জয় বিবেকানন্দ সন্ন্যাসী বীর
বাণী
জয় বিবেকানন্দ সন্ন্যাসী বীর চির গৈরিকধারী। জয় তরুণ যোগী, শ্রীরামকৃষ্ণ-ব্রত-সহায়কারী।। যজ্ঞাহুতির হোমশিখা সম, তুমি তেজস্বী তাপস পরম ভারত-অরিন্দম নমো নমঃ বিশ্বমঠ বিহারী।। (মদ) গর্বিত বল-দর্পীর দেশে মহাভারতের বাণী শুনায়ে বিজয়ী ঘুচাইলে স্বদেশের অপযশ গ্লানি। (নব) ভারতে আনিলে তুমি নব বেদ মুছে দিলে জাতি ধর্মের ভেদ জীবে ঈশ্বরে অভেদ আত্মা জানাইলে হুঙ্কারি১।।
১. উচ্চারি
জয় বাণী বিদ্যাদায়িণী
বাণী
জয় বাণী বিদ্যাদায়িণী জয় বিশ্বলোক-বিহারিণী।। সৃজন-আদিম তমঃ অপসারি' সহস্রদল কিরণ বিথারি' আসিলে মা তুমি গগন বিদারি' মানস-মরাল-বাহিনী।। ভারতে ভারতী মূক তুমি আজি বীণাতে উঠিছে ক্রন্দন বাজি' ছিন্ন চরণ-শতদলরাজি কহিছে বিষাদ-কাহিনী।। ঊর মা আবার কমলাসীনা, (মাগো) করে ধর পুনঃ সে রুদ্রবীণা নব সুর তানে বানী দীনাহীনা জাগাও অমৃতভাষিণী মা জাগাও অমৃতভাষিণী।।
জাগো জাগো শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী কাঁদে ধরিত্রী
বাণী
জাগো জাগো শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী। কাঁদে ধরিত্রী নিপীড়িতা, কাঁদে ভয়ার্ত নরনারী।। আনো আরবার ন্যায়ের দণ্ড দৈত্য-ত্রাসন ভীম প্রচণ্ড, অসুর-বিনাশী উদ্যত আসি ধর ধর দানবারি।। ঐ বাজে তব আরতি বোধন, কোটি অসহায় কণ্ঠে রোদন! ব্যথিত হৃদয়ে ফেলিয়া চরণ বেদনা-বিহারী এসো নারায়ণ, রুদ্ধ কারার অন্ধ প্রাকার-বন্ধন অপসারি’।।
জানি আমার সাধনা নাই আছে তবু সাধ
বাণী
জানি আমার সাধনা নাই আছে তবু সাধ। তুমি আপনি এসে দেবে ধরা দূর-আকাশের চাঁদ।। চকোর নহি মেঘও নহি আপন ঘরে বন্দী রহি’ আমি শুধু মনকে কহি কাঁদ নিশি দিন কাঁদ।। কূল-ডুবানো জোয়ার কোথা পাব হে সুন্দর? হে চাঁদ আমি সাগর নহি পল্লী-সরোবর। নিশীথ রাতে আমার নীরে, প্রেমের কুমুদ ফোটে ধীরে, মোর ভীরু প্রেম যেতে নারে ছাপিয়ে লাজের বাঁধ।।