জাগো বিরাট ভৈরব যোগ সমাধি মগ্ন
বাণী
জাগো বিরাট ভৈরব যোগ সমাধি মগ্ন। ভুবনে আনো নব দিনের শুভ প্রভাত লগ্ন।। অনন্ত শয্যা ছাড়ি’ অলখ লোকে এসো জ্যোতির পথে, দেব-লোকের তিমির-কারা-প্রাচীর কর ভগ্ন।। ভয়হীন, দ্বিধাহীন উদার আনন্দে, তোমার আবির্ভাব হোক প্রবল ছন্দে। হোক মানব স্বপ্রাকশ আপন স্বরূপে বিরাট রূপে, সফল কর আমার সোহং স্বপ্ন।।
সঙ্গীতালেখ্য : ‘ষট ভৈরব’
জাগো জাগো গোপাল নিশি হ’ল ভোর
বাণী
জাগো জাগো গোপাল নিশি হ’ল ভোর, কাঁদে ভোরের তারা হেরি’ তোর ঘুম-ঘোর॥ দামাল ছেলে তুই জাগিস্নি তাই বনে জাগেনি পাখি ঘুমে মগ্ন সবাই , বাতাস নিশ্বাস ফেলে খুঁজিছে বৃথাই তোর বাঁশরি লুটায়ে কাঁদে আঙিনায় মোর॥ তুই উঠিস্নি ব’লে দেখ রবি ওঠেনি ঘরে আনন্দ নাই, বনে ফুল ফোটেনি। ধোয়াবে বলিয়া তোর মুখের কাজল থির হ’য়ে আছে ঘাটে যমুনার জল, অঞ্চল-ঢাকা মোর, ওরে চঞ্চল, আমি চেয়ে আছি কবে ঘুম ভাঙিবে তোর॥
জয়-জগৎ-জননী ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর
বাণী
জয়-জগৎ-জননী, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর বন্দিতা, জয় মা-ত্রিলোক তারিণী। জয় আদ্যাশক্তি পরমেশ্বরী নন্দন-লোক-নন্দিতা জয় দুর্গতিহারিণী।। তোমাতে সর্বজীবের বসতি, সর্বাশ্রয় তুমি মা, জয় হয় সব বন্ধন পাপ-তাপ তব পদ চুমি’ মা। তুমি শাশ্বতী, সৃষ্টি-স্থিতি, তুমি মা প্রলয়কারিণী।। তুমি মা শ্রদ্ধা, প্রেম, ভক্তি তুমি কল্যাণ সিদ্ধি ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ তুমি তিন-জন ঋদ্ধি, জয় বরাভয়া ত্রিগুণময়ী দশ-প্রহরণ-ধারিণী।।
নাটক : ‘বিদ্যাপতি’ (স্তব)
জগতের নাথ তুমি তুমি প্রভু প্রেমময়
বাণী
জগতের নাথ তুমি, তুমি প্রভু প্রেমময়। আমি জগতের বাহিরে নহি দেহ চরণে আশ্রয়।। যাহাদের তরে আমি খাটিনু দিবস-রাতি, (আমার)যাবার বেলায় কেহ তাদের হ’ল না সাথের সাথি। সম্পদ মোর পাঁচ ভূতে খায়, কর্ম কেবল সঙ্গে রয়।। ভুলিয়া সংসার মোহে লই নাই তোমারি নাম — তরাতে এমন পাপী পাবে না হে ঘনশ্যাম। শুনেছি তোমারে যদি কাঁদিয়া কেহ ডাকে — তুমি অমনি তারে কর ক্ষমা চরণে রাখ তাকে। আমি সেই আশাতে এসেছি নাথ যদি তব কৃপা হয়।।
জয় কৃষ্ণ-ভিখারিনী তুলসী
বাণী
জয় কৃষ্ণ-ভিখারিনী তুলসী হরি-শিব-বিহারিণী তুলসী। জয় কল্পতরু সমা বিষ্ণুর মনোরমা কলির কলুষ-বারিণী তুলসী।। অভিষ্ট-দায়িণী তুমি বসুধায় শ্রেষ্ঠ পুষ্প তুমি দেব-পূজায়, তপে ও জপে তুমি মন্ত্র-শক্তি রূপা ভক্তি-প্রেম সঞ্চারিণী তুলসী।। তীর্থসমূহ মাগো তোমার কাছে আত্মশুদ্ধি তরে শরণ যাচে, সকল কর্ম হয় নিষ্ফল ত্রিলোকে তোমার প্রসাদ বিনা তারিণী তুলসী।। শুদ্ধ সত্ত্বা রূপা তপস্যা মগ্না বিরাজ দীনা বেশে মন্দির-লগ্না, হে হরি-বল্লভে, তব দীন পল্লবে অনন্ত নারায়ণ-ধারিণী তুলসী।।
‘শ্রীতুলসী-বন্দনা’