বাণী

জয় উমানাথ শিব মহেশ্বর
চির-ভোরা আশুতোষ স্বয়ম্ভু শঙ্কর।।
তুমি ভগবান জীব-কল্যাণ লাগি
শ্মশানে রহ শিবলোক তেয়াগি,
বিশ্বেশ্বর হয়ে তুমি বৈরাগী হে মহাভিক্ষু দিগম্বর।।
স্বর্গের দেবতারে অমৃত দিয়া
তুমি নাচো আনন্দে গরল পিয়া,
ধুতুরার ফুল শিঙ্গা ডমরু নিয়া —
ভষ্ম মাখিয়া রহ গঙ্গাধর।।

বাণী

জয় বাণী বিদ্যাদায়িণী
জয় বিশ্বলোক-বিহারিণী।।
	সৃজন-আদিম তমঃ অপসারি'
	সহস্রদল কিরণ বিথারি'
আসিলে মা তুমি গগন বিদারি' মানস-মরাল-বাহিনী।।
	ভারতে ভারতী মূক তুমি আজি
	বীণাতে উঠিছে ক্রন্দন বাজি'
ছিন্ন চরণ-শতদলরাজি কহিছে বিষাদ-কাহিনী।।
	ঊর মা আবার কমলাসীনা, (মাগো)
	করে ধর পুনঃ সে রুদ্রবীণা
নব সুর তানে বানী দীনাহীনা জাগাও অমৃতভাষিণী
			মা জাগাও অমৃতভাষিণী।।

বাণী

জাগো	জাগো গোপাল নিশি হ’ল ভোর,
কাঁদে		ভোরের তারা হেরি’ তোর ঘুম-ঘোর॥
		দামাল ছেলে তুই জাগিস্‌নি তাই
বনে		জাগেনি পাখি ঘুমে মগ্ন সবাই ,
		বাতাস নিশ্বাস ফেলে খুঁজিছে বৃথাই
তোর		বাঁশরি লুটায়ে কাঁদে আঙিনায় মোর॥
তুই		উঠিস্‌নি ব’লে দেখ রবি ওঠেনি
ঘরে		আনন্দ নাই, বনে ফুল ফোটেনি।
		ধোয়াবে বলিয়া তোর মুখের কাজল
		থির হ’য়ে আছে ঘাটে যমুনার জল,
		অঞ্চল-ঢাকা মোর, ওরে চঞ্চল,
আমি		চেয়ে আছি কবে ঘুম ভাঙিবে তোর॥

বাণী

জানি পাব না তোমায় হে প্রিয় আমার
			এ জীবনে আর॥
		এ আমার ললাট লেখা
		আমি রব চির একা
নিমেষের দিয়ে দেখা কাঁদাবে আবার॥
		তুব হে জীবন স্বামী
		তোমারি আশায় আমি
আসিব এ ধরণীতে যুগে যুগে অনিবার॥

বাণী

জাগো জাগো, পোহাল রাতি।
গগন-আঙনে ম্লান চাঁদের বাতি।।
	মধুমাছি মধু বোলে
	ফুলমুখী ঘুম ভোলে,
শরমে নয়ন খোলে — শয়ন-সাথী।।
	সলিল লুটায় ঘটে
	বধূর বুকে তটে,
বাজে বাঁশি ছায়া-বটে — আবেশ মাতি’।।

বাণী

জাগো হে রুদ্র, জাগো রুদ্রাণী,
কাঁদে ধরা দুখ-জরজর!
জাগো গৌরী, জাগো হর।।
আজি শস্য-শ্যামা তোদের বন্যা
অন্নবস্ত্র হীনা অরণ্যা
সপ্ত সাগর অশ্রু-বন্যা,
কাঁপিছে বুক থর থর।।
আর সহিতে পারি না অত্যাচার,
লহ এ অসহ ধরার ভার।
গ্রাসিল বিশ্ব লোভ-দানব,
হা হা স্বরে কাঁদিছে মানব,
জাগো ভৈরবী জাগো ভৈরব
ত্রিশূল খড়গ ধর ধর।।