ঝড়-ঝঞ্ঝার ওড়ে নিশান
বাণী
ঝড়-ঝঞ্ঝার ওড়ে নিশান, ঘন-বজ্রে বিষাণ বাজে। জাগো জাগো তন্দ্রা-অলস রে, সাজো সাজো রণ-সাজে।। দিকে দিকে ওঠে গান, অভিযান অভিযান! আগুয়ান আগুয়ান হও ওরে আগুয়ান ফুটায়ে মরুতে ফুল-ফসল। জড়ের মতন বেঁচে কি ফল? কে র’বি প’ড়ে লাজে।। বহে স্রোত জীবন-নদীর, চল চঞ্চল অধীর, তাহে ভাসিবি কে আয়, দূর সাগর ডেকে যায়। হ’বি মৃত্যু-পাথার পার, সেথা অনন্ত প্রাণ বিরাজে।। পাঁওদল্ রণে চল্, চল্ রণে চল্ পাঁওদল আগে চল্, চল্ রণে চল্ মরুতে ফোটাতে পারে ওই পদতল প্রাণ-শতদল। বিঘ্ন-বিপদে করি’ সহায় না-জানা পথের যাত্রী আয়, স্থান দিতে হবে আজি সবায়, বিশ্ব-সভা-মাঝে।।
ঝর্ল যে-ফুল ফোটার আগেই
বাণী
ঝর্ল যে-ফুল ফোটার আগেই তারি তরে কাঁদি, হায়! মুকুলে যার মুখের হাসি চোখের জলে নিভে যায়।। হায় যে-বুলবুল গুল্বাগিচায় গোলাপ কুঁড়ির গাইত গান, আকুল ঝড়ে আজ সে প'ড়ে পথের ধূলায় মূরছায়।। সুখ-নদীর উপকূলে বাঁধিল যে সোনার ঘর, আজ কাঁদে সে গৃহ-হারা বালুচরে নিরাশায়।। যাবার যারা, যায় না তারা — থাকে কাঁটা, ঝরে ফুল। শুকায় নদী মরুর বুকে, প্রভাত আলো মেঘে ছায়।।
ঝর ঝর ঝরে শাওন ধারা
বাণী
ঝর ঝর ঝরে শাওন ধারা। ভবনে এলো মোর কে পথহারা।। বিরহ রজনী একেলা যাপি সঘনে বহে ঝড় সভয়ে কাঁপি, উথলি’ উঠে ঢেউ কুটীরে নাহি কেউ — গগনে নাহি মোর চন্দ্রতারা।। নিভেছে গৃহদীপ নয়নে বারি, আঁধারে তব মুখ নাহি নেহারি। তোমার আকুল কুন্তল বাসে চেনা দিনের স্মৃতি স্মরণে আসে, আজি কি এলে মোর প্রলয়-সুন্দর — ঝলকে বিদ্যুতে আঁখি-ইশারা।।
ঝুলে কদমকে ডারকে ঝুলনা পে
বাণী
ঝুলে কদমকে ডারকে ঝুলনা পে কিশোরী কিশোর। দেখে দোউ এক এককে মুখকো চন্দ্রমা চকোর, য্যায়সে চন্দ্রমা চকোর হোকে প্রেম নেশা বিভোর।। মেঘ মৃদং বাজে ওহি ঝুলনাকে ছন্দ্ মে রিম্ঝিম্ বাদর বরসে আনন্দ্ মে, দেখনে যুগল শ্রীমুখ চন্দকো গগন ঘেরি ঘনঘটা ঘোর।। নব নীর বরসনে কো চাতকিনী চায় ওয়সে গোপী ঘনশ্যাম দেখ তৃষ্ণা মিটায়, সব দেবদেবী বন্দনা গীত গায় — ঝরে বরসামে ত্রিভুবনকি প্রেমাশ্রুলোর।।
ঝুমঝুম ঝুমরা নাচ নেচে কে এলো
বাণী
ঝুমঝুম ঝুমরা নাচ নেচে কে এলো গো সই লো দেখে আয়। বৈঁচি বনে বিরহে বাউরি বাতাস বহে এলোমেলো গো।। আঁড়বাঁশি বাজায় আড়চোখে তাকায় তীর হানার ভঙ্গিতে ধনুক বাঁকায় নন্দন পাহাড়ে তাহারে দেখে চাঁদ আঁউরে গেল গো।। ঝাঁকড়া চুলের পাশে টুলটুলে চোখ হাসে কতই ছলে মোরলা মাছ যেন খেলে বেড়ায় গো কালো জলে। মৌটুসির মো ফেলে ভোমরা রয় তাকিয়ে গুরুজনের মত বটের তরু দাঁড়িয়ে জট পাকিয়ে আমলকি গাছের আড়ালে লুকিয়ে দেখি, দেখতে কি তা পেল গো (সে)।।
নাটিকাঃ‘অর্জুন বিজয়’