ
আমি	জলের কুমুদিনী ঝরিব জলে
তুমি	দূর গগনে থাকি’ কাঁদিবে চাঁদ।।
	আমাদের মাঝে বঁধু বিরহ বাতাস
	চিরদিন ফেলে যাবে দীরঘ শ্বাস
	পায় না বুকে কভু পায় না বুকে তবু মুখে মুখে
	চাঁদ কুমুদীর নামে রটে অপবাদ।।
তুমি	কত দূরে বঁধু, তবু বুকে এত মধু কেন উথলায়?
	হাতের কাছে রহো রাতের চাঁদ গো
	ধরা নাহি যায় তবু ছোঁওয়া নাহি যায়।
	মরু-তৃষা ল’য়ে কাঁদে শূন্য হিয়া
	সকলে বলে আমি তোমারি প্রিয়া
সেই	কলঙ্ক-গৌরব সৌরভ দিল গো
	মধুর হ’ল মোর বিরহ-বিষাদ।।