বাণী

জগৎ জুড়ে জাল ফেলেছিস্ মা, শ্যামা কি তুই জেলের মেয়ে।
(তোর) মায়ার জালে মহামায়া, বিশ্বভুবন আছে ছেয়ে॥
	প’ড়ে মা তোর মায়ার ফাঁদে 
	কোটি নরনারী কাঁদে;
তোর মায়াজাল ততই বাঁধে পালাতে চায় যত ধেয়ে॥
চতুর যে-মীন সে জানে মা জাল থেকে যে মুক্তি আছে;
(তাই)	জেলে যখন জাল ফেলে মা সে লুকায় জেলের পায়ের কাছে।
	জাল এড়িয়ে তাই সে বাঁচে।
	তাই মা আমি নিলাম শরণ
	তোর ও দুটি রাঙা চরণ,
এড়িয়ে গেলাম মায়ার বাঁধন মা তোর অভয়-চরণ পেয়ে॥

বাণী

জাগো জাগো, রে মুসাফির হ’য়ে আসে নিশিভোর।
ডাকে সুদূর পথের বাঁশি ছাড় মুসাফির-খানা তোর।।
অস্ত-আকাশ-অলিন্দে ঐ পান্ডুর কপোল রাখি’
কাঁদে মলিন ভোরের শশী, বিদায় দাও বন্ধু চকোর।।
মরুচারী খুঁজিস সলিল অগ্নিগিরির কাছে, হায়!
খুঁজিস অমর ভালোবাসা এই ধরণীর এই ধূলায়।
দারুণ রোদের দাহে খুঁজিস কুঞ্জ-ছায়া স্বপ্ন-ঘোর।।

বাণী

জয়তু শ্রীরামকৃষ্ণ নমো নমঃ
সর্ব-ধর্ম-সমন্বয়-কারী নব-রূপে অবতার পুরুষ পরম।।
	ঈশ্বরে বিশ্বাস জানকীর প্রায়
	বন্দিনী ছিল কামনার লঙ্কায়
উদ্ধারিলে তারে তোমার তপস্যায় শক্তিরে জাগাইয়া শ্রীরাম-সম।।
তোমা কথামৃত কলির নববেদ একাধারে রামায়ণ গীতা
বিবেকানন্দ মাঝে লক্ষণ অর্জুন শক্তি করিলে পুনজীবিতা।
	ভূতারতের কলহের কুরুক্ষেত্রে
	দাঁড়াইলে তুমি আসি সকরুণ নেত্রে
	বাজালে অভয় পাঞ্চজন্য শঙ্খ,
	বিনাশিলে অধর্ম, হিংসা, আতঙ্ক
প্রেম-নদীয়ায় তুমি নব-গৌরাঙ্গ সকল জাতির সখা, প্রিয়তম।।

বাণী

[ওম্ সর্বমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোস্তুতে।।]
	জয় দুর্গা, জননী, দাও শক্তি
	শুদ্ধ জ্ঞান দাও, দাও প্রেম-ভক্তি,
অসুর-সংহারি কবচ-অস্ত্র দাও মা, বাঁধি বাহুতে।।
অর্থ-বিভব দাও, যশ দাও মাগো, প্রতি ঘরে দাও শান্তি,
পরম-অমৃত দাও, দূর কর’ মৃত্যু-সম বাঁচিয়া থাকার এই ক্লান্তি।
	শ্রান্তিবিহীন উৎসাহ দাও কর্মে
	নবীন দীক্ষা দাও শক্তির ধর্মে
মোদের রক্ষা কর’ বরাভয় বর্মে, চিন্ময় জ্যোতি দাও প্রতি অণুতে।।

বাণী

জানি	জানি প্রিয়, এ জীবনে মিটিবে না সাধ
আমি	জলের কুমুদিনী ঝরিব জলে
তুমি	দূর গগনে থাকি’ কাঁদিবে চাঁদ।।
	আমাদের মাঝে বঁধু বিরহ বাতাস
	চিরদিন ফেলে যাবে দীরঘ শ্বাস
	পায় না বুকে কভু পায় না বুকে তবু মুখে মুখে
	চাঁদ কুমুদীর নামে রটে অপবাদ।।
তুমি	কত দূরে বঁধু, তবু বুকে এত মধু কেন উথলায়?
	হাতের কাছে রহো রাতের চাঁদ গো
	ধরা নাহি যায় তবু ছোঁওয়া নাহি যায়।
	মরু-তৃষা ল’য়ে কাঁদে শূন্য হিয়া
	সকলে বলে আমি তোমারি প্রিয়া
সেই	কলঙ্ক-গৌরব সৌরভ দিল গো
	মধুর হ’ল মোর বিরহ-বিষাদ।।

বাণী

জাগো রূপের কুমার, কেন অলস ঘুমে কাটাও রাতি।
হের দুয়ারে দাঁড়ায়ে বধূর সাজে তব জাগার সাথী।।
আসে বারেবারে সে যে অভিসারে
তার বুকের ভাষা মুখে কইতে নারে,
মোরা বাসর ঘরে এলাম জ্বাল্‌তে বাতি।।

নৃত্য-সঙ্গীত, নাটক : সর্বহারা